মানব হৃৎপিন্ড আল্লাহর অসীম কুদরাতের এক বিস্ময়কর প্রকাশ !!
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মাদ আবু মুছা ১৬ জানুয়ারি, ২০১৭, ০৯:৩৩:৪৬ রাত
মানুষের হৃৎপিন্ডকে দেহের জেনারেটর বলা হয়। একবার বন্ধ হবে তো ইহলীলা খতম। একবারও ভেবেছেন কি আপনার হৃৎপিন্ড নিয়ে ? মানব হৃৎপিন্ডে চারটি চেম্বার থাকে। ১) রাইট এট্রিয়াম, ২) লেফ্ট এট্রিয়াম, ৩) রাইট ভেনট্রিক্যাল, ৪) লেফ্ট ভেনট্রিক্যাল।
রাইট এট্রিয়াম শরীরের অক্সিজেনবিহীন রক্ত গ্রহণ করে, এবং রাইট ভেনট্রিক্যাল সেই রক্ত ফুসফুসে পাঠায় (অক্সিজেন সংগ্রহের জন্য)। আর লেফ্ট এট্রিয়াম ফুসফুস থেকে অক্সিজেনযুক্ত রক্ত গ্রহণ করে, এবং লেফ্ট ভেনট্রিক্যাল সেই রক্তগুলোকে শরীরে পাঠায়। এভাবে হৃৎপিন্ড প্রতি মিনিটে ৮০ থেকে ১২০ বার সাইকেল পূর্ণ করে।
বিস্ময়কর ব্যাপার হলো হৃৎপিন্ডের কিছু পেশী। রাইট এট্রিয়ামের পেশীতে এমন একটি বিন্দু আছে যেটাকে বলে সাইনো এট্রিয়াল নোড বা এসএ নোড, এবং তার খানিক দূরে পেশীতে আরেকটি বিন্দু অাছে যেটাকে বলে এট্রিওভেনট্রিকুলার নোড বা এভি নোড।আশ্চর্য্যের ব্যাপার হলো প্রতি মিনিটে ৮০ থেকে ১২০ বার এসএ নোড থেকে এক ধরনের ইল্যাক্ট্রিক্যাল ইমপালস (ক্ষুদ্র সময়ের তড়িৎ) উৎপন্ন হয় এবং হৃৎপিন্ডের উপরের চেম্বারগুলো সংকোচিত হয়ে যায়। ফলে রক্তগুলো ভালবের মাধ্যমে নিচের চেম্বারে প্রবেশ করে।সাথে সাথে এক্টিভ হয় এভি নোড। বন্ধ হয়ে যায় ভালবগুলো। সংকোচিত হয় নিচের চেম্বারদুটি।ফলে রক্ত পুনরায় উপরের চেম্বারে না গিয়ে ধমনীর সাহায্যে একটি অংশ যায় শরীরে (অক্সিজেনযুক্ত), এবং একটি অংশ যায় ফুসফুসে (অক্সিজেনহীন)। ঐসময় প্রসারিত থাকে উপরের চেম্বারগুলো। এবং এই প্রক্রিয়া চলমান থাকে প্রতি মিনিটে ৮০ থেকে ১০০ বার।
তার মানে দাড়াচ্ছে, এই সাইনো এট্রিয়াল নোড যদি ইল্যাকট্রিক্যাল ইমপালস তৈরী না করতো তাহলে হার্ট সচল থাকতো না। বেচে থাকতে পারতো না মানুষ। এবার প্রশ্ন হচ্ছে ঐ নোডটি কেন ইমপালস তৈরী করে ? নাহ, তাবৎ দুনিয়ার চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা প্রশ্নটির যথাযথ জবাব দিতে পারেননি। হ্যা জবাব আছে এই হৃৎপিন্ডের স্রষ্টার কাছে।আল্লাহপাক পবিত্র কোরআনে বলেছেন, "হে নবী, আপনাকে প্রশ্ন করা হয় রুহ কি জিনিস।? আপনি তাদের বলে দিন এটি আল্লাহপাকের একটি আদেশ।" (সুরা বনী ইসরাইলঃ ৮৫ )
সুতরাং, এই সাইনোএট্রিয়াল নোডের ইমপালস তৈরী করার নির্দেশ আল্লাহর পক্ষ থেকে আছে বলে কোন কারণ ছাড়াই সে ইমপালস তৈরী করে। বেচে থাকে প্রাণীজগত। আল্লাহু আকবার। আল্লাহ পবিত্র কোরআনে বলেছেন, "এবং তোমাদের নিজেদের মাঝে আমার নিদর্শন রয়েছে। এরপরও কি তোমরা সেটা দেখবে না ? " (সূরা জারিয়াতঃ ২১)
বিষয়: বিবিধ
১৩৩৭ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
হার্টের কোন রোগ হলে এটা সাড়াবার জন্য লাখ লাখ টাকা খরচ করতে হয় । অথচ মহান আল্লাহ কি এর/ এসবের ঠিক ঠাক মত চলার জন্য আমাদের থেকে কোন পয়সা নেন ?
চান যে আমরা শুধুমাত্র উনার আদেশমত চলি ।
আমরা মানুষরা কতই না অকৃতজ্ঞ !
আল্লাহ আমাদেরকে উনার নেয়ামতের প্রতি শোকর গুজার হবার তৌফিক দান করুন - আমিন ।
০ এই অক্সিজেনবিহীন রক্ত কিন্তু নিউট্রিশনযুক্ত হয়ে থাকে । অন্ত্র থেকে খাদ্যের নির্যাস সমূহ নিম্ন মহাধমনীর মাধ্যমে রাইট এট্রিয়ামে আসে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন