জ্যাম, গরম ও রোজাদারের অবস্থা
লিখেছেন লিখেছেন ব্লগারনির্ভীক ২৩ জুন, ২০১৬, ০৫:১৫:১৮ সকাল
সাধারনত আমি সবসময় চেষ্টা করি গুলিস্তান কিংবা সদরঘাট ওই জায়গাগুলো থেকে অফিস ছুটির সময় অর্থাৎ বিকাল চারটার পরে মিরপুরের দিকে না আসার জন্য। কিন্তু ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস অনেক দিন পর হলেও আজ আসতে বাধ্য হলাম। ছুটির সময়ের যে জ্যাম ও গরম তা এর আগেও আমার অভিজ্ঞতা আছে যেন শীতকালেও ঘাম ঝড়িয়েছিল ঢের মনে পড়ে। রোজা থাকার কারনে আজকের দিনটি কিছুটা ভিন্ন মনে হয়েছে। পাশের ছিটে ছিল এক চাকুরীজীবী তার সময়টা ভালই কাটছিল কিছুক্ষণ অফিসের বস কলিকদের সাথে ফোনে কথা আর বাকী সময় মোবাইলে গেমস খেলা। সামনেকার দুই ছিটের দুই ভদ্রলোক কিছুক্ষণ পরপর উঠে দাঁড়াচ্ছেন এবং গরমে যেন অস্থির হয়ে গেছে। এরই মাঝে পিছনে শুরুকরে দিল কয়েকজন রাজনৈতিক আলোচনা একজন সরকারের পক্ষে তো বাকিরা ঘোর বিরুদ্ধে। কখনওবা সাড়াশি অভিযান, তেল,গ্যাস, বিদ্যুৎ কিংবা জঙ্গি হত্যা,গুম, খুন, ক্রসফায়ার। এভাবেই চলছিল জ্যামঠেলে এক পা দু পা করে আমাদের গাড়িখানা। শাহবাগ আসতে না আসতেই সার্জেন্ট দিল গাড়ি ঘুরিয়ে ল্যাওঠেলা। তাহলে কি আজ রোজাদারের সবচেয়ে আনন্দের সময় ইফতার গাড়িতেই? যখন এই চিন্তায়মগ্ন তখন মনে হল পানি বা কোন জুস দিয়েই হয়ত হবে আজকের ইফতার। হাতিরপুল দিয়ে বাংলামটর হয়ে গাড়ি যখন ফার্মগেট তখন ইফতারের বাকি ১৫ মিনিট। নাহ গাড়িতে আর ইফাতার করা হল না গাড়ি থেকে পা দিয়ে গন্তব্যস্থান নামলাম তখন হক আজান। অবশেষে বাসায় করা হল ইফতারি, ভেবেছিলাম গরম,জ্যাম এই অস্থিরতার মাঝে করতে হবে ইফতারি। কিন্তু আমার হয়ত করা হয়নি, প্রতিদিন যাঁদের পরিবারবর্গ রেখে করতে হয় ইফতারি, তাদের কথা কি কেউ ভাববে কিংবা সরকার, জ্যাম মুক্ত রাজধানীই হয় যেন আমাদের অঙ্গীকার "।
বিষয়: বিবিধ
৮৫৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন