বৌদ্ধরা কি আদৌ শান্তিপ্রিয় জাতি? এক হিন্দু ধর্মগুরুর চাক্ষুষ অভিজ্ঞতা থেকে কিছু বর্ণনা...
লিখেছেন লিখেছেন জীবরাইলের ডানা ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ০৩:৪৭:৪৬ রাত
“মঠস্থ লামাদের অনেকেই চিত্রাঙ্কনে বিশেষ পটু। ইহার পার্শ্বের ঘরটি অতি ক্ষুদ্র ও প্রবেশদ্বার খুব ছোট, মাথা হেঁট করিয়া ঢুকিতে হইল। ঢুকিয়া যা দেখিলাম-তাহাতে মাথা ঘুরিয়া গেল। প্রায় দেড়শত খাপযুক্ত তলোয়ার, ২০/২৫ খানি ঢাল, ৮/৯টি তিব্বতী বন্দুক, কতকগুলি ছোরা ও মধ্যস্থলে একটি সোনার সিংহাসনে সোনার বুদ্ধমূর্তি। ঘরের দুই কোণে দুইটি কালো পাথরের কলসী রহিয়াছে। অনুমানে বোধ হইল উহাতে গুপ্তধন সঞ্চিত আছে। ... কোনো সাধু সন্ন্যাসীদের মধ্যে যে এতগুলি অস্ত্র ও এত অধিক ধনুক থাকিতে পারে তা আমরা স্বপ্নেও ভাবি নাই।”(সূত্র: কাশ্মীর ও তিব্বতে স্বামী অভেদানন্দ, পৃষ্ঠা ১২৬)
রামকৃষ্ণ পরমহংসের শিষ্য ও বিবেকানন্দের সহযোগী অভেদানন্দ তার তিব্বত ভ্রমণের সময়ে বৌদ্ধ মঠের যে অস্ত্রসজ্জিত অবস্থা প্রত্যক্ষ করেছিল, তা সে তুলে ধরেছিল তার ভ্রমণকাহিনীতে। উল্লেখ্য, এই তিব্বতী বৌদ্ধদের প্রধান ধর্মীয় নেতা দালাই লামাকেই শান্তির প্রতীক (!) হিসেবে নোবেল প্রাইজ দিয়েছে বর্তমানের কথিত বিশ্বনেতারা। বৌদ্ধদের দ্বারা মুসলিম নির্যাতনের বিষয়টি আড়াল করতেই ইউরোপ-আমেরিকার বিধর্মীচালিত মিডিয়ায় বৌদ্ধধর্মকে অহিংস ধর্ম বলে প্রোপাগা-া চালানো হচ্ছে।
তাছাড়া অভেদানন্দের বর্ণনানুযায়ী বৌদ্ধ লামারা শুধু অস্ত্র মজ্দুই করতো না, তাদের ধর্মীয় আচারও ছিল অত্যন্ত পাশবিক। “তিব্বতের প্রত্যেক শশ্মান বা গোরস্থানে একটি বৃহৎ প্রস্তরখ- আছে। তাহার উপর শবদেহকে উলঙ্গ করিয়া উপুড় করিয়া শোয়ানো হয়। পরে একজন জল্লাদ লামা আপাদমস্তক দাগ দিয়া মন্ত্র উচ্চারণ করিতে করিতে বৃহৎ তরবারি দিয়া টুকরা টুকরা করিয়া শবদেহকে কাটিয়া ফেলে, পরে ঐ সকল টুকরা শকুনি, গৃধিনী (তানকার) ও কুকুরদিগকে খাইতে দেওয়া হয়। অবশেষে মস্তকটি চূর্ণ করিয়া মস্তিষ্ক ও হাড়ের সহিত মিশাইয়া তাহাদিগকেই খাওয়ানো হয়।” (সূত্র: ঐ, পৃষ্ঠা ১৮৬-৮৭)
যে শান্তিবাহিনী নামধারণ করে সন্ত্রাসী বাহিনী কয়েক দশক ধরে পাহাড়ে গণহত্যা এবং সন্ত্রাস চালিয়েছিল, লামাদের মতোই তাদের অস্ত্রাগার হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছিল পার্বত্য চট্টগ্রামের বৌদ্ধ মঠগুলো। মিয়ানমারের দিকে তাকালে আমরা দেখতে পাই, তিব্বতী লামাদের দ্বারা মৃতদেহের মগজ বের করার মতোই রাখাইন (মগ) বৌদ্ধ সন্ত্রাসীরা রোহিঙ্গা মুসলমানদের শহীদ করে, মগজ বের করে রাস্তায় ফেলে রাখে। (নাউযুবিল্লাহ!)
মিডিয়া যাই বলুক, প্রকৃত ইতিহাস বলছে যে, বৌদ্ধরা কখনোই শান্তিপ্রিয় জাতি ছিল না। ইতিহাসের সর্বাপেক্ষা নৃশংস গণহত্যাকারী চেঙ্গিস খান ছিল বৌদ্ধ, তার পৌত্র বাগদাদ ধ্বংসকারী হালাকু খান ছিল বৌদ্ধ। বাংলার ইতিহাসে ‘মগের মুল্লুকে’র জনক কুখ্যাত মগ নৌ-দস্যুরা ছিল বৌদ্ধ, আর সেসব মগ নৌদস্যুদের বংশধররাই হলো আজকের মিয়ানমারের রোহিঙ্গা হত্যাকারী রাখাইন বৌদ্ধ সন্ত্রাসী সম্প্রদায়।
বিষয়: বিবিধ
৯৬৩ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
গৌতম বুদ্ধ সৃষ্টিকর্তা সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হলে তিনি তা সযত্নে এড়িয়ে গিয়েছিলেন এবং অন্য প্রসঙ্গে চলে গিয়েছিলেন।
বৌদ্ধ ধর্মে সৃষ্টিকর্তার সম্যক ও বিস্তারিত কোন পরিচয় খুঁজে পাওয়া যায় না। এদের ধর্মগুরুরা যাদু বিদ্যা ও বিভিন্ন শারীরিক কলাকৌশল অর্জন করে তা প্রদর্শনের মাধ্যমে তাদের ভক্ত ও অনুসারীদের এক প্রকার মোহগ্রস্ত করে রেখে তাদের খাহেশ উদ্দেশ্য পূরণ করে যায়।
সৃষ্টিকর্তা, স্বর্গ ও নরকের কথা নগন্য ক্ষেত্রে উচ্চারিত হলেও এরা পূণর্জন্ম থেকে পরিত্রাণ লাভের কথাই অধিক হারে প্রচার করে থাকে। প্রত্যেক জনমে ভাল কাজ করতে করতে নাকি একদিন পূণর্জন্মের অভিশাপ থেকে রেহাই পাওয়া যায়। মন্দ কাজের শাস্তি স্বরূপ পরজনমে নাকি নিকৃষ্টরূপে জন্ম হয়। যদি সেই জনমেও মন্দ কাজ করে তবে তার পরজনমে নাকি আরো নিকৃষ্টরূপে জন্ম হয়। এভাবে প্রত্যেক জনমে মন্দ কাজ করতে থাকলে একদিন নাকি হাইওয়ান জানোয়ারের রূপে জন্ম হয়। ..... এর পরের কথা আলোচনা করতে গিয়ে অন্তহীন বিতর্কের সূচনা হয়েছে যার সমাপ্তি আজ পর্যন্ত হয়নি এবং ক্বিয়ামত পর্যন্ত কোন সমাধান কেউ দিতে পারবেও না।
সৃষ্টিকর্তার আদেশ নিষেধ বা কোন বাণীর কথা তাদের ধর্মগুরুদের মুখে শোনা যায় না। কারণ সৃষ্টিকর্তা সম্পর্কে তাদের ধারণা বা বিশ্বাস একেবারেই আবছা ও কুয়াশাচ্ছন্ন। শুধু বুদ্ধের বাণীই তারা প্রচার করে থাকেন। কিন্তু সেই বাণীও তারা মানেন না।
তাই প্রাণী হত্যা নয় মানুষ হত্যাই তাদের পরমধর্ম।
জীব হত্যা মহা পাপ হলে এরা খায় কি তাহলে ? কোন খাবার কি জীব হত্যা ছাড়া হয় (প্রানী বা উদ্ভিদ)?
মন্তব্য করতে লগইন করুন