জুমার খুৎবা নিয়ন্ত্রন কাম্য নয়, সাময়িক নজরদারি থাকতে পারে --বুঝে শুনে কাজ না করলে জঙ্গিরা আরো উসকানি পাবে ----------- ----------- ----------
লিখেছেন লিখেছেন নিল অপরাজিতা ১৮ জুলাই, ২০১৬, ০১:৪৫:৩৩ দুপুর
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম --
সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলাগুলো বিবেচনায় দেশে এখন কঠিন পরিস্হিতি বিরাজ করছে। এমন সময়কে জরুরি অবস্হা বা বিশেষ অবস্হা বিবেচনা করে সাময়িক কিছু প্রাসঙ্গিক পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে, কিন্তু তা যেন ওলামা -মাশায়েখদের মতৈক্যে হয়। নতুবা জঙ্গি নিয়ন্ত্রনের এমন কৌশল বরং জঙ্গিবাদের উসকানিতে রুপ নিতে পারে। এমন বিশেষ পরিস্হিতি সত্বেও জুমার খুৎবা নিয়ন্ত্রন বা একই খুৎবা পড়া বাধ্যতামূলক করার প্রতিক্রিয়া সুখকর হবেনা। বরং খুৎবার ব্যাপারে সাময়িক নজরদারি রাখা যেতে পারে, যেন এমন কঠিন সময়ে কারো বক্তব্য বা খুৎবা জঙ্গিবাদের পক্ষে না যায়। মূলত, সরকার জুমার খুৎবা এবং ইসলামি মাহফিলগুলোতে জঙ্গিবাদকে নিরুৎসাহিত করবার জন্য আলেমদের আহবান জানাবে, তাঁদের নিয়ে কর্মশালা করবে, এবং সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ বিরোধি কোরান -সুন্নাহর কিছু দলিল রেফারেন্স হিসেবে সরবরাহ করে তাঁদের বক্তব্যে সহযোগিতা দিতে পারে। তবে, এমন বক্তব্যগুলো যেন নির্ভুল হয়, এবং ইসলামের অপব্যাখ্যা না হয় -সে দিকে নজর দিতে হবে। কিন্তু, কোন অবস্হাতেই কোন নির্দিষ্ট খুৎবা পড়তে বাধ্য করবার চেষ্টা করতে যাওয়া হবে ভুল পদক্ষেপ। এমন তৎপরতা আলেম ও জনমনে যে ক্ষোভ জন্মাবে তা বরং জঙ্গিবাদের উসকানির উৎস হিসেবে কার্যকর হবে। আশা করি, সরকার, বা ইসলামিক ফাউন্ডেশন, ইসলাম ও দেশের এ মহা দুর্যোগ মোকাবেলায় রাজনীতি না করে, বা নাস্তিকদের পরামর্শের পরিবর্তে ওলামাদের সাথে রেখে, আন্তরিকতার সাথে কাজ করবেন। এ সুযোগে ইসলামপন্হীদের দমনের সুযোগকে কাজে লাগানোর বাম রাজনৈতিক চর্চা যেন না হয়। মনে রাখতে হবে, আলেমরা আস্হা হারিয়ে ফেললে এর প্রতিক্রিয়ায় সন্ত্রাসীদের নতুন ভিত্তি রচিত হয়ে যাবে। তাই, কান্ডারি হুশিয়ার!!
বিষয়: বিবিধ
৯০২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন