একি! আজকাল রামের মুখেও দেখি আল্লাহ নাম?

লিখেছেন লিখেছেন আব্দুল্লাহ বিন খোরশেদ ১৮ এপ্রিল, ২০১৬, ১০:৩৩:৫৯ সকাল

দেশের দুই তৃতীয়াংশ মানুষের ভোটাধিকারকে বুড়া আঙ্গুল দেখিয়ে, বাকশালী কায়দায় তথাকথিত ক্ষমতার মসনদে বসে এক শ্রেণির স্যাকুলার ক্ষমতাশীলদের মাঝে মাঝেই ধর্মকে নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করা যেন আজ স্বাভাবিক বিষয় হিসাবে দাড়িয়েছে..

এই জন্যই বুঝি বামপন্থি ইনু আর কালো বিড়ালদের মতো অনেক ক্ষমতাশালীদেরকেই মাঝে মাঝে ধর্মীয় বিষয়ে ফতোয়া দিতেও দেখা যায়...?

আজকাল আর আগের মতো আগ্রহ নিয়ে আর টকশো-ফকশো শুনা হয়না। তারপরেও সময় করে বেশ কিছুদিন আগে বাংলা ভিশনের এক টকশো তে আলোচনা শুনছিলাম- "শুক্রবার

মসজিদগুলোতে জুম্মার নামাজের খুৎবায় ভয়ঙ্কর সব

আলোচনা হয়, পুলিশের এ ব্যাপারে উদ্যোগ নেয়া উচিত :

সাংবাদিক শ্যামল দত্ত।

#কি বুঝলেন? এইনা হল এদেশের তথাকথিত ধর্ম নিরপেক্ষ

অসাম্প্রদায়িক স্যাকুলারদের আসল চেহারা! যা মাঝে

মাঝেই বের হতে দেখা যায়। সাপ, তা সর্বকালের

জন্যই বিষাক্ত ছিল, আছে, থাকবে এটাই স্বাভাবিক। শুধু

শ্যামল দত্ত কেন? এদেশের গদিতে বসা অনেক

বড় বড় নেতাদেরও এমনটা কথা? কিন্তু উনারা

সহজেই বলেননা, পাছে ভোটের রাজনীতিতে

আবার পিছে পরে না যান!

এজন্যই হয়তো ভোটের রাজনীতিতে টিকে

থাকতে সরকারি অনেক আমলাকেই ভোটের

আগে পট্রি মাথায়, কা'বা ঘরের সামনে দু' হাত তুলে

দোয়া করার হালাতে তোলা ছবি পোস্টারে শুভা

পেতে দেখি..!! তা বলি, ধর্ম নিয়ে রাজনীতি

আসলে করে-টা কে? কারাই বা এদেশে প্রথম এর প্রচলন করেছে?

যাইহোক এবার আসল কথায় আসি, শ্যামল দত্তের কথা

থেকে বুঝা যায়, আজকাল রামেরাও তাহলে

মসজিদে যায়?? এতদিন শুনতাম ওরা নাকি মন্দিরে যায়,

শান্তির বার্তা সর্বোত্র ছড়িয়ে দেওয়ার তা'লিম নিতে!

আজকাল তাহলে মসজিদেও আসা শুরু করেছে?

কথায় বলে, যার বিয়ে তার খবর নাই, পাড়া-পড়শীর ঘুম নাই"।

জনাব শ্যামল দত্ত, আপনি মসজিদগুলোতে গিয়ে

পুলিশকে খবর নেওয়ার কথা বলেছেন, কিন্তু আপনাদের মন্দিরগুলোতে যে কি সব ভয়ংকর

আলোচনা হয় সে খবর রাখেন? তা না হলে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে উগ্র হিন্দুদের এ অবস্থা কেন? তারা অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের প্রতি

এত অসহিষ্ণুই বা কেন? এ সবক তারা কৈ থেকে পায়?

সেখানে বড় বড় যে আতাংবাদী উগ্র হিন্দুদের উদ্ভোব হয়েছে, তাও কি মসজিদের কল্যানে, নাকি মন্দিরের? নাকি ঘাপলাটা অন্য জায়গায়? বাবরি মসজিদ

ভাঙার কথা না হলে বাদ-ই দিলাম।

সর্বোযুগে এটা প্রমানিত, মুসলিমানরা একমাত্র সহিষ্ণু

জাতি, যারা শান্তিতে বিশ্বাস করে। একমাত্র মানবতার

কল্যাণেই তাদের সৃষ্টি!

কিন্তু আজকের বিশ্বে খুব নগন্য কিছু মুসলিমকে

অসহিষ্ণু হতে দেখা যায়। এর কারণ কি? এর কারণ,

দেশে দেশে অস্থিতিশীল রাজনীতি, বিশ্ব

অমুসলিমদের ষড়যন্ত্র, মুসলিমদের অধিকার হরন,

আর মাঝে মাঝে নাস্তিকদের উস্কানিমূলক ইসলাম

বিদ্বেষী বক্তব্য! এগুলো বাদ দেন,

মুসলমানদের ন্যায্য অধিকার ফিরিয়ে দেন,

দেখবেন এ দেশে আর কোন মুসলিমকে

জঙ্গি কার্যকলাপে পাওয়া যাবেনা। আমি চ্যালেঞ্জ

করছি..। যার প্রমান এ জাতি আইয়ামে জাহিলিয়াতের

বর্বর যুগে রেখেছিল। অমুসলিম দেশগুলোও

যাদের আদর্শের কাছে পরাজিত হয়ে, সাদরে

আমন্ত্রন জানিয়ে ছিল।

কিন্তু, আজ দাবী করা হয়- মদীনা সনদ অনুযায়ী

দেশ চলছে, কিন্তু পথে-ঘাটে আলেম উলামাদের

উপর নির্যাতন করা হচ্ছে, তাদেরকে ন্যায্য অধিকার

থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে... যার ফলশ্রুতিতে

কেউ কেউ অসহিষ্ণু হয়ে পড়ছে....!! তাহলে

এখানে দোষটা কার?

পরিশেষে আমার কোন এক স্যারের একটি উক্তি

দিয়েই আমার কথা শেষ করছি..

"মা'লাঊন কা বাচ্চা,

কাভী না হুগা আচ্ছা,

ফের হুগা আচ্চা,

তো কাফের কা বাচ্ছা"।

ধন্যবাদ সবাইকে।।

বিষয়: বিবিধ

১১০১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File