ইউরোপীয় ইউনিয়নে ভাঙ্গনের সুর ?

লিখেছেন লিখেছেন সৈয়দ মাসুদ ২৮ জুন, ২০১৬, ১০:২৬:১০ সকাল



ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ছাড়ার পক্ষে যুক্তরাজ্যের জনগণ ভোট দেয়ার পর ইইউতে ভাঙ্গনের সুর পরিলক্ষিত হচ্ছেই বলে মনে হচ্ছে। আরও কয়েকটি দেশ ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছাড়ার পক্ষে জোড়ালো বক্তব্য রাখতে শুরু করেছে । গত ২৩জুন অনুষ্ঠিত গণভোটে ইইউ ছাড়ার পক্ষে ভোট পড়েছে ৫২ শতাংশ এবং থাকার পক্ষে পড়েছে ৪৮ শতাংশ ভোট। ফলে ৪৩ বছর পর ব্রিটেন ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ছাড়তে যাচ্ছে। লন্ডন ও স্কটল্যান্ড জোরালোভাবে ইইউতে থাকার পক্ষে থাকলেও অন্যান্য স্থানের ভোট ফলাফল নির্ধারণ করে দেয়। ইইউ ছাড়ার পক্ষ জয়ী হয়ে জানিয়েছে, এটা হলো স্বাধীনতা দিবস।

ইইউতে থাকা, না থাকা নিয়ে দুইভাগে বিভক্ত ছিল ব্রিটিশ রাজনীতিবিদরাও। দেশটির বর্তমান ক্ষমতাসীন দল কনজারভেটিভ পার্টি ইইউতে থাকার পক্ষেই ছিল। দলের পক্ষে জোর প্রচারণা চালিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরনও। তবে কোনো কিছুতেই কাজ হয়নি। ইতিমধ্যে পদত্যাগের ঘোষণাও দিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। কোন কারণে জিতে গেল ইইউ ছাড়ার পক্ষের দল- এ নিয়ে তুলে ধরা হলো একটি বিশ্লেষণ।

অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা

ইইউ ছাড়লে ব্রিটিশরা দিন দিন গরিব হয়ে যাবে- এমন প্রচারণায় আগে থেকেই কানভারী করে রাখা হয়েছিল জনগণের। আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল (আইএমএফ) ছাড়াও সিবিআই, ওইসিডি এবং আইএফস’র মতো সংগঠনগুলো এবং বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ একথাও বলেছেন, ইইউর বাইরে থাকলে ব্রিটেনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাধাপ্রাপ্ত হবে, বেকারত্ব বেড়ে যাবে, পাউন্ডের পতন ঘটবে এবং ব্রিটেনের ব্যবসা বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

এই সব কিছুর পরেও ব্রিটেনের জনগণ ইইউ ছাড়ার পক্ষেই রায় দিয়েছে। কারো পরামর্শই শোনেনি ব্রিটিশরা। এটা ছিল প্রতিষ্ঠিত ব্যবস্থার বিরুদ্দে তাদের একটি বিদ্রোহ। যুক্তরাজ্যের বেশিরভাগ মানুষই মনে করেছে, ইইউর সঙ্গে দীর্ঘ পাঁচ দশক থেকে পিছিয়ে পড়েছে তারা। এছাড়া আর্থিক সুবিধাও ছিল তাদের ধরাছোঁয়ার বাইরে।

স্বাস্থ্যখাতের ব্যয়

ইইউ ছাড়লে ব্রিটেনের বেঁচে যাওয়া খরচ থেকে জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা (এনএইচএস) খাতে প্রতি সপ্তাহে অতিরিক্ত ব্যয় করা যাবে ৩৫০ মিলিয়ন পাউন্ড- এমন প্রচারণাও প্রভাবিত করেছে ব্রিটিশদের। এটা একটা সার্বজনীন রাজনৈতিক স্লোগানে পরিণত হয়েছিল। বিভিন্ন বয়স এবং রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির লোকেরা এতে আকৃষ্ট হয়েছে। বেশিরভাগ ব্রিটিশ মনে করে ইইউতে তাদের যে পরিমাণ খরচ হয় তা যুক্তরাজ্যের আভ্যন্তরীণ কাজে খরচ করাটাই বরং বেশি ফলপ্রসূ হবে।

অভিবাসন ইস্যুতে নাইজেল ফ্যারাগের প্রচারণা

ইইউ ছাড়ার পক্ষে জনগণকে ভোট দিতে অভিবাসন ইস্যুতে নাইজেল ফ্যারাগের প্রচারণা বেশ কাজে লেগেছে। এটা নিম্ন আয়ের ভোটারদের বেশি প্রভাবিত করেছে। ফ্যারাগে আগে থেকেই বলে এসেছেন, সরকারি লক্ষ্যমাত্রা অনুসারে, ব্রিটেনে অভিবাসীর সংখ্যা এক লাখের নিচে রাখতে হলে ইইউ ছাড়তে হবে। জাতীয় এবং সাংস্কৃতিক পরিচয়ের প্রশ্নটিও জড়িত ছিল এখানে। এক জরিপের ফলাফলে দেখা যায়, গত ১০ বছরে যুক্তরাজ্যে অভিবাসীর সংখ্যা, সমাজে তাদের প্রভাব এবং এতে আগামী ২০ বছরে যা ঘটতে পারে- এ নিয়ে ব্রিটিশদের উদ্বেগের চেয়ে প্রকৃত অবস্থা আরো কঠিন ছিল।

প্রধানমন্ত্রী জনগণকে প্রভাবিত করতে পারেন নি

গত ১০ বছরে দুটি জাতীয় নির্বাচন এবং দুটি রেফারেন্ডামে জিতে গেলেও এবার আর ভাগ্য সহায়ক ছিল না ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের। ইইউতে থাকার প্রচারণার মধ্যমণি ছিলেন তিনি। এ ব্যাপারে সিদ্ধান্তও নিয়েছেন ক্যামেরন। নিজের বিভিন্ন পদক্ষেপ সত্ত্বেও দলের ভেতরেও ইইউতে থাকা, না থাকা নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিল। এ কারণেই হয়তো বেশিরভাগ ভোটারকে নিজের দিকে টানতে পারেননি ক্যামেরন।

ভোটারদের পক্ষে টানতে লেবার পার্টির ব্যর্থতা

গণভোটের রায়কে নিজেদের পক্ষে নিতে ইইউতে থাকার সমর্থক শিবিরের দরকার ছিল লেবার পার্টির ভোটরদের। কিন্তু দূর্ভাগ্যজনকভাবে তারা নিজেদের ভোটরদের প্রয়োজনীয়তা বুঝতে ব্যর্থ হয়েছে। অথচ লেবার পার্টির ৯০ ভাগ সংসদ সদস্যই ইইউতে থাকার পক্ষে ছিলেন। এমনকি প্রচারণার সময় যখন তারা এ নিয়ে সমস্যা অনুভব করেছেন তখনও তারা কিছু করতে ব্যর্থ হয়েছেন।

বরিস জনসন ও মাইকেল গভ ইস্যু

ব্রিটিশ মন্ত্রীসভার একটা অংশ আগে থেকেই ইইউ ছাড়ার পক্ষে ছিল। তবে সেই দলে যখন বরিস জনসন এবং মাইকেল গভের মতো হেভিওয়েটরা যুক্ত হয় তখন তা ভিন্ন দিকে মোড় নিতে বাধ্য। একদিকে বিচারমন্ত্রী মাইকেল গভ ইইউ ছাড়ার পক্ষে বিভিন্ন বুদ্ধিবৃত্তিক প্রচারণা এবং কৌশল তুলে ধরছিলেন। অপরদিকে লন্ডনের সাবেক মেয়র বরিস জনসন এ নিয়ে পায়ে হেঁটে বিভিন্ন জায়গায় প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেলেন।

বয়োজ্যেষ্ঠ ভোটারদের ভূমিকা

যুক্তরাজ্যের দক্ষিণাঞ্চল, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল, মধ্যাঞ্চল এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বয়োজ্যেষ্ঠ ভোটাররা তাদের ভোট দিয়েছেন ইইউতে থাকার পক্ষে। যুক্তরাজ্যের ২০১৫ সালের নির্বাচনেও দেখা যায়, ৬৫ বা বেশি বয়সী ৭৮ ভাগ লোকই তখন ভোট দিয়েছেন। বিপরীতে ১৮ থেকে ২৪ বছর বয়সী ভোটররা ভোট দিয়েছে ৪৩ ভাগ। আর ২৫ থেকে ৩৪ বছর বয়সীরা ভোট দিয়েছে ৫৪ ভাগ।

ইউরোপ-যুক্তরাজ্য সম্পর্ক

ইউরোপের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের সম্পর্ক কখনোই স্বাভাবিক ছিল না। ছিল না স্থিতিশীলও। এর আগেও ইউরোপীয় কমিউনিটি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সময় সংস্থাটিতে যোগ দিতে কয়েক বছর সময় নিয়েছিল যুক্তরাজ্য। এমনকি ১৯৭৫ সালে যুক্তরাজ্য যখন যোগ দেয় সামান্য কিছু অর্থনৈতিক সুবিধার কথা ভেবেই অনেকে এটা সমর্থন দেয়। অনেকে অনিচ্ছাকৃতভাবে সমর্থন দিয়েছিল।

এদের একটি বড় অংশই তাদের মন পরিবর্তন করে ফেলেছেন। ইউরোপের অনেক রাজনীতিবিদ এবং গণমাধ্যমই যুক্তরাজ্যের ইইউতে থাকা সমর্থন করেনি। তরুনদের ইইউতে থাকার পক্ষে মনে হলেও শেষ পর্যন্ত তারা জিততে পারেনি। সব মিলিয়ে, নিজেদের জাতীয় পরিচয় এবং এর সঙ্গে জড়িত অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ভবিষ্যতের কথা ভেবেই ইইউ ছাড়ার পক্ষে রায় দিয়েছে বেশিরভাগ ব্রিটিশ।

এদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেন বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর ইউরোপের রাজনীতি ও ঐক্যে ফাটল ধরেছে বলেই মনে হচ্ছে। ইইউ নেতারা ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়াকে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখছেন না। তারা দ্রুত ইইউ থেকে সরিয়ে যেতে ব্রিটেনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

মূলত প্রতিষ্ঠার ৬০ বছরেরও বেশি সময় পর এই প্রথম কোনো দেশ ইইউ ত্যাগ করলো। তবে, ইইউ থেকে ব্রিটেনের প্রস্থানের পর আরো আট দেশ বেরিয়ে যেতে পারে বলে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। এ তালিকায় সবার ওপরে রয়েছে অস্ট্রিয়া। দেশটির নিম্নকক্ষের তৃতীয় প্রেসিডেন্ট ও ফ্রিডম পার্টির সাবেক সভাপতি প্রার্থী নর্বার্ট হোফার ব্রেক্সিটের প্রতি নিজের সমর্থনের কথা জানিয়েছেন এক টুইট বার্তায়।

শুধু তাই নয়; নর্বার্ট হোফার বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নে তার দেশ স্বাধীনভাবে কাজ করবে। দেশটির জাতীয় পরিষদের তৃতীয় এই প্রেসিডেন্টকে অনেকেই অস্ট্রিয়ার ‘ডোনাল্ড ট্রাম্প’ হিসেবে উল্লেখ করে থাকেন। এছাড়া অনেকেই হোফারকে নিও নাৎসিপন্থী হিসেবেও মনে করেন।

ব্রিটেনের পথে হাঁটতে পারে বেলজিয়ামও। দেশটির ২৯ বছর বয়সী ডানপন্থী ফ্লেমিশ ন্যাশনালিস্ট পার্টির কাউন্সিলর ও চেয়ারম্যান টম ভ্যান গ্রাইকেন অভিবাসনবিরোধী প্লাটফর্মে প্রচারণা চালিয়ে আসছেন। তিনি এবং তার দল বলছে, ইইউ যদি তাদের অভিবাসনবিরোধী বার্তা শুনতে ব্যর্থ হয়, তাহলে তারা ফ্লেক্সিট অথবা ফ্লেমিস্ট এক্সিট চাইতে পারেন।

ডেনমার্কের ড্যানিস পিপলস পার্টির (ডিপিপি) নেতা ক্রিশ্চিয়ান থালেসেন দাহল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেয়া এক পোস্টে ইইউ থেকে সরে যাওয়ার জন্য ব্রিটেনকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ব্রিটেনের কাছে থেকে ইইউ অনেক গ্রহণ করেছে এবং এখন তার মূল্য দিচ্ছে। ডিপিপি ইইউর বোরধিতা করছে উল্লেখ করে তিনি লিখেছেন, সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে ডেনমার্ক কখনো আত্মসমর্পন করবে না।

ফ্রান্সের ন্যাশনাল ফ্রন্টের প্রেসিডেন্ট ও ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্য ম্যারিন লি পেন ব্রেক্সিটের প্রতি নিজের সমর্থন প্রকাশ করেছেন। একই সঙ্গে ইইউতে ফ্রান্সের সদস্যপদের বিষয়ে ব্রিটেনের ন্যায় গণভোটের আহ্বান জানিয়েছেন। মতামত জরিপে দেখা যাচ্ছে, ইইউর ওপর ব্রিটেনের চেয়ে ফ্রান্সের নাগরিকদের মাঝে বেশি অসন্তুষ্টি রয়েছে।

জার্মানির অলটারনেটিভ ফর জার্মানি পার্টির চেয়ারম্যান ফ্রক পেট্রি শুক্রবার এক টুইট বার্তায় বলেছেন, নতুন ইউরোপের জন্য উপযুক্ত সময়। ব্রেক্সিটের পর ইউরোপীয় ইউনিয়নকে সতর্ক করে দিয়ে তিনি বলেন, পরিবর্তন না হলে সার্বভৌমত্ব পুনরুদ্ধারে আরো অনেক দেশই ব্রিটেনের পথে হাঁটবে। আগামী বছর তার দল দেশটির পার্লামেন্ট নির্বাচনে ব্যাপক ব্যাবধানে জয়ী হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ও দেশটির ন্যাশনাল কনজারভেটিভ ফিডেসজ পার্টির প্রধান ভিক্টর অরবান গত বছর শরণার্থীদের স্রোত ঠেকাতে সীমান্ত এলাকা বন্ধ করে দিয়েছিলেন। অভিবাসন ইস্যুতেও ব্রিটেনে একই ধরনের প্রশ্ন ছিল। অর্বান রেডিও সাক্ষাত্কারে বলেন, অভিবাসন ইস্যুতে ইইউ শক্তিশালী নাকি দুর্বল শুধুমাত্র এর তাৎপর্যপূর্ণ জবাবের মাধ্যমে ইউরোপ শক্তিশালী হতে পারে।

ইতালির ফাইভ স্টার ম্যুভমেন্টের প্রতিষ্ঠাতা ও কমেডিয়ান থেকে রাজনৈতিক তারকা পরিণত হওয়া বেপ্পে গ্রিল্লও চলতি মাসে রোমের প্রথম নারী মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। পুরনো রাজনীতিকদের ধাক্কা দিয়েছেন কমেডিয়ান থেকে রাজনীতিক বনে যাওয়া এই নেতা। তিনিও ইইউর প্রতি তার বিরক্তির কথা প্রকাশ করেছেন।

নেদারল্যান্ডের ডাচ পার্টি ফর ফ্রিডমের প্রতিষ্ঠাতা গিয়ার্ট উইল্ডার্স ইইউ ত্যাগের জন্য ব্রিটেনের সাহসী পদক্ষেপের প্রশংসা করেছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে দেওয়া এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘সাবাস ব্রিটিশ! এখন আমাদের পালা। সময় এখন ডাচ গণভোটের’! উল্লেখ্য, ইইউ থেকে বেরিয়ে যেতে সাম্প্রতিক গণভোটে ৫২ শতাংশ ব্রিটিশ ব্রেক্সিটের পক্ষে ভোট দিয়েছেন, বিপক্ষে ৪৮ শতাংশ।

মূলত যুক্তরাজ্যের গণভোটের রায়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ত্যাগের সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর ইউরোপীয় ইউনিয়নে দৃশ্যত অচলবস্থার সৃষ্টি হয়েছি। ইইউ ত্যাগের জন্য ৮টি দেশ ইউনিয়ন ত্যাগের জন্য সক্রিয়ভাবে চিন্তাভাবনা শুরু করেছে। সর্বোপরি তুরস্কও বিষয়টি নিয়ে নতুন করে ভাবতে শুরু করেছে। প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেত এরদোগানও বিষয়ে নিয়ে তার দেশে গণভোটের আভাস দিয়েছেন। ফলে ইউরোপীয় ইউনিয়নে এখন ভাঙ্গনের সুর বেশ জোড়ালো। আর এর শেষটা দেখার জন্য বিশ্ববাসীকে আরও অপেক্ষা করতে হবে বৈকি!

বিষয়: বিবিধ

৮৩৮ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

373377
২৮ জুন ২০১৬ সকাল ১১:২৩
হতভাগা লিখেছেন : আহ্‌! এরকম করে যদি আমেরিকা আর ভারত ভেঙ্গে যেত !
২৮ জুন ২০১৬ দুপুর ০২:৪৭
309939
কুয়েত থেকে লিখেছেন : ভেঙ্গে যেতেও পারে..! সময়ের ব্যপার মাত্র।
373378
২৮ জুন ২০১৬ দুপুর ১২:০৭
সৈয়দ মাসুদ লিখেছেন : ধন্যবাদ
373390
২৮ জুন ২০১৬ দুপুর ০২:৪২
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ইইউ গঠিত হয়েছিল মুলত অর্থনৈতিক জোট হিসাবে। কিন্তু বর্তমানে এর রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার অনেকের পছন্দ হচ্ছেনা।
২৮ জুন ২০১৬ দুপুর ০২:৫১
309940
সৈয়দ মাসুদ লিখেছেন : Thanks
373393
২৮ জুন ২০১৬ দুপুর ০২:৫০
কুয়েত থেকে লিখেছেন : যুক্তরাজ্যের গণভোটের রায়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ত্যাগের সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর ইউরোপীয় ইউনিয়নে দৃশ্যত অচলবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল। ভালো লাগলো অনেক অনেক ধন্যবাদ ।
373394
২৮ জুন ২০১৬ দুপুর ০২:৫২
সৈয়দ মাসুদ লিখেছেন : ধন্যবাদ

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File