ষড়যন্ত্রের বেড়াজালে বাংলাদেশ
লিখেছেন লিখেছেন তারেক বিন জিয়াদ ৩০ মার্চ, ২০১৬, ১২:৩০:০২ দুপুর
অনেক তো চিল্লাপাল্লা করলেন তনুকে নিয়ে।দুঃখজনক হলেও সত্য তনু সুশ্রী হিজাব দর্শনে আমাদের কিছু ভাই অতি উৎসাহিত হয়ে পড়েছে।ফেইসবুকে লিখে ক্ষান্ত হয়নি কেউবা আন্দোলনের! জন্য নাকি প্রস্তুতি নিচ্ছে।আসুন,এবার নতুন কিছু শুনুন। তুচ্ছ গল্প বলে উড়িয়ে দিবেন না। আট দশটা ধর্ষন-কাহিনীর মত তনুর ধর্ষন স্রেফ একটা ধর্ষন নয়,এর পেছনে রয়েছে গভীর এক ষড়যন্ত্র। অবিশ্বাস্য হলেও এটাই সত্য।
:
সেনানিবাস নিয়ন্ত্রণ নিতে আওয়ামী লীগ-ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার অপারেশন !
.
গত সপ্তাহে দেশের সেনানিবাস গুলোকে নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য হঠাৎ করে তৎপর হয়ে উঠে আওয়ামী লীগ মন্ত্রী পরিষদ । নিজেদের আওতায় আনার জন্য ‘সেনানিবাস আইন, ২০১৬’-এর খসড়া প্রস্তাব উঠেছে মন্ত্রী সভায় । মজার ব্যাপার হচ্ছে এমন একটি গুরুত্বপুর্ন প্রস্তাব আনার আগে যাদের জন্য এই আইন সেই তিন বাহিনীর কোন মতামত নেয়া হয়নি । ফলে তিন বাহিনী আইনটিতে আপত্তি করে। ভেস্তে যায় সেনানিবাস নিয়ন্ত্রণ নেয়ার আওয়ামী পরিকল্পনা ।
দেশের সব কিছু এখন আওয়ামী লীগ ও ভারতের আজ্ঞাবহ হলেও কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানকে এখনো পুরো তাদের নিয়ন্ত্রনে আসেনি। ওদিকে বাংলাদেশে ভারতের অপদৃষ্টির অনেক গুলো বাধার বাংলাদেশ সেনাবাহিনী অন্যতম । ঐতিহাসিকভাবেই আওয়ামী লীগও সেনাবাহিনীকে বিশ্বাস করে না, এখনোও পারছে না।
সেনাবাহিনীকে পুরো নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে ওরা বসে থাকেনি। বাংলাদেশে অবস্থানরত ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার পরিকল্পনায় আঁকা হয় নতুন ছক । সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করতেই সেনানিবাসের মত গুরুত্বপুর্ন জায়গায় বেছে নেয়া হয় এই অপারেশান যাতে নাকি অংশ নেয় ভিন দেশী কিছু গোয়েন্দা কর্মী । ভিক্টিম হয় তনু।
:
সেনানিবাসের ভিতরে হত্যাকাণ্ড যে গভীর পরিকল্পনার ফল তা বুঝা যায় কট্রর ভারতপন্থি হিসেবে সুপরিচিত শাহাবাগী ইমরান এইচ সরকারের কথায়। তনু হত্যাকান্ডের পর পরেই তিনি দাবী করেন, 'এই হত্যাকাণ্ডে অনেক উপর তলার লোক জড়িত ' । ইনিয়ে বিনিয়ে তিনি সেনাবাহিনীকেই দায়ী করেন। ওদিকে আরেক ভারতবান্ধব নাট্যকার নাসির উদ্দিন বাচ্চু সরকারি এই হত্যাকাণ্ডের জন্য সেনাবাহিনী জড়িত এমন ইংগিতও দেন।
:
মজার ব্যাপার হচ্ছে, দেশের খুন ধর্ষণ, হত্যাকাণ্ডে ইমরান-বাচ্চুদের টু শদ্ধ করতে না দেখা গেলেও তনু হত্যাকান্ডে তারা প্রথন দিন থেকেই সরব। আরো মজার ব্যাপার হচ্ছে, কোন রকম তদন্ত ছাড়াই ঘটনায় সেনাবাহিনীকে জড়িয়ে বক্তব্য দিয়েই যাচ্ছেন।
ওদিকে দেশের আওয়ামী বান্দব ও ভারতপন্থি হিসেবে সুপরিচিত মিডিয়াও বসে নেই । চ্যানেল আই লিখেছে,
তনু ইস্যুটি সেনাবিরোধী ইস্যুতে রূপ নিচ্ছে নাতো? - collected from indian doctrine page.
কিছুদূর পর পর জুতা, চুল, মোবাইল ফেলে যাওয়া যাতে করে যে কেউ লাশ পেয়ে যায়।
মনে হচ্ছে যেন আর্মি নিজেকে নিজেই অপরাধী প্রমাণ করতে চাইছে।
নাট্যকর্মীর বাকি সব ছবি বেমালুম গায়েব কেবল সুমিষ্ট হাসির হিজাবী ছবি ব্যতিত।
এক শাহবাগী আগ বাড়িয়ে বলছে যে তাকে কিছু না বলার জন্য আর্মি হুমকি দিয়েছে।
একি সময়ে এরচেয়ে জঘন্য হত্যাও হয়েছে অথচ এগুলো নিয়ে কোন আওয়াজ নাই।
সাময়িক উত্তেজনায় ধর্ষণ করা কোন লোক এত নির্মম আঘাত করে কেন মারবে?
একটি দুর্বল মেয়েকে ধর্ষণ লুকানোর জন্যই যদি হত্যা করা হয় তাহলে আর্মির মত প্রফেশনালদের জায়গামত কয়েকটা আঘাতই যথেষ্ট ছিল।
কেন আঘাত এমন জায়গায় ছিল যাতে সবাই দেখে আর চরম বর্বরতার উদাহরণ হয়ে থাকে?
হত্যার দুইদিন আগেই সেনানিবাসকে আইনের আওতায় আনতে চেয়েছিল কারা যা বাহিনীগুলো প্রত্যাখ্যান করল?
:
ও ভাইয়েরা, সিকিম আর আমাদের পার্থক্য হল আমাদের আর্মি বেশ শক্তিশালী। এমনকি পীলখানার ঘটনার পরেও।
দিনের আলোর মত পরিষ্কার একটা ঘটনা কেন বুঝতে পারছেন না?
শাহবাগ কখন, কার ইস্যুতে, কাদের ইশারায় আন্দোলন করে আপনারা তা ভালই জানেন । ইতি মধ্যে তারা অনেক ধরনের ভিডিও তৈরি করে অনলাইনে প্রচার চালাচ্ছেন এবং ঐই সব ভিডিওতে হিজাব পরা মেয়েদের ব্ক্তব্য দেখা যায় , তারা তনু হত্যার বিচার চায় কিন্তু ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র কোন ব্যাপার না তাদের কাছে । তার এই তথ্য জীবন দিয়ে হলেও গোপন রাখতে চায় । অতএব হিজাব পরা কোন শাহাবাগীদের দেখে আপনারা কেউ বিভ্রান্তি হবেন না ।
ধর্ষণের বিচারের নামে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান!!!
তনু নামক মেয়েটি শুধুই বলি হয়েছে। হয়ত মিষ্টি একটি চেহারাই তার খুন হবার কারণ যে চেহারা দিয়ে সহজেই জনগণের মাঝে এন্টি- আর্মি সেন্টিমেন্ট তৈরী করা যায়।
হয়ত আমাদের অনেকের জীবন হুমকির মুখে যারা এই RAW ব্যাপারগুলো তুলে ধরছি। ভেবে দেখবেন কি?
একটু চিন্তার জন্য আপনাদের কাছে অনুরোধ থাকল।
বি দ্র: তনুকে ধর্ষণ ও হত্যাকারী অবশ্যই নিকৃষ্ট মানের পশু।
বিষয়: বিবিধ
৬১৪২ বার পঠিত, ৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
জেনারেল মঈন ও সেনাবাহিনীর নীতি নির্ধারকরা ২২শে জানুয়ারীর সংবিধান নির্ধারিত নির্বাচন অনুষ্ঠানে সহযোগিতার বদলে সরকারের প্রতি আনুগত্য প্রত্যাহার করায় ১/১১ এর পটপরিবর্তন সম্ভব হয়েছে।১/১১ তান্ডবের পর সেনাবাহিনিকে আগের মত ভালবাসতে পারিনা। হয়তো আমিও সেনা বিদ্ধেষীদের অপপ্রচারের শিকার। তারপরও দোয়া করি আল্লাহ সেনাবাহিনিকে সব ষড়যন্ত্র থেকে হেফাজত করুন আমীন।
"ভারতীয় হিন্দুদর্শনের ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠা প্রান্তিক দেশপ্রেম হিটলারের উগ্রজাতীয়তাবাদের সাথে তুলনীয় হলেও গণতন্ত্রের ছদ্মাবরণে এটিকে তারা জাতীয় অহংকার ও ঐক্যের সূত্র হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। একুশ শতকে ভারতকে ‘আঞ্চলিক সুপারপাওয়ার’ থেকে ‘বৈশ্বিক সুপারপাওয়ারে’ উন্নীত করার জাতীয় চেতনার সাথে রাজনীতিক-সামরিক-অসামরিক-আমলা-বুদ্ধিবৃত্তিক থিংকট্যাংককে একাট্টা করা তাদের পক্ষে সম্ভব হয়েছে। এর বিপরীতে বাংলাদেশে ভারতের আগ্রাসন, অবিরাম অন্তর্ঘাত, বৈরিতা অনুধাবন করা এবং জাতি-রাষ্ট্রের অস্তিত্বের অনিবার্যিক স্বার্থে ভারতের চানক্য কুশলী যুদ্ধ মুকাবিলায় বাংলাদেশে রয়েছে নানা মত ও পথ। অর্থাৎ জাতি-রাষ্ট্র দুর্বল করে তাকে কুক্ষিগত বা পদানত করে রাখার ভারতীয় নীলনকশাকে মুকাবিলায় বাংলাদেশ কোন অভিন্ন জাতীয় নীতি অবস্থান গড়ে তুলতে পারেনি। "
এদেশের ইসলামী শক্তিসমূহের মুক্তিযুদ্ধের বিপরীতে অবস্থান নেওয়ার সূত্রে জাতি-রাষ্ট্র রক্ষার চলমান সংগ্রামকে তাদের নেতৃত্বদানের গ্রহণযোগ্যতাকে ‘স্বাধীনতা বিরোধিতার’ প্রশ্নে দুর্বল করে জনগণের সংগ্রাম থেকে বিচ্ছিন্ন করার নানা কূটকৌশল চলছে। এ ধরনের যুথবদ্ধ সংগ্রাম গড়ে ওঠার আগেই ইসলামী শক্তিকে নির্মূলের নিশানা বানানো হয়েছে। "
ভারতের বাংলাদেশ বিরোধী মনস্তাত্বিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক যুদ্ধের পরিপূরক। মাদ্রাসা শিক্ষিতদের সেনাবাহিনী ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ব্যাপারে প্রতিবন্ধকতা তৈরীর নতুন বাহানা তৈরী করা হচ্ছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে সহজাত ইসলামীকরণের প্রক্রিয়া থেকে মুক্ত করে তুরস্কের আদলে সেক্যুলার ধারায় বিন্যাস করার দেশী-বিদেশী চাপও লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অর্থাৎ বাংলাদেশকে যারা আধিপত্যবাদের শৃংখলে বন্দী করে আশ্রিত রাষ্ট্র বানিয়ে রাখতে চায়, অথবা জাতীয়তাবাদী-ইসলামী শক্তিকে হীনবল ও বিভক্ত করে যারা রাষ্ট্র ক্ষমতায় তাবেদার গোষ্ঠীকে বসাতে চায় তারা মূলত বাংলাদেশের স্বাধীন রাষ্ট্রীয় সত্তার মূলভিত্তি ইসলামকে সমাজ ও রাজনৈতিক জীবন এবং রাষ্ট্রীয় মর্যাদা থেকে নির্বাসনে পাঠাতে চায়। ভারত উৎসারিত বাংলাদেশ বিরোধী বুদ্ধিবৃত্তিক ও মিডিয়া সন্ত্রাসের উপসর্গ হিসেবে ইসলামী জঙ্গিবাদ একটি গুরুত্বপূর্ণ যায়গা দখল করে নিয়েছে। ভারতের বাংলাদেশ বিরোধী প্রচারণা তাই সাময়িক বিষয় বা বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এটা ভারতের জাতিগত বিশেষতঃ হিন্দু ও রাষ্ট্রাচারের নীতিরই অবিচ্ছেদ্য অংশ। ভারত নেহরু ডকট্টিন অনুযায়ী এ অঞ্চলে কোন স্বাধীন সার্বভৌম জাতি রাষ্ট্রের অস্তিত্ব মেনে নিতে ইচ্ছুক নয়। একারণে ভারতের পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা নীতিতে সার্বভৌম সমতার রাষ্ট্রীয় মূল্যবোধ প্রতিফলিত হয় না। আস্থাশীল সৎ প্রতিবেশীসুলভ সম্পর্ক গড়ে তুলতেও ভারত সব সময়ই অনীহ। "
বাংলাদেশকে একটি ভাষাভিত্তিক সেক্যুলার রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার (মুজিব-ইন্দারার) প্রয়াস ব্যর্থ হয়েছে। আবারও সেই ব্যর্থতা মুছে বাংলাদেশকে ভাষাভিত্তিক জাতীয়তার খুঁটির ওপর ‘সেক্যুলার’ বাংলাদেশ গড়ার কর্মকান্ড চালাতে গিয়ে ফ্যাসীবাদী তান্ডব কিংবা বহিঃশক্তির সামরিক হস্তক্ষেপকে ডেকে আনা হবে কিনা, সে আশংকা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। রাষ্ট্র কাঠামোর সেক্যুলার রূপান্তর কিংবা সন্ত্রাসী শক্তির অন্ধ অনুগামী একটি তাবেদার সরকার প্রতিষ্ঠার পথে অন্তরায় হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছেঃ প্রধানতঃ ১. ইসলামী শক্তি, ২. সেনাবাহিনীর ইসলামী চেতনা, ৩. জাতীয়তাবাদী-ইসলামী শক্তির জোটবদ্ধ রাজনীতিকে।
সুত্র- ভারত উৎসারিত বাংলাদেশবিরোধী বুদ্ধিবৃত্তিক ও মিডিয়া সন্ত্রাস
লেখকঃ আজিজুল হক বান্না
জাযাকাল্লাহ খায়ের
কিন্তু এমরান বা হাসিনারা দেশের বারোটা বাজাবে বলে কিন্তু স্থায়ী কোন পরিকল্পনা করে বেচে যেতে পারবেনা
জনগন তাদের সকল ষড়যন্ত্র রুখবে তবে আরো সময় এবং রক্ত ঝরবে
আল্লাহই শ্রেষ্ঠ কৌশলী
যৌক্তিক & ইনফরমেটিভ
মন্তব্য করতে লগইন করুন