জনকও বটে মহামতি(!) আকবর।
লিখেছেন লিখেছেন শিকদার হোসেন ১১ এপ্রিল, ২০১৬, ০৯:৪৬:৪৬ সকাল
বাংলা সনের জনক "আকবর" দ্যা গ্রেট অমানুষ বাংলা সাল ছাড়াও বেশ কিছু নতুন জগাখিচুরি প্রথার প্রচলন করেছিল।সে এক নতুন ধর্ম সৃষ্টি করেছিল, যার নাম "দ্বীন-ই-ইলাহী"।প্রকৃতপক্ষে মাহামতি(!) আকবর ইসলামের বিনাশ সাধনেরর জন্যই এই জগাখিচুরি মার্কা নতুন ধর্ম সৃষ্টি করেছিল। ইসলামে আল্লাহ্ ব্যাতিত অন্য কাউকে উপাস্য স্বীকার করলে সে মুসলমানই না, কিন্তু মহামতি সূর্যকে উপসনার আদেশ দিয়েছিলেন এবং নিজেও সূর্যের উপাসনা করতেন।তিনি নতুন কালেমাও চালু করেছিলেন, তার কালেমা ছিল " লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু আকবর খলীফাতুল্লাহ"। আকবরের নতুন ধর্মে মদ, জুয়া ও সুদকে বৈধ বলে ঘোষণা করা হয়।শুধু তাই নয় জুয়া খেলার জন্য পৃথক অট্টালিকা ও ঋণের ব্যবস্থাও করেছিলেন এই ফাউল লোকটা।ইসলামে দাড়ি রাখা ওয়াজিব।আকবর আইন করল যে দাড়ি মুন্ডন বৈধ এবং তার মায়ের মৃত্যুর পর সে নিজেও দাড়ি মুন্ডন করেছিল।ইসলামে ফরজ "পর্দা" করাকে তিনি একেবারে রহিত করেন।তার ধর্মে গরু, মহিষ, উট খাওয়া নিষিদ্ধ ছিল কিন্তু বাঘ,ভাল্লুক,সিংহ খাওয়া যায়েজ ছিল। কুকুর,শূকরকে পবিত্র প্রাণী বলে ঘোষণা করা হয়। আজান,জামাআতে নামাজ ও হজ্জ পালন আইন করে নিষিদ্ধ করা হয়।আকবর মুসলমানদের সালাম দেওয়ার প্রথা বিলোপ করে তার পরিবর্তে "আল্লাহু আকবর" এবং উত্তরে "জাল্লা জালালুহু" বলা নিয়ম চালু করেছিলেন।এবারে হিন্দুরা আকবরের কাছে অভিযোগ করল "আল্লাহ" শব্দটা হিন্দুবিরোধী অতএব ওটাকেও তুলে দিন।আকবর সাহেব তাই-ই করলেন আর সারা দেশে ঘোষণা করে দিলেন -আজ থেকে সালাম বা আল্লাহর পরিবর্তে "আদাব" শব্দ ব্যবহার করতে হবে।ঈশায়ী ও হিজরী সাল যথাক্রমে হযরত ঈশা (আঃ) এবং হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর সাথে সম্পর্কযুক্ত। তাই হিন্দু প্রজাগণ আকবরের কাছে নিবেদন করল 'আমরা ভরতবর্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠ, আমাদের জন্য পৃথক সালের ব্যবস্থা করা হোক'।তাই করা হলো, পৃথক সালের নাম রাখা হলো "ইলাহী" বছর। আর এই "ইলাহী" বছরের পরবর্তী সংস্করণ হচ্ছে আমাদের অসাম্প্রদায়িক চেতনার সাম্প্রদায়িক বাংলা সন।আর রেশমা মার্কা ইতিহাসে আমাদের গেলানো হচ্ছে আকবর নাকি খাজনা আদায়ের সুবিধার্থে বাংলা সন চালু করেছিল।যে সাল-ই শুধুমাত্র সাম্প্রদায়িকতার ভিত্তিতে আকবর হিন্দুদের জন্য পৃথকভাবে চালু করেছিল, এখন নাকি তা অসাম্প্রদায়িক চেতনা বহন করে তাও নাকি আবার হাজার বছরের।বড় অদ্ভুদ এই কথিত সুশীল বাঙালী সমাজ। আসলে এদের উদ্দেশ্য আর আকবরের উদ্দেশ্য একই 'ইসলামের বিনাশ সাধন'। আর যার ফলশ্রুতিতে প্রতি বছর ঘটা করে সারা দেশে 'পহেলা বৈশাখ' নামে ঈমান নষ্ট করার যে অনুষ্ঠান পালন করা হয় তা হিন্দু চেতনার ইসলাম বিদ্বেষী মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ ছাড়া আর কিছুই নয়।আর সরলমনা মুসলিম যুবক-যুবতীরা এই ফাঁদে পা দিয়ে নিজের দুনিয়া-আখিরাত উভয়ই নষ্ট করছে।এখনও সময় আছে এসব বিজাতীয় সংস্কৃতি থেকে ফিরে এসে, আল্লাহর হুকুম আর নবী (সাঃ) এর সুন্নত তরীকা অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করা তাহলে দুনিয়াতেও শান্তি আখিরাতেও শান্তি।
তথ্য সূত্র: চেপে রাখা ইতিহাস- গোলাম আহমাদ মোর্তজা পৃ. ১৬০, ১৬১ ও ১৬২।
বিষয়: বিবিধ
৯৪৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন