নতুন ষড়যন্তে বাংলাদেশে আইএস’র নতুন শাখা গঠন করে আমিরের নাম ঘোষণা না ইসলামপন্থীদের দমনের অপকৌশল?

লিখেছেন লিখেছেন জীবরাইলের ডানা ১৪ এপ্রিল, ২০১৬, ০৯:৩৫:৩৯ রাত



ভারতে ইসলামিক স্টেট বা আইএস’র কোন অস্তিত্ব না থাকলেও নদীর মাধ্যমে বিভাজিত বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের ছিটমহলের কোণা ঘুপচি এলাকা জিহাদি কর্মকাণ্ডের জন্য শক্তিশালী ক্ষেত্রে পরিণত হতে পারে। বাংলাদেশ আইএস’র মৃগয়া ভূমিতে পরিণত হবে ও দক্ষিণ এশিয়ার একটি শক্তিশালী ঘাঁটি এখানে গড়ে ভারতে আক্রমণ চালানো হতে পারে। সংগঠনের একটি সূত্রে এমনটিই ধারণা দেয়া হয়েছে।

বিচ্ছিন্ন হামলার মাধ্যমে বিদেশি, সংখ্যালঘুদের হত্যা কিংবা শিরশ্ছেদের মাধ্যমে আইএস’র আস্থা অর্জনকারী বাংলাদেশের ওই জঙ্গি গ্রুপটি এখন আইএস’র মূলধারার কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি পাবে। বলাবাহূল্য, আনুগত্যের কারণেই এই স্বীকৃতি লাভ ত্বরান্বিত হয়েছে।

আইএস’র পত্রিকা ‘দাবিক’ এর অনলাইন সংস্করণে বুধবার বাংলাদেশে তাদের নতুন আমিরের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এই আমিরের দায়িত্বের মধ্যে পড়বে বাংলাদেশ ও ভারতে শরীয়াহ আইন চালুতে কর্মসূচি প্রণয়ন। বাংলাদেশের নতুন আমিরের নাম শেখ আবু ইব্রাহিম আল হানাফি (ছদ্মনাম)।

‘দাবিক’ এ প্রদত্ত সাক্ষাৎকারে এই নতুন আমির বাংলায় ধর্মভ্রস্টদের বিনাশ, বাংলাদেশকে আইএস এর মূল কাঠামোর অধীনে আনা ও মূল সংগঠনের গোঁড়া বিশ্বাস প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ের কথা বলা হয়েছে। বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ ভৌগোলিক অবস্থানের কথা উল্লেখ করে বলা হয়, ভারত ও মিয়ানমারে এখান থেকে জিহাদি শক্তি প্রয়োগ সম্ভব।

বাংলাদেশে শক্তিশালী জিহাদি ক্ষেত্রের কথা উল্লেখ করে বলা হয়, ওই শক্তিবলে ভারতের অভ্যন্তরে গেরিলা আক্রমণ সম্ভব। এক্ষেত্রে ভারতে অবস্থানরত মুজাহিদরা অংশ নেবে। আইএস’র সার্বিক স্ট্রাটেজির অংশ হিসেবে বাংলাদেশের গুরুত্ব অপরিসীম বলে সাক্ষাৎকারে জানান আবু ইব্রাহিম।

আবু ইব্রাহিম বাঙালি মুসলমানদের বিরুদ্ধে প্রকৃত ইসলাম থেকে বিচ্যুতির অভিযোগ এনে বলেন, ইসলামি শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার বিপরীতে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় ব্যাপৃত। আইএস ভারত ও সে দেশের হিন্দু জনগোষ্ঠীকে ইসলামের দুশমন মনে করে।

আবু ইব্রাহিম বলেন, শেখ হাসিনার সরকার ভারতের মিত্র এবং ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ মুসলমান ও ইসলামপন্থীদের বিনাশে তৎপরতা চালাচ্ছে।

বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ বরাবরই আইএস’র দাবিকে প্রত্যাখান করে আসছে। আইএস’র হত্যাকাণ্ডকে তদন্তকারীরা জেএমবি’র কাজ বলে দাবি করে আসছে। আবু ইব্রাহিম জেএমবির সাথে সংশ্লিষ্ট কিনা তা অবশ্য স্পষ্ট নয়।

তিনি বলেন, মিয়ানমারের রোহিঙ্গারা বৌদ্ধদের দ্বারা দীর্ঘদিন ধরে নিগৃহীত হচ্ছে। অবশ্যই তারা একসময় এ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করবেন।

দাবিক’ আবু জান্দালকে ঢাকার অধিবাসী বলে উল্লেখ করেছে। এই তরুণ সিরিয়ায় নিহত হন। জিন্দাল স্বচ্ছল সামরিক পরিবারের সন্তান। তার পিতা বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে প্রত্যক্ষভাবে অংশ নিয়েছিলেন।

বিষয়: বিবিধ

১২৬০ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

365773
১৪ এপ্রিল ২০১৬ রাত ১১:১৯
দুষ্টু পোলা লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ পিলাচ
365793
১৫ এপ্রিল ২০১৬ বিকাল ০৪:৫৯
এমরুল কায়েস ভুট্টো লিখেছেন : আইএস নামক ঘোড়ার ডিমের জনক হল আমিরিকা ইজরাইল। এখন প্রযোজনের তাগিদে যার যার মত করে সেই ঘোড়ার ডিমের চাষ করে যাচ্ছে। দক্ষিন-পূর্ব এশিয়ার এর উদ্দ্যেগতা হল ইন্ডিয়া।
365879
১৬ এপ্রিল ২০১৬ রাত ০৮:০২
জীবরাইলের ডানা লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File