সর্ষে ক্ষেতেই ভূত নয়তো????????তাহলে কারা কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ ছাত্রী তনুকে প্রথমে ধর্ষণ তারপর গলা কেটে হত্যা করলো??!!!
লিখেছেন লিখেছেন জীবরাইলের ডানা ২৫ মার্চ, ২০১৬, ০৫:০১:২৫ সকাল
.
কুমিল্লা সেনানিবাস এলাকায় এমন চাঞ্চল্যকর হত্যাকান্ড! তনুও থাকে সেনানিবাস এরিয়ায়! এমনকি ঘটনার দিন সে ওই এলাকার বাইরেও যায়নি কিন্তু!!
.
যেই স্থানে তনুকে ধর্ষণ করা হয়েছিলো তার আশেপাশে CCTV আছে৷ তাহলে ঐসব ফুটেজ গ্যালো কই??
আচ্ছা বাদ দেন...আমাদের দেশে তো আবার CCTV থাকে মাগার ফুটেজ থাকেনা...
সেনাবাহিনীর CCTV ফুটেজও মেবি 'হ্যাক' হইসে....
.
কিছুক্ষণ পরপর এমপি, এফআই, ডিজেএফআই, আরপি টহল হয় কিন্তু ওই জায়গায়!!
ঘটনাস্থলের খুব কাছেই দুইপাশে সেনা ক্যাম্প আর কোয়াটার আছে!!
তাইলে ক্যামনে কি!!!??
.
সেনানিবাস এলাকায় ঢুকতে গেলে আপনার ১৪ গুষ্টির তথ্য দিয়ে ঢুকতে হবে.....তাহলে ধর্ষকরা যদি বাইরে থেকে ঢুকে থাকে তবে সেনাবাহিনীর কাছে নিশ্চই সেই তথ্য আছে!!??
.
সঠিক কারণ এবং কারণের যৌক্তিক প্রমান দেখানো ছাড়াও তো সেনানিবাসে ঢুকাও যায়না!!
আপন ভাইয়ের সাথে দেখা করতে গিয়ে গোটা একদিন গেটে কাটাতে হয়েছিলো একবার!
.
তবে কারা????
উহুঁ! আমি বলছিনা সেনা সদস্য জড়িত! আমাদের সেনাবাহিনী তো দুধে ধোয়া তুলশী!! ওরা মানুষ না, সেনা...! ওদের যৌন আকাংখা নাই!
যদিও মাঝেমাঝে পার্বত্যাঞ্চলে বেশিরভাগ ধর্ষণে সেনাবাহিনীর সদস্যদের নাম উঠে আসে...!
(কবি এখানে আপাদত নীরব)
.
আচ্ছা!!
তনুকে তো একের অধিক ব্যাক্তি ধর্ষণ করেছে বলে শুনা গেছে, তাও ভদ্রভাবে! I mean প্রটেকশন ইউজ করে....
তারমানে এই কাজের সাথে জড়িতরা জানতো প্রটেকশন ছাড়া করলে দ্রুত ধরা খাওয়ার সম্ভাবনা আছে! (সাধারণ কারো মাথায় এত আধুনিক বুদ্ধি! ভাবা যায়??)
.
শুরু থেকে একটা কথা মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে.....বলবো??
না থাক...উচিত কথা বললে আপনারা বলবেন মোল্লা খারাপ...
.
Oke বলেই ফেলি...
তনুকে ইট দিয়ে আর ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে....
হুবহু অনেকটা গুমগঞ্জের ৭ খুন স্টাইলে আরকি....
আচ্ছা, ৭ খুনে কারা যেন অংশ নিয়েছিলো?? :p
(কিছু কথা থাকনা গোপন)
.
ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় অনেক সিভিলিয়ান থাকে কর্মচারী হিসেবে.....নিজেদের কাজ করে....যদি ধরে নেই তাদের দ্বারা এই কাজ হয়েছে তাহলেও তো আর্মির ভুমিকা নিয়ে একটা প্রশ্ন চলে আসে!!!
.
না...আমি কিন্তু বাবার দাপটে বাঁকা পথে চলা সেনা অফিসারের ইনোসেন্ট ছেলেদের কথা বুঝাতে চাইছিনা....পিলখানার ভেতরে আবার এসব ফ্যাশন হিসেবেই চলতো অহরহ... :p
(আর গভীরে যাবো না)
.
হত্যাকান্ডের পর তনুর বাসায় তার কোনো সহপাঠিকে নাকি সেনাবাহিনী ঢুকতে দেয়নি....৬ জন সহপাঠি অনেক কষ্টে শেষ দেখা দেখতে পরেছে, তাও সেনাদের কাছে নাকে খত দিয়ে.....! (এই সতর্কতা ঘটনার আগে কই ছিলো?)
.
প্রমান হবার আগেই আমি হুদাই সেনা-সিভিলিয়ান মিশিয়ে খিচুড়ি বানিয়ে ফেলেছি....আপনারা এগুলোতে কান দিয়েন না.. (বাকি সব দিতে পারেন)
.
আমার লিস্টে অনেক সম্মানিত সেনা কর্মকর্তা এবং সেনা কর্মকর্তার সন্তানেরা আছেন৷ মানুষ মাত্রই ভুল আর যেকোনো সময় অপরাধে জড়িয়ে পড়ার প্রবণতা মানুষের মাঝে থাকে৷ সেনা-সিভিলিয়ান কেউই সন্দেহের উর্ধে নয়, অতীতে এমন অনেক নজির আছে৷ So, please don’t get me wrong...
.
শেষ কথা হলো-
তনু তো মরে গিয়ে বাঁচলো, আমরা বেঁচে আছি কেন?
মানুষ বেঁচে আছে কেন?
এভাবে বেঁচে থাকাকে কি বেঁচে থাকা বলে?
মানুষ কি এভাবে বেঁচে থাকে?
একের পর এক আমাদেরই নাকের ডগার ওপর দিয়ে এভাবে হারিয়ে যাচ্ছে শত শত তনুরা! আমরা মরি না কেন?
.
আমাদেরও মরে যাওয়াই উচিত! এসব প্রতিরোধ/প্রতিকার করতে না পারলে আমাদের মরে যাওয়াই উচিত! বেঁচে থাকার অন্তত কোনো অধিকার আমাদের নেই।
.
প্রতিটা দিন, প্রতিটা ক্ষেত্রে হতাশার সংবাদ! আমরা শুধু পিছিয়ে যাচ্ছি৷ বিচারহীনতার সংস্কৃতি এখন স্বাভাবিক শব্দটির থেকেও বেশি অস্বাভাবিক হয়ে গেছে৷ অন্যায়ের প্রতিবাদ না করা একটা মেরুদন্ডহীন জাতিতে আমরা দিন দিন অভূতপূর্ব সাফল্য দেখাচ্ছি!!
.
বেশিরভাগ মিডিয়াতেও এই ব্যাপারে তেমন সাড়াশব্দ নেই- কারণ কি??
হয়তো “আমি জুনায়েদ” বলে কেউ ভিডিও করেনি বলেই....!!
.
তনু.....বোন আমার, তুই তো বাংলাদেশের মানচিত্র।
.
এদেশে ক্রিকেটার নিষিদ্ধ হলে আন্দোলন হয়,
সাঁওতাল ধর্ষিতা হলে সিনেমা হয়,
পাহাড়ি ধর্ষিতা হলে আন্দোলন হয়,
সংখ্যালঘু ধর্ষিতা হলে তুফান ওঠে মানবতাকর্মিদের ঠোঁটে...
.
বোন, তোর মত বাংলাদেশী ধর্ষিত হলে আমরা নীরব থাকি, কারণ তুই আমাদের কেউ না...
.
তোদের জন্য বিচার আগেও হয়নি, কোনদিনও হবে না....
ধর্ষক জন্মদাতা এই সমাজের ধ্বংস চাই, পরিবর্তন চাই.... :(
নীলসালু
বিষয়: বিবিধ
১৪৬০ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
চারিদিকে চলেছে কানাঘুসা ফিসফিস৷
ক দিন পরেই নীরব হয়েযাবে সবকিছু,
তা যাক্ আর কেউ নেবেনা তোর পিছু৷
তুই তো বেঁচে গেলি তোর আত্মবলী দানে,
বিচারের দিন মোরা পারপাবকিনা কে জানে?
মন্তব্য করতে লগইন করুন