জেনারেল আজিজ ও কিছু প্রাসঙ্গিক কথা
লিখেছেন লিখেছেন আরাফাত আমিন ১৯ জুন, ২০১৮, ১২:০৬:৩০ দুপুর
অমুকের নানা,তমুকের দাদা, অমুকের বেয়াই জামাত,কিংবা মসজিদের ইমাম ছিল তাই অমুক,তমুক রাষ্ট্র কর্তৃক অবাঞ্চিত।কিছুদিন আগে একটা মেয়ে কান্নায় ভেংগে পড়েছিল রাষ্ট্র কর্তৃক নিগৃহীত হবার ঘটনায়।মিডিয়ায় আমরা দেখেছি, বাবা মসজিদের ইমাম হওয়ায় গোয়েন্দা সংস্থা রিপোর্ট দিয়েছিল তার বাবা জামাতে ইসলামির রাজনীতির সাথে যুক্ত,আর এই রিপোর্টের সূত্রধরে ঢাবি থেকে পাশ করা সেই মেয়ে বিসিএসে মেধাতালিকায় আসার পরেও চূড়ান্ত নিয়োগে তাকে বাদ দেয়া হয়েছিল- এটা হল মুক্তিযুদ্দের চেতনা।
.
আর তিন ভাই দেশের সর্বোচ্চ আদালত কর্তৃক মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত ফাসির আসামি হওয়া স্বত্তেও আজিজ রা দেশের সেনাপ্রধান হয়! সামরিক বাহিনীর প্রতিটি নিয়োগ পদোন্নতিতে যেখানে পারিবারিক রেকর্ড আমলে নেয়া হয় সেখানে আজিজ,যোসেফদের রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ মহল থেকে পদায়ন এদেশ যে একটা সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম দিকে আছে সেটার ই প্রমাণ!দেশ মূলত স্বাধীন হয়েছিল এই কারণে!এটাকেও চেতনা বলে!
.
গতকাল চেটে খাওয়ার অনলাইন বিডিনিউজ২৪.কম বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।তারা লিখেছিল "আসছে জাতীয় নির্বাচন চলাকালীন জেনারেল আজিজ সেনাপ্রধান হিসেবে থাকবেন! " এই মিডিয়া বন্ধে শাহবাগী পাড়ায় ব্যাপক ম্যাতকার শুরু হয়েছে,গেল গেল বাক স্বাধীনতা গেল! অথচ আমারদেশ,দিগন্ত টিভি কিংবা ইসলামিক টিভি বন্ধে এরাই ফ্যাসিবাদের মুখে খাবার তুলে দিয়েছিল! আজ যখন সেই ফ্যাসিবাদ তার চরিত্র অনুযায়ী নিজের লেজ খাওয়া শুরু করে দিয়েছে তখন এদের ম্যতকার শুরু হয়ে গিয়েছে! এটাকে বলে চেতনা! শাহবাগী চেতনা!
.
জেনারেল আজিজের ভারতপ্রীতি নতুন নয়।তার প্রভু এদেশের জনগন নয় সেটা বিজিবি প্রধান থাকাকালীন হাসিমুখে সীমান্তে লাশগ্রহন আর শাপলা চত্ত্বরের ম্যাসাকারের সময়ে প্রতিষ্ঠিত।সো তাকে সেনাপ্রধান করার অর্থ পরিস্কার।এদেশের পুলিশ,র্যাব,বিচারবিভাগ বহু আগেই ধ্বংস করা হয়েছে,সেনাবাহিনীকেও করা হচ্ছিল বাট সেটা পাবলিক প্রকাশ্যে বুঝতে শুরু করতে দেরি করেছে।এই নিয়োগ এবং তারপরবর্তী কর্মকান্ডে দিনদিন পাবলিকের কাছে এটাও প্রতীয়মান হবে এই সেবাবাহিনী তাদের নয়,এরা বাসার আল আসাদের অনুসারী!
.
এক রাষ্ট্রের কলোনিয়াল শাসন থেকে অন্য রাষ্ট্রের সহযোগীতায় বেড়িয়ে গিয়ে সেই সহযোগী রাষ্ট্রের কলোনিয়ালে পরিনত হবার এরা নাম দিয়েছে স্বাধীনতা! সেটার স্বাদ এরা ভোগ করে জাতীয় সংগীত গেয়ে আর পতাকে সন্মান করে!স্বাধীনতার নামে ৬ দফা/১১ দফা এসব দিয়ে দেশের মানুষকে খেপিয়ে দিয়ে যে তথাকথিত স্বাধীনতা নিয়ে আসলেন আজ ৪৭(যার ২০ বছর সেই স্বাধীনিতার পক্ষের শক্তি ছিল ক্ষমতায়) বছর পর এসে সেই ১১ দফা আর ৬ দফার কয়টা বাস্তবায়ন হয়েছে? দেশের মানুষ মুক্তি চেয়েছিল,মুক্তির স্বপ্ন দেখিয়েছেন,মুক্তি পেয়েছে? গত ১ মাসে বিনাবিচারে রাষ্ট্রকর্তৃক ২০০ এর উপর মানুষ নিহত হয়েছে! যুদ্ধের বছর ব্যতীত পাকিস্তানিদের হাতে একমাসে কবে এতজন নিহত হয়েছিল?ইতিহাস দেখান।এর নাম স্বাধীনতা? এর নাম স্বায়ত্তশাসন? এটা পৃথক আবাসভূমির স্বপ্ন?
.
রাষ্ট্রে মেধাবীরা নিয়োগ পায়না ৫৫ % কোটার কাছে তারা বন্দি! ২৫ লক্ষ বেকার যুবক ঘুরছে দ্বারে দ্বারে,পাকিস্তান আমলে যেই বৈষম্যের স্লোগান তুলেছিলেন সেটা কত পার্সেন্ট ছিল?
.
বল্টু গ্রাম শুদ্ধ সবাইকে বলে বেড়াচ্ছে আমার কুত্তা ডিম পারছে! সবাই অবাক হয়ে সেই কথাই প্রচার করে বেড়াচ্ছে! আসলে ওয় মুরগীর নাম রাখছে কুত্তা!
৪৭ বছরে আমরা কতটা এগিয়েছি আর আমাদের স্বাধীনতার ভগবান ভারত-পাকিস্তান কতটা এগিয়েছে সেটা ভিন্ন একদিন আলোচনা করব।শুধু এটুকু জেনে রাখুন কারো গোলামি করার নাম আপনি স্বাধীনতা দিতে পারেন,বাট সেটা কখনোই স্বাধীনতা নয় যেমনটা কুত্তা ডিম পারলেই সেটা কুত্তার ডিম হয়ে যায়না!
বিষয়: রাজনীতি
১১৬৭ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন