তোরা আবার মুসলিম হ।
লিখেছেন লিখেছেন আমি আল বদর বলছি ২৩ জানুয়ারি, ২০১৯, ০৯:২৯:৩৩ রাত
আমাদের ছোট একটি গ্রাম শৈশব কাটিয়েছি যে গ্রামে সেই গ্রামে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে আমার হাজার স্কৃতি।
যাইহোক বুঝ হওয়ার পর থেকে থেকে খুব বেশি একটা সময় সুযোগ হয়নি,
আমাদের পাড়ায় সময় দেওয়ার , শুক্রবার ছুটির দিন বাসায় থাকা পরলে সামান্য কিছু সময়ের জন্য বের হয় গ্রামটা দেখতে,
এই গ্রামের ভিতরে ছোট একটি মসজিদ রয়েছে যে মসজিদে প্রায় প্রতি শুক্রবার ওয়াজ হয় আর সেই ওয়াজ যে খবিব করেন উনি গ্রামের ভিতরে সুদ খোর চোর বদমাস ডাকাত, এইসবের বিরুদ্ধে কিছু না বললে
ভুলবাল কিছুক্ষণ ওয়াজ করে সমাপ্তি দিয়ে দেন, আর মজার বিষয় হচ্ছে প্রচলিত তাবলীগ জামায়াত না করলে কাল কেয়ামতের ময়দানে জবাব দিতে হবে, এবং সঠিক ইসলাম বুঝার জন্য এক মাত্র তাবলীগ জামায়াতই না কি সময় দিতে হবে।
উনার কথা শুনে আমি প্রচুর হেসেছি, আসলে মূল সমস্যা হচ্ছে মসজিদ কমিটিতে সব সুদ খুর চুর বদমাস আওমিলীগ নেতারা দখল করে রয়েছে,।
আর মজার বিষয় হলো এই মসজিদের সভাপতির ছেলে ধর্ষণ মামলায় জেলে আছে, আমাদের গ্রামের খতিব সাহেব সেই ধর্ষকের জন্য জুম্মার নামায শেষে দোয়া করেন,। এবং নামায শেষ হওয়ার পর খতিব সাহেব বিড়ি টানতে টানতে বেরিয়ে জান গ্রাম থেকে
গত শুক্রবারে হঠাত্ ওয়াজের মধ্যে হুজুর সাহেব একটি হাদিস বললেন,
আল্লাহ পাক ১৮ হাজার মাখলুকাত সৃষ্টি করেছেন। মসজিদের আলেম হয়ে কিভাবে উনি একটি জাল হাদিস বর্ণনা করতে পারেন তা আমার বুঝে আসে না,
মাখলুকাতের এই নির্দিষ্ট সংখ্যা না কুরআনে আছে, না কোনো সহীহ হাদীসে। বাস্তবতা হল, আল্লাহ তাআলা অগণিত মাখলুক পয়দা করেছেন। জলে ও স্থলে ছড়িয়ে থাকা বিভিন্ন প্রজাতির মাখলুক আল্লাহর অসীম কুদরতের প্রমাণ। মানুষের জানার বাইরেও রয়েছে অসংখ্য মাখলুক। আল্লাহ তাআলা কত ধরনের মাখলুক সৃষ্টি করেছেন তার নির্দিষ্ট সংখ্যা সহীহ হাদীসে বলা হয়নি। একটি ‘মুনকার’ বর্ণনায় এর সংখ্যা ‘এক হাজার’ বলা হয়েছে। কিন্তু অনেক মুহাদ্দিস বর্ণনাটিকে মাওযূ বা জাল বলে আখ্যা দিয়েছেন।
আমি একজন সাধারণ মুসলিম হয়ে এইটুকু জানি আর উনি হুজুর সাহেব
হয়ে হাদিসটি একটুও যাচাই বাচাই করার চিন্তাও করেননি,
এইরকম হুজুর তো দেখছি আমি গোটা ইসলামের জন্য বিপদ জনক..।
বিষয়: বিবিধ
৭১৭ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন