অধরা স্বাধীনতা।
লিখেছেন লিখেছেন হায়দার মহিউদ্দীন ০৪ এপ্রিল, ২০১৭, ০১:৫৮:০৭ দুপুর
ব্লগ পোষ্টে সেদিন কিছু ছবি দেখলাম যিনি পোস্ট করেছেন তার নামটি এই মুহুর্ত্বে মনে আসছে না তবে ছবিগুলু বুয়েট ক্যাম্পাসে কোন একটা সংগঠনের ব্যবস্থাপনায় স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সুন্দর বন রক্ষায় রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রতিষ্টার বিপক্ষে জনমত গড়ে তোলার জন্য এই দেওয়াল প্রদর্শনীর আয়োজন করেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই আয়োজন সফল হতে পারে নি একটি প্রভাবশালী ছাত্র সংগঠনের বাধার কারনে তাই তারা ফেসবুক ,ব্লগ এবং অন্যান্য অনলাইন মাধ্যমে ছবিগুলু প্রকাশ করেছিলেন।
আমরা স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে গর্ব বোধ করি। গণ তন্ত্র আমাদের দেশের রাষ্ট্র পরিচালনার মূলমন্ত্র এটা ভেবে আমরা স্বস্তি পাই মনে। আস্থা রাখার চেষ্টা করি এখনো রাজনৈতিক দল্গুলুর উপর। কিন্তু আমাদের স্বপ্ন তখনি আহত হয় ,আমাদের আবেগে বেদনার আঁচড় লাগে তখনি যখন আমরা দেখি কোন দল প্রগতিশীলতার নাম দিয়ে চরম অসুস্থ আচরণ করে একই বিশ্ব বিদ্যালয়ের অন্য সংগঠন গুলুর সাথে।
যারা সুন্দরবন এলাকায় বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রতিষ্টা করার চেষ্টা করছে তারাও দেশের উন্নয়নের কথা চিন্তা মাথায় রেখে এগোচ্ছে আর যারা বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রতিষ্টার বিরোধীতা করছে তারাও পরিবেশ সহ আনুষাঙ্গীক যে ক্ষয়ক্ষতি হবে সেটা বিবেচনায় রেখে জনমত সৃষ্টির জন্য কাজ করে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ এখনো গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে ভাবতে আমাদের ভালো লাগে । বর্তমান সরকারের নীতি নির্ধারকগণ সব সময় বলে থাকেন সরকার গণতন্ত্র রক্ষায় জন্য আপ্রাণ কাজ করে যাচ্ছে । সেই বিবেচনাই লিখছি ,গণতন্ত্রের প্রথম শর্তটাই হলো বাক স্বাধীনতা।
একটি গণ তান্ত্রিক দেশের নিয়ম হলো আমরা পরস্পরের কার্যাবলী পর্যালোচনা এবং সমালোচনা করবো। আমরা অনুরাগে ভালোবাসি বা শ্রদ্ধা করি এবং বিরাগে ঘৃণা বা অশ্রদ্ধা করি। যদি নিজেদের কে গণতান্ত্রিক মনোভাব সম্পন্ন মনে করি তাহলে এই সমালোচনার অধিকার জনগণকে দিতেই হবে । নাহলে আমাদের পরিবর্তন ,পরিবর্ধন, সংশোধন ও উন্নয়নের পথ বন্ধ হয়ে যাবে।
গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে সব নাগরিকের অধিকার কে স্বীকার করতে হবে । গণ তান্ত্রিক দেশের নাগরিক হিসেবে এটা আমাদের দায়ীত্ব । অথচ আমরা অধিকার ষোলআনা আদায় করতে চাই, বিনিময়ে আমরা দায়ীত্বের কথা বেমালুম ভূলে যায়। নিজের অধিকার নিয়ে বাড়াবাড়ি করি কিন্তু অপরের অধিকারের উপর চড়াও হই। আমাদের যে কর্তব্য সেটা অস্বীকার করে কেবল অধিকার ভিত্তিক সমাজ সম্বব নয়। অপরের প্রতি কর্তব্যবোধ ,কর্তব্য পালন করতে না পারলেও , শালীনতা বোধ ও শ্রদ্ধাবোধ না থাকলে ফাঁকা গণতন্ত্রের কথা বললে আমাদের সমাজ ধস নামবে এবং তা ভেঙ্গে যাবে।
এই দুঃসহ অধিকার ভিত্তিক রাজনীতির অপসাংস্কৃতি থেকে শান্তির সাংস্কৃতি গড়ে তোলার চেষ্টাই হবে স্বাধীনতা এবং গণতন্ত্র কে ধরে রাখার প্রথম পদক্ষেপ।
বিষয়: রাজনীতি
৯৩২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন