চর্ম ও সোরিয়াসিস চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথি মেডিসিনই আশু সমাধান।
লিখেছেন লিখেছেন জীবরাইলের ডানা ২৭ জুলাই, ২০১৭, ০২:৪৭:৩১ রাত
মানুষের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে-প্রতঙ্গে বিশেষ করে ত্বকে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। যা মানুষের শরীরের ত্বক বা স্কীনের সুন্দরর্য্যেকে বিকৃত ও বিনষ্ট্য করে ।
আরোগ্যোর জন্যও সুন্দর চিকিৎসা আছে। যিনি রোগ দিয়েছেন তিনি আরোগ্যর সুন্দর ব্যাবস্থাও দান করেছেন। বিজ্ঞান ভিত্তিক হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা ব্যাবস্থায় সোরিয়াসিস ও চর্ম জাতীয় রোগের আরোগ্য সম্ভব।
সোরিয়াসিস চর্মের একটি জটিল ও কঠিন সমস্যা। এটি অনেকটা একজিমা সাদৃশ্য। চর্মের উপর শুষ্ক ক্ষত হয় এর উপর আঁইশের মত হয়,
শুকিয়ে ভূষির ন্যায় খসে পড়ে, কড়াই চটকার ন্যায় ছাল উঠে। অনেক ক্ষেত্রে সোরিয়াসিসে চুলকানী থাকে চুলকালে মধুর মত ঘন রস বাহির হয়।
লাল বর্ণের চ্যাপ্টা উদ্ভেদ বের হয়ে তা হতে খোলস উঠতে থাকে। যা খুব পাতলা আইশের মত বা খুশকির মত একেই সোরাইসিস বলে।
সোরিয়াসিরের কারণ: ১) সঠিক কারণ এখনো অজানা
২) জীবানু সংক্রামন,
৩) লিভার ক্রিয়ার গোলযোগ থাকলে,
৪) হোমিওপ্যাথিক দৃষ্টি কোন থেকে সোরা ধাতু দোষই হলো মূল কারণ,
৫) শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার অভাব,
৬) খাদ্যাখাদ্য,
৭) পুষ্টির অভাব,
৮) শীত প্রধান অঞ্চল,
৯) কালো লোকদের তুলনায় সাদা/ফর্সা লোকদের বেশি হয়,
লক্ষণঃ ১) ছোট বড় নানা আকারে লাল বর্ণের একটি/অনেক গুলো ম্যাকুল/প্যাচ দেহের নানা স্থানে প্রকাশ পায়।
২) ঈষৎ ধূসর বর্ণের চকচকে প্রচুর আশ উঠে।
৩) কোন প্রকার ফুশ কুড়ি হয় না, রস পড়ে না।
৪) প্যাচ মিলিয়ে গিয়ে আবারও আসে, কোন কোন প্যাচ দীর্ঘদিন স্থায়ী হয়। অতিরিক্তি চুলকালে ক্ষতের সৃষ্টি হয়ে মধুর ন্যায় আঠালো রস বাহির হয়
৫) ক্ষত মিলিয়ে যাওয়ার পর কোন দাগ থাকে না।
৬) আইশ উঠিয়ে দিলে তার নীচটা মসৃন ও শুস্ক দেখায়।
৭) শরীরের প্রায় সবখানেই হয়ে থাকে, অত্যাধিক বেশি হলে পুরো শরীরে হয়ে থাকে।
৮) নখ আক্তান্ত হলে নখের চারপাশে ও নখের নীচে ঘন আশঁ জমে নখ মোটা,ভেঙ্গে যায় ও বিকৃত হয়ে যায়, বিবর্ণ দেখায়, নখ ফাংগাস ইনফেকশনের মত দেখায়।
৯) যাদের সোরিয়াসিসের সঙ্গে রিউমেটিক আর্থাইটিস থাকে তাদের ভয়ানক কষ্ট ভোগ করতে হয়। গায়ে সামান্য সূর্যতাপ লাগলে বা কোন উত্তেজক বস্তর সংস্পর্শে গেলে রোগী অস্তিবোধ করে।
১০) কদাচিৎ কোন কোন রোগীতে সর্বাঙ্গের ত্বক আক্রান্ত হয়ে লাল হয়ে প্রদাহ জন্মায় এবং উহার উপর পাতলা আশ স্তরে স্তরে জমা হয়।
সোরিয়াসিস রোগ নির্ণয়ঃ
* প্রথম দর্শনে এ রোগ নির্ণয় করা কঠিন, কারণ অন্যান্য চর্ম রোগের সাথে ভুল হওয়া খুব স্বাভাবিক। * মাথার সোরিয়াসিসের সাথে মাথার খুশকি পার্থক্য করতে হবে।
* অন্যান্য চর্ম রোগের আশের সাথে এর পার্থক্য করতে হলে এর আইশ খুবই পাতলা, চকচকে, রূপালী কালারের ন্যায় হয়। * এতে মাথার চুল নষ্ট হয় না, জট হয় না।
* সোরিয়াসিসের সাথে কোষ্ঠ কাঠিন্য থাকতে পারে, সিফিলিস, একজিমা, নখের ফাংগাস ইনফেকশন, ক্যান্সার এর সাথে পার্থক্য করে জেনে নিতে হবে। সোরিয়াসিস থেকেও স্কীন ক্যান্সার হতে পারে।
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসাঃ পাঠক ও সোরিয়াসিসে আক্রান্ত ব্যাক্তিকে মনে রাখতে হবে যে সর্বদায় হোমিওপ্যাথি ঔষধ লক্ষণ ভিত্তিক নির্বাচিত।
আর ঔষধ, মাত্রা ও শক্তি একজন চিকিৎসকের পক্ষেই নির্বাচন করা সম্ভব। লক্ষণ ভেদে সোরিনাম, আর্সেনিক আয়োড, আর্সেনিক এলবাম,
ক্যালকেরিয়া কার্ব, এমন কার্ব, গ্রাফাইটিস, নাইট্রিক এসিড, থুজা, সালফার, ব্যাসিলিনাম, সাইকিডটা, আইরিশ, সাইলেসিয়া।
চিকিৎসকের পরামর্শঃ
রোগীকে সর্বদা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে * পরিস্কার নরম জামা পড়তে হবে। * রৌদ্রে,গরমে ও উত্তেজক স্থানে যাওয়া যাবে না
* নিমপাতার গরম পানিতে গোসল করিতে হবে * পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে * টাটকা সবুজ শাক সব্জি খেতে হবে।
ফাষ্ট ফুড ও এ্যালার্জি জাতিয় খাবার বর্জন করতে হবে।
বিষয়: বিবিধ
২৪৩০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন