সন্ত্রাস ও ইসলাম বিপরিতমুখী দুটি পথ

লিখেছেন লিখেছেন তানযীর সতর্ককারী ২২ জুলাই, ২০১৬, ১১:৪৩:৪৭ রাত

ইসলাম ও সন্ত্রাস শব্দ দুটি শাব্দিক, পারিভার্ষিক বা ভাবার্থ যে কোন দিক থেকে পর্যালোচনা করা হোক তা পারস্পরিক সাংঘর্ষিক। ইসলামে সন্ত্রাসের কোন স্থান তো নে-ই বরং ইসলামের অাবির্ভাব ঘটেছে সকল প্রকার সন্ত্রাস, রাহাজানি, মারামারি, কাটাকাটি, জুলুম নির্যাতন এক কথায় আরবীতে যাকে ফিতনা বলা হয় তা সমাজ স্বমূলে উচ্ছেদ করে একটি শান্তি ও সুশীল-সভ্য সমাজ গড়ার জন্য।

ইসলামের জিহাদ নীতিও সন্ত্রাসের মাধ্যমে রাতারাতি ইসলাম প্রতিষ্ঠার দায়দায়িত্ব গ্রহণ করে না। ইসলামের স্বার্থে যুদ্ধের বাইরে প্রতিপক্ষ নয় এমন ব্যক্তি,গোষ্ঠী, নারী শিশু বৃদ্ধ অসহায় ও সাধারণ্যের হামলা আহত নিহত করা জিহাদের বিধানে নেই। ইসলামর প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো, মানুষর প্রতি রহম তথা সহানুভূতিশীল হও, তাহলে আকাশের মালিক দয়া করবেন। ইসলামের কোথাও প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সন্ত্রাসের সামান্যতমও গন্ধ নেই। বরং সন্ত্রাসকে নির্মুল করে ইসলাম মানুষকে উদার হ্রদয়, দানশীল, সহানুভূতিশীল, মানব দরদী, পারস্পরিক কল্যাণকামী হিসাবে গড়ে তুলে।

আপনি গভীরভাবে চিন্তা করবেন, দেখবেন ইসলামের প্রতিটি আনুষ্ঠানিক ইবাদাত তথা নামায, রোযা, হজ্জ, যাকাত মানুষকে উপরোক্ত বৈশিষ্ট্যগুলো সৃষ্টিতে ব্যাপক ভূমিকা রাখে।

সুতরাং অতি উৎসাহী হয়ে ইসলাম কায়েম করার নিমিত্তে চোরাগুপ্তা হামলা করে শহীদ ও বেহেস্ত দাবী করা অনেকটা মামার আবদার না কি? এগুলো বর্বরতা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপ। ইসলাম এ সমস্ত লোকদের দায়দায়িত্ব গ্রহণ করে না।

বিষয়: বিবিধ

৯১৮ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

375110
২৩ জুলাই ২০১৬ সকাল ০৭:২৮
শেখের পোলা লিখেছেন : এ জন্যই তথাকথিত মুসলমানদের প্রথমেই ইসলামকে চিনে মুসলীম হতে হবে। নামকা ওয়াস্তে নয় কামকা ওয়াস্তে মুসলীম হতে হবেে।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File