অপেক্ষার প্রহর: কবে পাব প্রথম পাতায় লেখার অনুমতি
লিখেছেন লিখেছেন ওবাদা বিন সামেত ২৩ জানুয়ারি, ২০১৭, ০৭:০৭:৫৪ সন্ধ্যা
টুডে ব্লগের প্রথম পাতায় লেখার সুযোগ না পেয়ে অধৈর্য হয়ে এ পর্যন্ত যা লেখালেখি করেছি, তা আমার ব্লগ পোস্টের অর্ধেকই দখল করে নিয়েছে। এমতাবস্থায় পোস্ট সংখ্যার অনাবশ্যক বাহুল্য দূর করবার জন্য এ সংক্রান্ত সবগুলো পোস্ট এখানে একত্র করে পুরাতন ভার্সনগুলো ডিলিট করে দেবার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পোস্টগুলো নিম্নে কপি পেস্ট করা হলোঃ-
পুরাতন অ্যাকাউন্টধারীরা কি প্রথম পাতায় লেখার সুযোগ পাবে?
২১ জানুয়ারি, ২০১৭, ০৮:২১:৪১ সকাল
টুডে ব্লগে বিগত ৭/৮ মাস ধরে নতুন কোন ব্লগারকে প্রথম পেজে লেখার জন্য মনোনীত করা হয়নি। অর্থাৎ, ব্লগের সম্পাদনা তথা মডারেশন কার্যক্রম ৭/৮ মাস ধরে বন্ধই ছিল। তবে সম্প্রতি ১/২ মাস বয়সী (অর্থাৎ, ১/২ মাস পূর্বে অ্যাকাউন্ট খুলেছেন এমন) ব্লগারদের মধ্য থেকে অনেকে প্রথম পাতায় লেখার সুযোগ লাভ করতে শুরু করেছেন বলে দেখা গেছে। এতে আমরা কিছুটা আশান্বিত যে, ব্লগের মডারেশন ও নতুন ব্লগারদের Approval কার্যক্রম পুনরায় শুরু হয়েছে। তবে আমরা যারা ৬/৭ মাস পূর্বে অ্যাকাউন্ট খুলে Approval Pending অবস্থায় আছি, তারা এই Approval-এর আওতায় আসব কিনা, অর্থাৎ পর্যায়ক্রমে আমাদেরকেও প্রথম পাতায় লেখার সুযোগ দান করা হবে কিনা, এ সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত হতে পারিনি।
আমার মনে হয়, দীর্ঘদিন জমে থাকা অ্যাকাউন্টগুলোকে সম্পাদনা ও মডারেশন করা কঠিন ও সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। তাই এক্ষেত্রে এই সময়কালে (অর্থাৎ বিগত ৭/৮ মাসের মধ্যে) অ্যাকাউন্ট খুলেছেন এমন ব্লগারদের মধ্যে যারা এখনো প্রথম পাতায় লেখার সুযোগ পাননি, তাদের জন্য নতুন করে আবেদন করার সুযোগ প্রদান করলে ভালো হয়। আমাদের মত পুরাতন অ্যাকাউন্টধারীদের স্থায়ী হবার (অর্থাৎ প্রথম পাতায় লেখা প্রকাশের) সম্ভাবনা যদি না থাকে, তাহলে নতুন করে ডুপ্লিকেট অ্যাকাউন্ট খোলার কথাও ভাবতে হতে পারে, যেহেতু নতুনদের ক্ষেত্রে Approval Process-টা তুলনামূলক দ্রুত ও সহজ মনে হচ্ছে।
Re: উচ্চতর গুগল বিদ্যা
উচ্চতর গুগল বিদ্যা শিরোনামে একটি মজাদার ও কৌতুকপ্রদ লেখা পড়লাম, যার লেখক আরাফাত আমিন। লেখাটির সাথে আমি একটু যোগ করতে চাই। তাহল, আমার মত নতুন ব্লগার যাদের লেখা টুডে ব্লগের প্রথম পাতায় না আসতে পেরে ব্লাকহোলে পড়ে আছে, তাদের লেখাকে গুগলে সার্চ করে যারা বের করে পাঠকদের সামনে আনতে পারবে, তাদেরকে Blog Search by Google বিষয়ের উপর পিএইচডি ডিগ্রী প্রদান করা যেতে পারে। কাজটা কিন্তু আসলেই কঠিন। যিনি এটা করতে পারবেন, তিনি বাস্তবেই পিএইচডি লাভের যোগ্য।
ব্লগ সচল করতে একটি প্রস্তাব
০১ ডিসেম্বর, ২০১৬, ০৬:৩৭:২৬ সন্ধ্যা
ব্লগের সম্পাদনা ও মডারেশন কার্যক্রম বন্ধ থাকার বিষয়টি অনেককেই ভাবিয়ে তুলেছে। তবে পুরাতন ব্লগারদের তুলনায় নতুন ব্লগারদের জন্যই বিষয়টি বেশি অস্বস্তিকর। কারণ, পুরাতন ব্লগাররা তবু প্রথম পাতায় নিজেদের লেখা প্রকাশ করতে পারছেন, শুধুমাত্র পোস্ট নির্বাচিত পোস্টে বা স্টিকি পোস্ট আকারে প্রদর্শিত হওয়া বা না হওয়ার বিষয় নিয়ে তাঁরা সম্ভবত চিন্তিত। কিন্তু মডারেশন কার্যক্রম বন্ধ থাকার সবচাইতে বড় ভুক্তভোগী হচ্ছে নতুন ব্লগাররা; যারা কিনা মডারেশনের অভাবে প্রথম পেজে আসা তো দূরের কথা, নিজের পেজে নিজের লেখা পড়তে বা সম্পাদনা করতেও হিমশিম খাচ্ছে। এ অবস্থার সঠিক ও সত্যিকার কারণ জানা না থাকলেও একটি কারণ অনুমান করা যায়; তাহলো সম্ভবত আর্থিক সংকটের কারণেই ব্লগের সম্পাদনা কার্যক্রম ঝিমিয়ে পড়েছে। এ সমস্যা নিরসনকল্পে আমার মাথায় একটি চিন্তা (idea) এসেছে। আমার পরামর্শ হল, যদি অর্থের ঘাটতির কারণে ব্লগের কার্যক্রম স্থবির হয়ে থাকে, তাহলে নতুন ব্লগারদের প্রথম পৃষ্ঠায় লেখার সুযোগ প্রদানের কাজটি একটি নির্দিষ্ট ফি-এর বিনিময়ে করা যেতে পারে। আর সেই পেমেন্ট অপশনটি মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে হওয়াটাই সবচেয়ে সহজ। সম্ভব হলে ক্যাশ-কার্ড তৈরি করেও কম্পিউটারের দোকানসমূহে রাখা যায়, যা ক্রয় করে একজন নতুন ব্লগার ব্লগে নিজের পূর্ণাঙ্গ সদস্যপদকে অ্যাকটিভেট করে নিতে পারে।
বড় আশা করে .....
৩০ নভেম্বর, ২০১৬, ০৬:০০:৫৮ সন্ধ্যা
বড় আশা করে এসেছিগো
কাছে ডেকে নাও।
ফিরাইও না সম্পাদক ..।
নবীনেরে কেহ চাহে না;
প্রবীণেরাই শুধু লিখে যায়।
থাকব কি মোরা শুধু পাঠক হয়ে-
এই কি ছিল মোদের নিয়তির খাতায়?
