অবক্ষয়ের কবলে যুব সমাজ অশান্তির কবলেে পৃথিবী
লিখেছেন লিখেছেন জীবরাইলের ডানা ২৪ জুলাই, ২০১৭, ০৩:৩৮:২০ দুপুর
জীবনের এক এক বিশেষ অধ্যায়ের নাম যৌবন।জীবন যখন শৈশবের বালখিল্য ও ভীতিমুক্ত হয়ে ক্রমান্বয়ে বোধ ও সাহসিকতায় পরিপূণ হতে থাকে, তখনই তার গায়ে লাগে যৌবনের রং। ক্রমাগত জয় ও সাফল্য জীবনের যে অধ্যায়কে সর্বতো ভাবে সুন্দর করে তোলে তাকেই আমরা বলি যৌবন। যৌবনের সংজ্ঞায় বিখ্যাত অক্সফোড ডিকশনারীতে বলা হয়েছে-Youth is the of life when a person is young. Especially the time before a child be comes as adult: the had been a talented musician in this youth.The quality or state of being young.
যুবকেরাই যুদ্ধের যোগ্য। লড়াই করা, নিজের জীবনের মায়া না করা ওদের স্বভাব।নিজে ছোট বা দূবল, পারাজয়ের বিপদ তার ভাগ্যও ঘটতে পারে একথা সে মোটেই বিশ্বাস করে না। যৌবনের শক্তি অতি প্রচন্ড। যৌবন শক্তির কাছে কত সেনাপতিকে পরাজয় স্বীকার করতে হয়েছে। যৌবন ছাড়া জীবনে দু:খে হাসিমুখে আর কে অত সইতে পারে? প্রচন্ড টাইবার নদীর বুকে অসীম সাহসে কে লাফিয়ে পড়তে পেরেছিল, পৃথিবীর সর্ব্বোচ পবতসৃঙ্গ কে জয় করেছিল, মহাকাশ সহ গ্রহে উপগ্রহে কারা পাড়ি দিয়েছিল-সে যৌবন। যুবকরাই দেশ ও পৃথিবীর প্রাণ। মুসলিম জাতির গৌরব। জাতিসংঘ তারুণ্যকে ২৫ বছর ব্যাপী এক সুন্দর সময় হিসাবে চিহৃত করেছে। ১৫ থেকে ৪০ এর মধ্যকার টগবগে ২৫টি বছর তাদের মতে তারুণ্য। কিন্তু যুব সমাজ যখন অবক্ষয়ের পথে পা বাড়ায়, তখন তা জাতির জন্য ভয়ংকর রুপ ধারণ করে। তাদের বিপদগামিতার কারণে জাতীয় জীবনে নেমে আসে চরম অন্ধকার।Youth and Development গ্রন্থে বলা হয়েছে “The decadence of the youth is due to the environmental refection. Bad effects of science and technology, states apathy and above all family’s indifference.”
যৌবন শক্তির অপব্যবহার দেখলে আমাদের দু:খের অন্ত থাকে না। যে যৌবন পৃথিবীতে শান্তি ও কল্যানের মন্ত্র প্রচার করবে, তাই যদি দানবের মূর্তিতে পৃথিবীতে অশান্তি ও দু:খ সৃষ্টি করে তা মানব ভাষায় ব্যক্ত করা যায় না। বতমানে আমরা এক অবক্ষয়ের ধ্বংসম্মুখ সমাজের বাসিন্দা। বোধ ও নৈতিকতার অবক্ষয়ে ধম বিমুখ, ধমনিরেপেক্ষ, ভোগবাদী ও ভোগসবর্স্ব সমাজের সবশেষ পরিনতিই হল অবক্ষয়, অবক্ষয় এবং অবক্ষয়। অবক্ষয়ের শিকার বিশ্বমানব গোষ্ঠীর সবচেয়ে শক্তিশালী অংশ যুব সমাজ। ইউরোপ আমেরিকাসহ সমগ্র মানব সভ্যতায় যুব সমাজের রয়েছে মূখ্য ভূমিকা। আজ যুব সমাজ সবচেয়ে বেশি অবক্ষয়ের শিকার। অবক্ষয়ের আবর্তে হারিয়ে যাওয়া যুব সম্প্রদায়কে বাঁচানোর এক তীব্র তাগিদ অনুভব করছেন সবাই। নীচে সাম্প্রতিক সময়ের যুব অবক্ষয়ের প্রধান প্রধান দিকগুলো উপস্থাপন করা হল ঃ
মানবাধিকার সংগঠনগুলোর পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে মহাজোট ক্ষমতায় আসার পর তিন বছরে কয়েকটি ডাবল মার্ডার, ট্রিপল মার্ডারসহ দেশে ১২ হাজারেরও বেশি হত্যাকান্ড ঘটেছে। সে অনুযায়ী প্রতিদিন প্রায় ১১ জন করে খুন হয়েছেন। রাজনৈতিক সহিংসতায় নিহত হয়েছেন ৫৯২ জন এবং আহত হয়েছেন ৪০ হাজার ১৯০ জন। গত বছর ইউপি নির্বাচনী সহিংসতায় নিহত হয়েছেন ৮৩ জন। তবে পুলিশ সদর দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী হত্যাকান্ডের ঘটনা ১০ হাজার ৬শ' উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে ২০০৯ সালে ৪২১৯ জন ও ২০১০ সালে ৪৩১৫ জন। তিন বছরে সারাদেশে ১২৮০টি অপহরণের ঘটনা ঘটে। তারমধ্যে ৭১ জন গুপ্তহত্যার শিকার হয় বলে মানবাধিকার সংগঠনগুলো জানিয়েছে।খুনসহ ডাকাতি, দুর্ধর্ষ চুরি, অপহরণ, নারী নির্যাতন, শিশু নির্যাতন, মাদক কেনাবেচাসহ ৫ লাখেরও বেশি অপরাধের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ২০০৯ সালে ১ লাখ ৫৭ হাজার ১০৮টি, ২০১০ সালে ২ লাখ ৪৩ হাজার ৫৩৪টি ও ২০১১ সালে এক লাখ ৩৭ হাজার অপরাধের ঘটনা ঘটে। গত তিন বছরে শুধু রাজধানী ঢাকায় ৫ হাজার ৫৭৬টি বেওয়ারিশ লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, গত তিন বছরে ইভটিজিংয়ের ঘটনায় আত্মহত্যা করেছে ১৫০ জন। ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ১৮০৫ জন নারী ও শিশু। এর মধ্যে ২০১১ সালে ৭৮৫ জন, ২০১০ সালে ৫৫৬ জন এবং ২০০৯ সালে হয়েছেন ৪৫৪ জন। গত বছর ইভটিজিংয়ের শিকার হয়ে ৩৩ নারী আত্মহত্যা করেছে। প্রতিবাদ করতে গিয়ে ৮ অভিভাবক খুন হয়েছেন এবং বখাটেদের হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করতে গিয়ে নিহত হয়েছেন ১৮ তরুণী। র্যাবের হিসাব মতে, গত এক বছরেই ইভটিজিংয়ের শিকার হয়েছে ১৩৮ কিশোরী ও তরুণী এবং গ্রেফতার হয়েছে ১২৬ জন। তথ্য প্রযুক্তির অপব্যবহারের কারণে ৪২ নারী হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এসিড সন্ত্রাসের শিকার হয়েছে ৬২ নারী। ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ১০৫ নারীকে। ধর্ষণের পর আত্মহত্যা করেছে ২৮ নারী। যৌতুককে কেন্দ্র করে নির্যাতনের শিকার হয়েছে ৫০২ নারী। ১১৭ জন গৃহকর্মী নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে শারীরিক নির্যাতনের কারণে ১৪ জন গৃহকর্মী মারা গেছে। ২০১০ সালে দেশে ইভটিজিংয়ের ঘটনায় খুন-খারাবি, অভিভাবকের ওপর হামলা ও তরুণীদের হাত-পা কেটে নেয়ার মতো লোমহর্ষক ঘটনা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে যায়। প্রতিবাদকারীরাও রোষাণলে পড়েন। বখাটেদের হামলায় নাটোরের কলেজ শিক্ষক মিজানুর রহমান এবং ফরিদপুরে এক কিশোরীর মা চাঁপা রানী ভৌমিকের মৃত্যু তোলপাড় সৃষ্টি করে।: গণপিটুনির নামে পিটিয়ে মানুষ হত্যায় সৃষ্টি হয়েছে নয়া রেকর্ড। সারাদেশে গণপিটুনির শিকার হয়ে মৃত্যুবরণ করেছে ৪৩৫ ব্যক্তি। সে হিসেবে প্রতি মাসে গণপিটুনিতে মৃত্যু ঘটেছে কমবেশী ১২ ব্যক্তির। এর মধ্যে ২০০৯ সালে ১২৭ জন এবং ২০১০ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১৭৪ জনে। আর গত বছর দেশে গণপিটুনির শিকার হয়ে মারা গেছেন আরও ১৩৪ জন। পুলিশের হিসাবে অপরাধ : ২০০৯ সালে সারাদেশে ২৬১৮টি হত্যাকান্ড, ২০১০ সালে ২৫১২টি হত্যাকান্ড ঘটেছে। ২০১১ সালে ৩৯৭৪টি হত্যা, ৮০২টি অপহরণ, ৬২৭টি ডাকাতি, ১০৩৭টি দস্যুতা, ৯১১৩টি চুরির মামলা হয়। উক্ত রির্পোটে গত তিন বছরে যুব অবক্ষয়ের আংশিক চিত্র ফুটে উঠেছে মাত্র।
১. সমকামিতা ঃ
যুবক বয়সে যুবকদের শিরায় এক ভয়ংকর মহাপাপ প্রবৃত্তি জাগে। ব্যভিচার লিপ্সা ছাড়া আর এক রকম পৈশাচিক ক্ষুধা যুবক চিত্তে জাগে যা মনুষ্য ভাষায় বলা অসম্ভব।যে মহাপাপে সড়ম ও গমোরা নামক দুই প্রাচীন নগরী (কওমে লূত) ধ্বংস হয়েছিল, তিক্ত লবন সমুদ্রে পরিনত হয়েছিল-সেই মহা পাপ মনুষ্য থেকে এখনও অন্তনির্হিত হয়নি। বরং তা চর্তুগুন বেগে সারা পৃথিবীতে ব্যাপকভাবে ( আইনগত) বিস্তার লাভ করছে। সেই মহাপাপটিই হল সমকামিতা। যা প্রাকৃতিক নিয়ম বিরোধী, ভয়ংকর মানবতা বিধ্বংসী মহাপাপ নামে খ্যাত। এটি একটি প্রাকৃতিক নিয়ম বিরোধী জগণ্য কাজ। কারণ পায়ু যৌন সঙ্গমের জন্য নয়। এরপরেও এক শ্রেণীর বিকৃত রুচির মানব এটাতে আগ্রহী | ১৯৮১ সালে মূলত সমকামীদের মাধ্যমে পৃথিবীতে মানবতা বিধ্বংসী নিরাময়ের অযোগ্য ভয়ংকর এইডস রোগের উৎপত্তি লাভ করে। এ জন্য বিশেষজ্ঞগণ সমাকামিতাকে এইডস উৎপত্তির মূল কারণ হিসাবে চিহৃত করেছেন। বাংলাদেশে এ বিকৃত যৌনাচার খুব দ্রুতই বুদ্ধি পাচ্ছে। যা রীতিমত আতংকের ব্যাপার। জাতীয় এইডস ও এসটিটি প্রোগ্রাম (এনএসপি) এর মতে-বাংলাদেশে ২০০৭ সালের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী এইচ আইভি/ এইডসে অত্যন্ত ঝঁটিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে প্রায় ৩ লাখ মানুষ। এর মধ্যে পুরুষ সমকামী ও খদ্দের ৪০ হাজার থেকে দেড় লাখ এবং হিজড়া রয়েছে ১০ হজেরে থেকে ১৫ হাজার। ডেইলী স্টার পত্রিকার এক রির্পোটে জানা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সোশ্যালজির সহযোগী অধ্যাপক ড: সাইফুল আজমের মতে, বাংলাদেশে সমকামিতা বৃদ্ধির হার বছরে প্রায় ৩.৫%। বন্ধু সোস্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি জানায়, ২০০৫ সালেই চট্টগ্রামে পেশাদার পুরুষ সমকামীর সংখ্যা ছিল ৩৫০০ জন। বর্তমানে এ সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। তাদের মতে, সব শ্রেণী পেশার লোকজন নাকি রয়েছে পুরুষ সমকামীদের মধ্যে । এমএসএম ও হিজড়া সুমন জানায়- দেশে প্রায় ১২ লাখ হিজড়া এবং প্রায় ১ লাখ এমএসএমরা সমকামী রয়েছে। হোমোসেক্সুয়াল ইউটিলিটি গ্রোরোইন এইডস রিস্ক ইন বাংলাদেশ নামক এক রির্পোটে বাংলাদেশে ১০ মিলিয়ন সমকামী নারী পুরুষের বসবাস বলা হয়েছে। এতো আরো বলা হয়েছে দিন দিন এ সংখ্যা ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশে সমকামীরা সঙ্গী খুঁজতে আশ্রয় নিচ্ছে ওয়েবসাইটের।নিজস্ব ওয়েবসাইটে তারা ছবি,নাম,ঠিকানা,পেশা,শিক্ষাগত যোগ্যতা, ফিগারের ধরণ উল্লেখ করে বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ওই বিজ্ঞাপন থেকে সমকামীরা তাদের পছন্দমতো সঙ্গী বেছে নিচ্ছেন। কেউ কেউ একাধিক সঙ্গী খুঁজছেন। পাশাপাশি তার তাদের দল ভারী করার জন্য গড়ে তুলেছে এসোসিয়েশন,ওয়েবসাইট ও ম্যাচমেকার প্রতিষ্ঠান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ-যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস বলেন- সমকামিতা আমাদের সামজে আছে। বিভিন্ন স্তরে বিদ্যামান। অনেকেই সমলিঙ্গের সাথে জৈবিক চাহিদা পূরণ করছে। নানা ধরণের আবাসিক হলগুলোতে কিছু কিছু সমকামী রয়েছে। এখন তারা এক হয়ে তাদের অধিকার ফিরে পেতে চেষ্টা করছে। অনেক ক্ষেত্রে সমকামিতায় আসক্ত যুবকরা দিন দিন বিয়ের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলে, সামাজিক কারণে বিয়ে করতে বাধ্য হলেও সংসার ভেঙ্গে যায়। এর কারণে সমাজে তালাক ও বিবাহ বিচ্ছেদের প্রবনতাও বাড়ছে। সমকামিতার কারণে খুন সহ নানা অপরাধের জন্ম নিচ্ছে । আমাদের মতো দারিদ্র দেশে সমকামিতা বৃদ্ধির জন্য গ্রোবাল ফান্ডের সহযোগীয় ৪৫০ কোটি টাকার ফ্রি কমডম ও লুব্রিলিকেন্ট বিতরণ কর্মসূচি পালন করছে বিভিন্ন এনজিও সংস্থ। বন্ধু সোস্যাল ওয়েলফেয়ার, নোঙ্গর সহ বিভিন্ন এনজিও সংস্থা সমূহের প্রত্যক্ষ ইন্ধনে দেশে সমকামিতার মতো বিষাক্ত মহাপাপের বিস্তার লাভ ঘটছে। আর তাদের অথ সহ সাবিক সহযোগতা দিচ্ছেন সাম্রাজ্যবাদী কিছু সংগঠন ইউএসএআইডি ও হেলথ ইন্টারন্যাশনাল প্রভূতি সংগঠন। আর এ বিষাক্ত সমকামিতার মাধ্যমে দেশে এইডসের প্রবনতাও বাড়ছে | তাই এখুনিই রুখতে হবে এ বিকৃত যৌনাচারকে তা না হলে আমাদের যুব সমাজকে রক্ষা করা দুস্কর হয়ে পড়বে।
2. ধর্ষন ঃ-
ধর্ষন হচ্ছে যৌন সন্ত্রাসের সবচেয়ে ভয়ংকর রুপটি। ধর্ষন সভ্যতার ইতিহাসে সবচেয়ে জঘণ্য অপরাধ। এর মাধ্যমে শুধু একটি নারীকে অকালে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হয় না বরং একটি পরিবারকেও অকালে নি:শেষ করে দেওয়া হয়। তাই ধর্ষনরে মাধ্যমে একটি নারীকে নয় একটি জাতিকে ধ্বংস করে দেয়া হয়। এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়-২০০২ সাল থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত আমাদের দেশে ৪ হাজার ২১৯ জন ধর্ষনের শিকার হয়েছে। ১ হাজার ৮৪৪ জন গণধর্ষন হয়েছে। পুলিশ সদর দপ্তরের এক প্রতিবেদনে জানা যায়-১৯৯৭ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত গত পাঁচ বছরে ধর্ষনরে শিকার হয়েছে ১৪১২৮ জন। ১৯৯৭ তে ১৩৩৬, ১৯৯৮ তে ২৯৫৯, ১৯৯৯ তে ৩৫০৪, ২০০০ তে ৩১৪০, ২০০১ সালে ৩১৮৯ জন ধর্ষনের শিকার হয়েছে। এ সময় ৩ বছরের শিশু থেকে শুরু করে ৭০ বছরের বুড়ী পর্যন্ত ধর্ষনের শিকার হয়েছে।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের ৫ বছরের নারী নির্যাতনের চিত্র তুলে প্রতিবেদনে জানায়- ২০০৫ সাল থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে ৫ হাজার ৪৯৫ টি খুন ও ধর্ষনের পর হত্যা, গণধর্ষন ও ধর্ষন ৩ হাজার ২৪৬ টি।
অপর এক জরিপে দেখা যায়-২০০৩ থেকে ২০০৯ এর অক্টোবর পর্যন্ত বাংাদেশে ৫০০০ নারী ও কন্যাশিশু ধর্ষনের শিকার হয়েছে।
পুলিশের বার্ষিক অপরাধ সম্মেলনে সি আইডির এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় -২০০৯ সালে ধর্ষনের অভিযোগে মামলা হয়েছে ২৯৭২ টি। দেশে গড়ে প্রতিদিন ৮ টি ধর্ষনের ঘটনা ঘটেছে। মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়-২০০৯ সালের ১ জানুয়ারী থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এক বছরে শুধু ধর্ষনরে পর হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছেন ৯৭ জন নারী ও কন্যাশিশু। আর ধর্ষনের শিকার হয়েছেন ৪৫৪ জন নারী। এর মধ্যে প্রাপ্ত বয়স্ত নারী ২১১ জন এবং কন্যা শিশু ২৪৩ জন। গণধর্ষনরে শিকার হয়েছেন ৯৭ প্রাপ্ত বয়স্ক নারী ও ৭৯ কন্যাশিশু । বর্তমানে বাংলাদেশে ধর্ষনের ঘটনা ভয়াবহভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
১. গণধর্ষনের ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে।
২. গণধর্ষনের পরে নারীর বাঁচার সম্ভবনাকে শেষ করে দেয়া হচ্ছে। ধর্ষনরে পর তার উপর নিক্ষিপ্ত হচ্ছে এসিড, কখনো তাকে জবাই করে হত্যা করা হচ্ছে, কখনো মাথা ন্যাড়া করে দেয়া হচ্ছে, কখনো হাত পা ভেঙ্গে দেয়া হচ্ছে। ধর্ষনের পর কখন্ও তাকে টুকরো টুকরো করে কেটে খালে নদীতে বা পুকুরে ফেলে দেয়া বা গলায় ফাঁস লাগিয়ে বাড়ির সামনে গাছে ঝুঁলিয়ে রাখা হচ্ছে যাতে মামলা করতে সাহস না পায়। মাথা উচুঁ করে হাঁটতে না পারে।
৩. অভিভাবক, স্বামী ও সন্তানের সম্মুখে কিশোরী কন্যা বধু ও মাকে ধর্ষন/গণধর্ষন করা হচ্ছে।
৪. স্কুলের ছাত্রীদের অপহরণ করে নিয়ে ধর্ষন করা, ধর্ষনের ছবি তুলে হাটে বাজারে প্রদর্শন করে তার জীবনকে বিষিয়ে তোলা।
৫. ধর্ষনের ভিডিও করা।
ধর্ষন পুরনো বিষয় হলেও উল্লেখিত ধারাগুলো সাম্প্রতিক প্রবণতা যা সমাজের ভেতরের মূল্যবোধের অবক্ষয়কে উলঙ্গ করে দেখিয়ে দেয়। বর্তমান এ চিত্রটি যুব অবক্ষয়ের চুড়ান্ত জগণ্য রুপটি জাতির কাছে প্রকাশ করে দেয়। মানুষকে আতংকগ্রস্ত করে তুলে। নারী জগণ্য হাতিয়ার ধর্ষন এখন আর পুরুষতান্ত্রিক আর সামন্তন্ত্রিক কোন গন্ডিতে সীমাবদ্ধ নয়। ধর্ষন একটি রাজনৈতিক প্রতিশোধ গ্রহনের ঘৃণ্য হাতিয়ার। নারী যেহেতু পুনরুৎপাদনের শক্তির অধিকারী, সেহেতু নারীর উপর দিয়েই এ জগণ্য, নোংরা, অমানবিক ঘটনা ঘটে যা নারীকে আরো বেশি হেয় অবস্থানে ঠেলে দেয়। মানুষের নৈতিক মূল্যবোধ এতটাই নীচে নেমে গেছে যে, ধর্ষনরে শতক পূর্ণ হওয়ায় মিষ্টি উৎসবে মেতে উঠতেও দ্বিধাবোধ করছে না। তাও আবার পবিত্র শিক্ষাঙ্গনে । বর্তমানে সেই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের হাতে ছাত্রীরাও ধর্ষনরে শিকার হচ্ছেন। আর ছাত্রলীগের দেশব্যাপী নারী ধর্ষন ও বিশ্ববিদ্যালয়ে নারাীর সম্ভম হানি এবং দেহ ব্যবসায় ছাত্রীদের বাধ্য করার ঘটনা দেশে নারীর অবস্থানকে আরো অনিরাপদ করেছে। লক্ষ লক্ষ মা-বোনের উজ্জতের বিনিময়ে সোনার বাংলাদেশ আজ নারীদের জন্য আতংকের পুরীতে পরিনত হয়েছে।
৩. ইভটিজিং ঃ-
ইভটিজিং বা উত্যক্ত কর্ওা এক ধরনের যৌন সন্ত্রাস। ইভটিজিং হচ্ছে বিকৃত মনের এক বিকৃত যৌন রুচির কাজ। নারী জাতি মায়ের জাতি ইভটিজিংয়ের মাধ্যমে মায়ের জাতিকে অসম্মান করা হয়। মূলত: আমাদের চলচ্চিত্র জগৎ থেকে এবং হিন্দী ফিমের মাধ্যমেই ইভটিজিং নামক এ বিকৃত যৌন রুচি আমাদের যুব সমাজের মধ্যে সংক্রমিত হয়। দিন দিন ইভটিজিং এর এ মারাত্মক প্রবনতা ব্যাপক আকার ধারণ করছে। স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পবিত্র অঙ্গনগুলোও আজ ভয়ংকর ভাবে এ বিকৃত রুচিতে আক্রান্ত। দিন দিন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও যুব সমাজ এ বিকৃত রুচিতে আক্রান্ত হচ্ছে। আর এক্ষেত্রে আমাদের নষ্ট ছাত্ররাজনীতির নষ্ট নেতাকর্মীরাও পিছিয়ে নেই। চলতি বছরে ইভটিজিংয়ের শিকার হয়ে আত্মহত্যার প্রবনতাও বেড়েছে। শুধু কি ইভটিজিংয়ের শিকার হয়ে নারীরা আত্মহত্যা করছে তা নয়, ইভটিজিং থেকে মেয়েকে বাঁচাতে না পারার দরুন শ্রদ্ধেয় পিতারাও আত্মহত্যার পথ বেঁচে নিচ্ছে। যা আমাদের আইন আদালতের জন্য চরম লজ্জার বিষয়। গত বছর সাড়ে পাঁচ মাসে ইভটিজিং ও প্রেমে ব্যর্থ হয়ে ১৩ জন ছাত্রী আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছে। এরা হলো নাসফিয়া আকন্দ পিংকি, বৃষ্টি, ফাহিমা, রেশমা আক্তার, চাঁদমনি, অরুন্ধতী, ইলোরা, নুরিয়া সুলতারা প্রভা প্রমুখ।
৪. লিভটুগেদার ঃ-
বিয়ে না করে একত্রে বসবাস মানে লিভটুগেদারও এক ধরণের যৌন সন্ত্রাস। বিয়ে ছাড়া দাম্পত্য সম্পর্ক তৈরি করারা ক্ষেত্রে আগ্রহ বাড়ছে বর্তমান তরুণ প্রজন্মের মধ্যে। এরকম জুটির মধ্যে রয়েছে ব্যবসায়ী,শিল্পপতি, চাকরীজীবি, ছাত্র-শিক্ষক,সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব্যসহ নানা ধরণের মানুষ। বিয়ে না করেও তারা বাড়ি বা ফ্যাট ভাড়া নিচ্ছ স্বামী স্ত্রী পরিচয়ে। কেবল অবিবাহিত নারী পুরুষরা লিভটুগেদার করছে তা নয়,বিবাহিত নারী পুরুষরা স্ত্রী স্বামী সন্ত্রান থাকার পরও এ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ছেন। কেন এ ঘূণ্য জীবনে পর্দাপন কারণ হিসাবে তারা বলছেন একাধিক নারী পুরুষের জৈবিক চাহিদা পূরণ আর মানসিক শান্তি। ইদানিং ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যেও এ মারাত্মক হারে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অনেকে ধর্মান্তরিত না হয়ে বিয়েতে সামাজিক বাধাঁর কারণে লিভটুগেদার করছেন। বর্তমানে ফেসবুক ইন্টানেট আর মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরিচয়ের ক্ষেত্রেই তা বেশি হচ্ছে। পরে প্রতারণার বিষয়টি ধরা পড়ার পর হত্যা বা আত্মহত্যার মতো ঘটনাও বাড়ছে। অনেকে সামাজিক বিধি নিষেধ বয়স আর বিয়ের করতে যে অধিক অর্থকড়ি প্রয়োজন তা মেটাতে না পেরে লিভটুগেদারে জড়িয়ে পড়ছেন। অনেকেই পারিবারিক অশান্তির কারণে শান্তির প্রত্যাশাই এ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ছেন। আবার অনেকে পারিবারিক সম্পর্কের বাইরে গিয়েও এ লিভটুগেদারে জড়িয়ে পড়ছেন। উচ্চাকাঙ্খা বেশি এমন মেয়েরাই লিভটুগেদারের প্রতি বেশি আকৃষ্ট। আর পুরুষেরা ঝামেলা এড়ানো মানসিক ও জৈবিক শান্তির জন্য ঝামেলাবিহীন সঙ্গী খুঁজে নেই আর এক্ষেত্রে লিভটুগেদারই উত্তম। সমাজে লিভটুগেদার যেমন বাড়ছে সেভাবে লিভটুগেদারের সাথে পাল্লা দিয়ে ব্ল্যাকমেইলে অপতৎপরতাও বাড়ছে। ফলে বাধ্য হয়ে অনেক তরুণী আত্মহরনেন পথ বেছে নেই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এ সম্পর্কে বলেন, নারী পুরুষের সম্মতিতে তারা লিভটুগেদার মতো সম্পর্কে লিপ্ত হচ্ছে। এতে কারো উপর কোন চাপ থাকে না। তাদের যতদিন ভালো লাগলো তারা এক সঙ্গে থাকলো আর ভালো না লাগলে আলাদা হয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, লিভটুগেদার সমাজে অনেক বেড়ে গেছে। আগামীতে আরো বাড়বে। ১৫-২০ বছর পরে এটি এমন পর্যায়ে যাবে এটা বিয়ে নামক সম্পর্কে ব্যাপক ধাক্কা দিবে। এখন মানুষ কোন ঝামেলা এড়াতে চায় না। সাংসারিক জীবনে আবদ্ধ হয়ে নিজের ক্যারিয়ারও নষ্ট করতে চায় না। সেই সঙ্গে তারা চায় জীবনটাকে উপভোগ করতে। এজন্যই তারা বিয়ে করতে চাইছে না। তারা লিভটুগেদার করছে। অনেকে বিয়ের নাম দিয়ে লিভটুগেদারে জড়িয়ে মেয়েদের জীবনের সবকিছু কেড়ে নিচ্ছে। লিভটুগেদারের কারণে ভূলবুঝাবুঝি, আত্মহনন,খুন সহ সামাজিক নানা অপরাধের জন্ম নিচ্ছে। বিশেষ করে লিভটুগেদারে আসক্তরা পরবর্তীতে বিয়ের আগ্রহ হারিয়ে ফেলে।
৫. অবাধ যৌনাচার ঃ
অবাধ যৌনতার বিশ্বায়নে বাংলাদেশেও ব্যাপক যৌনাচার প্রতিযোগিতার ভিত্তিতেই বেড়েই চলেছে। যা এইডস বিস্তারেও ব্যাপক ভূমিকা রাখছে। শতকরা ৭৫ ভাগ যুবক বিবাহ পূব যৌনতায় অভ্যস্ত। অবিবাহিত যুব সমাজ নিজের শক্তি সম্পর্কে হীসমন্যতা দুর করার জন্য অবাধ যৌনাচারে লিপ্ত হচ্ছে। আর্থিক অসচ্ছল যুবকদের মাঝে পতিতালয়ে গমনের সংখ্যা বেশি।বাংলাদেশ সরকার স্বীকৃত ১৬ টি পতিতালয় রয়েছে। যেখানে ১ লক্ষেরও অধিক পতিতা বাস করে। এছাড়া হোটেল মোটেল ভ্রাম্যবানসহ আরো কয়েক লক্ষ পতিতা সারা দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। এরাই অবাধ যৌনাচার বিস্তারে গুরুত্বপূণ প্রধান ভূমিকা পালন করছে। ডা: লুৎফর রহমান রচনাসগ্রহ বইতে বলা হয়েছে-আমাদের দেশে বিবাহের পূর্বে শতের মধ্যে ৯৯ জনই অবৈধ নারী সংশ্রবে একবার না একবার চীবনকে ধাবিত করে। বাঙ্গলার হাজার বেশ্যা নারীকে রাজ কন্যার হালে যারা রাখে তারা আমাদের যুবকেরাই। তিনি আরো বলেন-শহরে ছেলেরা যৌবনকালে বেশ্যাবাড়ী যেতে শিখে। একবার সে পথে যাওয়া আরম্ব করলে এ অভ্যাস আর কাটে না। এক নারী ছেড়ে আরেক নারী, এক বেশ্যা ছেড়ে আরেক বেশ্যার কাছে যেতে চায় প্রাণ! বেশ্যাদের ব্যাধিপূণ শরীরের সংশ্রবে এসে সোনার শরীর ধ্বংস হয়, গনোরিয়া, সিফিলিস এইডস সহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে অকালে প্রাণ হারাতে হয়। এছাড়া ৮৫ ভাগ ড্রাইভার বিবাহোত্তর/বিবাহ বর্হিভূত/বিবাহপূব যৌনতার শিকার হয়ে পতিতা পল্লীতে যায়। ব্যাংকের আগষ্ট ২০০৭ সালের তথ্যানুযায়ী বাংলাদেশে প্রায় ১ লক্ষ ৫ হাজারের বেশি নারী যৌন ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ত। প্রতি সপ্তাহে যৌন পল্লীর যৌন কর্মীরা গড়ে ২৮ জন, রাস্তার ভাসমান যৌন কর্মীরা গড়ে ২৭ জন, হোটেলের যৌন কর্মীরা গড়ে ৪৪ জন খদ্দেরের সাথে যৌন কর্ম করে। এনএসপি ২০০৭ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী এইডসের জন্য অত্যন্ত ঝঁকিপূর্ণ ৩ লাখ লোকের মধ্যে পতিতালয় ভিত্তিক যৌন কর্মী ৩৬-৫৪ হাজার, ভবঘুরে বা রাস্তাকেন্দ্রিক যৌন কর্মী ৩৭-৬৬ হাজার, হোটেল ও আবাসিক যৌন কর্মী ২৪-২৮ হাজার রয়েছে। বাংলাদেশে সরকার কর্তৃক স্বীকৃত ১৬ টি পতিতাপল্লী রয়েছে, যেখানে ১ লক্ষের অধিক পতিতা বাস করে। এছাড়া সহজ পন্থায় অনেক টাকা রোজগার করা যায় বলে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক ছাত্রীও এ পেশায় আসে। এরাই অবাধ যৌনাচারের বিস্তার ও এইচ আইভি এইডস সংক্রমনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।বতমানে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে তিন চার বছরের অঘোষিত বিবাহ প্রথা চলছে।এছাড়া এখন প্রেমের অপর নাম হয়ে ছলে বলে কৌশলে দেহ ভোগ করাই মূখ্য হয়ে গেছে। ডা: লুতফর রহমান তার রচনাসমগ্রতে লিখেছেন-যৌবনকালে কি বিবাহিত কি অবিবাহিত পাঁচজন একস্থানে জমা হলেই অতি কুৎসিত আলাপ আলোচনা করা যুবকদের বড়ই প্রিয় অভ্যাস।নারী অঙ্গ নিয়ে এরা যে জঘন্য আলাপ করে। তা প্রকৃত মনুষ্য সন্তান শুনলে তাদেরকে একপাল বিষ্ঠাভোগী কুকুর বলতেন। কতভাবে কত রকমে যে এরা নারী অঙ্গের সমালোচনা করে তার ইয়ত্তা নেই। হায় নারী দেহে কি আছে? মূত্র-বিষ্ঠপূণ, কৃৎসিত দশন মূত্রস্থান নিয়ে কি উৎসাহপূণ গবেষনা। হায়! মনুষ্য তুমি না দেবতার পুত্র? তুমি কি কুকুর শাবক? তোমার এই প্রবৃত্তি? কি জিনিসে তুমি এত মুগ্ধ? ওরে অন্ধ যুবক! তুই এত পাগল? ইন্দ্রিয় লালসা তৃপ্তিতে কতটুকু সুখ! এই তুচ্ছ সুখের জন্য তোর সোনার যৌবনটাকে কিভাবে মাটি করি দিস! হায় পাগল! একবার ভাল করে বুঝে দেখ, ঐ পাপ আলোচনা করে জীবনের সবনাশ করিসনে। দেহস্থ পবিত্র শক্তির আধার বীর্যকে নষ্ট করে জীবনের সুখ শান্তি নষ্ট করিসনে। ঐ বীর্যের মত মূল্যবান জিনিস আর নাই-এর মূল্য রাজার রাজত্ব থেকে অনেক বেশি। তুই কি অবোধ পাগল দলের একজন হবি? শয়তানের প্রলোভনে পড়ে তোর চোখে মুখে দুগন্ধ পুরীষ মাখাস নে । আঃ ছিঃ ছিঃ।
6 পরকীয়া ঃ-
পরিবারই শান্তি ও সুখের নীড়। ম্বামী স্ত্রীর স্বর্গীয় প্রেম ভালবাসায় পরিবারের মূল ভিত্তি। কিন্তু বর্তমান অবক্ষয়গ্রস্ত এ সমাজে পরকীয়া নামক আরেক যৌন সন্ত্রাস আমাদের শান্তি সুখের নীড় পরিবার প্রথাকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে। পরকীয়ার করুণ শিকার ছোট্ট শিশু তালহা ও সামিউলের করুণ মৃত্যু দেশবাসীকে হতবাক করেছে। পরকীয়ার কারণে স্নেহময়ী মা‘র প্রত্যক্ষ ইন্ধনে খুন করা হলো নিষ্পাপ এ দুটি শিশুকে। ঢাকার এ দুটি ঘটনাই জানান দিচ্ছেন আমাদের পরিবার প্রথা আজ পরকীয়া নামক যৌন সন্ত্রাসের কবলে পড়ে ক্ষত-বিক্ষত হতে চলেছে। স্বামীকে বাদ দিয়ে অবৈধ যৌন ক্ষুধা মেটাতে গিয়ে পথের কাটা সাফ করার জন্য মায়ের হাতেই খুন হলো নিষ্পাপ এ দৃটি শিশু। পরকীয়া আমাদের সমাজের অবোধ নারীদেরকে বানিয়েছে নিজের জন্মদানকারী সন্তানের হত্যাকারী। পরকীয়ার কারণে মা হলো সন্তান হত্যাকারী খুনী। মূলতঃ বিবাহিত জীবনে স্বামী স্ত্রী পরস্পরকে বাদ অপর কারো সাথে শারিরীক সম্পর্ক স্থাপনকেই পরকীয়া বলা হয়। ডিশের আগ্রাসনের কারণে স্বামী স্ত্রী পরস্পরের প্রতি সন্তুষ্ট হতে পারছে না, স্বামীর যৌন দূর্বলতা এবং বিয়ের পর দীর্ঘদিন পর্যন্ত প্রবাস যাপন ইত্যাদী সমস্যার কারণেই অধিকাংশ পরকীয়া সম্পর্কের সূত্রপাত। এটি আমাদের দেশের প্রবাস যাপনকারী প্রতিটি পরিবারেই এখন প্রধান সমস্যাতেই পরিনত হয়েছে। বিবাহিত জীবনে স্বামীর দীর্ঘদিন প্রবাস যাপনের কারণে স্ত্রী তার যৌন চাহিদা মেটাতেই মূলতঃ পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। আর অনেক ক্ষেত্রে স্বামী তার স্ত্রীর প্রতি সন্তুষ্ট হতে না পারলেও পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। অনেক ক্ষেত্রে এক স্ত্রী দিয়ে পরিতৃপ্ত হতে পেরেও অনেক পুরুষ পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। অনেকে আবার টাকা পয়সার লোভে পরকীয়ায় সম্পৃক্ত হয়। অনেক ক্ষেত্রে পরকীয়া আসক্ত নারী তার স্বামীর টাকা পয়সা নিয়ে পরকীয়ার বন্ধুর সাথে উধাও হয়ে যায়। পরকীয়ার কারণে আমাদের সামাজিক জীবনে খুনাখুনি সহ নানা সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। পরকীয়া সম্পর্কেন কারণে স্বামী খুন হচ্ছে স্ত্রীর হাতে আর স্ত্রী খুন হচ্ছে স্বামীর হাতে, সন্তান খুন স্নেহময়ী বাবা-মায়ের হাতে। পরকীয়া একজন মানুষকে এমনই নিষ্ঠুর করে তোলে। পরকীয়ার কারণে সংগঠিত জোরাইন ট্ট্যাডেজীতে আত্মহত্যাকারী মা ও দুই সন্তানের করুণ মৃত্যু আমাদের জাতীয় জীবনকে নাড়া দিয়েছে। আহত করেছে দেশের সচেতন জনসাধারণকে।
এছাড়া পরকীয়ার কারণে তালাক বিবাহ বিচ্ছেদ শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন সহ সামাজিক সমস্যার জন্ম নিচ্ছে।
৭.ভিডিও ব্ল্যাকমেইল ঃ-
ভিডিও ব্ল্যাকমেইল এক ধরণের মারাত্মক যৌন সন্ত্রাস। মিথ্যা প্রেমের নামে মেয়েদের পঠিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করে সেগুলোর ভিডিও ধারণ করে বাজারে সিডি করে বিক্রি করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে এক শ্রেণীর নষ্ট যুব সমাজ। কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ও এক শ্রেণীর ছাত্র সহপাঠী ছাত্রীদের প্রেমের নাম দিয়ে কোন হোটেল বাসা বাড়িতে নিয়ে গিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করে সেগুলোর ভিডিও চিত্র ধারণ করে ইন্টারনেটে বা বাজারে সিড়ি আকারে ছাড়া হচ্ছে। অনেকে এ ঘটনাগুলোকে চাঁদাবাজীর মাধ্যমে হিসাবে ব্যবহার করে। সাম্প্রতিক এ প্রবনতা মারাত্মক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। পরবর্তীতে এ ভিডিও চিত্র গুলো ইন্টানেটে বা কম্পিউটারে সিডি আ মোবাইলের মাধ্যমে দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে। এভাবে ব্ল্যাকমেইলের মাধ্যমে এক শ্রেণীর নষ্ট যুব সমাজ আর্থিকভাবে লাভবান হয়ে দিনে দিনে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছে পরিণত হচ্ছে। অপরদিকে মেয়েটির/ ছাত্রীটির পরিবার সাামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন হচ্ছে এবং মেয়েটি সম্মান বাঁচানোর জন্য আত্মহননের পথ বেঁচে নেয়।
৮. মাদকাসক্তঃ
বতমান বিশ্বের সমগ্র মানব জাতির জীবন ও সভ্যতার জন্য অত্যন্ত বড় হুমকি হলো ড্রাগ বা মাদকাসক্ত। এটি একটি অভ্যাসগত রোগ এবং ধিরে ধিরে তা মৃত্যুর দিকে নিয়ে যায়। বাংলাদেশে বতমানে ৭০ লক্ষ লোক মাদকসক্ত। এর মধ্যে ৭০ ভাগ হেরোইন এবং ৩০ ভাগ ফেন্সিডিলে আসক্ত। এনএএসপি ২০০৭ সালের সবশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী এইচ আইভি এইডসের জন্য অধিক ঝুঁকিপূণ ইন্ট্রাভেনাস ড্রাগ ইউজার রয়েছে ২০ হাজার থেকে ৫০ হাজার। এক গবেষনায় দেখা যায়-ঢাকা শহরের বিভিন্ন উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যায়নরত ছাত্র ছাত্রীদের যাদের বয়স ১৫-৩০ বছরের মধ্যে সেসব যুবকদের ৭০% এবং যুবতীদের ৫০% মাদকাসক্ত। এছাড়া ঢাকার প্রথম শ্রেনীর কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ হাজারের অধিক ছাত্রী মারাত্মক পযায়ে মাদকাসক্তে জড়িয়ে পড়েছে। আর ১০ লাখ লোক এ মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত । যার অধিকাংশই তরুণ। আর বতমান সময়ে যৌন আসক্তিযুক্ত নীল মাদক ইয়াবা আগ্রাসনে সারা দেশ ক্ষত বিক্ষত।
৯. সন্ত্রাস ঃ
সন্ত্রাস বতমান শতাব্দীর আতংক। সন্ত্রাসের কারণে উন্নত বিশ্বের রাষ্ট্র প্রধানরা হাজার হাজার সৈন্য বাহিনী পাহারায় বসিয়ে আধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত করেও রাতে ঘুমাতে পারেন না। সন্ত্রাস বতমানে কোন নিদিষ্ট দেশের নয় এটি এখন সারা পৃথিবীর আতংক। আজকে দেশের দৈনিক, সাপ্তাহিক মাসিক পত্র পত্রিকা সমূহে চোখ বুলালেই দেখা যাবে খুন, রাহাজানি, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজীসহ সামাজিক অবক্ষয়ের ঘৃণিত রুপটি। বাংলাদেশের কয়েক লক্ষ তরুণ সন্ত্রাস নামক এ ঘৃণ্য পেশায় যুক্ত। এর মধ্যে সন্ত্রাসের রাজনৈতিক পৃষ্টপোষকতার কারণে দেশটাকে জাহান্নামের নরক কুন্ডে পরিনত করা হয়েছে। শুধু মাত্র চট্টগ্রামের ‘স’ অধ্যাক্ষরের একটি সন্ত্রাসী গ্রুপের কয়েক হাজার সদস্য রয়েছে। টাকার বিনিময়ে খুন, ধষনসহ নানা আইন শৃঙ্খলা বিরোধী কমকান্ড পরিচালনা করাই তাদের কাজ। সারা দেশে এরকম হাজার হাজার সন্ত্রাসী গ্রুপ রয়েছে। যাদের পৃষ্টপোষকতা করে আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো। আর রাজনৈতিক আধিপত্যের জন্য শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাসের অবস্থা আরো করুণ। রাজনৈতিক আধিপত্যের জন্য চর দখলের মতো হল দখল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দখল, খুনাখুনি বোমাবাজিসহ নানা কমকান্ডে জাতির মেরুদন্ড শিক্ষা ব্যবস্থাকে তিলে তিলে ধ্বংস করে দেয়া হচ্ছে। আর এই সন্ত্রাসই দেশ ও দেশের অগ্রগতি ও উন্নতির প্রধান অন্তরায়।আদর্শবিহীন রাজনৈতিক দল সমূহের প্রধান অস্ত্র সন্ত্রাস। তাইতো সন্ত্রাসের মাধ্যমে জনসমর্থনহীন অনেক সরকার ক্ষমতায় ঠিকে থাকার ব্যথ প্রচেষ্টা চালায়। জাতি সবচেয়ে আতংকিত হয় তখন যখন দেখে সন্ত্রাসীদের সাথে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর দহরম-মহরম সম্পক, সন্ত্রাসের মাধ্যমে বিচারকে প্রভাবিত করা, রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস চালিয়ে বিরোধীদের দমন করা, নিহিৃত করার প্রচেষ্টা। এছাড়া বেকারত্বের কারণেও দেশে সন্ত্রাসের পাল্লা ভারী হচ্ছে। সন্ত্রাসের কারণে পৃথিবীর অনেক দেশ বিপন্ন হতে চলেছে।আমাদের প্রতিবেশি রাষ্ট্র পাকিস্তান এর প্রকৃষ্ট উদাহারণ।
* যুব অবক্ষয়ের কারণঃ
আমাজের সমাজ নানা অবক্ষয়ের শিকার। এ অবক্ষয়ের জ্বরে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে আমাদের সম্ভবনাময়ী যুব সমাজ। নীতি যেখানে পদদলিত, অসৎ পথে অবৈধ অর্থের পাহাড় যেখানে গড়ে উঠে, বিচারের বানী যেখানে নীরবে-নিভৃতে যে সমাজে কাঁদে, যে সমাজের মূল্যবোধ ধুলায় গড়াগড়ি খায়। আমাদের যুব সমাজ নানা কারণে ধ্বংসের মুখোমুখি। বেকারত্ব, সন্ত্রাস, রাজনৈতিক কুপ্রভাব, অপসংস্কৃতি, অথনৈতিক দেন্য ইত্যাদী আমাদের যুব সমাজকে দারুনভাবে প্রভাবিত করছে। ফলে তারা সুস্থ জীবন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ঝুঁকে পড়ছে নানা অবক্ষয়ের দিকে। নিন্মে যুব সমাজের অবক্ষয়ের কারণ সমূহ দেওয়া হলো
১. জীবন্ত আদর্শের ও মূল্যবোধের অভাব ঃ আমাদের তরুন সমাজের সামনে জীবন্ত আদর্শের বড়ই অভাব। তারা বড়দের মাঝে খুব কম আদশবান মানুষ খুঁজে পাচ্ছে। যাদের থেকে তারা অনুপ্রেরনা পাবে। বরং তারা অহরহ দেখছে রাজনীতির নামে মিথ্যাচার, সমাজ সেবার নামে সেচ্ছাচার, আদশের নামে প্রতারণা। মূলত সমাজের সবস্তরে আজ মূল্যবোধের যে অভাব দেখা দিয়েছে তার দ্বারা আক্রান্ত হচ্ছে আমাদের যুব সমাজ।
২. অপসংস্কৃতি, পণো ও স্যাটেলাইট আগ্রাসন ঃ যুব সমাজের উপর অপসংস্কৃতি, পণো উপকরণ ও ডিশের কুপ্রভাব অত্যন্ত বেশি। সিনেমার অবাস্তব অশ্লীল ও চরিত্র বিধ্বংসী কাহিনী গুলোকে বাস্তব মনে করে মারাত্মক ভূল করে এবং সেগুলোকে অন্ধভাবে অনুসরণ করে। পণো উপকরণ সমূহ যুব সমাজের মাঝে যৌন উন্মাদনা জাগ্রত করে যার কারণে যুব সমাজের নৈতিক অধঃপতন তরান্বিত হয়। ডিশ ক্যাবলের দ্বারা যৌন ক্ষুধায় আক্রান্ত নারী পুরুষ অবাধ যৌনাচারে লিপ্ত হচ্ছে।
৩. সংবাদ পত্রের ভূমিকা ঃ আমাদের দেশের অধিকাংশ পত্র পত্রিকাই নগ্ন ছবি, যৌনাবেগ সম্পকে কথিকা প্রকাশ করে যুব সমাজের অবক্ষয়ের পথ সুগম করে। তাছাড়া খুন-জখম, চুরি-ডাকাতি, গুন্ডামী-রাহাজানী ইত্যাদীর ডালিয়ে সাজিয়ে সংবাদপত্রে যে নেবেদ্য পরিবেশন করে তা যুব সমজের চিন্তাধারাকে প্রভাবিত করে। ফলে যুব সমাজ অবক্ষয়ের কবলে পড়ছে।
৪. মাদক দ্রব্যের ভূমিকা ঃ মাদকাসক্ত একটি দেশের নৈতিক চরিত্রের দেউলিয়াপনা ও অধঃপতন তরান্বিত করে। নানা ক্ষতিকর মাদকদ্রব্য এখন সবত্র পাওয়া যায়। আর উঠতি বয়সের যুবক যুবতীরা ও সুযোগ গ্রহনকরে জীবনকে ধ্বংসের পথে ঠেলে দিচ্ছে।
৫. রাজনৈতিক দলের ভূমিকা ঃ রাজনৈতিক নেতারা তাদের হীন রাজনৈতিক স্বাথ সিলের জন্য যুব অধঃপতন তরান্বিত করে।
৬. বেকারত্ব ঃ যুব অবক্ষয়ের প্রধান কারণে সমূহের মধ্যে বেকারত্ব অন্যতম প্রধান। লেখাপড়া শেষ করে যখন চাকরি না পেয়ে পথে পথে ঘুরতে হয়, জীবন সম্পকে হতাশ হতে হয়। তখনই হতাশ হতে হয়, তখনই হতাশ বেকার যুব সমাজ নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়ে।
৭. শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস ঃ শিক্ষাক্ষেত্রে অব্যবস্থাপনা অনেক সময় যুব সমাজকে বিপদগামিতায় ইন্ধন জোগায়। অসুস্থ ছাত্ররাজনীতির কবলে পড়ে শিক্ষাঙ্গন হয়ে উঠে যুদ্ধক্ষেত্র। তখন ছাত্রদের হাতে কলম ও খাতার বদলে শোভা পায় অত্যাধুনিক মরনাস্ত্র। যা দিয়ে সহপাঠী প্রতিপক্ষকে খুন করে। গুটি কয়েক ছাত্র নামদারী সন্ত্রাসীদের হাতে যখন শিক্ষাঙ্গন জিম্মি হয়ে পড়ে তখন এর শিকার হয় যুব সমাজ।
যুব সমাজের অবক্ষয়ের কারণে তৃতীয় বিশ্বের গরীব দেশ গুলো ক্ষুধা ও দারিদ্রতার মাঝে মাথা উচুঁ করার শক্তিটুকু হারিয়ে ফেলছে। কারণ যুব সমাজই দেশের প্রাণশক্তি। তাদের বিপদ গামীতার অথ গোটা জাতি ধ্বংস হয়ে যাওয়া। তারাই জাতির আশা আঙ্খাকার প্রতিক। তাদের উদ্ধার করতে হবে অবক্ষয়ের মহাসাগর থেকে, তা না হলে গোটা জাতি অবক্ষয়ের সাগরে ডুবে মরবে।
* যুব অবক্ষয় প্রতিরোধে করনীয় ঃ
১. সমকামিতা নামক বিষাক্ত মহাপাপকে নিষিদ্ধ ঘোষনা করে কঠোর হস্তে দমন করতে হবে। পুরুষ যৌন কমী ও হিজড়াদের বিকল্প কমসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে।
২. পণো উপকরণ সমূহ কঠোর হস্তে দমন করতে হবে। সকল প্রকার অশ্লীল সিডি, ভিসিডি, ম্যাগাজিন পত্রিকা বিপনন ও বিক্রি নিষিদ্ধ করতে হবে। পণো সাইটগুলোকে বন্ধ করে দিতে হবে। শিক্ষাঙ্গনে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে। নৈতিকতার ভিত্তিতে শিক্ষাব্যবস্থার পরিবতন সাধন করতে হবে।।
৩. শিক্ষাঙ্গনে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষনা করতে হবে। শিক্ষা, গবেষনা, খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কমকান্ড ছাড়া অন্যকোন কমকান্ড শিক্ষাঙ্গনে করা যাবে না। আর লেজুড়বৃত্তিক শিক্ষক রাজনীতিও নিষিদ্ধ করতে হবে। শিক্ষাঙ্গন হবে শুধু শিক্ষার কারখানা।
৪. জাতীয় প্রচার মাধ্যমগুলোতে নিদিষ্ট নীতি মালার আওতায় এনে গঠনমূলক ভূমিকা পালন করতে হবে। যুব সমাজের জন্য রীতিমত খেলাধুলা ও শরীর চচার ব্যবস্থা করতে হবে। নিষ্কলুষ চিত্তবিনোদনের ব্যবস্থা করতে হবে। বেকারত্বের অভিশাপ থেকে তাদেরকে মুক্ত করতে হবে। ধমীয় জীবন যাপনের ক্ষেত্রে তাদেরকে অনুপ্রাণিত করতে হবে।
৫. জাতীয় রাজনীতিকে পরিশুদ্ধ করতে হবে। সাংঘষিক রাজনীতিকে বিদায় জানাতে হবে। রাজনৈতিক স্বাথে ছাত্র ও যুব সমাজকে অপব্যবহার বন্ধ করতে হবে।রাষ্ট্রের ব্যাপারে সকল প্রকার হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে হবে। রাজনীতিতে নীতি নৈতিকতা ও মেধার মূল্যায়ন বাড়াতে হবে।
৬. সকল প্রকার মাদকদ্রব্যের উৎপাদন ও বিক্রয় নিষিদ্ধ করে কঠোর হস্তে দমন করতে হবে। অপরাধীদের কঠোর শাস্তি দিতে হবে। রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে হবে। প্রশাসনকে নীতি নৈতিকতার সমন্বয়ে ঢেলে সাজাতে হবে। দূনীর্তিকে সবক্ষেত্রে পরিহার করতে হবে। সকল প্রকার মানুষের মৌলিক অধিকার পূরণ করতে হবে। কবির ভাষায় যুব সমাজের কন্ঠে ধ্বণিত
পাষান হইয়া পড়ে আছ আজ হায়রে আত্মভোলা
তোমরা জাগিলে সারা পৃথিবীতে লাগিবে প্রবল দোল।
আর তাহলেই আমাদের যুব সমাজের অবক্ষয় রোধ করা সম্ভব।
বিষয়: বিবিধ
১২৩০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন