বিবাহের পর ফেতনা সৃষ্টিকারী দুটি বিষয়
লিখেছেন লিখেছেন ওবাদা বিন সামেত ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ০৬:২৭:৪৩ সকাল
প্রবাদ আছে, "বন্যেরা বনে সুন্দর, শিশুরা মাতৃক্রোড়ে।" বিবাহিত জীবনে স্বামীর গৃহে স্বামী-স্ত্রী একত্রে বসবাস করবে, এটাই স্বাভাবিক প্রাকৃতিক নিয়ম। এর অন্যথা হলে সমাজে-সংসারে বিপর্যয় নেমে আসে। বিবাহ পরবর্তী যে দুটি বিষয়ের দ্বারা পরিবারে বিশৃঙ্খলা ও অশান্তি দেখা দেয়, তা হল:-
(১) স্বামী (দীর্ঘদিন) বিদেশে থাকা
(২) স্ত্রী (দীর্ঘদিন) বাপের বাড়ি থাকা
(১) স্বামী বেশিদিন বিদেশে থাকলে তার দুই রকম খারাপ ফলাফল দেখা দিতে পারে। হয় স্ত্রী পরকীয়ায় লিপ্ত হওয়া, অথবা স্বামী বিদেশে থেকে অন্য কারো সাথে বৈধ বা অবৈধ সম্পর্ক গড়া। আবার কোন কোন সময় দেখা যায়, স্বামী বিদেশ থেকে ফেরার পর ঘরের পুরাতন আসবাবপত্রের মতই স্ত্রীকেও পুরাতন মনে হয় এবং বদল করে ফেলার প্রয়োজন বোধ করে। তবে এসবের মধ্যে অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রথমটিই সংঘটিত হয়ে থাকে, অর্থাৎ স্ত্রী বিপথগামী হবার সম্ভাবনাটাই বেশি থাকে। স্বামী দূরে থাকলে স্ত্রীর পক্ষে অন্য দিকে যাবার প্রয়োজন এবং সুযোগ দুটিই সৃষ্টি হয়। বিবাহিত জীবনে স্বামীর থেকে দূরে থেকে সৎপথে থাকাটা স্ত্রীর জন্য কঠিন হওয়ায় উপস্থিতভাবে প্রয়োজন মেটাতে যেমন অনৈতিক বিকল্প পথ ধরতে হয়, তেমনি অনেক সময় আবার পাপপ্রবণ স্ত্রী পরিকল্পিতভাবে পাপ কাজের সুযোগ সৃষ্টির উদ্দেশ্যেও স্বামীকে বিদেশে যেতে উৎসাহিত করে থাকে। এমনকি কোন কোন ক্ষেত্রে স্ত্রী কর্তৃক চাপ প্রয়োগ ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের দ্বারা স্বামীকে বিদেশে পাঠানোর ঘটনাও ঘটে থাকে। এজন্য প্রত্যেক বিবাহিত বিদেশ গমনকারী পুরুষের কাছ থেকে এই মর্মে প্রত্যয়ন নেয়া উচিত যে, সে কাহারো দ্বারা প্রভাবিত ও ভীত না হইয়া স্বেচ্ছায় সজ্ঞানে বিদেশ গমনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিয়াছে। কেউ স্ত্রীর কথায় বিদেশ গেলে তার নামে থানায় একটি করে জিডি এন্ট্রি করে রাখা উচিত এবং সংশ্লিষ্ট পরিবারে রাষ্ট্রের তরফ থেকে নজরদারি রাখা উচিত। বিশেষ করে স্ত্রীর চাপে বিদেশ গমনের ঘটনায় কমপক্ষে তিনটি ক্ষতি অনিবার্য:- (ক) স্ত্রীর ভ্রষ্টাচারিতা, (খ) মানসিক চাপে স্বামীর স্বাস্থ্যহানি, (গ) শিশুসন্তানের জীবন বিনষ্ট হওয়া। প্রবাসী স্বামীর স্ত্রীদের পরকীয়ার বলি হিসেবে শিশুহত্যার ঘটনা মোটেও বিরল নয়।
(২) বিয়ের পর বিবাহিত মেয়ে বাপের বাড়িতে বেশিদিন থাকার দ্বারা দুই ধরনের ফেতনা হতে পারে। এক হতে পারে বাপের বাড়িতে থেকে পরিবারে বিশৃঙ্খলা
একটা দেশের সেনাবাহিনীকে যখন দেশের সীমান্তে নিয়োজিত রাখা হয়, তখন তারা বহি:শত্রুর কবল থেকে দেশকে রক্ষা করে। কিন্তু যখন তাদেরকে দেশের অভ্যন্তরে কোন গোলযোগপূর্ণ জনপদে নিয়োজিত রাখা হয়, তখন কোন কোন ক্ষেত্রে তা বিপদের কারণ ঘটায়। ঠিক একইভাবে, বিবাহের পর মেয়ে যখন স্বামীর গৃহে থাকে, তখন তা সুস্থ স্বাভাবিক পরিবার গঠনে সহায়ক হয়। স্বামীর ঘরে বিবাহিত ননদের উপদ্রব বা শাশুড়ীর অন্যায়-অবিচার থাকলেও স্ত্রী তখন সেই সব অনাসৃষ্টি প্রতিরোধে ভূমিকা রাখতে পারে। কিন্তু যখন বউকে বাপের বাড়ি রাখা হয়, তখন তার দ্বারা বাপের বাড়িতেই ভাইয়ের বউয়ের পিছনে লাগা, মাতৃদরদ দেখিয়ে ভাইয়ের বউয়ের কাজের হিসাব গ্রহণ শুরু হয়ে যাবে।
বিষয়: বিবিধ
১০০১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন