অব্যবহৃত জমিকে ব্যবহার এবং বেকার দের জন্য কর্ম সংস্থান, এই দুই এর মাঝে সেতু বন্ধন হতে পারে ছোট একটি টার্কি খামার .
লিখেছেন লিখেছেন টার্কি রাজ ১০ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০:২৪ রাত
টার্কি (ইংরেজি: Turkey) মেলিয়াগ্রিডিডেই পরিবারের এক ধরণের বৃহদাকৃতির পাখিবিশেষ। এগুলো দেখতে মুরগির বাচ্চার মতো হলেও তুলনামূলকভাবে অনেক বড়। এক প্রজাতির বুনো টার্কি মেলিয়াগ্রিস গ্যালোপাভো উত্তর আমেরিকা ও মধ্য আমেরিকার বনাঞ্চলে বসবাস করে। গৃহপালিত টার্কি এই প্রজাতি থেকে ভিন্নতর। অন্য জীবিত প্রজাতির মধ্যে মেলিয়াগ্রিস ওসেলাটা বা চক্ষু আকৃতির চিহ্নবিশিষ্ট টার্কি আবাসস্থল হচ্ছে ইউকাতান উপ-দ্বীপের বনাঞ্চলে।[১] বিশ্বের সর্বত্র টার্কি গৃহপালিত পাখিরূপে লালন-পালন করা হয়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অধিবাসীরা সনাতনী ধারায় থ্যাঙ্কসগিভিং ডে'র ছুটির দিনে টার্কি ভোজন করে থাকে। এছাড়াও, ইউরোপীয় দেশগুলোয় বিশেষ খ্রীষ্টিয় পর্বের আহারেও টার্কি খাওয়া হয়। মূলতঃ টার্কি উৎপাদন মৌসুমভিত্তিক হলেও সারা বছরই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে খাবারের উল্লেখযোগ্য অংশ দখল করে আছে। মেলিয়াগ্রিস গ্যালোপাভো জাতের টার্কি উত্তর আমেরিকায় খেলাধূলার বিনোদনে ব্যবহার করা হয়।
মেলিয়াগ্রিডিডেই পরিবারের একটি গণ হচ্ছে মেলিয়াগ্রিস। এ গণটি আবার দু'টি ধারায় বিভাজিত হয়েছে।
বন্য টার্কি (মেলিয়াগ্রিস গ্যালোপাভো)
চক্ষু আকৃতির চিহ্নবিশিষ্ট টার্কি (মেলিয়াগ্রিস ওসেলাটা)
পুরুষ টার্কি, স্ত্রী টার্কির তুলনায় অধিকতর বড় এবং অনেক বেশী আকর্ষণীয় রঙের হয়ে থাকে। বাস্টার্ড (অস্ট্রেলিয়ান টার্কি); মেগাপোড (ব্রাশ টার্কি); স্ন্যাকবার্ড (ওয়াটার টার্কি) জাতীয় সমজাতীয় পাখি হলেও টার্কিজাতীয় পাখি নয়।
গৃহপালিত টার্কি
পূর্ণাঙ্গ পুরুষজাতীয় টার্কির মাথা ন্যাড়া থাকে। সাধারণতঃ এর মাথা উজ্জ্বল লাল রঙের হয়। কখনো কখনো সাদা কিংবা উজ্জ্বল নীলাভ রঙেরও হয়ে থাকে। পুরুষজাতীয় টার্কি গবলার বা টম নামেও পরিচিত। এগুলো গড়ে লম্বায় ১৩০ সে.মি. বা ৫০ ইঞ্চি হয়। গড়পড়তা ওজন ১০ কেজি বা ২২ পাউন্ড হতে পারে। কিন্তু স্ত্রীজাতীয় টার্কি সাধারণতঃ পুরুষের তুলনায় ওজনে অর্ধেক হয়। প্রতিটি স্ত্রীজাতীয় টার্কি ৮ থেকে ১৫টি ছোট ছোট দাগের বাদামী বর্ণাকৃতির ডিম পাড়ে। ২৮ দিন অন্তর ডিম ফুটে বাচ্চা টার্কি জন্মায়।
বন্য টার্কি সাধারণতঃ বনভূমিতে পানির কাছাকাছি এলাকায় থাকতেই পছন্দ করে বেশী। ফসলের বীজ, পোকামাকড় এবং মাঝেমাঝে ব্যাঙ কিংবা টিকটিকি খেয়ে জীবনধারণ করেন। আত্মরক্ষার্থে দ্রুত দৌড়ে গা ঢাকা দেয়। কিন্তু এটি কেবলমাত্র স্বল্প দূরত্বে উড়তে পারে। তখন এটি প্রায় ০.৪ কিলোমিটার বা ০.২৫ মাইল দূরত্ব অতিক্রম করে।
যখন ইউরোপীয়রা প্রথমবারের মতো টার্কিকে আমেরিকায় দেখতে পেল, তখন তারা ভুলবশতঃ ভাবল যে পাখিটি এক ধরণের গিনিয়া মুরগি (নুমিডা মেলিয়াগ্রিস)। পরবর্তীকালে তারা তুরস্ক দেশ থেকে মধ্য ইউরোপে পাখিটিকে নিয়ে আসে। গিনিয়া মুরগি বা গিনিয়াফাউল-কে টার্কি ফাউল নামেও ডাকা হয়। তাই, তুরস্ক দেশের নামানুসারে উত্তর আমেরিকার পাখিটির নামকরণ করা হয় টার্কি।
১৫৫০ সালে উইলিয়াম স্ট্রিকল্যান্ড নামীয় এক ইংরেজ নাবিক টার্কি পাখিকে ইংল্যান্ডে নিয়ে আসেন।
সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য দলিলপত্র মোতাবেক ক্যালিফোর্নিয়া টার্কি (মেলিয়াগ্রিস ক্যালিফোর্নিকা)মানব বসতির শুরুতে যথেষ্ট সংখ্যায় শিকারে পরিণত হয়েছিল।[ ধারণা করা হয় যে, তুষার যুগের শেষদিকে জলবায়ুর পরিবর্তন ও ব্যাপক শিকারের ফলে এ প্রজাতির টার্কির বিলুপ্তি ঘটেছিল।
........................................................................................................
বাংলাদেশের গ্রাম গঞ্জে অনেক জায়গা অনাবাদী/ পতিত অবস্থায় পরে থাকে । যেখানে প্রাকৃতিক ভাবে জন্মে রয়েছে বভিন্ন ঘাস – লতা । এরকম উন্মুক্ত জায়গা টার্কি পালনের জন্য বেশী উপযোগী ।অন্য দিকে আমদের রয়েছে এক বৃহত্তর বেকার জনগোষ্ঠী । তাই একদিকে অব্যবহৃত জমিকে ব্যবহার এবং বেকার দের জন্য কর্ম সংস্থান, এই দুই এর মাঝে সেতু বন্ধন হতে পারে ছোট একটি টার্কি খামার ।
টার্কি মুরগীর ও তিতিরের খামার করতে আগ্রহিরা এই বিষয়ক সকলকিছু বিস্তারিত জানতে 01972221234 নাম্বারে ফোন করে যোগাযোগ করতে পারেন। আমাদের কাছে সকল ধরনের টার্কি পাওয়া যায়। প্রয়োজনে আমাদের টার্কি ও তিতিতের খামার টি দেখে যেতে পারেন। প্রতি শুক্রবার টার্কি পালন পদ্ধতি দেখতে আমাদের খামারটি পরিদর্শন করতে পারেন। যারা টার্কি খামার করতে চান তাদেরকে সকল প্রকার সহযোগিতা করার আগ্রহ প্রকাশ করে আজ এই পর্যন্ত
https://www.facebook.com/titirbd1/
বিষয়: বিবিধ
২০৫০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন