প্রতিটি মানুষের অবচেতন মন ঈশ্বরের উপর নির্ভর করে চলে
লিখেছেন লিখেছেন ক্লে ডল ০৮ জানুয়ারি, ২০১৭, ০৯:৫৭:০৮ রাত
স্বপ্নেরা কখনো বিবাগী হয় না। বুকের ভিতরেই শক্তপোক্ত ভীত করে বাড়ী বানিয়ে, বংশ পরম্পরায় বসবাস করতে থাকে। হয়ত কোন স্বপ্ন আহত হয়,ল্যাংড়া হয়,অন্ধ হয়,জটিল রোগাক্রান্ত হয়, কোনটা সংশয়ের উপত্যকায় ঘুরে বেড়ায়, আবার কোন স্বপ্ন বেঁচে থাকার যুদ্ধে হেরে গিয়ে অকালেই মারা যায়।কোনটা জীবিত থাকে সুস্থভাবে বছরের পর বছর। শেষ নিঃশ্বাসের পূর্বমুহূর্ত অবধি।
স্বপ্নের শক্তিও কিছু কম নয়। একটা দিনের নিয়তি যদি হয় নির্জলা উপবাস। কোরমা পোলাওয়ের স্বপ্নে রাতটা দিব্যি কাটিয়ে দেওয়া যায়।
মানুষ বেঁচে থাকলে আশা জাগেই। স্বপ্ন দেখতেই হয়। রঙিন স্বপ্ন। কারণ স্বপ্নের রঙ কখনো সাদাকালো হয় না।
আমি যখন ৯-১০ এ পড়ি।“ সংসার সাগর দুঃখ তরঙ্গের খেলা,আশা তার একমাত্র ভেলা” এই বাক্যটার ভাব-সম্প্রসারণ পরীক্ষায় খুব আসত। আমিও খাতায় মুখস্ত লিখে আসতাম। নাম্বারও পেতাম ভালো। তখন শুধু সম্প্রসারণই করে গেছি। ভাব বুঝিনি। এখন হয়ত বাক্যটার ভাব বুঝি। কিছুটা উপলব্ধি করতে পারি।
আমি স্বপ্নের পিছনে ছুটি।স্বপ্নকে সাফল্যের ফ্রেমে বন্দী করতে চাই। কোনটা বন্দী হয়। কোনটা পালিয়ে যায়। বুকের পাঁজরে একের পর এক নতুন স্বপ্নের পদধ্বনি শুনি। স্বপ্নের পিছনে আমি ছুটতে পারি, শ্রম দিতে পারি। সফলতাকে ধরার আগ মূহুর্তপর্যন্ত, ধরতে পারব কি,পারব না সেই অনিশ্চয়তাটুকু টপকাতে পারি না শুধু। জগতের কেউই পারেনা। সে অনিশ্চয়তার নিয়ন্ত্রণ যে অন্য কারো হাতে। আমি জানি। বুঝি। সে নিয়ন্ত্রণ আমার হাতে নেই। তবু স্বপ্ন দেখি। বেখায়ালী মনেই অনিশ্চয়তার বুকে জাল ফেলি। অবচেতনই কি সেই অনিশ্চয়তাকে যিনি নিয়ন্ত্রণ করেন তাঁর উপর নির্ভর করি আমি?
স্বপ্নের শেকড়ে তুমি রয়েছ প্রভু, আমি জানতে ত পারিনি
হতাশার গল্পে মগ্ন পাঠক হয়েছি, ভরসার কবিতা ত পড়িনি!
বিষয়: বিবিধ
১১৪৯ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন