একটি প্রশ্ন

লিখেছেন লিখেছেন আয়েশা জুলি ০৯ জুন, ২০১৬, ০৩:৩৮:৩৪ দুপুর

রামাযান মাসের ব্যাপারে প্রচলিত কতিপয় জঈফ ও জাল হাদীছঃ

==========================

১- “ছিয়ামকারীর নিদ্রা ইবাদত।”

২- “তোমরা রোযা রাখ সুস্থ থাকবে।”

৩- “যে ব্যক্তি বিনা ওজরে রামাযানের একটি রোযা পরিত্যাগ করবে, সারা বছরও যদি সে ছিয়াম রাখে তবু তার জন্য যথেষ্ট হবে না।”

৪- “রামাযানে প্রথম দশক রহমত, পরবর্তী দশক মাগফিরাত ও শেষ দশক জাহান্নাম থেকে মুক্তি।”

৫- “রামাযান মাসে একটি ফরয ইবাদত অন্য মাসের সত্তরটি ফরযের বরাবর। আর একটি নফল ইবাদত অন্য মাসের একটি ফরযের বরাবর। “

৬- “মানুষ যদি জানতো রামাযানে কি পরিমাণ ছওয়াব রয়েছে, তবে আমার উম্মতের সবাই কামনা করতো সারা বছরই রামাযান থাক।”

৭- “প্রত্যেক বস্তুর যাকাত আছে, শরীরের যাকাত হচ্ছে ছিয়াম।”

৮- “নিশ্চয় আল্লাহ্ তা‘আলা রামাযান মাসের প্রথম দিনের সাকাল বেলা সমস্ত মুসলমানকে ক্ষমা করে দেন।”

৯- “রোজাদারের প্রতিটি লোমকূপ তাসবীহ্ পাঠ করে। আর রোযা পালনকারী নারী পুরুষের জন্য কিয়ামত দিবসে আরশের নীচে স্বর্ণের দস্তরখানা বিছানো হবে।”

১০- “নিশ্চয় আল্লাহ্ তা‘আলা রামাযান মাসের প্রত্যেক দিন ৬ লক্ষ এমন মানুষকে জাহান্নাম থেকে মুক্ত ঘোষণা করেন যাদের জন্য জাহান্নাম আবশ্যক হয়ে গিয়েছিল।”

১১- রমজান মাসে কবরে আজাব হয় না

১২- রমজান মাসে খাবার খেলে তার কোন হিসাব নেই।

এছাড়া হাদীসের নামে আরও বিভিন্ন বানোয়াট ও দুর্বল কথা-বার্তা মানুষের মাঝে চালু আছে। সেই সাথে অনেক শরীয়ত বিরোধী কথা ও কাজে মানুষ এ পবিত্র মাসে লিপ্ত হয়।

আল্লাহর কাছে আমরা দু‘আ করি তিনি যেন আমাদেরকে মাহে রামাযানে কুরআন-সুন্নাহ্ তথা শরীয়ত বর্জিত ও আল্লাহর অপসন্দনীয় গুনাহের বিষয়গুলো থেকে দূরে রাখেন।

আর ফযীলতপূর্ণ আমল সমূহ বেশী করে আদায় করে দুনিয়াতে সৌভাগ্যশালী ও আখেরাতে মুক্তিপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত করে রাইয়্যান নামক দরজা দিয়ে জান্নাতে প্রবেশ করান। আমীন॥

----------------

অনুবাদ: মুহাঃ আবদুল্লাহ আল্ কাফী

শিক্ষক, আল ঈস ইসলামী সেন্টার, সঊদী আরব।

সম্পাদনায়: আব্দুল্লাহিল হাদী

দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, সউদী আরব



আসলে ই কি, উপরের সব গুলো হাদিসে ভেজাল।!!!

বিষয়: বিবিধ

৯২২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File