কয়লাবাহী জাহাজডুবি ও তার উপকারিতা
লিখেছেন লিখেছেন আরাফাত আমিন ১৫ জানুয়ারি, ২০১৭, ১১:২৯:৩৪ রাত
সুন্দরবনের নিকটবর্তী মংলার হিরণপয়েন্টে ১হাজার টন কয়লা নিয়ে গতকাল একটা জাহাজ ডুবেছে!গত তিনবছরে এই নিয়ে তিনটা ডুবল।আগের দুইটা সুন্দরবনের ভিতরেই ডুবেছিল।এগুলোকে সিরিয়াসলি দেখার কিছু নেই।এতে সুন্দরবনের কোন ক্ষতি তো হবেই না,বরং সমীক্ষা করে আমরা দেখেছি-উপকার ই বেশি হবে!
-কয়লায় পানি বিশুদ্ধ করে।এতে করে অনেকদিন লোনা পানি খেয়ে অভ্যস্ত জলজ প্রানীগুলো কয়েকদিনের জন্য হলেও বিশুদ্ধ পানি পাবে!এছাড়া সেই বিশুদ্ধ পানি বোতলজাত করে শহরে পানির স্বল্পতা দূর করা যেতে পারে।
-ত্বকফর্সা হতে আগ্রহীরা এই সুযোগে সেই জলে ডুব দিয়ে আসতে পারেন! :p ।পিকনিক সিজনে এত ভাল সুযোগ আর পাবেন না!
-আপনারা ইতিমধ্যে অবগত আছেন-কয়লা পরিবহনে বন্যপ্রাণীদের যাতে ডিস্টার্ব না হয় সেজন্য সাউন্ডপ্রুফ ইঞ্জিনের প্ল্যান ছিল আমাদের।এখন আমরা এর সাথে 'ডুবপ্রুফ' টাইটানিক জাহাজ দিয়ে কয়লা পরিবহনের প্ল্যান করব।এতে দেশ উন্নত হবে।প্রানীরা কম বিরক্ত হবে!
-আপনারা জেনে থাকবেন,আমাদের সরকার সুন্দরবনের আয়তন বৃদ্ধিতে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে।
১হাজার টন কয়লা ডুবে হিরনপয়েন্টে নতুন চরের সৃষ্টি হবে।নাম হবে 'কয়লার চর' !এতে করে সুন্দরবনের আয়তন বাড়বে,বন্যপ্রানীদের আবাস বাড়বে! স্থানীয় 'চোর মানুষ' রা সেখানে নতুন করে 'চুরি' করে জীবিকা নির্বাহ করতে পারবে!
এত্ত এত্ত লাভ যে জাহাজ ডুবিতে-সেই জাহাজ ডুবি নিয়া ব্যঙ্গ বা সমালোচনা কেবল রাজাকার আর দেশের শত্রুরাই করতে পারে!এখানে ভারত নয় -বনের পশুপাখিদের ঘরে বিদ্যুৎ পৌছে দেওয়ার মহান ব্রত সামনে রেখে সুন্দরবন আলোকিত করার প্রজেক্ট হিসেবে 'সুপার ক্রিটিকাল প্রযুক্তির বিদ্যুতকেন্দ্র' হবে এবং তা কয়লা দিয়েই।সাফ কথা।
দেশ সিংগাপুর সুইজারল্যান্ড হোক এটা যারা চায়না কেবল তারাই এর বিরোধীতা করবে!যত্তসব পাকি দালাল!
.
জয় বাংলা বলে আগে বাড়ো......
বিষয়: বিবিধ
১৩৫৫ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন