বাকশালী ভুত এখনো আছর করে সংবাদজগতে

লিখেছেন লিখেছেন স্বপ্নলোকের সিঁড়ি ১৬ জুন, ২০১৬, ০৪:৪১:৩৪ বিকাল

বাকশালী ভূত এখনো আছর করে সংবাদ জগতে

সংবাদপত্র দেশ ও জাতির দর্পন স্বরূপ।মানুষ,সমাজ ও রাষ্ট্রের সুখ ও শোকগাঁথাগুলা ছাপার অক্ষরে বিন্যস্ত হয় সংবাদপত্রে।সমাজ পরিগঠনে সংবাদপত্র বা মিডিয়ার এমন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য একে রাষ্ট্রের ৫ম স্তম্ভও বলা হয়ে থাকে।পৃথিবীর সব দেশেই এজন্য সংবাদপত্র বা মিডিয়াকে বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করা হয়েছে।বাংলাদেশের সংবিধানের ৩৯,২(খ) ধারায় সংবাদপত্রের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দান করা হয়েছে।

আবার,এটিও সত্য যে, যুগে যুগে স্বৈরাচার বা কায়েমী স্বার্থবাদীদের দ্বারা সংবাদ জগত আক্রমণের শিকার হয়েছে।বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী সরকার দ্বারাও এরকম একটি কালো আধ্যায়ের সূচনা করা হয়েছিল সংবিধানের ৪র্থ সংশোধনীরর মাধ্যমে।

সরকার ১৯৬০ সালে জেনারেল আইয়ুব খানের সামরিক সরকার প্রবর্তিত প্রেস অ্যান্ড পাবলিকেশন্স অর্ডিন্যান্সই কেবল বহাল রাখেনি, ১৯৭৩ সালে সে কালাকানুনটিকেই ‘মুদ্রণযন্ত্র ও প্রকাশনা অর্ডিন্যান্স’ নামে প্রবর্তন করেছিল। এই অধ্যাদেশকে হাতিয়ার করে একদিকে সরকারবিরোধী সংবাদ প্রকাশনার ওপর কঠিন নিয়ন্ত্রণ চাপিয়েছে, অন্যদিকে নিষিদ্ধ করেছে একের পর এক সংবাদপত্রের প্রকাশনা। ১৯৭২ সালেই নিষিদ্ধ হয়েছিল মওলানা ভাসানীর ‘হক-কথা’, সাপ্তাহিক ‘গণশক্তি’, ‘লাল পতাকা’, ‘নয়াযুগ’, মুখপত্র’ ও ‘স্পোকসম্যান’ এবং চট্টগ্রামের দৈনিক ‘দেশবাংলা’।জাসদের মুখপত্র দৈনিক ‘গণকণ্ঠ’ও নিষিদ্ধ হয়েছিল ২৭ জানুয়ারি।এর ফলে গণকন্ঠের ৩০০ সাংবাদিক বেকার হয়ে যায়। পত্রিকাটির সম্পাদক কবি আল মাহমুদসহ কয়েকজন সম্পাদককে গ্রেফতার করেছিল সরকার। দৈনিক বাংলা সম্পাদক আবুল সামসুদ্দিনকে জোরপূর্বক সরিয়ে দেয়া হয়।পূর্বদেশ সম্পাদক মাহবুবুল হককে কারাগারে পাঠানো হয় এবং তিনি নির্দোষ প্রমাণিত হলেও সম্পাদকের দায়িত্ব আর পালন করতে পারেননি।সুপ্রিম স্টেট শীর্ষক সম্পাদকীয় লেখার জন্য বাংলাদেশ অবজারভার সম্পাদক আব্দুস সালামকে সরিয়ে দেয়া হয়।

এ অর্ডিন্যান্স সম্বন্ধে তৎকালীন সংসদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য ছিল-" ব্যাঙের ছাতার মতো সংবাদপত্র গজিয়ে উঠার প্রবণতা রোধ করতে হবে।তিনি বিশেষ কয়েকটি সংবাদপত্রের ভূমিকায় তীব্র নিন্দা করেন এবং সেগুলোর দায়িত্বহীনতার কতিপয় উদাহরণও উল্লেখ করেন।তিনি বলেন-"কিছু সংখ্যক সংবাদপত্র অসত্য ও উদ্দ্যেশ্যমূলক সংবাদ প্রচার করছে এবং সংবাদপত্রের এ ধরণের ভূমিকা সহ্য করা হবেনা।"

এ পর্যন্ত এসেও থেমে পড়েনি, ১৯৭৫ সালের ১৬ জুন শেষ পর্যন্ত সব সংবাদপত্রই নিষিদ্ধ করেছিল।

উল্লেখ্য, সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে নেয়া এই পদক্ষেপ ছিল তৎকালীন সরকারের গণতন্ত্রবিরোধী সামগ্রিক নীতি ও কর্মকান্ডের অংশ। সীমাহীন লুণ্ঠন, চোরাচালান, চাঁদাবাজি, দুর্নীতি, আওয়ামীকরণ ও প্রশাসনিক ব্যর্থতার পরিণতিতে দেশ ভয়ঙ্কর এক দুর্ভিক্ষের কবলে পড়েছিল। ১৯৭৪ সালের সে দুর্ভিক্ষে কয়েক লাখ মানুষ মারা গিয়েছিল। অমন এক পরিস্থিতিতে দরকার যখন ছিল সব দলকে সঙ্গে নিয়ে দুর্ভিক্ষ মোকাবিলা করা ও উন্নয়নের জন্য চেষ্টা চালানো, তখন ‘দ্বিতীয় বিপ্লবের’ আড়ালে নিজের একচ্ছত্র নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা এবং সরকার বিরোধিতাকে সমূলে উৎখাত করার পদক্ষেপ নেয়া হয়।

১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি জাতীয় সংসদে সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনী পাস করা হয়েছিল। চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে প্রচলিত সংসদীয় পদ্ধতির স্থলে রাষ্ট্রপতি পদ্ধতি প্রবর্তিত হয়, সব রাজনৈতিক দল বিলুপ্ত করে গঠন করা হয় দেশের একমাত্র দল বাকশাল। রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবকে চেয়ারম্যান করে বাকশালের কেন্দ্রীয় কমিটি গঠিত হয় ৬ জুন। এরই ধারাবাহিকতায় চারটি ছাড়া সব সংবাদপত্র নিষিদ্ধ হয় ১৬ জুন।সেই কালাকানুনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদস্বরূপ ১৯৭৬ সাল হতে সাংবাদিক সমাজ এ দিনটিকে পালন করে আসছে।

বিরোধীদল তো ছিলই না। বিরোধীদলীয় পত্রপত্রিকাগুলোকেও নির্মমভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। সরকার সমর্থক পত্রিকাসমুহ এবং সরকারের অন্য দুটো অঙ্গদলের মুখপত্রগুলো প্রতিটি স্বৈরাচারী পদক্ষেপকে একেবারে নির্লজ্জভাবে অভিনন্দিত করে যাচ্ছিল। তথাপি শেখ মুজিবুর রহমান একদলীয় শাসন কায়েম করার প্রাক্কালে বাংলাদেশে পত্র-পত্রিকার সংখ্যা একেবারে কমিয়ে এনে গণমতের বাহনগুলোর কর্তৃত্ব নির্ভরযোগ্য হস্তে অর্পণ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলেন। রাজধানী ঢাকা থেকে মাত্র চারটি দৈনিক পত্রিকা প্রকাশিত হবে ঠিক হল। দুটি বাংলা এবন দুটি ইংরেজি এবং এটাও ঠিক হল যে বাদ বাকি পত্রিকাসমুহ বন্ধ করে দেয়া হবে। "ইত্তেফাক" কাগজটিকে পুরোপুরিভাবে সরকারি নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসা হল। "ইত্তেফাক" ছাড়া অপর যে বাংলা কাগজটি বেঁচে থাকবে সেটির নাম "দৈনিক বাংলা"। ইংরেজি কাগজ দুটির নাম "বাংলাদেশ অবজারভার" এবং "বাংলাদেশ টাইমস"। এসব পত্রিকাগুলো একেবারে সরকারি পত্রিকা এবং সাংবাদিকেরা সরকারি কর্মচারীরুপে চিহ্নিত হবেন বলে ঘোষনা দেয়া হলো।

ব্যাধিই সংক্রামক,স্বাস্থ্য নয়: আসল সমস্যা বাকশালী মানসিকতা

সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে ১১৭(ক) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি ১৯৭৫ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারী তারিখে সমাজতন্ত্র কায়েমের লক্ষে বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামীলীগ (বাকশাল) নামে নতুন একক রাজনৈতিক দল গঠন করেন । ইহার ফলে দেশের অন্যান্য সকল রাজনৈতিক দলের বিলুপ্তি ঘঠে ।

সাংবাদিক আবির আহাদের সাক্ষাতকারে বাকশাল সম্বন্ধে শেখ মুজিবের মন্তব্য ছিল-

" যারা বাকশালকে একদলীয় ব্যবস্থা বলেন, তাদের স্মরণ করতে বলি, ইসলামে ক’টি দল ছিলো? ইসলামী ব্যবস্থায় একটি মাত্র দলের অস্তিত্ব ছিলো, আর তা হলো খেলাফত তথা খেলাফতে রাশেদীন। মার্কসবাদও একটি মাত্র দলের অনুমোদন দিয়েছে। চীন, রাশিয়া, কিউবা, ভিয়েতনাম কিংবা অন্যান্য ইসলামী রাষ্ট্রে কতটি করে দল আছে? এইসব ইসলামী রাষ্ট্রসমূহকে বাদ দাও, ওখানে মহানবীর ইসলাম নেই। বস্তুত প্রকৃত গণতন্ত্র বা সাম্যবাদী সমাজ প্রতিষ্ঠার স্বার্থেই একটি একক জাতীয় রাজনৈতিক সংস্থা থাকা বাঞ্ছনীয়। একটি জাতীয় কল্যাণের অভিন্ন আদর্শে, ব্যাপক মানুষের সার্বিক মুক্তির লক্ষ্যে একটি মাত্র রাজনৈতিক সংস্থার পতাকাতলে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করা ছাড়া গত্যন্তর নেই। কিন্তু বহুদলীয় তথাকথিত গণতান্ত্রিক প্রতিযোগিতায় কোনোভাবেই জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করা সম্ভব নয়। সেখানে বহুদলে জনগণ বহুধা বিভক্ত হতে বাধ্য। আর বিচ্ছিন্ন, বিভক্ত, পরস্পর বিরোধী রাজনৈতিক দলের দ্বন্দ্বসংঘাত, হিংসা-বিদ্বেষ ও হানাহানির রাজনীতি দিয়ে জাতির বৃহত্তর কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কোনোভাবেই অর্জিত হতে পারে না। ইতিহাস সে সাক্ষ্য দেয় না। আমার দীর্ঘ রাজনৈতিক অভিজ্ঞতাও তাই বলে।

ওসমানি তখনি সংসদে এর প্রতিবাদ করেছিলেন।তিনি বলেছিলেন: আমি আপনার সাথে নেই।

তাজউদ্দিন বলেছিলেন-আপনি ভূল করেছেন।খোন্দকার মোশতাকও বাকশাল কায়েমের বিরোধিতা করেছেন।এটি ড.ওয়াজেদ শেখ মুজিবকে নিয়ে তার একটি বইয়ে উল্লেখ করেছেন।

বাকশাল একদলীয় শাসন নয়:সাক্ষাতকারে হাসিনার নয়া তত্ব

১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫তে শেখ হাসিমার সাথে সাক্ষাতকারের এক পর্যায়ে সাংবাদিক ফ্রস্টের প্রশ্ন, “একদলীয় রাষ্ট্র কি ভালো বুদ্ধি ছিল?”

জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, “আব্বা যেহেতু দেশের মানুষকে ভালবাসতেন, তিনি চাইছিলেন মানুষজন উন্নত জীবন পাক। সেসময় তিনি ভেবেছিলেন এই সিস্টেম [বাকশাল] চালু করলে দেশের অর্থনীতি খুব দ্রুত মেরামত করা যাবে।”

“এটা একদলীয় [ব্যবস্থা] ছিল না।তিনি চাইতেন জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে উন্নয়নে সবাই একসঙ্গে কাজ করুক।”

তিনি বলেন, “বঙ্গবন্ধু আমাকে বলেছিলেন, ‘তিন চার বছরের জন্য আমাদের এটা চালিয়ে নিতে হবে’।”

বাকশালের পরে “গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা” বঙ্গবন্ধুর ছিল কিনা ফ্রস্টের এমন প্রশ্নে শেখ হাসিনা প্রথমত প্রশ্নকর্তাকে তার দৃষ্টিকোণ থেকে শুধরে দেন।

“গণতন্ত্র কিন্তু বহাল ছিল।তিনি [বঙ্গবন্ধু] চেয়েছিলেন তিন বছর পরে ‘সংসদীয় গণতন্ত্র’ ফিরিয়ে আনতে।”

বাকশালের সোভিয়েত রূপ:বাম-আ'লীগ সম্মিলিত স্বার্থ এক মোহনায়

বাকশাল সম্পর্কে সোভিয়েত ইউনিয়নের বিশেষ আগ্রহ ছিল।বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিনগুলোতে সোভিয়েত ইউনিয়ন বিশেষ করে স্বাধীন বাংলাদেশের ব্যাপারে আগ্রহ দেখায়।প্রথম থেকেই সোভিয়েত ইউনয়ন সিপিবি,ন্যাপ(মো) ও আ'লীগের সমন্বয়ে একটি ঐক্যমোর্চার কথা বলে।সোভিয়েত ইউনিয়ন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় ২৪ জানুয়ারি ১৯৭২ এ।ঠিক এক বছরের মধ্যে দেশটির প্রতিনিধিরা বাংলাদেশ সফরে এসে মন্তব্য করলেন-বাংলাদেশ সোভিয়েত ইউনিয়নের কাছ থেকে আগেই সাহায্য আশা করতে পারে যদি সরকার প্রগতিশীল সংগঠনগুলোর সাথে ঐক্য গড়ে তুলে।

মার্কসবাদী সোভিয়েতের মতে-জাতীয় জনযুদ্ধ ২ ধাপে হয়।১ম স্টেজে জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ থাকে এবং ২য় ধাপে ন্যাশনাল ডেমোক্রেট বা বুর্জোয়াদের দ্বারা সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে। এজন্য তারা বাকশালীদের প্রতি ওই সময় সমর্থন জানিয়েছিল।

বাকশালী ভূত এখনো আছর করে:প্রেতাত্বা মরে যায়নি

সেই ৭৫ এর ক্ষমতাসীন শক্তির উত্তরসূরিদের ক্ষমতাকালে এখনো সংবাদ জগতে কালো ছায়া বিরাজ করছে।আসলে কোনভাবেই এখন সংবাদ জগত স্বাধীন নয়।

১৪ ডিসেম্বর ২০১৪ তে বন্ধ করে দেয়া হয় 'দৈনিক বর্তমান' পত্রিকা।৩০ নভেম্বর ২০১৪ তে অর্থনীতি প্রতিদিন পত্রিকার প্রকাশনা সাময়িক স্থগিত করা হয়।এ সরকারের আমলে দৈনিক ইনকিলাব ২ দফা বন্ধ করা হয়।এমনকি এ পত্রিকার সিনিয়র সাংবাদিক রফিক মুহাম্মদ ও বার্তা সম্পাদক রফিকুল্লাহ রবিকে গ্রেফতার করা হয়।শাহবাগের অবৈধ দাবির প্রেক্ষিতে নয়াদিগন্ত পত্রিকা অফিসে অভিযান চালানো হয় এবং রহস্যজনকভাবে ঐদিন দিগন্তের ছাপাখানায় আগুন লেগে যায়।

প্রবীণ সাংবাদিক, সংগ্রাম সম্পাদক আবুল আসাদকে বিনা ওয়ারেন্টে এরেস্ট করা হয়।

সবচেয়ে বেশি জুলুমের শিকার আমারদেশ ও আমারদেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান।ভিন্নমতাবলম্বী বলে সরকারের সবচেয়ে বেশি নিগ্রহের শিকার এ পত্রিকা।২০১০ সালের ১১ এপিল শাহবাগীদের দাবির প্রেক্ষিতে এ পত্রিকা বন্ধ করে দেয়া হয়।পত্রিকার প্রকাশক হাসমত আলীকে পত্রিকা বন্ধ করে দেয়ার আগেই গ্রেফতার করা হোয় অবৈধ চাপ মেনে নেয়ার জন্য।এরপরে মাহমুদুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়।

হেফাজতের আন্দোলনকালীন সময়ে ৫ মে'র রাতের বিভিষীকা তুলে ধরায় ৬ মে রাতেই বন্ধ করা হয় দিগন্ত ও ইসলামিক টিভি।সাময়িক সময়ের কথা বলা হলেও এখনো খুলে দেয়া হয়নি বন্ধ টিভি চ্যানেল দুটি।ইটিভি চেয়ারম্যান আব্দুস সালামকে আটক করা হয় তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচার করার কারণে।পরবর্তীতে তাকে পর্ণোগ্রাফি মামলায় গ্রফতার দেখানো হয়।

সাগর-রুনি দম্পতির খুনিদের ৪৮ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতারের কথা বলা হয়।৫২ মাসেও কেউ গ্রেফতার হয়নি।

সাংবাদিকনেতা শওকত মাহমুদ মামলার বোঝা নিয়ে জেলে আছেন।শফিক রহমানকে কি হীন অভিযোগে আটক করা হয়েছে আর কি নাটক সাজানো হয়েছে তা মানুষ ভালো করেই জানে।

টকশোতে অলিখিত সেন্সরশিপ আরোপ করা হয়েছে।আলোচক কে হবে তা সরকারের এজেন্সির মাধ্যমে নির্ধারণ করে দেয়া হয়।ভিন্নমতাবলম্বী কেউ এখন টিভি টকশোতে আমন্ত্রিত হননা।

এত উদাহরণ লাগবেনা।মাহমুদুর রহমান,শওকত মাহমুদ,শফিক রেহমান-এরাই বাকশালী নির্যাতনের চিহ্ন।প্রতিপক্ষ দমন,ভিন্নমতের দমনই হলো বাকশালীদের আসল চেতনা।স্থান,কাল প্রেক্ষাপটে হয়ত ধরণ পরিবর্তন করে কিন্তু বাকশালীরা বাকশালী চেতনা পরিবর্তন করেনা -এটি এখন প্রমাণিত সত্য।

কৃতজ্ঞতা:

১.বাংলাদেশ:শেখ মুজিবুর রহমানের শাসনকাল-ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ।

২.মেজর ডালিম বলছি-মেজর ডালিম।

৩.অরক্ষিত স্বাধীনতাই পরাধীনতা-মেজর জলিল।

৪.শেখ মুজিব-জীবন ও রাজনীতি: স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশ।

৫.শেখ মুজিব ও অন্যান্য প্রবন্ধ-আহমদ ছফা।

৬.ইন্টারনেট।

বিষয়: বিবিধ

১৩১৪ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

372197
১৬ জুন ২০১৬ রাত ০৮:১৭
শেখের পোলা লিখেছেন : হয়ত আরও অনেক কিছু দেখার সহ্য করার বাকী আছে। কবে এ সবের অবসান হে আর কি ভাবে তাও জানা নেই। ধন্যবাদ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File