বায়োমেট্টিক পদ্ধতি নাকি হয়রানি!
লিখেছেন লিখেছেন কিউট আহমদ ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ০৭:২৪:৩০ সকাল
শিরোনামটা দেখে অনেকে অনেক কিছুু ভাবতে পারেন। আর ভাবাটা স্বাভাবিক। কারণ অনেকে বলতে পারেন এটা নিয়ে লেখার আবার কি আছে! এটা কি এমন বিষয় যা নিয়ে আলোচনা করতে হবে!
হ্যাঁ একদম ঠিক কথা,এটা নিয়ে আলোচনার কি আছে।
কিন্তু আপনি কি জানেন, এটা নিয়ে এফবিতে এখন ব্যাপক ঝড় তুপান চলছে।
বায়োমেট্টিক পদ্ধতির বিপক্ষে অনেক ইভেন্ট এবং পেইজও খুলেছে।
এমনকি এর জন্যে একজন অন্য জনকে বিশ্রী ভাষায় গালা-গালিও করছে।
সুতরাং এটা কে নিয়ে এখন আর ছোট করে ভাবার জায়গা না।
ইভেেন্টর এমন কিছুু কথা আছে। যা আমাদের বিবেকও নাড়া দেয়। আবার চিন্তা করে দেখলাম যে, আসলে কথা তো ঠিক।
এটা কি তারনা হালিমের মাথায় ধরে না!
নাকি আমার মাথায় ধরে না!
জাতিয় পরিচয় পত্র মানে তো আমাদের পরিচয়। আমারা সেখানে ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়েছি। সিম রেজিস্টেশন করতে চাইলে জাতীয় পরিচয়পত্র নিলেই তো হয়ে যায়।
তবে কেন আবার নতুন করে ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিতে হবে? নাকি আমাদের সব কিছুু সরকারের খাতা থেকে উদাও হয়ে গেছে! আবার এমনও তো হতে পারে কোন বিদেশি সংস্থার কাছে আমাদের সব কিছুু দিয়ে দিচ্ছে। প্রশ্নটা মাথায় আসার কারণ হলো। দেশী সিমে তাহলে কেন বায়োমেট্টিক পদ্ধতি লাগে না? কেন তবে বিদেশি কোম্পানি গুলোতে শুধু ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিতে হবে!!
সন্ত্রাস কি আমাদের মতো এতো বোকা নাকি? যে তারা সিম দিয়ে ছাড়া আর কোন ভাবে মানুষ কে হুমকি দিতে পারবে না। অথবা তারা নিজেদের সিম দিয়ে আর একজন কে হুমকি দিবে!
তারাও বিজ্ঞানের সাথে তালমিলিয়ে চলে। চিঠির মাধ্যমেও তো দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিদের হুমকি দিয়েছে। কয় কয়জন কে ধরতে পারছে?
অনেকের কাছে তো ডাকযোগে কাপনের কাপড়ও পাঠিয়েছে। কয় জনকে আটক করেছে?
তাই শুধু শুধু এটা হয়রানি মুলক ছাড়া আর কিছুু নয়। আর তাও আবার একজনের আইডি কার্ডে নাকি বিশজন করতে পারে। যেটা আর একটা বড় বোকামি ছাড়া আর কিছুু নয়।
আমারা প্রাথমিক রেজিস্টেশন করার সময়ও দেখেছি যে, গ্রামীনফোনের জালিয়াতি। এক আইডিতে বিশ হাজার সিম নিবন্ধন হয়েছে। সুতারাং এভারও এমন হবে না যে তার ঘেরান্টি কতটুকু! আর আমার তো মনে হয়না সবাই সরকারের এইমতের সাড়া দিবে। কারণ ইভেন্টে দেখেছি যে,অনেকে এর মধ্যে সিন্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে যে,তারা সিম ফিঙ্গারপ্রিন্ট দ্বারা রেজিস্টেশন করবে না। আর এখনও এমন অনেক মানুষ আছে যারা এটার সম্পর্কে এখনো কিছুু শোনেনি।
আর সবচেয়ে বিপদে পড়েছে যারা,নতুন ভোটার হয়ছে কিন্তু এখনো তাদের আইডি কার্ড পাইনি। সুতারাং তারা এখন ভিন্ন পথ বেচে নিচ্ছে।
অনেক দিক দিয়ে বিবেচনা করলে বলা যায়,এটা আসলে জনগণ কে হয়রানি ছাড়া আর কিছুু নয়।
বিষয়: বিবিধ
২১১৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন