Save your self from oppression

লিখেছেন লিখেছেন awlad ০৪ জুন, ২০১৬, ০৪:২৭:০৮ রাত

Sorry for copy paste, it is very important in our life because some how we can involve with oppression with our self family friend and society, to save our self I share this information with you :

জুলুমের পরিণাম

মাওলানা মুহাম্মদ শাহাদত হোসাইন আল কাদেরী ২৬ মে ২০১৬,বৃহস্পতিবার, ১৭:৪৬

জুলুম অর্থ অত্যাচার। এটি ব্যাপক অর্থবোধক শব্দ। এর দ্বারা ব্যক্তি, সমাজ, রাষ্ট্র, স্রষ্টা ও সৃষ্টির অধিকারে হস্তক্ষেপকে বুঝায়। জুলুম বা অত্যাচারের প্রভাবে ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রে অশান্তিময় পরিবেশ সৃষ্টি হয়। মুফাচ্ছিরে কেরাম লিখেছেন : জুলুম হলোÑ ন্যায়নীতির বিরুদ্ধাচরণ করে হকদারের হক নষ্ট করা, যা অনুপযুক্ত ব্যক্তিকে দেয়া এবং ক্ষমতা ও শক্তির অপব্যবহার করা। এ জুলুমকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। প্রথমত, হুকুকুল্লাহের ব্যাপারে জুলুম করা। এ প্রকারের জুলুমের মধ্যে শিরক ও কুফুরি হলো সর্বাপেক্ষা বড়। আল্লাহপাক সোবহানাহুতায়ালা এরশাদ করেন, ‘যারা আমার নির্দেশনগুলো অমান্য করে, কুফুরি জীবনযাপন করে আমি অতিসত্বর তাদের দোজখের আগুনে নিক্ষেপ করবো’ (আল কুরআন)।

দ্বিতীয় ভাগ। হুকুকুল এবাদের ব্যাপারে জুলুম করা অর্থাৎ ন্যায়নীতি বর্জন করে ক্ষমতা ও শক্তির অসদ্ব্যবহার করা। এ ধরনের জুলুমকারীদের ওপরে পৃথিবীতে অবশ্যই আল্লাহর গজব নাজিল হয়।

আল্লাহপাক বান্দার অন্তরকে তাঁকে স্মরণ করার এবং তাঁর সম্পর্কে চিন্তা গবেষণা করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। যে ব্যক্তি এর ব্যতিক্রম করবে তাহলে সে তার নিজের ওপর জুলুম করল। সৎ কর্ম যেমন কিয়ামতের দিন আলোকরূপে মুমিনদের চতুর্দিকে দৌড়াদোড়ি করতে পারবে, অনুরূপভাবে জুলুম জালিমদের চতুর্দিকে বেষ্টন করে থাকবে। হজরত আবু হুরায়রা রা: থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ সা: এরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তির দ্বারা কোনো ঈমানদার ভাইয়ের মান-ইজ্জত নষ্ট হয় অথবা কোনোভাবে নির্যাতিত হয়, তবে সে যেন ওই দিন আসার আগেই তার কাছ থেকে ক্ষমা চেয়ে নেয়, যার প্রতি জুলুম করা হয়েছে। যেদিন তার কাছে কোনো দিনার বা দিরহাম থাকবে না। যদি নেক আমল থাকে তাহলে অত্যাচারের পরিমাণ মতো আমল দেয়া হবে। আর যদি নেক আমল না থাকে তাহলে অত্যাচারিত ব্যক্তির পাপকে এনে তার ওপর চাপিয়ে দেয়া হবে’ (বুখারি শরিফ)।

অন্য হাদিসে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সা: এরশাদ করেছেন, ‘তোমরা কি জানো গরিব কে? সাহাবায়ে কেরাম রা: বললেন, আমাদের মাঝে যার টাকা-পয়সা, ধন-দৌলত নেই সেই গরিব।’ রাসূলুল্লাহ সা: এরশাদ করেনÑ ‘আমার উম্মতের মধ্যে কিয়ামত দিবসে ওই ব্যক্তি বেশি গরিব হবে, যিনি দুনিয়া থেকে, নামাজ, রোজা ও জাকাত আদায় করে (বিপুল পরিমাণ সাওয়াব নিয়ে) আসবে। আর সাথে ওই সব বিষয়ের লোকদের নিয়ে আসবে, সে যাকে গালি দিয়েছে, মিথ্যা অপবাদ রটিয়েছে, অন্যায়ভাবে কারো সম্পদ খেয়েছে, কাউকে হত্যা করেছে, কারো ইজ্জত সম্মান ও অধিকার নষ্ট করেছে এবং কাউকে প্রহার করেছে। কিয়ামতে এমন ব্যক্তিদের তার (নামাজ রোজা ও জাকাতের) নেক আমলগুলো দিয়ে দেয়া হবে। যখন নেক আমলগুলো দিতে দিতে শেষ হয়ে যাবে, তখন অত্যাচারিত বা পাওনাদারের পাপগুলো এনে তার ওপর ঢেলে দেয়া হবে। অতঃপর অত্যাচারীকে দোজখে নিক্ষেপ করা হবে’ (মুসলিম শরিফ)।

হজরত আবু যার জুনদুব ইবনে জুনাদা রা: থেকে বর্ণিত, নবী করিম সা: এরশাদ করেছেনÑ ‘আল্লাহপাক বলেন, হে আমার বান্দারা, আমি জুলুম করা নিজের জন্য হারাম করেছি এবং তোমাদের পরস্পরের জন্যও তা হারাম করে দিয়েছি। সুতরাং তোমরা একে অপরকে জুলুম করো না। আমি তোমাদের সব আমল সংরক্ষণ করে রাখি’ (হাদিসে কুদসি)। আল্লার রাসূল সা: আরো এরশাদ করেনÑ ‘আল্লাহতায়ালা বলেন, জালিমদের বলে দাও, তারা যেন আমাকে স্মরণ না করে। কেননা যে আমাকে স্মরণ করে, আমিও তাকে স্মরণ করি এবং তাদের (জালিম) আমার স্মরণ করা হলো এই, আমি তাদের লানত করি’ (হাদিসে কুদসি)।

মহান আল্লাহপাক আরো বলেন, ‘আমার ইজ্জত ও মাহাত্ম্যের কসম, আমি অবশ্যই জালিমদের কাছ থেকে দুনিয়া ও আখিরাতে প্রতিশোধ নেবো এবং আমি অবশ্যই প্রতিশোধ নেবো সে ব্যক্তির কাছ থেকে, যিনি কোনো মজলুমকে দেখল এবং তাকে সাহায্য করতে সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও তা করল না’ (হাদিসে কুদসি)।

অপর দিকে, হাসিদে কুদসিতে বর্ণিত হজরত মূসা আ: বলেন, ‘হে আমার প্রতিপালক, আপনার কাছে কোন বান্দাহ বেশি মর্যাদাবান?’ তিনি বললেন, ‘যে ক্ষমতাশালী হয়েও ক্ষমা বা মাফ করে দেয়।’ মাফ করাটা মহান আল্লাহপাকের কুদরতির নির্দেশন, নবী রাসূলদের সুন্নত, রাসূল আল্লাহওয়ালা বান্দাদের ভূষণ। তা ছাড়া কোনো মজলুমের দোয়া আল্লাহপাক ফিরিয়ে দেন না, মজলুম বান্দা যখন আল্লাহপাকের দরবারে আবেগে-আপ্লুত হয়ে আন্তরিকতার সাথে কাকুতি-মিনতিসহকারে দোয়া করে, তখন আল্লাহ তায়ালা সেই দোয়া অবশ্যই কবুল করে নেন। সে যদিও কাফের, ফাজের বান্দা হয়। রাসূলে পাক সা: এরশাদ করেছেন- ‘তোমরা মজলুমের বদ দোয়া থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখবে। কারণ মজলুমের দোয়া এবং আল্লাহ পাকের মধ্যে কোনো পর্দা থাকে না।’

বিষয়: বিবিধ

১০০৩ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

370952
০৪ জুন ২০১৬ দুপুর ০৩:১৩
বিবর্ন সন্ধা লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম

মহান আল্লাহ
জালেমদের কে হেদায়েত দিন
ও আমাদেরকে জালেম হওয়া থেকে
হেফাফত করুন, আমিন
371013
০৫ জুন ২০১৬ রাত ০২:৪৭
awlad লিখেছেন : Aameen
371235
০৭ জুন ২০১৬ সকাল ১১:৩৫
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : আগামী কাল আয়োজনে আপনার একটা লেখা দেওয়ার কথা, মনে আছেতো?

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File