গনতন্ত্রের বিজয় দিবস
লিখেছেন লিখেছেন আরাফাত আমিন ০৪ জানুয়ারি, ২০১৭, ০২:৫০:০৯ দুপুর
চিরাচরিত অর্থে গনতন্ত্র মানে ৪৯ এর উপর ৫১ এর শাসন।অন্যদিকে কেন সেই ৪৯ তাকে নির্বাচিত করেনি তাই তাদেরকে শাসন নয় শোষণ করো এই নীতি হল তৃতীয়বিশ্বের গনতন্ত্র!আর তাই গনতন্ত্রের এই পুরোনো মডেল পরিবর্তনের দরকার ছিল!
এই অসাধ্যসাধনে এগিয়ে এলেন একজন বাংগালি।তিনি প্রবর্তন করলেন ৯৫ এর উপর ৫ এর শাসন!তার এই উদ্ভাবন গনতন্ত্রপ্রিয় বিশ্বসম্প্রদায় বিশেষ করে গনতন্ত্রের আতুরঘর বলে খ্যাত ভারত কর্তৃক প্রশংসিত ও পুরস্কৃত হয়েছে!যা জাতি হিসেবে বাংগালদের অর্জনের খাতায় এক বিরাট মাইলফলক যুক্ত করেছে! এই অর্জনে আমরা সবাই আজ গর্ভিত!
গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার একটি চমৎকার উদার দিক হচ্ছে নির্বাচন,যেখানে আমরা সবাই মিলে ঠিক করি কে আমাদের শোষণ করবে!সেখানে এসে গেল কারচুপি!কারচুপি একটি প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক শব্দ।পরাজিত দলের ভাষ্যমতে যা স্থূল ও সূক্ষ্মরূপে জয়ী দল করে থাকে!
ভোট হল অন্যতম নাগরিক অধিকার,যা প্রয়োগে অধিকাংশ সময়েই নাগরিকদের কোনো অধিকার অর্জিত হয় না।আর তাই আমরা কারচুপি যাতে না হয় সেজন্য ১৫১ টি আসনে ভোটের ব্যবস্থা ই রাখিনি!তা দিয়েই যেহেতু সরকার গঠিত হয়ে গেছে তাই বাদবাকি ১৪৯টি আসনে আমরা ৫.৭২% নাগরিকদের অধিকার আদায়ে ভোটের ব্যবস্থা রেখেছিলাম!
একটা দেশের গনতন্ত্র রক্ষায় এতবড় অবদান বিশ্বের আর কোন সরকার করেছে?
না,কেউ করেনি।আমরাই বিশ্বে প্রথম এবং আমরা অদ্বিতীয় বটে।তাই গনতন্ত্রের বিজয় দিবস পালন করা কেবল আমাদের ই মানায়!আর কারো নয়! ভোট দিতে পারেন নি তাতে কি হয়েছে,গনতন্ত্রের বিজয় দিবসে লুংগি ডান্স,ট্যাংক ডান্স দিতে কেউ তো আপনাকে নিষেধ করেনি?
আমাদের বাংলাভাষায় 'লজ্জা' আর 'শরম' প্রকাশে দুটো পৃথক শব্দ ব্যবহৃত হলেও একই অর্থ বহন করে, যা যতটা সম্ভব অন্য ভাষাগুলোতে নেই! এখানেও কিন্তু আমরা অদ্বিতীয়!!
আসুন নাচি!
আজি ভাল করিয়া বাজানেরে দোতারা
গনতন্ত্রের বিজয়ে নাচি!
বিষয়: রাজনীতি
১২৩২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন