কুরআনের মূল মুসহাফসমূহের ইতিহাস
লিখেছেন লিখেছেন বইয়ের পাহাড় ২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ০২:২২:৩৭ দুপুর
কুরআনের মূল মুসহাফসমূহ এখন কোথায়?
মদীনার মুসহাফটি মসজিদে নববীতে রাখা হয়েছিল। ৬৫৪ হিজরীতে সংঘটিত ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধনকারী একটি অগ্নিকাণ্ডের বিবরণসমূহে কুরআনের এ মুসহাফটির উল্লেখ রয়েছে। মুসহাফটি অবশ্য অগ্নিকাণ্ড থেকে সুরক্ষিত থাকে। কিছু কিছু বর্ণনায় দেখা যায় যে, প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় তুর্কীরা কুরআনের এ কপিটিকে ইস্তাম্বুলে স্থানান্তর করে; কিন্তু বর্তমানে এটি বিলুপ্ত।
সিরিয়ার মুসহাফটি রাখা হয়েছিল দামেশকের জামে মসজিদে। ইবনু কাসীর (মৃত্যু ৭৭৪ হিঃ) ঐ কপিটি দেখেছেন বলে উল্লেখ করেছেন। একই কথা লিখেছেন ইবনু বতুতাহ (মৃত্যু ৭৭৯ হিঃ) ও ইবনু জাযারী (মৃত্যু ৮৩৩ হিঃ)। এটি তালাবদ্ধ থাকতো; তবে জুমু‘আর সালাতের পর জনসাধারণের অবলোকনের জন্য বের করে আনা হতো। ১৮৯২ ‘ঈসায়ী/১৩১০ হিজরীতে সংঘটিত একটি অগ্নিকাণ্ডে মসজিদটি ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়, আর এর সাথে সাথে মুসহাফটিও বিলুপ্ত হয়ে যায়।
মিশরের দারুল কুতুবিস সুলতানিয়্যাতে হরিণের চামড়ায় লেখা একটি প্রাচীন পাণ্ডুলিপি রয়েছে। কুফী লিপিতে লেখা এ পাণ্ডুলিপিতে কোনো নুক্তা কিংবা স্বরচিহ্ন নেই। পূর্বে এটি মসজিদে আমর ইবনুল আস নামক কায়রোর সর্বপ্রাচীন মসজিদে রাখা হয়েছিল। এক ইরাকী ব্যক্তি এ পাণ্ডুলিপিটি ৩৪৭ হিজরীতে কায়রো নিয়ে যায়।
তাসখন্দে একটি পাণ্ডুলিপি রয়েছে, যা উসমান (রা.) কর্তৃক নিযুক্ত পর্ষদের অনুলিপিসমূহের একটি হওয়ার সর্বাধিক দাবী রাখে। মধ্য যুগের শেষের দিকে মধ্য এশিয়ার এক শাসক তা ক্রয় করেন। তবে রুশ বাহিনী দেশটি দখল করার পর সেটি তাদের দখলে চলে যায়। তারা এটিকে সেন্ট পিটার্সবার্গে নিয়ে যায়, কিন্তু বলশেভিক বিপ্লবের পর ১৯২৩ সালে তা আবার সমরকন্দে ফিরিয়ে আনা হয়। ১৯৪০ এর দশকে এটিকে তাসখন্দে স্থানান্তর করা হয়; এবং আজও তা সেখানে রয়েছে।
বইঃ "কোরআন বোঝার মূলনীতি"
লেখকঃ ড. আবু আমীনাহ বিলাল ফিলিপ্স
বইটা পড়ে অসাধারন লাগল।
আপনিও ইচ্ছে করলে সিয়ানের সাইটে http://www.seanpublication.com/ অর্ডার করে বইটা বগলদাবা করতে পারেন। কোরআনের ইতিহাসের উপর কালেকশনে রাখার মত দারুন একটি বই।
বিষয়: বিবিধ
১০২৮ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন