শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড।যে জাতি যত বেশি শিক্ষিত, সে জাতি তত বেশি উন্নত।সে শিক্ষাটা যদি আদর্শ শিক্ষা হয়, তাহলেই কেবল সামাজকে,রাষ্ট্রকে তারা কিছু উপহার দিতে পারবে।
লিখেছেন লিখেছেন জানে আলম রেজা ০১ জুন, ২০১৬, ০২:১০:২৮ রাত
**@@ আদর্শ শিক্ষা@@**
# reza #
প্রতিদিন স্কুলে যায় রাজন।খুব দুস্টু তাতে কি? ধনীর দুলাল।বাবা বাড়ীতে না থাকায়,এই বয়সেই তারে ঠেকায় কে? বাবা প্রবাসে,রাজন তাদের একমাত্র ছেলে।তাই মাও তাকে আদরে মাথায় তোলে।সেও আদরের ষোল আনা উসূল করে ছাড়ে। তার আব্দার মা অনায়াসেই মানে।লিখাপড়াতে ও গা ছাড়া ভাব।তার ভাল শিক্ষার আশায়,মাকে মাস্টার পাল্টাতে হয় যেন বার মাসে তেরটি।এক অস্বস্তিকর দিন যাপন তার মায়ের।ঘরে রাত আর দিন কাটে ভারাক্রান্ত হৃদয়ে।তবুও ছেলে বলে মা নিজেকে প্রবোধ দেন,একদিন সে ভাল হয়ে যাবে নিশ্চয়।
এভাবেই মা ছেলের দিন কাটে নিজেদের মতই।কয়দিন আগেই মা তার টিউশন মাস্টার নতুন নিয়োগ দিলেন।খুবই ভাল ও ব্রিলিয়ান্ট স্টুডেন্ট।মা তাই এবার একটু স্বপ্ন দেখেন,ছেলে এবার বুঝি নতুন আলোয় ফিরবে।তবে মাস্টারের ব্যক্তিগত প্রবলেমের জন্যে বাড়ীতে এসে পড়াতে পারেননা।রাজনকে গিয়ে পড়তে হয়।একটু ভেবেচিন্তে তাতেও রাজি হলেন। কারণ ছেলের মাস্টার পাল্টিয়ে যেন এখন কূলকিনারাহীন হয়ে পড়েছেন তিনি।আর রাজন?সেতো বেজায় খুশী। বাড়ির বাইরে গিয়ে পড়তে সে এক পায়ে খাড়া।বাড়িতে পড়ার সময়ে মা নজর রাখেন, তাই মাস্টারকে উল্টা পড়ানোর সাহস ছিলনা।সে ভাবে এখন আরো ফাঁকিবাজি করে দিন কাটা যাবে।ওদিকে আবার মাস্টারকে মা রাজন সমপর্কে সব বলে রেখেছেন।পরিক্ষিত মাস্টার,মানুষ গড়ার কারিগর। তাদের কি ভয় পেলে চলে?সাহসী তুহিন তাই তাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে নিল।মাস্টারের নামই তুহিন।এর পর থেকেই চলছে সব।রাজন,স্কুল,আর প্রাইভেট।
কিছুদিন পর,,,,,,,,
দুস্ট রাজন স্কুলে যায়।স্কুল পথে প্রতিদিন ঠিক একটি যায়গায় এক মানষিক রোগীর দেখা মেলে।রাজনরা তাকে পাগল বলেই জানে।তাই তাকে দেখে রাজনরা এক্সাথে বলে উঠে,,, কে,,,কো, কে,,,কো।আর লোকটি তাদের গোস্টীর শিখড় উপড়িয়ে ফেলে তার গালমন্দে।এভাবেই নিয়ম করেই যেন চলছে তাদের দিন।স্কুলে যেতে কে,,, কো, কে,,,কো বলা, আর গালি শুনা।
অন্যদিকে,,,,,প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার পথেও আরেক মানাষিক রোগীর দেখা পায় প্রতিদিন। তাকেও তার মত অনেকে পাগল ভেবে বলে,বে,,,,বো, বে,,,বো।এই লোকটি স্কুল পথের লোকটি থেকে ভিন্ন।সে গালাগালি করেনা।বরং সে কয়দিন ওদের কান্ড দেখে, তারপর থেকে কিভাবেই যেন রুটিন করে তাদের জন্য চকলেট নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে।এরপর কাছে আসলে আদর করে চকলেট দিয়ে বলে ভালভাবে পড়।একদিন অনেক বড় হতে হবে।রাজনের সাথে আরো কয়েকজন পড়তে যেত।সবাই খুশী এখন।তাকে আর বলেনা, বে,,বো,, বে,,,বো।কিন্তু স্কুল পথের ওই লোকটিকে বলে যায় এখনো,কে,,কো,,,,,,,,,,
রাজন ক্লাস সিক্সে।সেদিন স্কুলের মাস্টার হোম ওয়ার্ক দিল "কুকুরে মানুষ কামড়ায়,তাই বলে কুকুরকে কামড়ানো মানুষের শোভা পায়?"এটার ভাব সম্প্রসারণ করে আনতে।অগত্যা রাজন তার প্রাইভেট টিচার তুহিনের কাছে স্কুলে দেওয়া হোম ওয়ার্ক দেখায়।এবং বুঝিয়ে দেয় রাজনকে।এমনভাবে পানির মত সহজ করে যে মাস্টার বুঝিয়ে দিল, ছোট দুস্ট রাজনের সামনে যেন তার জীবনের আয়নাকে তুলে ধরল।নিস্পাপ রাজন নিজে ঘঠিয়ে যাওয়া ভূল বুঝতে পেরে অজান্তেই ঢুকরে কেঁদে উঠল।মাস্টার কান্দার কারণ জিজ্ঞাসা করলে আগের সব কাহিনী খুলে বলে।আর প্রশ্ন রাখে,স্যার ! আমি তাহলে?,,,,,,,
মাস্টার তাকে বলে,তুমি আগে যা করেছ,ভুল করেছ।যারা নিজের ভুল বুঝতে পারে,আল্লাহ্ তাদের ক্ষমা করে দেন।ভবিষ্যতে এ থেকে শিক্ষা নিয়ে ভাল কিছু করবে।সে প্রত্যাশায়,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,।
##@@ জে আলম রেজা @@##
বিষয়: বিবিধ
২৪০৮ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন