বিচার

লিখেছেন লিখেছেন েমাবারক হােসন ৩০ জানুয়ারি, ২০১৬, ০৬:৪৪:৩২ সন্ধ্যা

একদিন চার দেবতা রাজার দরবারে এসে হাজির হল ।রাজাতো ভয়ে ঠক ঠক করে কাপতে শুরু করলো ।দেবতারা বলল ভয় নেই ।তোকে আমাদের একটা বিচার করে দিতে হবে ।রাজা বলল আমি সামান্য

রাজা দেবতাদের বিচার করবো কিভাবে ।দেবতারা বলল,অতসত বুঝিনা ,আমি লক্ষি,ও স্বরেস্বতি,সে ধর্ম্ আর শেষের জন কর্ম্। এচার জনের মধ্যে কে বড় তা তোকে প্রমাণ করতে হবে ।তোকে সাতদিন সময়

দিয়ে গেলাম ।আমরা সাতদিনের দিন আসবো ।সে দিন সঠিক বিচার না করতে পারলে তোর গর্দা্ন যাবে। বলেই তারা চলে গেল । রাজা খুব চিন্তায় পড়লো । সে খাওয়া দাওয়া ছেড়ে দিল । পাঁচ দিনের দিন ,এক চাকর রাজাকে বলল আপনার কয়েদ খানায় এক বন্ধি আছে সে খুব জ্ঞানী লোক ।আমার

মনে হয় সে এ বিচার করতে পারবে ।তাই নাকি চলো দেখি তার সাথে কথা বলি । বন্ধির কাছে গিয়ে

রাজা তাকে সব খুলে বলল ।বন্ধি বলল এটা কোনো ব্যাপারই না । তবে একটা শর্ত্ আছে । আমি যখন বিচারে বসবো তখন বিচার কক্ষে তারা ছাড়া কেউ থাকতে পারবে না ।এমন কি আপনিও না।

রাজা বলল তাই হবে । সাতদিনের দিন নিদিষ্ট সময়ে তারা এসে হাজির হল ।রাজা বলল আমি অসুস্হ

আমি আপনাদের বিচার করতে পারবোনা । আমার পরির্বতে আমার বিজ্ঞ প্রতিনিধি বিচার কাজ সম্পন্ন করবেন ।সামনে একটি কামরা দেখিয়ে বলেলন ঐ কক্ষে যান,আপনাদের জন্য বিচারক মহাসয় অপেক্ষা

করছেন ।

তথাস্হ বলে তারা সেই কক্ষের দিকে এলেন ,যেইনা কক্ষে ডুকতে যাবেন অমনি বিচারক বলল দাড়ান, একজন একজন করে প্রবেশ করুন ।একজন কে জিজ্ঞাসা করা শেষ হলে তবে আরেক জনকে ডাকা হবে।প্রথমে লক্ষি প্রবেশ করলো ।তাকে জিজ্ঞেস করলো আপনার নাম কি ? আমার নাম লক্ষী আমি

মানুষের খাদ্য বস্ত্র অর্থ্ বৃত্তের যোগান দেই ।বন্ধি বলল বুঝেছি ! এবার আমি বলছি আপনি শুনুন ।

আমার পিতা একজন গরীব ,নিষ্ঠাবান,পরোউপকারী সৎ লোক ।সে সৎভাবে জীবন কাটাতে চেয়েছিল।

পারেনি শেষে সন্তানদের মুখে খাবার তুলে দিতে না পারায় আত্নহত্যা করেছে । আপনি তখন কোথায় ছিলেন ।

সেদিন সামান্য আর্থ্ সরবারাহ করে তাকে বাচাননি কেন? যান আপনি চার জনের মধ্যে বড় দেবতা নন । দেবতা দেখল তার কথা ঠিক ।সে নিরবে সেখান থেকে প্রস্হান করলো । এরপর আরেক জনকে ডাকা হল। বন্ধি জিজ্ঞেস করলো আপনার নাম কি ?আমি স্বরেস্বতি । আমি মানুষকে বিদ্যার মাধ্যমে জ্ঞানী ও মহান করি । আমি বাবা –মার মুখে হাঁসি ফুটাতে দিন রাত লেখা পড়া করেছি।বিদ্যান হয়ে

মা –বাবার অভাব দূর করবো বলে । কোনো ভাবেই পরিক্ষায় পাস করতে পারিনী । আমারা তো কোনো অবহেলা ছিলনা । তবে আমি পরিক্ষায় পাস করলাম না কেন? দেবতা নিরব হয়ে রইলো।

বন্ধি বলল যান ,আপনিও বড়দেবতা নন্ ।সেও নিরবে স্হান ত্যাগ করলো। এবার এল ধর্ম্ ।আমি ন্যায় প্রতিষ্ঠা করি ।বন্ধি বলল ,আছা আমি এইকারাগারে বন্ধি হওয়ার আগে এ রাজার একটি বাজেরে

এসে উপস্হিত হই তখন আমার পেটে খুব খিদে । সাথে টাকা পয়সাও কমছিল । তাই একটি দোকানে

ডুকলাম কিছু মুড়ি কিনার জন্য ডুকে দেখলাম দোকানদার নেই, তাই আমি মুড়ি নিয়ে টাকাটা সেই মুড়ির ভিতরে ডুকিয়ে রাখলাম যাতে টাকাটা অন্য কেউ নিয়ে না যায়। কিন্তু আমি বের হবার পথে দোকানদার এসে হাজির। সে দেখল আসে পাশে কোথাও আমি টাকা রাখিনি, তাই সে আমাকে মার দর করে চুর হিসাবে রাজার সিপাইদের কাছে ধরিয়ে দেয়।আর রাজা আমকে জেলেপুরে দিল । সে দিন আমি বিনা টাকায় মুড়ি নেই নাই । আপনি মুড়ির ভেতর থেকে টাকাটা বেরকরে আমাকে নিরপরাদ প্রমাণ করলেনা কেন?যান আপনি সবার ছোট দেবতা ।এই দেবতাও নিরবে চলে গেলেন ।এবার এল কর্ম্। বন্ধি র্পূবের মত তাকেও তার কাজ জানতে চাইলেন । কর্ম্ বলল আমার কাজ হল মানুষের ভাগ্য লেখা ।কে গরীব হবে, কে ধনী হবে কে রাজা হবে তা আমি ভাগ্যে লিখে দিই । বন্ধি বলল হ্যাঁ তুমি চার জনের মধ্যে বড় দেবতা। যার কপালে যা লিখে দাও তা কেউ খন্ডাতে পারেনা ।দেবতা খুশি হয়ে চলে গেল ।আর রাজাও খুশি হয়ে বন্ধিকে অনেক পুষ্কার দিয়ে মুক্ত করে দিলেন ।

বিষয়: বিবিধ

১২৪০ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

358050
৩০ জানুয়ারি ২০১৬ রাত ০৮:৩০
শেখের পোলা লিখেছেন : গল্প ভাল লাগলো তবে লেখায় প্যারাগুলো খাপছাড়া হয়েছে৷ ধন্যবাদ৷

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File