এসি রুমে বন্দি ইসলাম।
লিখেছেন লিখেছেন আমি আল বদর বলছি ২৪ এপ্রিল, ২০১৯, ০৭:৫০:১২ সন্ধ্যা
ইসলামি সমাজ ব্যবস্থা। বা কোরআনের আইন আল্লাহর জমিনে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য তেমন কোনো মাথা ব্যাথা নেই বাংলাদেশে প্রায় শতকরা ৮৮% মুসলিমের। কিন্ত শবে বরাত বা বিভিন্ন ছোট খাটো বিষয় নিয়ে বা সুন্নাহ নিয়ে সবচেয়ে বেশি মাথা বাথা মুসলিম উম্মার বর্তমানে। আপনি যদি আজ বাংলাদেশের মুসলিমের দিকে তাকান তাহলে আপনি একটি জিনিস লক্ষ্য করে দেখবেন নির্দিষ্ট কিছু ইবাদাত এবং কিছু সুন্নাহে কে নিয়ে খুব আরামে কাটাচ্ছে মুসলিম উম্মাদ। অতচ কোথায় আজ আমরা কোথা আজ মুসলিম কী দায়িত্ব আমাদের ইসলাম আমাদের কী দাবি করে তার ধারে কাছ আমরা নেই আজ।
প্রতিটি মুসলিমের দায়িত্ব হলো নবী করিম (সা সিরাত কোরআন হাদিস সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা কিন্ত আজ লজ্জার বিষয় হচ্ছে যখন কোনো মুসলিমকে প্রশ্ন করা হয় নবীর সিরাত আমার নবী কেমন ছিলেন? বা মুসলিমের ইতিহাস কী ?সেইসব সম্পর্কে প্রশ্ন করলে শতকরা ৬৮% মুসলিম এর সঠিক উওর বা সামান্য পরিমাণ ইতিহাস কোরআন হাদিস জানে না যা খুবই একজন মুসলিমের জন্য লজ্জার বিষয়। এসি রুমে বসে এসির হাওয়া খেয়ে ফতুয়া দিচ্ছেন একদল হুজুর ঐটা হারাম অমুক কাফের অমুক ইহুদীর দালাল। ইসলামকে খুব কঠিন ভাবে উপস্থাপন করছে সেইসব হুজুর পীর সাহেবরা আর মুসলিম উম্মাদ নিরবে শুনছে আর জ্বুি হুজুর জ্বি হুজুর আমিন সুবাহানল্লাহ জপে যাচ্ছে নিরবে। অতচ কোরআন দাবি করছে আল্লাহ বলছেন
ইসলাম জানার জন্য সবচেয়ে সহজ করার বিষয়ে আল্লাহ তোমাদের (জন্য যা) সহজ (তা) করতে চান, তিনি তোমাদের কষ্ট চান না। (বাকারাহঃ১৮৫)
“আল্লাহ তোমাদেরকে কোন প্রকার কষ্ট দিতে চান না।” ( মায়িদাহঃ ৬)
“তিনি দ্বীনের ব্যাপারে তোমাদের উপর কোন কঠিনটা আরোপ করেননি।” (হাজ্জঃ ৭৮)
আর মহানবী (সঃ) বলেছেন, “সহজ কর, কঠিন করো না।”
আজকাল বাংলাদেশের প্রতিটি অনেক শিক্ষিত মুসলিম পরিবার আছে, যারা কুরআন শেখে না, শিখে থাকলেও নিয়মিত তিলাওয়াত করে না, তিলাওয়াত করলেও মানে বুঝে (পড়ে) না, বুঝলেও যথাযথভাবে আমল করে না।এদের আলমারি অথবা দেয়াল এর তাকে বড় যত্নের সাথে কুরআন রাখা থাকে। এদের ব্যাপারে উপদেশ কি?এই শ্রেণীর মুসলিমরা সেই লোকেদের মতো, যাঁদের বিরুদ্ধে কুরআন বর্জন করার অভিযোগ রয়েছে। মহান আল্লাহ বলেছেন,
রাসুল বলে, “হে আমার প্রতিপালক! আমার সম্প্রদায় তো এ কুরআনকে পরিত্যাজ্য মনে করেছে।” (ফুরকানঃ৩০)
তাঁদের মধ্যে এমন লোকও থাকতে পারে, যাঁদের ব্যপারে মহান আল্লাহ বলেছেন,
“যে আমার স্মরণ থেকে বিমুখ হবে, অবশ্যই তাঁর হবে সংকীর্ণতাময় জীবন এবং আমি তাকে কিয়ামতের দ্বীন অন্ধ অবস্থায় উত্থিত করব।” (ত্বা-হাঃ১২৪)
“সেদিন আমি জাহান্নামকে প্রত্যক্ষভাবে উপস্থিত করব সত্য প্রত্যাখ্যানকারীদের নিকট। যাঁদের চক্ষু ছিল আমার স্মরণ (কুরআন) এর ব্যপারে অন্ধ এবং যারা শুনতে ও ছিল অপারগ।” (কাহফঃ ১০০-১০১)
এদের মধ্যে অনেকে দুনিয়াদার, এরা পত্র-পত্রিকা পড়ে, গল্প-উপন্যাস পড়ে, কিন্তু কুরআন পড়ার সময় পায় না। এই শ্রেণীর লোকেদের থেকে বিমুখ হতে নির্দেশ রয়েছে,
“অতঃএব তাকে উপেক্ষা করে চল, যে আমার স্মরনে বিমুখ এবং যে শুধুই পার্থিব জীবনই কামনা করে। তাঁদের জ্ঞ্যানের দৌড় এই পর্যন্ত। নিশ্চয় তোমার প্রতিপালকই ভাল জানেন, যে তাঁর পথ থেকে বিচ্যুত এবং তিনিই ভাল জানেন কে সৎপথপ্রাপ্ত।” (নাজমঃ২৯-৩০)
বর্তমানে অনেকে কুরআনকে কেবল তাবীয ও মৃতের আত্মার কল্যাণে ব্যবহার করে। অথচ কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে জীবিত মানুষের আমল এর জন্য। মহান আল্লাহ বলেছেন,
“ আমি এ কল্যাণময়য় গ্রন্থ তোমাদের প্রতি অবতীর্ণ করেছি, যাতে মানুষ এর আয়াতসমূহ অনুধাবন করে এবং বুদ্ধিমান ব্যক্তিগন গ্রহণ করে উপদেশ।” (স্বাদঃ ২৯)
“নিশ্চয় যারা আল্লাহ্র গ্রন্থ পাঠ করে, যথাযথভাবে নামায পড়ে, আমি তাঁদেরকে যে রুযী দিয়েছি, তা থেকে গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে; তারাই আশা করতে পারে এমন ব্যবসার যাতে কখনোই লোকসান হবে না। এ জন্য যে, আল্লাহ তাঁদেরকে তাঁদের কর্মের পূর্ণ প্রতিদান দেবেন এবং তিনি নিজ অনুগ্রহে তাঁদেরকে আরেও বেশি দেবেন। তিনি তো ক্ষমাশীল, গুণগ্রাহী।” (ফাত্বিরঃ ২৯-৩০)
বিষয়: বিবিধ
১১৯৮ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন