হিলারি কী ইতিহাসের অংশ হচ্ছেন ?

লিখেছেন লিখেছেন সৈয়দ মাসুদ ১০ জুন, ২০১৬, ০৯:৫২:২৩ সকাল



মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থিতা বাছাইয়ের দৌড়ে ডেমোক্র্যাট দলের মনোনয়ন প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেছেন সাবেক ফার্ষ্ট লেডি হিলারি ক্লিনটনের। মূলত তিনি তার দীর্ঘ লড়াইয় প্রার্থীতা নিশ্চিত করার মাধ্যমে ইতিহাস গড়তে যাচ্ছেন বলেই মনে হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের ২৪০ বছরের ইতিহাসে এর আগে কোনও বৃহৎ মার্কিন দলের নারী প্রেসিডেন্ট প্রার্থী নির্বাচিত হয়নি। তাই মনে করা হচ্ছে হিলারিই অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করতে যাচ্ছেন।

সাবেক ফার্ষ্ট লেডি হিলারী ক্লিনটন বার্নি স্যান্ডার্সকে পেছনে ফেলে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির মনোনয়ন নিশ্চিত করেছেন বলে জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম এপি। গত ৬ জুন এপি জানায়, সুপার ডেলিগেটদের বিপুল সমর্থনে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ২ হাজার ৩৮৩ ডেলিগেটের সমর্থন পেয়ে গেছেন হিলারি। তবে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির পক্ষ থেকে এখনও মনোনয়ন নিশ্চিত করা হয়নি। এর আগে ২০০৮ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রার্থিতা বাছাইয়ে হিলারির প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। তখন এই সাবেক ফার্স্ট লেডি জোর প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুললেও শেষ পর্যন্ত তিনি প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন। আর এজন্য হিলারি ক্লিনটনকে বারাক ওবামার ২ মেয়াদ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে।

উল্লেখ্য, ১৮৭২ সালে প্রথমবারের মতো কোনও নারী প্রার্থী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়েছিলেন। কিন্তু তখনও পর্যন্ত নারীদের ভোটাধিকার ছিল না। ১৯২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নারীরা ভোটাধিকার পায়। ওই নারী প্রার্থী একটিও ইলেকটোরাল ভোট পাননি।

যুক্তরাষ্ট্রের ২৪০ বছরের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত যে চল্লিশজন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন, তাদের সবাই ছিলেন পুরুষ। এমনকি মার্কিন দ্বিদলীয় নির্বাচনী ব্যবস্থায় কোনও দলই নারীদের প্রার্থী হিসেবে বাছাই করেনি। আর তাই প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত না হলেও ইতিহাসের হাতছানি রয়েছে হিলারির সামনে।

এপি-র প্রতিবেদন প্রকাশের পর ক্যালিফোর্নিয়ায় এক নির্বাচনী সমাবেশে হিলারি বলেন, ‘খবর অনুসারে, আমরা এক ঐতিহাসিক মুহূর্তের মুখোমুখি। তবে আমাদের এখনও অনেক কাজ করতে হবে, তাই নয় কি? কাল আমাদের ছয়টি নির্বাচন রয়েছে, আর আমরা প্রতিটা ভোটের জন্য জোরদার লড়াই করব।’

হিলারি ডেমোক্র্যাটিক পার্টির মনোনয়ন পেলে তিনি হবেন কোনও বৃহৎ মার্কিন দলের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট প্রার্থী। হিলারির ১ হাজার ৮১২ জন ডেলিগেটের সমর্থন রয়েছে। এপি-র তথ্যমতে, সেই সঙ্গে যোগ হয়েছে ৫৭১ জন সুপার ডেলিগেটের সমর্থন।

তবে প্রতিদ্বন্দ্বী বার্নি স্যান্ডার্স শিবির শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। তারা বলছেন, জুলাইয়ে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির জাতীয় কনভেনশনেই কেবল সুপার ডেলিগেটরা তাদের ভোট নিশ্চিত করতে পারবেন। এর আগে এভাবে সুপার ডেলিগেটদের ভোট গণনা করাটা অন্যায় বলে জানান তারা।

এক বিবৃতিতে স্যান্ডার্স শিবির জানিয়েছে, ‘কনভেনশন পর্যন্ত আমাদের কাজ হলো, সুপার ডেলিগেটদের উপলব্ধি করানো যে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য বার্নিই সবচেয়ে শক্তিশালী প্রার্থী।’ বার্নি স্যান্ডার্সের পক্ষে আছেন ১ হাজার ৫২১ জন ডেলিগেট। তবে সুপার ডেলিগেটদের মধ্যে তিনি মাত্র ৪৮ জনের সমর্থন পাবেন বলে মনে করা হচ্ছে।

সার্বিক দিক বিবেচনায়, যুক্তরাষ্ট্রের আগামী প্রেসিডেন্ট হবেন ডেমোক্রেট হিলারি ক্লিনটন। তিনিই জানুয়ারিতে শপথ নিয়ে প্রবেশ করবেন হোয়াইট হাউজে এমনটিই মনে করছেন তত্ত্বাভিজ্ঞমহল। বার্নি স্যান্ডার্স নন, হিলারিই রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হারাতে পারবেন। ডেমোক্রেট দলের প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনকে সমর্থন দিয়ে এ কথা বলেছেন ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর জেরি ব্রাউন। হিলারির সংগ্রহে এখন ২৩৮৩ টি ডেলিগেট। ফলে হিলারীর দলীয় মনোনয়নের বিষয়টি প্রায় নিশ্চিত হয়ে গেল। এখন শুধু কিছু আনুষ্ঠানিকতা বাকি মাত্র। এর আগে তাকে সমর্থন দিয়েছেন ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর জেরি ব্রাউন। তিনি বলেছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভয়াবহ প্রার্থিতা থামাতে একমাত্র পথ হলো ক্লিনটনকে ভোট দেয়া। তিনি বলেছেন, ভারমন্টের সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স যদি কোন দুর্বিপাকে মনোনয়ন পেয়ে যান তাহলে তার চূড়ান্ত নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার সুযোগ নেই। তাই ক্যালিফোর্নিয়ার নির্বাচনকে সামনে রেখে তিনি হিলারিকে সমর্থন দিলেন।

এতে স্পষ্টতই বার্নি স্যান্ডার্সের লাগামে টান পড়েছেল বলে মনে করা হয়েছিল। যার প্রভাব পড়েছে ৭ জুনের প্রাইমারীতে। এর আগে জেরি ব্রাউন তার ওয়েবসাইটে লিখেছেন, হিলারি ক্লিনটনের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা আছে। বিশেষ করে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেছেন। তাই তিনি নির্বাচনী ইস্যুতে ভাল করবেন এবং দিনের পর দিন তিনি আমাদের দেশের নেতৃত্ব দেয়ার জন্য প্রস্তুতি নেবেন। আগামী জানুয়ারিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প নন, হিলারি ক্লিনটনকে আমি নিশ্চিতভাবে শপথ নিতে দেখতে চাই। এখনও বার্নি স্যান্ডার্স প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। এতে আমি গভীরভাবে অভিভূত। তবে হিলারি জানেন কিভাবে ডেমোক্রেটিক এজেন্ডাকে সামনে এগিয়ে নিতে হবে। এদিকে ব্রাউন বলেন, তিনি হিলারির পক্ষে নিজের ভোটটি দিতে মনস্থির করেছেন। কারণ, ট্রাম্পকে ঠেকানোর এটাই একমাত্র পথ।

ব্রাউনের ভাষ্য, হিলারি বাছাইপর্বে ইতিমধ্যে জয়লাভ করেছেন। এখন সময় এসেছে ট্রাম্পকে পরাজিত করার ব্যাপারে মনোযোগ দেয়ার। নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ¦ জিইয়ে রাখার সময় এটি নয়। ব্রাউনের এই সমর্থন, তা যতই উত্তাপহীন হোক না কেন, হিলারির জন্য তা মূল্যবান প্রমাণিত হতে পারে। গত কয়েক সপ্তাহে স্যান্ডার্স হিলারির সঙ্গে তার ব্যবধান কমিয়ে এনেছেন। কোনো কোনো জনমত জরিপে স্যান্ডার্স এগিয়ে ছিলেন। এই অবস্থায় প্রগতিশীল ও বহিরাগত ব্যক্তিদের মধ্যে অত্যন্ত জনপ্রিয় ব্রাউনের এই সমর্থন হিলারি শিবিরকে উৎফুল্ল করেছিল। ব্রাউন এক চিঠিতে হিলারির প্রতি তাঁর সমর্থন ব্যক্ত করেছেন। সেই চিঠির কপি হিলারির ক্যাম্পেইন কমিটি দ্রুত বিভিন্ন তথ্য মাধ্যমের কাছে বিলি করেন।

হিলারির প্রতি ব্রাউনের এই সমর্থন কিছুটা বিস্ময়ের সৃষ্টি করেছে। ১৯৯২ সালে তিনি ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবে বাছাই পর্যায়ে হিলারির স্বামী বিল ক্লিনটনের কাছে পরাজিত হয়েছিলেন। সে সময় তাঁদের দুজনের মধ্যে যে তিক্ততা সৃষ্টি হয়, তা বহুদিন টিকে ছিল। বিল ক্লিনটনের অনুরোধে কিছুদিন আগে সাবেক দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে সাক্ষাৎ হয়। এ থেকে ভাবা হচ্ছে, তাঁরা নিজেদের বৈরিতা মিটিয়ে ফেলতে সক্ষম হয়েছেন।

হিলারির প্রতি সমর্থনসূচক বিবৃতি দিলেও স্যান্ডার্সেরও প্রশংসা করেছেন ব্রাউন। এক বিবৃতিতে ব্রাউন বলেন, অব্যাহত অর্থনৈতিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে স্যান্ডার্স যে প্রচারাভিযান পরিচালনা করেছেন, তা তাঁকে মুগ্ধ করেছে। তিনি এ কথা বোঝাতে সক্ষম হয়েছেন, দেশের ১ শতাংশ মানুষের হাতে অস্বাভাবিক রকম সম্পদ জমা হয়েছে। ফলে দেশের অধিকাংশ মানুষ ক্রমে পিছিয়ে পড়ছে।

এদিকে ট্রাম্প ইউনিভার্সিটি নিয়ে প্রতারণার অভিযোগে রিপাবলিকান দলের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের কঠোর সমালোচনা করেছেন নিউইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল এরিক স্নাইডারম্যান। ট্রাম্প ইউনিভার্সিটির ‘ট্রেড সিক্রেট’ জনসমক্ষে প্রকাশ না করার পক্ষে ট্রাম্পের আইনজীবীরা যে অনুরোধ করেছেন, তা প্রত্যাখ্যান করেছেন স্নাইডারম্যান। তিনি বলেন, তিন পাত্তির জুয়া খেলার গোপন নিয়মকানুন সংরক্ষণের পক্ষে কোনো যুক্তি থাকতে পারে না।

স্নাইডারম্যান বলেন, উচ্চশিক্ষার নামে ট্রাম্প বিশ্ববিদ্যালয়ে যা হয়েছে, তা হলো সপ্তাহান্তে তিন দিনের সেমিনারের আয়োজন, যার জন্য প্রত্যেক ছাত্রকে ১০ থেকে ২০ হাজার ডলার খরচ করতে হয়েছে। তিন দিনের এই সেমিনারে এখানে জমি কেনাবেচা বিষয়ে খুব বেশি কিছু জানা সম্ভব নয়। তথাকথিত ‘ট্রাম্প এলিট প্রোগ্রামের’ নামে সেখানে যা হয়েছে, তা হলো শিক্ষার্থীদের নানাভাবে প্রভাবিত করে তাদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা খসিয়ে নেওয়া।

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া একাধিক মামলার কথা উল্লেখ করে স্নাইডারম্যান বলেন, ট্রাম্প দাবি করছেন, আদালতে মামলা উঠলে তিনি সহজেই জিতবেন। অথচ তিনি যেভাবে পারেন, এসব মামলা আটকানো বা বিলম্বিত করার চেষ্টা করে চলছে।

কঠোর ভাষায় ট্রাম্পের সমালোচনা করে স্নাইডারম্যান বলেন, মামলার বিবরণ থেকে স্পষ্ট, ছাত্রদের মিথ্যা কথা বলে প্রতারণা করতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা করেননি তিনি। এটি একটি নির্লজ্জ ও হৃদয়বিদারক ঘটনা। তাঁদের আশা, নভেম্বরের নির্বাচনের আগেই এই প্রতারণার সব বিবরণ প্রকাশিত হবে। জনস্বার্থেই এর প্রকাশ দরকার। ট্রাম্প ও তাঁর আইনজীবীরা চেষ্টা চালাচ্ছেন, যাতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ওই মামলার শুনানি কোনো আদালতে শুরু না হয়।

জনমত জরিপেও রিপাবলিক দলীয় সম্ভাব্য প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প থেকে অনেক এগিয়ে রয়েছেন। প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে চালানো এক জরিপে রিপাবলিকান দলীয় সম্ভাব্য প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে পেছনে ফেলে ফের এগিয়ে গেছেন ডেমক্রেটিক দলীয় সম্ভাব্য প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন। বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও জরিপ সংস্থা ইপসোসের প্রকাশিত সর্বশেষ জরিপের ফলাফলে এ ধারণা প্রকাশ পেয়েছে। মে মাসে অল্প সময়ের জন্য হিলারিকে পেছনে ঠেলে দিয়ে জনমত জরিপে এগিয়ে গিয়েছিলেন ট্রাম্প।

মূলত ট্রাম্পের ঘোষিত নীতির বিরুদ্ধে হিলারির আক্রমণ শাণিত হওয়ার পরই জনসমর্থনে এই পরিবর্তন ঘটে। এছাড়া ট্রাম্পের নিজ নামে কথিত বিশ্ববিদ্যালয় ও সাবেক সেনাদের জন্য তোলা অর্থের বিতরণ নিয়ে সৃষ্ট সমালোচনাও ট্রাম্পকে পিছিয়ে দিয়েছে।

জরিপে সম্ভাব্য ভোটারদের মধ্যে ৪৬ শতাংশ জানিয়েছেন তারা হিলারিকে সমর্থন করবেন, অপরদিকে ৩৫ শতাংশ ট্রাম্পকে সমর্থন করবেন বলে জানিয়েছেন। দুজনের কাউকেই সমর্থন করবেন না বলে জানিয়েছেন ১৯ শতাংশ ভোটার। ৩০ মে থেকে ৩ জুন পর্যন্ত ১,৪২১ জন ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জরিপটি করা হয়।

মে মাসের মাঝামাঝি জনসমর্থনে হিলারিকে ছাড়িয়ে গিয়েছিলেন ট্রাম্প। এতে আসছে ৮ নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দ্ইু প্রার্থীর মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দিতা হবে বলে ধারণা বাড়ছিল। কিন্তু পক্ষকালের ব্যবধানে জনসমর্থন ফের হিলারির দিকে ঝুঁকে পড়তে শুরু করেছে বলে জরিপে আভাস পাওয়া গেছে। প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিটকে দিয়ে রিপাবলিকান দলের প্রেসিডেন্ট প্রাথী হতে প্রয়োজনীয় ডেলিগেট সমর্থন ট্রাম্প এরই মধ্যে জয় করে নিয়েছেন। আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে রিপাবলিকান দল থেকে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ঘোষণা করাই শুধু বাকি।

সম্প্রতি ক্যালিফোর্নিয়ায় এক নির্বাচনী প্রচারণায় পররাষ্ট্র নীতি নিয়ে কথা বলেন হিলারি। এতে ট্রাম্পের পররাষ্ট্র নীতির তীব্র সমালোচনা করে একে ‘বিপজ্জনকভাবে অসংলগ্ন’ বলে বর্ণনা করেন তিনি। প্রতিদ্বদন্দ্বী ট্রাম্পকে ‘ভয়জাগানিয়া হাস্যকর’ বলেও চিহ্নিত করেন তিনি।

মূলত প্রাইমারীর এক পর্যায়ে মনে করা হয়েছিল যে, হিলারি ক্লিনটন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন লাভ করতে সমর্থ হলেও চুড়ান্ত পর্যায়ে নির্বাচিত হওয়ার তার জন্য মোটেই সহজ হবে বরং রিপালিকানদের সম্ভাব্য প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প তার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলতে সক্ষম হবেন। কিন্তু রিপাবলিকানদের সম্ভাব্য প্রার্থীর বিভিন্ন বিতর্কিত মন্তব্য ও কর্মকান্ডের কারণে তিনি অনেকাংশেই মার্কিন জনগণের আস্থা হারিয়েছেন। ফলে মার্কিন জনগণের কাছে এখন আস্থাভাজন প্রার্থী সাবেক ফার্ষ্ট লেডি হিলারি রডহেম ক্লিনটন। আগামী দিনে তিনি হোসাইট হাউজের বাসিন্দা হচ্ছেন এটা প্রায় নিশ্চিতই মনে করছেন অভিজ্ঞমহল। অন্যথা হলেও যে তিনি ইতিহাসের অংশ হতে যাচ্ছেন এতে কোন সন্দেহ নেই।

বিষয়: বিবিধ

১০৪০ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

371602
১০ জুন ২০১৬ সকাল ১০:১১
হতভাগা লিখেছেন : হিলারী/ট্রাম্প/স্যান্ডার্স - কি লাভ হবে এতে বাংলাদেশের ? অবশিষ্ট দুনিয়াবাসীর ?
১০ জুন ২০১৬ দুপুর ০১:২৮
308371
ইরফান ভাই লিখেছেন : সহমত।ওদের যেই রাষ্ট্রপ্রধান হোক না কেন,তারা পররাষ্ট্রনীতি কোন পরিবর্তন করে না।
371617
১০ জুন ২০১৬ দুপুর ১২:২৩
সৈয়দ মাসুদ লিখেছেন : ধন্যবাদ

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File