খুলবে যে কবে এই বন্ধ দুয়ার-
লেখকের লাইসেন্স হবে সবার;
লেখনী আছে মোদের যত লেখকের
পৌঁছাবে পাঠকের চোখের পাতায়।
Re: "জীবন বাঁচাতে এগিয়ে আসুন"
১৯ নভেম্বর, ২০১৬, ০৮:৪৯:২৯ রাত
বিষয়ে বর্ণিত শিরোনামে একটি লেখা দেখে ভেবেছিলাম, কোন মানুষের (হয়তোবা অত্র ব্লগের কোন ব্লগারের) প্রাণসংশয় ও মুমুর্ষূ অবস্থার কথা বর্ণনা করে আর্থিক সাহায্য চাওয়া হয়েছে। কিন্তু লেখাটি পড়ে দেখলাম, এখানে মূলত: ব্লগার ও মডারেটরগণের নিষ্ক্রিয়তা ও অনুপস্থিতি হেতু ব্লগটি নির্জীব হয়ে পড়ার কথাই বোঝানো হয়েছে। এ প্রসঙ্গে আমারও অভিজ্ঞতা হলো, ব্লগের মডারেশন দীর্ঘদিন বন্ধ রয়েছে। যার ফলে পুরাতন ব্লগারদের ভাল-মন্দ যাচাই তো বটেই, নতুন ব্লগারদের Approval-এর বিষয়টিও থেমে আছে। ৬/৭ মাস হয়ে গেল, নতুন করে কোন ব্লগার প্রথম পেজে লেখার সুযোগ পাননি, এমনকি নিজের লেখাও নিজের পেজে দেখার সুযোগ পাচ্ছেন না, যাদের মধ্যে আমিও একজন। আপনারা যারা নিয়মিত ব্লগার হিসেবে আছেন এবং প্রথম পেজে লেখা প্রকাশের সুযোগ পাচ্ছেন, তারা বিষয়টি লেখালেখির মাধ্যমে ব্লগ কর্তৃপক্ষের নজরে আনার চেষ্টা করতে পারেন। ব্লগকে প্রাণবন্ত করার জন্য পুরাতন ব্লগারদের উৎসাহিত করার পাশাপাশি নতুন ব্লগারদের দ্বার খুলে দেবার উদ্যোগও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। নদীপ্রবাহের পথ থেকে বাঁধ সরিয়ে নিয়ে নতুন পানি প্রবাহের সুযোগ দিলেই নদীর স্রোত আবার ফিরে আসবে- একঘেয়েমি ও অচলাবস্থা দূর হবে।
Today ব্লগ, নাকি Yesterday ব্লগ!!
১১ নভেম্বর, ২০১৬, ০২:৪৭:২০ দুপুর
টুডে ব্লগ কি ইয়েস্টারডে ব্লগ হয়ে গেল? কারণ, ছয় মাস হয়ে গেল শুধু পুরাতন ব্লগারদের লেখাই প্রকাশিত হচ্ছে, নতুন কোন ব্লগারের লেখা ব্লগের মূল পেজে আসছে না- এমনকি ব্লগারের নিজ নিজ প্রোফাইলেও নয়। এমতাবস্থায় ব্লগের সম্মানিত সম্পাদক ও মডারেটরগণকে নিয়ে খানিকটা চিন্তিত হয়েছিলাম, তাঁরা সুস্থ আছেন কিনা। কিন্তু অবশেষে সম্পাদকের সন্ধান পাওয়া গেল তিন মাস পূর্বের একটি পোস্টের মন্তব্যের ঘরে। আর মডারেটরের সন্ধান পেলাম "নির্বাচিত" বাটনে ক্লিক করে। উল্লেখ্য, "ব্লগ টিউটোরিয়াল" পেজে নির্বাচিত লেখার যে সংজ্ঞা পেয়েছিলাম তাহল, "নির্বাচিত বাটনের মাধ্যমে মডারেটর বোর্ড কর্তৃক বাছাইকৃত পোষ্টগুলো পড়া যাবে।" যেহেতু নির্বাচিত পেজে নিয়মিত সম্পাদিত ও বাছাইকৃত লেখা প্রকাশিত হচ্ছে, অতএব এখন আমরা আবার নতুন করে আশাবাদী হতে পারি যে, ব্লগের সম্পাদক ও মডারেটরবৃন্দ সুস্থ ও ব্লগে সক্রিয় রয়েছেন। অতএব, তাঁরা আমাদের নতুন ব্লগারদের ব্লগ প্রকাশের ক্ষেত্রে জট ছাড়ানোর ব্যাপারে আশু পদক্ষেপ নেবেন বলে আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস।
নতুনদের জন্য কি টুডে ব্লগের দরজা বন্ধ হয়ে গেছে?
৩০ অক্টোবর, ২০১৬, ০৬:৪২:০৭ সন্ধ্যা
টুডে ব্লগের ঘোষিত নিয়ম হচ্ছে, কমপক্ষে তিনটি লেখা পোস্ট করা আর সাতদিন সময় অপেক্ষা করাই প্রথম পৃষ্ঠায় লেখা প্রদর্শনের পূর্বশর্ত। আমি যখন অ্যাকাউন্ট খুলি, তখন দেখেছি তিন মাস বয়সী ব্লগারদের প্রোফাইলে তাদের সব লেখা প্রদর্শিত হচ্ছে। তাই আমিও তিন মাস অপেক্ষা করলাম। আমার এক মাস বয়সে যারা তিন মাস বয়সী ছিলেন, আমার তিন মাস বয়সে তারা পাঁচ মাস বয়সী হলেন। তখন দেখি, পাঁচ মাস বয়সীদের কমে কারো লেখা নিজ প্রোফাইলে প্রদর্শিত হচ্ছে না। তারপর আরো একমাস দিন গুনলাম। আমার যখন চার মাস বয়স, তখন দেখা গেল, ৬ মাসের কম বয়সী কোন শিশুর লেখা নিজ পেজে দেখা যাচ্ছে না। তার মানে এখন বুঝে নিলাম, আমার অ্যাকাউন্ট খোলার সময়কালে তিন মাস অপেক্ষার পর একজন নতুন ব্লগার নিজের প্রোফাইলে ও ব্লগের প্রথম পেজে লেখা প্রদর্শনের সুযোগ পেয়ে থাকলেও বর্তমানে বিগত ছয় মাস ধরে নতুন কোন ব্লগারকে স্বাগত জানানো হয়নি। হয়তো নবীন বরণের অপেক্ষায় দিন পার করছে আমার মতই আরো অনেক ব্লগার। আমরা কবে যে বড় হব, কবে যে দুধের পাশাপাশি শক্ত খাবার খেতে পারব! ব্লগ মডারেটরগণ কতদিন আমাদেরকে দোলনায় শুইয়ে রাখবেন? কবে যে হামাগুড়ি দিতে পারব, হাটি হাটি পা পা করে অন্যান্য ব্লগারদের ন্যায় হাঁটা শুরু করতে পারব!
তবে যতদিন না বড় হচ্ছি, বড় হবার প্রচেষ্টায় আপাতত নিজেকে নিজে ভোট দেবার মত নিজের লেখা নিজের প্রোফাইলেই 'প্রিয়'-তে রাখতে হচ্ছে। আরেকটা অপশন হচ্ছে অন্যান্য ব্লগারদের মধ্য থেকে প্রিয় নির্বাচন করে নিজের লেখা তাদের কাছে পাঠানো। দোলনায় বসে ফিডার চোষা আর কী! যতক্ষণ জুতা আনে, অতক্ষণ কান টেনে সময়টা পার করা।
ব্লগের মডারেশন বন্ধ হয়ে যায়নি তো? মডারেটরগণ উপস্থিত ও সক্রিয় আছেন তো? সম্পাদক সাহেবের কোন নতুন লেখা এক বছর ধরে দেখা যাচ্ছে না। তাই তিনি সুস্থ আছেন কিনা এ ব্যাপারেও পুরোপুরি নিশ্চিন্ত হওয়া যাচ্ছে না। ব্লগের পরিচালক, সম্পাদক ও মডারেটরগণের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু এবং সফলতা কামনা করে এ লেখাটি এখানেই শেষ করছি। আল্লাহ হাফেজ।
টুডে ব্লগ কি আমার নোটপ্যাড হয়েই থাকবে?
২৭ অক্টোবর, ২০১৬, ০৬:৫৮:৩৭ সন্ধ্যা
একজন লেখক বা ব্লগার এই আশাতেই লেখে যে, তার লেখা কেউ না কেউ পড়বে। শত শত পাঠক বা ভিজিটর না হোক, অন্তত দু'চার জন মানুষের চোখে তার লেখাটা পড়ুক, এই আশা সকলেই করে। কিন্তু চার মাস পার হয়ে গেল, এখনো আমি নিজেই লেখক, নিজেই পাঠক। একটা লেখা আমার কম্পিউটারে নোটপ্যাডে লিখিত আকারে থাকা, আর এই ব্লগে থাকা উভয়ই এখনো পর্যন্ত আমার কাছে সমান।
টুডে ব্লগে আমার বর্তমান অবস্থানকে MS Word-এ লেখার সাথে তুলনা না করে নোটপ্যাডে লেখার সাথে তুলনা করলাম কেন? কারণ, এমএস ওয়ার্ডে লেখা সহজে পড়া ও এডিট করা যায়, লেখা সুন্দর ও সুবিন্যস্ত থাকে। আর নোটপ্যাডে লেখা লিখতে ও পড়তে একটু কষ্ট হয়। তবুও অনলাইনে লেখাটা থাকলে মানুষ পড়বে এই বিবেচনায় নিজের কম্পিউটারে এমএসওয়ার্ডে টাইপ করার তুলনায় ব্লগে কম সুবিধাযুক্ত স্থানে টাইপ করাটাও যে কারো কাছেই অধিক লাভজনক ও আনন্দদায়ক। কিন্তু অনলাইনে মানুষের সামনে প্রদর্শিতই যদি না হয়, তাহলে কেন কম্পিউটারের এমএস ওয়ার্ড বাদ দিয়ে নোটপ্যাডস্বরূপ ব্লগে কষ্ট করে লেখা? কম্পিউটারের ফাইল যত সহজে খুঁজে পাওয়া যায়, টুডে ব্লগে একজন নতুন ব্লগারের নিজের লেখা খুঁজে পেতে সে তুলনায় অনেক বেগ পেতে হয়। নিজের লেখা মানুষকে পড়ানো বা দেখানো তো পরের কথা, নিজেকেই খুঁজে নিতে হিমশিম খেতে হয়।
প্রথম পৃষ্ঠায় নিজের লেখা প্রকাশের সুযোগ পেতে হলে সুনির্দিষ্ট কিছু করণীয় আছে কিনা তাও জানি না। আর লেখা প্রদর্শনের সুযোগ পেয়ে থাকলে সেটা কিভাবে জানব; ইমেইলের মাধ্যমে, নাকি ব্লগের মেসেজ অপশনে?
নিজের লেখা সরাসরি প্রদর্শনের ব্যবস্থা না থাকায় অন্য কোন ব্লগার ভাইদেরকে নেটওয়ার্কের মধ্যেই পাওয়া যায় না যে, কারো সাথে পরামর্শ করব। কারণ, পরামর্শ চেয়ে যেই লেখাটা লিখব, সেটাই বা কে দেখবে? তাই শেষ পর্যন্ত টুডে ব্লগে সার্চ করে আমার মত দু'একজন নতুন ব্লগার খুঁজে পেলাম, যারা দু'দিন পূর্বে আমারই মতন লেখা প্রদর্শন সংকটে ভুগতেন এবং এখন নিজের লেখা পাঠকদের সামনে প্রদর্শনের সুযোগ পেয়েছেন। এমতাবস্থায় তাঁদের কাছে পরামর্শ লাভের আশায় তাদেরকে 'প্রিয়'-তে যুক্ত করলাম এবং নিজের এ লেখাটি 'প্রিয়দেরকে পাঠিয়ে দেয়ার' অপশন ব্যবহার করে কোন জবাব বা পরামর্শ পাওয়া যায় কিনা সেই অপেক্ষায় রইলাম। সম্ভাব্য সহযোগিতা ও পরামর্শের জন্য সবাইকে অগ্রিম ধন্যবাদ।
প্রথম পাতায় লেখার সুযোগ পেলে তা জানব কিভাবে?
০৩ অক্টোবর, ২০১৬, ০৭:৫২:০৬ সকাল
বিডি-টুডে ব্লগে যখন কাউকে প্রথম পাতায় লেখার সুযোগ দেয়া হয়, তখন তার পক্ষে সেটা জানার উপায় কি? ই-মেইলের মাধ্যমে, নাকি ব্লগ অ্যাকাউন্টে আসা নোটিফিকেশন দেখে? যদি ইমেইল বা নোটিফিকেশনের মাধ্যমে জানানো হয়ে থাকে, সেটা জানা কি জরুরী, নাকি সুযোগ লাভের পর থেকে আপনাআপনি এমনিতেই সব লেখা প্রথম পাতায় প্রকাশিত হবে? প্রথম পাতায় প্রবেশাধিকার লাভের আগ পর্যন্ত যে পদ্ধতিতে ব্লগ পোস্ট করা হয়, উক্ত সুযোগ লাভের পরেও কি একই পদ্ধতিতে ব্লগ পোস্ট করতে হয়, নাকি নতুন কোন অপশন সিলেক্ট করার ব্যাপার থাকে? ই-মেইলে কি এমন কোন ভেরিফিকেশন লিংক পাঠানো হয়, যেটা ক্লিক করা না হলে প্রথম পাতায় লেখার সুযোগটি পাওয়া যাবে না? যদি এমনটি হয়ে থাকে, তাহলে যেসব ইমেইল স্পাম বক্সে যায় সেগুলো বেশিদিন পার হলে আপনাআপনি ডিলেট হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে উক্ত ই-মেইল দেখার সুযোগ নাও হতে পারে। এরকম ক্ষেত্রে কি প্রথম পাতায় লেখার সুযোগ পেয়েও সেটা হাতছাড়া হবার সম্ভাবনা থেকে যায়?
এই ব্লগে যারা নিয়মিত ব্লগার আছেন, তারা প্রত্যেকেই নিশ্চয়ই শুরুতে প্রথম পাতায় লেখার সুযোগ পাননি, পরবর্তীতে পেয়েছেন। তাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করার অনুরোধ করছি।
বিডিটুডে ব্লগে নিয়মিত ব্লগার হওয়ার শর্ত ও উপায় কি?
২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ০৫:২৪:০০ বিকাল
বিডিটুডে ব্লগে অ্যাকাউন্ট খোলার সময় জেনেছিলাম, কমপক্ষে তিনটি পোস্ট করা ও সাত দিন সময় অতিবাহিত করার পর ব্লগ কর্তৃপক্ষ একজন নতুন ব্লগারের লেখার মান যাচাইপূর্বক তাকে প্রথম পেজে লেখা প্রকাশ করার সুযোগ প্রদান করেন। সাতদিন সময় অতিবাহিত হবার পর অন্যান্য ব্লগারের প্রোফাইল চেক করে দেখলাম, যারা কমপক্ষে তিনমাস অতিবাহিত করেছেন, তারা নিয়মিত সদস্যপদ লাভ করেছেন। সেই হিসেবে আমিও অপেক্ষার প্রহর গুনতে গুনতে তিন মাস পার করলাম। কিন্তু আমার কোন পোস্ট ব্লগের প্রথম পাতায় স্থান পাওয়া তো দূরের কথা, নিজের প্রোফাইল পেজেও আমার পোস্টগুলো এখনো দেখার সুযোগ হয়নি।
আমি জানি, আমার এই লেখাটিও আর দশটি লেখার মত ব্লাকহোলে ঠাঁই পাবে। ব্লগের প্রথম বা দ্বিতীয় পেজে না হওয়ায় এই লেখাটিও কোন পাঠক বা ব্লগারের চোখে পড়বে না। অবশ্য ব্লগের সবগুলো পাতা তন্ন তন্ন করে ভিজিট করবার মত কোন বেকার যদি থেকে থাকেন, অথবা দৈবক্রমে গুগল সার্চ দিতে গিয়ে আমার লেখাটি যদি কারো নজরে এসে থাকে, তাহলে ব্লগের প্রথম পাতায় লেখার সুযোগ তথা স্থায়ী সদস্যপদ লাভের ব্যাপারে নিজ নিজ অভিজ্ঞতা শেয়ার করার অনুরোধ রইল। আর এই পোস্টটি যদি ব্লগ কর্তৃপক্ষের নজরে আসে, তাহলে ব্লগে স্থায়ী সদস্যপদ লাভের শর্তাবলী আরো সুনির্দিষ্টভাবে বর্ণনা করার অনুরোধ রইল, যাতে আমরা ত্রুটি-বিচ্যুতি সংশোধনপূর্বক বিডিটুডে ব্লগের নিয়মিত ব্লগার হবার যোগ্যতা ও সুযোগ অর্জন করতে পারি। অবশ্য নতুন ব্লগারের সংখ্যা ও কলেবর বেশি হওয়াতে মডারেশনের সময়কাল দীর্ঘ হওয়াটা যদি সদস্যপদ লাভে আমাদের বিলম্বের কারণ হয়ে থাকে, তাহলে আমরা ধৈর্য্যসহকারে অপেক্ষা করব।
[লেখাটি পড়ে একজন পাঠক মন্তব্য করেছেন: "এই তো প্রথম পেজে স্থান পাইল।" যাহোক, অন্তত একটা মন্তব্য পাওয়া গেছে, মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। কিন্তু প্রথম পেজে স্থান পেলে কি আর মাত্র ৭টি ভিজিট আর ১টি মন্তব্য আসত? আমার ব্লগিং স্ট্যাটাস এখনো এ পর্যায়ে আছে যে, মন্তব্যের জবাব মন্তব্যের ঘরে দিতে পারছি না। অর্থাৎ, নিজের বা অপরের কোন পোস্টে মন্তব্য প্রদান করার অপশনও এখনো একটিভেট হয়নি। তারপরও পাঠকের মন্তব্য পড়ে "কী জানি, সত্যি হতেও পারে" ভেবে ব্লগের দু'তিনটি পৃষ্ঠা উল্টে দেখলাম, আমার লেখার কোন কানাকড়িও খুঁজে পেলাম না। তদুপরি নিজের প্রোফাইল পেজটাও আগের মতই পুরোটাই ফাঁকা, অর্থাৎ নিজের পেজেও নিজের কোন পোস্টের স্থান নেই। নিজের যেকোন লেখা এডিট করতে হলেও যথারীতি গুগলে সার্চ দিয়ে যেতে হবে।]
স্থায়ী সদস্যপদ কত দূর?
১৪ জুলাই, ২০১৬, ০৭:৫০:২৬ সন্ধ্যা
বিডি-টুডে ব্লগে একজন স্থায়ী ব্লগার যেসব সুবিধা পেয়ে থাকেন তা হল-
(১) নিজের প্রোফাইলে নিজের সব লেখার তালিকা
(২) অন্যের পোস্টে মন্তব্য করার স্বাধীনতা
(৩) ব্লগের প্রথম পাতায় নিজের পোস্ট প্রদর্শন
তৃতীয়টির ক্ষেত্রে কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে, এ ঘোষণাটি অ্যাকাউন্ট ওপেন করার সময়ই আমরা জেনে থাকি। কিন্তু ১ম দুটি জানা যায় অভিজ্ঞতা থেকে। একজন অস্থায়ী ব্লগার হিসেবে সবচেয়ে যে অসুবিধাটির সম্মুখীন হতে হয় তাহল, আমার পোস্টের লিংকগুলোই খুঁজে পাই না, এমনকি নিজের কোন লেখায় কিছু সম্পাদনা বা এডিট করবার প্রয়োজন হলেও লেখাটিকে তন্ন তন্ন করে খুঁজে পাওয়া যায় না। বিশেষত যদি গুগল তথা সার্চ ইঞ্জিন থেকে গায়েব হয়ে যায়, তাহলে তো আর কথাই নেই। এই যে লেখাটি লিখছি, যতক্ষণ "প্রকাশ করুন" বাটনে ক্লিক না করছি, ততক্ষণ এটা আমার চোখের সামনে আছে। প্রকাশ করবার সাথে সাথে তা রীতিমত উধাও হয়ে যাবে। আমার এ যাবত প্রকাশিত লেখাগুলোও ব্লগে আছে, নাকি মুছে গেছে, তাও আমি জানি না।
ব্লগের নিয়মিত সদস্য হতে সাধারণত কতটি পোস্ট করতে হয় বা কতদিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়? অ্যাকাউন্ট খোলার পর মেসেজ পেয়েছিলাম, তিনটি পোস্ট এবং সাত দিন সময় লাগতে পারে। অবশ্য কোন কোন ব্লগারের প্রোফাইলে দেখা গেছে, যারা ব্লগের সদস্য হয়েছেন তিন মাসের অধিক সময় ধরে, তাদের প্রোফাইলে ক্লিক করে তাদের সব লেখা পাওয়া যায়।
বিষয়: বিবিধ
৭৬৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন