**-^ পল্লী-শ্রম ^-** ........................... উত্সর্গ: রোজা রেখে জীবন সংগ্রামরত সকল মানব মানবীদের প্রতি ।

লিখেছেন লিখেছেন ক্রুসেড বিজেতা ২০ জুন, ২০১৬, ০৭:৫৯:২৮ সন্ধ্যা



পল্লী কবির আষাঢ় মাসে

মাহেশ্বরী গগন কোলে...

ভোরের সূর্য হুংকার তোলে;

লোক সভাগৃহে চিন্তা'র ছাপ-

-দিনটি যাবে কেমন আজ !

.

খেয়ালি স্রোতে গড়াচ্ছে বেলা,

বাড়ছে চন্দন সূর্যের তাপ ;

কৃষক,শ্রমিক,দিনমজুর বলে-

চৌঘাট,রাজপথ ঝাঁপসা দেখি...

-কি করি যে বলো বাপ ।



.

বাকরুদ্ধ পথিক,স্তব্ধ গতি

বলিবে কি সে .... !

সবিনয়ে কড়জোড়ে বলে-

- বিশ্রাম নিতে পারেন ।

.

কাহিল ভঙ্গি'র বিবর্ণ মুখে,

দিনমজুর চাচা কয়...

ঘরে মোর বিধবা ভাবী-

-সাথে ছেলেমেয়ে;

উপোস থাকিতে হয় বাপু

-কাজ না করিলে !!

.

ধৈর্য ধরুন,সংগ্রাম করুন

-চলন্ত পথিক কয় ;

জীবন মানে উথান পতন

শক্তি তে নয় ধৈর্যেই জয় ।

.

আগত অপরাহ্নের তেজোদীপ্ত বেলা,

গোধুলী'র অপেক্ষায় আকাশ;

আচমকা নামে অঝোর বৃষ্টি!

কার সৃজিত এই প্রাণবন্ত বাতাস ?



-------- 18/06/2016 at M,M

বিষয়: সাহিত্য

১২৭৭ বার পঠিত, ১৯ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

372628
২০ জুন ২০১৬ রাত ০৮:৫৪
সন্ধাতারা লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
২০ জুন ২০১৬ রাত ০৯:১১
309354
ক্রুসেড বিজেতা লিখেছেন : ভীষণ প্রীত হলাম দিদি,,, আপনার সার্বিক কল্যাণ ও মঙ্গল কামনা করছি। শুভরাত্রি ।
372648
২০ জুন ২০১৬ রাত ১১:৪৩
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
২১ জুন ২০১৬ রাত ১২:১৬
309386
ক্রুসেড বিজেতা লিখেছেন : ভালোলাগা'রা সবসময় ঘিরে থাকুক,, এক সমুদ্র ভালবাসা জানবেন।
372660
২১ জুন ২০১৬ রাত ০১:১২
আফরা লিখেছেন : আচ্ছা কবিতাটা পল্লি কবির আষাঢ় মাসে দিয়ে শুরু হল কেন ?

২১ জুন ২০১৬ দুপুর ০১:৩৮
309463
ক্রুসেড বিজেতা লিখেছেন : প্রকৃতির রূপের যে বিচিত্র অভিক্ষেপ তার মূলে শুধু যে আবহাওয়াগত কারণই বিদ্যমান এমন নয়, ঋতুগত প্রভাবও তার ওপর কম নয়। বরং বলা যায় যে, প্রকৃতির স্বভাব-চরিত্রকে বিচিত্রগামী করেছে এই ঋতুপার্থক্য। বাংলাদেশ ষড়ঋতুর দেশ। ষড়ঋতুর প্রকৃতি তার বিচিত্র স্বভাবের অভিব্যক্তি ঘটিয়ে শিল্পরসিক মানুষকে অভিভূত করে। ঋতু পরিবর্তিত চিরায়ত ধারায় "আষাঢ়-শ্রাবণ এই দুই মাসকে ঘিরে আমাদের বর্ষাকাল"। বর্ষাকালে আকাশ থাকে গুরুগম্ভীর কালো মেঘের ভারে নিরন্তর অবনত। সগর্জন, মেঘবর্ষণের বিপুল দাপট চলে এই দুই মাসে। বাংলা সাহিত্যে ষড়ঋতুর প্রভাব ও প্রতিপ্রত্তি বহুদূর-সঞ্চারী। বলাবাহুল্য, বাংলা কবিতায় এই বর্ষাঋতুর প্রভাব সবচেয়ে বেশি। বর্ষার চরিত্র বা সৌন্দর্যের যে বহুগামী বৈচিত্র্য তা অন্য পাঁচটি ঋতু থেকে স্বতন্ত্র। এই স্বতন্ত্র বর্ষাঋতুকে নিয়ে কবিদের কবিতায় বর্ষার রূপ বা সৌন্দর্য ধরা দিয়েছে নানান অভিপ্রায়ে।
আমাদের বাংলা কাব্যসাহিত্যে মধ্যযুগের অনেক কবির কবিতায় বর্ষার বর্ণনার উল্লেখ পাওয়া যায়। এদের মধ্যে কবি কালীদাস, জয়দেব এর কবিতায় বর্ষার সন্ধান মেলে। তাছাড়া কবি বড়ু চ-িদাসের শ্রীকৃষ্ণকীর্তনে, কবি বিদ্যাপতি, গোবিন্দ দাস, রায়শেখর, মনোহর দাস, বাসুদেব ঘোষ এদের প্রত্যেকের বৈষ্ণব পদাবলিতেও বর্ষার বর্ণনা রয়েছে। যেখানে দেখা যায় যে, তারা প্রত্যেকেই রাধা-কৃষ্ণের প্রেমের যে অনুরাগ সেই অনুরাগের গভীরতাকে প্রকাশ করেছেন বর্ষার বিভিন্ন রূপবৈচিত্রের বর্ণনার মধ্যে দিয়ে। এছাড়াও মুকুন্দরাম চক্রবর্তী, খনার বচন, ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত, স্বর্ণকুমারী দেবী, অক্ষয়কুমার বড়াল, প্রমথনাথ রায়চৌধুরী প্রমুখের কবিতায় বর্ষার সন্ধান পাওয়া গেছে। এদের হাত ধরেই বাংলা কবিতায় বর্ষার বিচিত্র রূপ বা সৌন্দর্য ওঠে এসেছিল।
তবে- আমাদের কবিতার ভুবনে "পল্লীকবি" হিসেবে খ্যাত হয়ে আছেন যিনি তিনি হলেন কবি জসিমউদ্দীন। তিনিও বর্ষা নিয়ে অন্যবদ্য কবিতা সৃষ্টি করেছেন। তাঁর অনবদ্য কবিতাটি হলো 'পল্লী-বর্ষা'। পল্লী-বর্ষা কবিতায় কবি বর্ষার অবিশ্রান্ত বর্ষণে মুখর গ্রামবাংলার ঘরে ঘরে যে আড্ডার আসার বসে, ফাঁকে ফাঁকে পল্লীবাংলার শ্রমজীবী মানুষের অসমাপ্ত কাজগুলোও যে আড্ডার ছলে সারা হয়ে যায় এবং সাথে সাথে কিচ্ছা-কাহিনী শোনার যে লোকায়ত চিত্র তা তুলে ধরেছেন উক্ত কবিতায়। কবিতাটির কিছু অংশ- গাঁয়ের চাষীরা মিলিয়াছে আসি মোড়লের দলিজায়,-/ গল্পে গানে কি জাগাইতে চাহে আজিকার দিনটায়!/ কেউ বসে বসে কাখারী চাঁচিছে, কেউ পাকাইছে রসি; কেউবা নতুন দোয়াড়ীর গায়ে চাঁকা বাঁধে কসি কসি।/ মাঝখানে বসে গাঁয়ের বৃদ্ধ, করুণ ভাটীর সুরে/ আমির সাধুর কাহিনী কহিছে সারাটি দলিজা জুড়ে।/ বাহিরে নাচিছে ঝর ঝর জল, গুরু গুরু মেঘ ডাকে,/ এসবের মাঝে রূপ-কথা যেন আর রূপ-কথা আঁকে। উক্ত কবিতাটিতে সত্যিই পল্লীবাংলার বর্ষাকালের সময়চিত্র ওঠে এসেছে।*আমার লিখিত কবিতাটি সৃজনের সময় পল্লী কবি'র পল্লী-বর্ষা কবিতায় কল্পিত পরিবেশের ছোয়া আশপাশে খুঁজে পেয়েছিলাম।চাইলে রবীন্দ্রনাথের নামটা দেওয়া যেত,,উনার "বর্ষাকাল" কবিতাটি "পল্লী-বর্ষা'র" মত এত মজাইতে পারেনি আমাকে,, এ জন্যই শুরুটা ভালোলাগা ভালোভাসার কবি দিয়েই,,,ক'বার ভেবেছিলাম নামটিও "পল্লী-শ্রম" দিব, হয়নি দেওয়া শেষ পর্যন্ত* ।

রবীন্দ্রনাথ-নজরুল-জসীমউদ্দীন এর পরবর্তী সময়ের কবিরা অর্থাৎ তিরিশি প্রজন্মের কবিরাও বর্ষা নিয়ে কবিতা লিখেছেন। তাদের মধ্যে কবি জীবনানন্দ দাশ, সুধীনন্দ্রনাধ দত্ত, অমিয় চক্রবর্তী, বুদ্ধদেব বসু এদের কবিতায় বর্ষার কথা ওঠে এসছে। প্রকৃতির যে কতো রূপ আর ঐশ্বর্য ছড়িয়ে রয়েছে তার কোন হিসেব নেই।
খুশি হলাম,,, দারুণ যৌক্তিক অনুসন্ধিত্সু সুন্দর জানতে চাওয়ায়,, ধন্যবাদ অনিঃশেষ, সুখময় হোক আপনার পথচলা।
২১ জুন ২০১৬ রাত ১০:৩১
309508
আফরা লিখেছেন : এই ভাইয়া আপনি পারছেন , ইনশা আল্লাহ আরো পারবেন ।কত্ত সুন্দর করে গুছিয়ে আমাকে বুঝালেন ভাইয়া , আপনারা কত্তকিছু জানেন আপনারা না পারলে পারবেটা কে ভাইয়া!!! অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া ।
২২ জুন ২০১৬ রাত ০৪:০২
309533
ক্রুসেড বিজেতা লিখেছেন : ভীষণ আহ্লাদিত হলাম বোন,,, চমত্কার কিঞ্চিত প্রতিঃমন্তব্য। অতঃপর আপনাকেও ধন্যবাদ, সুখময় হোক আগত আগামী'র পথচলা ।
372677
২১ জুন ২০১৬ রাত ০৩:১৭
কুয়েত থেকে লিখেছেন : তথ্যবহুল ভালো লাগলো অনেক অনেক ধন্যবাদ
২১ জুন ২০১৬ দুপুর ০১:৪২
309464
ক্রুসেড বিজেতা লিখেছেন : ভীষণ প্রীত হলাম-প্রিয়,, ভালো থাকবেন সতত। শুভেচ্ছা নিরন্তর ....,
372729
২১ জুন ২০১৬ দুপুর ০২:৫১
আবু জান্নাত লিখেছেন : ভালো লাগলো, ধন্যবাদ
২১ জুন ২০১৬ বিকাল ০৫:১১
309481
ক্রুসেড বিজেতা লিখেছেন : ধন্য হলাম-ভাই। ভাললাগা'রা আজীবন ঘিরে থাকুক,,, অফুরান কদমফুলের শুভেচ্ছা ।
372870
২২ জুন ২০১৬ রাত ০৯:৫৮
নাবিক লিখেছেন :
ধৈর্য ধরুন,সংগ্রাম করুন
-চলন্ত পথিক কয় ;
জীবন মানে উথান পতন
শক্তি তে নয় ধৈর্যেই জয়।
এটাই আসল কথা। কবিতা ভালো লাগলো, ধন্যবাদ।
২৩ জুন ২০১৬ রাত ০৯:৩৬
309649
ক্রুসেড বিজেতা লিখেছেন : হে!সুহৃদ কলম সৈনিক,আপনার প্রেরণামূলক সুশ্রী মন্তব্যে ধন্য আমি,ধন্যবাদসহ শুভকামনা & অপার শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানবেন, রহমত,মাগফেরাত ও নাজাতের মাসের সমস্ত ফজিলত অর্পিত হোক আপনার ও আপনার পরিবারবর্গের উপর।
372894
২৩ জুন ২০১৬ রাত ০১:০৯
শেখের পোলা লিখেছেন : ভাল লাগল। চর্চা চালিয়ে যান। ধন্যবাদ।
২৩ জুন ২০১৬ রাত ০৯:৩৬
309650
ক্রুসেড বিজেতা লিখেছেন : হে!সুহৃদ কলম সৈনিক,আপনার প্রেরণামূলক সুশ্রী মন্তব্যে ধন্য আমি,ধন্যবাদসহ শুভকামনা & অপার শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানবেন, রহমত,মাগফেরাত ও নাজাতের মাসের সমস্ত ফজিলত অর্পিত হোক আপনার ও আপনার পরিবারবর্গের উপর।
372952
২৩ জুন ২০১৬ সন্ধ্যা ০৬:৩৬
হতভাগা লিখেছেন : ছোটবেলায় শুনতাম যে - রোজা নাকি রাখা হয় গরীব মানুষেরা যে খাবার নিয়ে কষ্ট করে , না খেয়ে থাকে - সেটা উপলব্দি করার জন্য ।

ইদানিং যেসব গরীব খেটে খাওয়া দিন মজুরদের দেখছি আসা যাওয়ার পথে - তাদের মধ্যে কাউকে কাউকে দেখছি খাওয়া দাওয়া করতে । আগে রোজার সময় হোটেল বন্ধ থাকতো । এখন সেরকম লজ্জাবোধ নেই । পর্দা দিয়ে খাওয়া দাওয়া ঠিকই চলে ।

যে দেশের ব্যবসায়ীরা সবকিছুতেই লাভ খোঁজে , যে দেশের মানুষ শুধু জুম্মার নামাজে মাসজিদে যায় , যে দেশের মানুষ দোকানে ভিসিআর চালিয়ে সিনেমা দেখতে জড়ো হয় -- তাদের কাছে রোজা রাখার মাহাত্ন্য কি আছে ?
372963
২৩ জুন ২০১৬ রাত ০৯:৫১
ক্রুসেড বিজেতা লিখেছেন : কঠিন প্রশ্ন-প্রিয়,, ব্যাপার গুলি আমিও নিজ চোখে প্রত্যক্ষ করেছি বেশ ক বার,, ইদানীং রমজান মাসে মধ্যেপ্রাচ্যেও শ্রমিকদের রোজা না রাখার প্রবণতা বাড়ছে। ভালো মন্দ দুটোই মিলিয়ে সমাজ,মন্দ কাজ অবশ্যই পরিত্যাজ্য,, কবিতায় উল্লিখিত এ রকম সহজ সরল ধর্মপ্রাণ দিনমজুর,শ্রমিক সমাজে এখনো আছে। যাঁরা ভোরের সূর্যের তাপ দেখে- মুখখানা ফ্যাকাশে বিবর্ণ হলেও পরক্ষণে বলে ওঠে, জীবন যাবে তবুও রোজা ছাড়ব না। প্রয়োজনে কাজে যাবো না আজ।
আপনার অপার মন্তব্য ও সুন্দর দৃষ্টিভঙ্গির প্রতি অফুরান সম্মান ও শ্রদ্ধা রইল। ভালো থাকবেন অহর্নিশি,,, শুভরাত্রি ।
১০
373167
২৬ জুন ২০১৬ দুপুর ১২:৫৪
মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম লিখেছেন : [b]মাহেশ্বরী গগন কোলে...[/b]
মাহেশ্বরী অর্থ কী?

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File