দন্ডমুক্তি ও গুপ্তহত্যা
লিখেছেন লিখেছেন আরাফাত আমিন ২৪ জুন, ২০১৬, ০৫:২৪:১৮ বিকাল
একটি বিমানে পাগলদের বহন করে চিকিৎসার জন্য একদেশ থেকে অন্যদেশে নেয়া হচ্ছে। পুরো বিমানটিতে পাগলগুলোর চিৎকার চেঁচামেচিতে পাইলটের বিমানটি চালাতে খুবই অসুবিধা হচ্ছে।
হঠাৎ করে একটি পাগল কিভাবে যেন বিমানের ককপিটে ঢুঁকে পড়ে।
পাগলঃ ভাই তুমি কিভাবে প্লেন চালাও আমারে একটু শিখায় দাও । আমি কালকেই একটা প্লেন কিন্না নিজে চালায়া লং ড্রাইভে যামু।
পাইলটঃ আচ্ছা ঠিক আছে, কিন্তু একটা শর্ত আছে।
পাগলঃ কি শর্ত?
পাইলটঃ আপনি যদি আপনার বন্ধুদের শান্ত করে এই প্লেনে হওয়া শব্দ-দূষণ বন্ধ করতে পারেন।তবেই শিখাব।
পাগলঃ আচ্ছা ঠিক আছে।
(৫ মিনিট পরে প্লেন একদম শান্ত!!)
পাগল এসে পাইলটকে বলল,
হ্যা ভাই, এখন শিখান।
পাইলটঃ Wow!! খুবই চমৎকার! আপনি কিভাবে উনাদের শান্ত করলেন?
পাগলঃ আমি গিয়া প্লেন এর দরজা খুইল্লা সবাইরে কইলাম,'কেও এখানে শব্দ কইরো না, যাও সবাই বাহিরে গিয়া খেলোগা।'
.
দেশে দক্ষিন এশিয়ার সর্ববৃহৎ জেলখানা নির্মিত হয়েছে।তারপরো বন্দি সংকুলান হচ্ছেনা।বন্দিদের মানবেতর জীবনের কথা চিন্তা করে কিছু বন্দিদের মুক্তি দিলে কেমন হয়! অবশ্যই ভাল,তাই না?এটা হতে পারে একটা মহৎ উদ্যোগ!ক্ষমার উজ্জল দৃষ্টান্ত!
.
১৯৭২ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত ৩৬ বছরে মাত্র ৪ জন ফাসির দণ্ডপ্রাপ্ত কে মুক্তি দেয়া হয়েছিল।যারমধ্যে ১৯৮৭ সালে এরশাদ সাহেব ১ জন, ২০০৫ সালে বিএনপি সরকার ২ জন এবং সেনা-তত্ত্বাবধায়ক সরকার ১ জন মোট এই ৪ জন ফাসির দণ্ডপ্রাপ্তকে ক্ষমা করে মুক্তি দেয়া হয়!
.
দেশের রাষ্ট্রপতিদের ইতিহাসে সবচেয়ে দয়াশীল,ক্ষমাবান এবং মহৎ রাষ্ট্রপতি পাই আমরা এরপরেই।জ্বী, ২০০৯ থেকে ২০১৪ সালের মার্চ পর্যন্ত ৬ বছরে মহান রাষ্ট্রপতি মাত্র ২৭ জন ফাসির দণ্ডপ্রাপ্তকে ক্ষমা করেন।
'মানে,কেও এখানে শব্দ কইরো না, যাও সবাই বাহিরে গিয়া খেলোগা।'
বাইরে এখন আবহাওয়া হল খেলার উপযুক্ত!
আর এরই মধ্য দিয়া জেলখানায় আজ শান্তির পরিবেশ!জেলখানায় শান্তিপ্রতিষ্ঠায় কোন পদক টদক থাকা উচিত ছিল!
.
সর্বশেষ খেলোয়ার হিসেবে আজ কালের মধ্যে মাঠে প্রবেশ করবেন যোসেফ।প্রথম আলো তার হলদে নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে এবিষয়ে যে রিপোর্ট আজ করেছে,তাতে তারা একটা ছোট্ট তথ্য চেপে গেছে।এই শীর্ষসন্ত্রাসী যোসেফ আমাদের বিজিবি প্রধানের আপন ছোট ভাই এই তথ্যটি তারা দেয়নি!আমরাও কিছু মনে করিনি।বিজিবি প্রধান বিতর্কিত হোক তা প্রথম আলো যেমন চায়নি,আমরাও চাইনি!
.
এক ভাইয়ের মুক্তির আনন্দ আজ প্রবাহিত হয়েছে প্রতিটি বিজিবি সদস্যের মধ্যে।কি আনন্দ আজ আকাশে বাতাসে! সে আনন্দ লক্ষ্য করা গেছে বি,এস,এফের হাতে নিহত দুই বিজিবি সদস্যের লাশ হাসিমুখে গ্রহনের ছবিতে!
.
মেসিকে নাকি ইদানিং খেলার শেষ কয়েকমিনিটের জন্য নামানো হয়,যদিও আমি আর্জেন্টাইন সমর্থক না তারপরো শুনলাম এই কয়েক মিনিটেই নাকি 'মেসি ম্যাজিক' দেখা যায়,খেলার ফলাফল চেঞ্জ হয়ে যায়।
.
আসুন খেলা দেখি! জংগি জংগি খেলা!
মেসি আসছে,বিরতির পর!
ভাল কথা-
গুপ্তহত্যার সব তথ্য কিন্তু আছে!
সো চুপ!
বিষয়: রাজনীতি
৯৮৩ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন