বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ লুটের সাথে জড়িত ছিল হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় এবং শাহ এমএস কিবরিয়ার পুত্র রেজা কিবরিয়া
লিখেছেন লিখেছেন জীবরাইলের ডানা ১০ মার্চ, ২০১৬, ০৫:১২:১৩ বিকাল
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ লুটের সাথে জড়িত ছিল হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় এবং শাহ এমএস কিবরিয়ার পুত্র রেজা কিবরিয়া
। খবর বিশ্বস্ত সূত্রের। জয় আইটি বিশেষজ্ঞ আর রেজা অর্থনীতিবিদ। ৫ ফেব্রুয়ারী রিজার্ভ একদফা (৮১ ২০) মিলিয়ন ডলার লুটপাট সম্পন্ন হওয়ার পরে সবকিছু ভালোই যাচ্ছিল, যদিও ৯৭০ মিলিয়ন ডলারের বড় চালানটি আটকে যায় ফিলিপাইনের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বাধার কারনে। ৭ হাজার কোটি টাকা যুক্তরাষ্ট্র রিজার্ভ ব্যাংক থেকে ছাড়িয়ে ফিলিপাইন পর্যন্ত নিয়ে যেতে সক্ষম হয়। যত গন্ডগোল বাধায় ফিলিপাইনের পত্রিকার খবর। সেখান থেকে খবর ছড়িয়ে পড়ে বাংলাদেশে। হাসিনাকে জানায় গভর্নর আতিউর। নির্দেশ দেয়া হয় ধামাচাপা দেয়ার। এমনকি এক মাসেও জানানো হয়নি অর্থমন্ত্রী মালকে। তার তো আবার ব্যালেন্স নাই, কখন কি বলে ফেলে। তবে এ কয়দিনের নানা মাধ্যমে ভিতরের খবর প্রকাশ হয়ে যাওয়ার পরে এখন চেষ্টা করা হচ্ছে সাইবার সিকিউরিটিতে ভাইরাস ঢুকে পরেছিল, এমন অযুহাত দেখিয়ে পার করার। এ কাজটি সার্টিফাই করার জন্য সজীব জয়ের বিশ্বস্ত রাকেশ আস্তানাকে খুব দ্রুত নিয়োগ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর। আস্তানা হচ্ছে আমেরিকার ভার্জিনিয়া বেইজড একটি সাইবার সলিউশন কোম্পানীর মালিক। সজীব ওয়াজেদ জয়ের সাথে তার পরিচয় ও বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। দু’জনেই একই শহরে বাস করেন দীর্ঘদিন। এমনকি তাদের মধ্যে ব্যবসায়িক সম্পর্ক থাকার কথাও বলেন কেউ কেউ। এই আস্তানার হাত দিয়েই এখন রিজার্ভ লুট ধামাচাপার কাজটি সম্পন্ন হবে। তবে রাকেশ আস্তানা হয়ত ভবিষ্যতে আরো বড় বড় ঘটনা ঘটানোর রাস্তাঘাট তৈরী করে রাখতে চুক্তিবদ্ধ থাকবে।
’’’’’’’’’’’’’’’’’’’’’’’’’’’’’’’’’’
কেমন করে ঘটলো?
হ্যাকড নয়, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকেই যথা নিয়মে টাকা স্থানান্তরের বার্তা গেছে। ফেডারেল ব্যাংক পরিস্কার, যা হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকে।বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে ১০ কোটি ডলার বা ৮০০ কোটি টাকা চুরি হওয়ার ঘটনার নেপথ্যে ব্যাংকিং ভাষায় কোনো তথ্য হ্যাকিং হয়নি, এটি প্রচলিত নিয়মকানুন মেনে লেনদেন হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ সিস্টেমের নিউইয়র্ক শাখায় থাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট নম্বর, গোপন পাসওয়ার্ড ও বার্তা পাঠানোর সব ধরনের তথ্য সংগ্রহ করে প্রচলিত নিয়ম মেনে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এই নির্দেশনার আলোকেই মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে লেনদেন হয়েছে। তারপরও ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে ডলার পাঠানোর নির্দেশনার কারণে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সন্দেহ হলে তারা বাংলাদেশ ব্যাংককে একটি বার্তা পাঠায়। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংক এতে তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেয়নি বলে লেনদেন সম্পন্ন হয়ে যায়। এদিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে চুরি করা আরও ৯৭০ মিলিয়ন ডলার ফিলিপাইনের একটি ব্যাংকে আটক করা হয়েছে। ওইসব ডলার ফেডারেল রিজার্ভ সিস্টেমস থেকে ফিলিপাইনে স্থানান্তরিত হয়েছে।
প্রচলিত নিয়মানুযায়ী, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডিলিং (যে কক্ষ থেকে বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেন করা হয়) রুম থেকেই বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেন করা হয়। আর এটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ফরেক্স রিজার্ভ ও ট্রেজারি ম্যানেজমেন্টের অধীনে পরিচালিত হয়। ডিলিং রুমে এ ধরনের লেনদেনের ক্ষেত্রে তিনটি বিভাগ কাজ করে। এর মধ্যে ফ্রন্ট অফিস বার্তা তৈরি করে, মিডল অফিস বার্তাটি পাঠায় এবং ব্যাক অফিস বার্তার আলোকে লেনদেন ঠিকমতো আচ্ছে কিনা তা তদারকি করে। ফ্রন্ট ও মিডল অফিসের তিনজন কর্মকর্তা জড়িত থাকেন লেনদেনের বার্তা পাঠাতে। যে কোনো লেনদেনের আদেশ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উচ্চপর্যায় থেকে অনুমোদিত হলে ডিলিং রুমের একজন কর্মকর্তা এ বিষয়ে একটি বার্তা তৈরি করেন। আরেকজন কর্মকর্তা ওই বার্তাটি ঠিকমতো হয়েছে কিনা তা যাচাই করেন। অন্য এক কর্মকর্তা বার্তাটি সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে পাঠান। এসব লেনদেন ঠিকমতো হচ্ছে কিনা এবং লেনদেনের পর অ্যাকাউন্টে কী পরিমাণ অর্থ থাকল সেগুলো তদারকি করে ব্যাক অফিস। এটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড বাজেটিং বিভাগের অধীন।
যেভাবে ঘটে ঘটনাঃ
গত ৪ ফেব্রুয়ারি ছিল বৃহস্পতিবার। ওইদিন বিকাল ৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডিলিং রুমে সুইফটের মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট পরিচালন ব্যবস্থায় প্রবেশ করে কাজ করেন কয়েকজন কর্মকর্তা। এক্ষেত্রে প্রতিটি পর্যায়ে সিস্টেমে ঢুকতে আলাদা ইউজার নেম ও পাসওয়ার্ড রয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এসব বার্তা পাঠায় সোসাইটি ফর ওয়ার্ল্ডওয়াইড ইন্টারব্যাংক ফিন্যান্সিয়াল টেলিকমিউনিকেশন বা সুইফটের মাধ্যমে। এ পদ্ধতিতে ঢুকতেও রয়েছে আলাদা পাসওয়ার্ড ও ইউজার নেম। এছাড়া এটিএম কার্ডের মাধ্যমে লেনদেনের মতো এখানেও একটি কার্ড রয়েছে। নিয়মানুযায়ী এই সিস্টেমে ঢুকে লেনদেন করেই বের হতে হবে। কিন্তু ওই কর্মকর্তারা কাজশেষে নিয়মানুযায়ী সিস্টেমটি বন্ধ করেননি। ইচ্ছা করেই রাত ৮টা পর্যন্ত সুইফট মেশিনে বিশেষ কার্ডও লাগানো ছিল। ফলে ওই সময়েই লেনদেনের ঘটনাগুলো ঘটে। এখানে যে বার্তাগুলো পাঠানো হয় সেগুলো অতিগোপনে স্থানান্তরিত হয়। প্রতিটি বার্তা সুইফটের মাধ্যমে যাওয়ার সময় এগুলো এনক্রিপ্ট বা সাংকেতিক আকারে যায়। মাঝপথে এগুলো হ্যাক করে ওই ভাষা উদ্ধার করা অসম্ভব। ফলে লেনদেনও সম্ভব নয়। এছাড়া বার্তাগুলো যাওয়ার সময় পরিবর্তন হতে থাকে। মাঝপথে কেউ হ্যাক করলেও যেখানে পাঠানো হচ্ছে সেখানে ইউজার নেম পরিবর্তন হয়ে যাবে। ফলে সিস্টেম কাজ করবে না, কিন্তু এক্ষেত্রে এসব কিছুই হয়নি। যথানিয়মে বার্তা গেছে এবং এর আলোকে লেনদেন হয়েছে। এই প্রক্রিয়ায় এত নিরাপত্তা ভেদ করে কেউ সিস্টেমে ঢুকলেও নিয়মানুযায়ী বার্তা পাঠানো হয়। মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকে যে বার্তাটি গেছে তাতে একজন ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে টাকা স্থানান্তর করা হয়েছে। সাধারণত কোনো কেন্দ্রীয় ব্যাংক ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে অর্থ পাঠায় না। তারা সব সময় প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্টে অর্থ স্থানান্তর করে। এক্ষেত্রে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে অর্থ স্থানান্তরের বার্তা পেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংককে সঙ্গে-সঙ্গেই জানিয়েছিল, কিন্তু কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডিলিং রুমে ওই সময় কেউ না থাকায় ওই বার্তা চেক করে লেনদেন আটকানো যায়নি। ৭ ফেব্রুয়ারি তারা ঘটনাটি জেনে পরবর্তী ৯৭০ মিলিয়ন ডলারের লেনদেনগুলো আটকে দেয়।
এত বড় ঘটনায় কাউকে শাস্তি দেওয়া হয়নি :
এ ঘটনার পর কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিজস্বভাবে তদন্ত শুরু করে। কিন্তু ঘটনার জন্য দায়ী কাউকে শাস্তি দেওয়া হয়নি। এছাড়া বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দেশের জনগণের। এর পক্ষে সরকার এটি পরিচালনা করে। সরকারের পক্ষে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এটি দেখভাল করে। এত বড় ঘটনার পরও কেন্দ্রীয় ব্যাংক তাৎক্ষণিক বিষয়টি সরকার বা অর্থমন্ত্রীকে জানায়নি। এছাড়া অভিযোগ রয়েছে, অর্থমন্ত্রীকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক দায় চাপিয়েছে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওপর। যে কারণে অর্থমন্ত্রী বলেন, মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিরুদ্ধে মামলা করব। মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংককে বাংলাদেশ ব্যাংক দায়ী করলেও সেখানে কোনো পরিদর্শক দল পাঠানো হয়নি। পাঠানো হয় ফিলিপাইনে। ঘটনার এক মাস পর গতকাল কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ফরেক্স রিজার্ভের কর্মকর্তা আশিকুর রহমানকে বদলি করা হয় বাংলাদেশ ব্যাংক ট্রেনিং একাডেমিতে আর ট্রেনিং একাডেমি থেকে মফিজুর রহমান খানকে বদলি করে ফরেক্স রিজার্ভ বিভাগে আনা হয়।
সুইফট অধিক নিরাপদ :
ব্যাংকাররা জানান, আন্তর্জাতিক লেনদেনের জন্য ব্যবহৃত সুইফট অধিক নিরাপদ। এখন পর্যন্ত এটি কোথাও হ্যাক হয়নি। এমনকি কোনো ধরনের জালিয়াতিও হয়নি। এ পদ্ধতি নানা ধাপে নিরাপত্তার জালে আবদ্ধ। সুইফটে যে বার্তা যায়, এটিও অনেক নিরাপদ। বার্তাটি যায় গার্বেজ আকারে। এটি যেখান থেকে পাঠানো হচ্ছে এবং যেখানে যাচ্ছে- দুই স্থানেই একই সফটঅয়্যার থাকতে হবে। তা না হলে বার্তাটির ভাষা উদ্ধার করা যাবে না। ফলে ডলার চুরির নেপথ্যে ওই দুই স্থানের যে কোনো এক স্থানের পদ্ধতি সম্পর্কে হ্যাকারকে জানতে হবে, যা হ্যাক করে জানা সম্ভব নয়। এছাড়া সব কম্পিউটার থেকে সুইফট বার্তা পাঠানোও সম্ভব নয়। একমাত্র ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোই সুইফটের সদস্য। এ কারণে অনেকে মনে করছেন, বড় ধরনের তদন্ত করে এ ঘটনার নেপথ্য ব্যক্তিদের খুঁজে বের করা উচিত।
........................
বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থ লুট হওয়ার ১ মাস পরেও কনসার্ন অর্থ মন্ত্রীকে জানানো হয়নি। তিনি জেনেছেন পত্রিকা পড়ে! এ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবু হেনা মো. রাজি হাসান বলেন, রিজার্ভ হ্যাকড হওয়ার বিষয়টি তদন্তের স্বার্থেই অর্থমন্ত্রীকে জানানো হয় নি। সরকারের যে-যে জায়গায় জানানো দরকার, সেটা জানানো হয়েছিল। যখন একটি নির্দিষ্ট পর্যায়ে এল, তখন অর্থমন্ত্রীকেও জানানো হয়েছে। তার মানে, অর্থমন্ত্রী কি অপরাধী নাকি, যে তদন্তের স্বার্থে তাকে জানতে দেয়া হয়নি?
.............এই “যে-যে জায়গায় জানানো দরকার”- এরা কারা? তার মানে অর্থমন্ত্রী উপরেও কেউ আছে? সেটা হাসিনা ও তার পুত্র জয় ছাড়া আর কেউ নয়, তা পরিস্কার। বর্তমান অবৈধ সরকার থাকতে এত বড় রিজার্ভ লুটের কোনো সুষ্ঠু তদন্ত হবে না, এমনকি জানাও যাবে না আসলে কত টাকা লোপাট হয়েছে। সরকার পরিবর্তন হলেই কেবল সঠিক তদন্ত ও দোষীদের শাস্তি হতে পারে
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ লুটের সাথে জড়িত ছিল হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় এবং শাহ এমএস কিবরিয়ার পুত্র রেজা কিবরিয়া
। খবর বিশ্বস্ত সূত্রের। জয় আইটি বিশেষজ্ঞ আর রেজা অর্থনীতিবিদ। ৫ ফেব্রুয়ারী রিজার্ভ একদফা (৮১ ২০) মিলিয়ন ডলার লুটপাট সম্পন্ন হওয়ার পরে সবকিছু ভালোই যাচ্ছিল, যদিও ৯৭০ মিলিয়ন ডলারের বড় চালানটি আটকে যায় ফিলিপাইনের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বাধার কারনে। ৭ হাজার কোটি টাকা যুক্তরাষ্ট্র রিজার্ভ ব্যাংক থেকে ছাড়িয়ে ফিলিপাইন পর্যন্ত নিয়ে যেতে সক্ষম হয়। যত গন্ডগোল বাধায় ফিলিপাইনের পত্রিকার খবর। সেখান থেকে খবর ছড়িয়ে পড়ে বাংলাদেশে। হাসিনাকে জানায় গভর্নর আতিউর। নির্দেশ দেয়া হয় ধামাচাপা দেয়ার। এমনকি এক মাসেও জানানো হয়নি অর্থমন্ত্রী মালকে। তার তো আবার ব্যালেন্স নাই, কখন কি বলে ফেলে। তবে এ কয়দিনের নানা মাধ্যমে ভিতরের খবর প্রকাশ হয়ে যাওয়ার পরে এখন চেষ্টা করা হচ্ছে সাইবার সিকিউরিটিতে ভাইরাস ঢুকে পরেছিল, এমন অযুহাত দেখিয়ে পার করার। এ কাজটি সার্টিফাই করার জন্য সজীব জয়ের বিশ্বস্ত রাকেশ আস্তানাকে খুব দ্রুত নিয়োগ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর। আস্তানা হচ্ছে আমেরিকার ভার্জিনিয়া বেইজড একটি সাইবার সলিউশন কোম্পানীর মালিক। সজীব ওয়াজেদ জয়ের সাথে তার পরিচয় ও বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। দু’জনেই একই শহরে বাস করেন দীর্ঘদিন। এমনকি তাদের মধ্যে ব্যবসায়িক সম্পর্ক থাকার কথাও বলেন কেউ কেউ। এই আস্তানার হাত দিয়েই এখন রিজার্ভ লুট ধামাচাপার কাজটি সম্পন্ন হবে। তবে রাকেশ আস্তানা হয়ত ভবিষ্যতে আরো বড় বড় ঘটনা ঘটানোর রাস্তাঘাট তৈরী করে রাখতে চুক্তিবদ্ধ থাকবে।
’’’’’’’’’’’’’’’’’’’’’’’’’’’’’’’’’’
কেমন করে ঘটলো?
হ্যাকড নয়, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকেই যথা নিয়মে টাকা স্থানান্তরের বার্তা গেছে। ফেডারেল ব্যাংক পরিস্কার, যা হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকে।বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে ১০ কোটি ডলার বা ৮০০ কোটি টাকা চুরি হওয়ার ঘটনার নেপথ্যে ব্যাংকিং ভাষায় কোনো তথ্য হ্যাকিং হয়নি, এটি প্রচলিত নিয়মকানুন মেনে লেনদেন হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ সিস্টেমের নিউইয়র্ক শাখায় থাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট নম্বর, গোপন পাসওয়ার্ড ও বার্তা পাঠানোর সব ধরনের তথ্য সংগ্রহ করে প্রচলিত নিয়ম মেনে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এই নির্দেশনার আলোকেই মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে লেনদেন হয়েছে। তারপরও ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে ডলার পাঠানোর নির্দেশনার কারণে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সন্দেহ হলে তারা বাংলাদেশ ব্যাংককে একটি বার্তা পাঠায়। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংক এতে তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেয়নি বলে লেনদেন সম্পন্ন হয়ে যায়। এদিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে চুরি করা আরও ৯৭০ মিলিয়ন ডলার ফিলিপাইনের একটি ব্যাংকে আটক করা হয়েছে। ওইসব ডলার ফেডারেল রিজার্ভ সিস্টেমস থেকে ফিলিপাইনে স্থানান্তরিত হয়েছে।
প্রচলিত নিয়মানুযায়ী, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডিলিং (যে কক্ষ থেকে বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেন করা হয়) রুম থেকেই বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেন করা হয়। আর এটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ফরেক্স রিজার্ভ ও ট্রেজারি ম্যানেজমেন্টের অধীনে পরিচালিত হয়। ডিলিং রুমে এ ধরনের লেনদেনের ক্ষেত্রে তিনটি বিভাগ কাজ করে। এর মধ্যে ফ্রন্ট অফিস বার্তা তৈরি করে, মিডল অফিস বার্তাটি পাঠায় এবং ব্যাক অফিস বার্তার আলোকে লেনদেন ঠিকমতো আচ্ছে কিনা তা তদারকি করে। ফ্রন্ট ও মিডল অফিসের তিনজন কর্মকর্তা জড়িত থাকেন লেনদেনের বার্তা পাঠাতে। যে কোনো লেনদেনের আদেশ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উচ্চপর্যায় থেকে অনুমোদিত হলে ডিলিং রুমের একজন কর্মকর্তা এ বিষয়ে একটি বার্তা তৈরি করেন। আরেকজন কর্মকর্তা ওই বার্তাটি ঠিকমতো হয়েছে কিনা তা যাচাই করেন। অন্য এক কর্মকর্তা বার্তাটি সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে পাঠান। এসব লেনদেন ঠিকমতো হচ্ছে কিনা এবং লেনদেনের পর অ্যাকাউন্টে কী পরিমাণ অর্থ থাকল সেগুলো তদারকি করে ব্যাক অফিস। এটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড বাজেটিং বিভাগের অধীন।
যেভাবে ঘটে ঘটনাঃ
গত ৪ ফেব্রুয়ারি ছিল বৃহস্পতিবার। ওইদিন বিকাল ৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডিলিং রুমে সুইফটের মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট পরিচালন ব্যবস্থায় প্রবেশ করে কাজ করেন কয়েকজন কর্মকর্তা। এক্ষেত্রে প্রতিটি পর্যায়ে সিস্টেমে ঢুকতে আলাদা ইউজার নেম ও পাসওয়ার্ড রয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এসব বার্তা পাঠায় সোসাইটি ফর ওয়ার্ল্ডওয়াইড ইন্টারব্যাংক ফিন্যান্সিয়াল টেলিকমিউনিকেশন বা সুইফটের মাধ্যমে। এ পদ্ধতিতে ঢুকতেও রয়েছে আলাদা পাসওয়ার্ড ও ইউজার নেম। এছাড়া এটিএম কার্ডের মাধ্যমে লেনদেনের মতো এখানেও একটি কার্ড রয়েছে। নিয়মানুযায়ী এই সিস্টেমে ঢুকে লেনদেন করেই বের হতে হবে। কিন্তু ওই কর্মকর্তারা কাজশেষে নিয়মানুযায়ী সিস্টেমটি বন্ধ করেননি। ইচ্ছা করেই রাত ৮টা পর্যন্ত সুইফট মেশিনে বিশেষ কার্ডও লাগানো ছিল। ফলে ওই সময়েই লেনদেনের ঘটনাগুলো ঘটে। এখানে যে বার্তাগুলো পাঠানো হয় সেগুলো অতিগোপনে স্থানান্তরিত হয়। প্রতিটি বার্তা সুইফটের মাধ্যমে যাওয়ার সময় এগুলো এনক্রিপ্ট বা সাংকেতিক আকারে যায়। মাঝপথে এগুলো হ্যাক করে ওই ভাষা উদ্ধার করা অসম্ভব। ফলে লেনদেনও সম্ভব নয়। এছাড়া বার্তাগুলো যাওয়ার সময় পরিবর্তন হতে থাকে। মাঝপথে কেউ হ্যাক করলেও যেখানে পাঠানো হচ্ছে সেখানে ইউজার নেম পরিবর্তন হয়ে যাবে। ফলে সিস্টেম কাজ করবে না, কিন্তু এক্ষেত্রে এসব কিছুই হয়নি। যথানিয়মে বার্তা গেছে এবং এর আলোকে লেনদেন হয়েছে। এই প্রক্রিয়ায় এত নিরাপত্তা ভেদ করে কেউ সিস্টেমে ঢুকলেও নিয়মানুযায়ী বার্তা পাঠানো হয়। মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকে যে বার্তাটি গেছে তাতে একজন ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে টাকা স্থানান্তর করা হয়েছে। সাধারণত কোনো কেন্দ্রীয় ব্যাংক ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে অর্থ পাঠায় না। তারা সব সময় প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্টে অর্থ স্থানান্তর করে। এক্ষেত্রে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে অর্থ স্থানান্তরের বার্তা পেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংককে সঙ্গে-সঙ্গেই জানিয়েছিল, কিন্তু কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডিলিং রুমে ওই সময় কেউ না থাকায় ওই বার্তা চেক করে লেনদেন আটকানো যায়নি। ৭ ফেব্রুয়ারি তারা ঘটনাটি জেনে পরবর্তী ৯৭০ মিলিয়ন ডলারের লেনদেনগুলো আটকে দেয়।
এত বড় ঘটনায় কাউকে শাস্তি দেওয়া হয়নি :
এ ঘটনার পর কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিজস্বভাবে তদন্ত শুরু করে। কিন্তু ঘটনার জন্য দায়ী কাউকে শাস্তি দেওয়া হয়নি। এছাড়া বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দেশের জনগণের। এর পক্ষে সরকার এটি পরিচালনা করে। সরকারের পক্ষে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এটি দেখভাল করে। এত বড় ঘটনার পরও কেন্দ্রীয় ব্যাংক তাৎক্ষণিক বিষয়টি সরকার বা অর্থমন্ত্রীকে জানায়নি। এছাড়া অভিযোগ রয়েছে, অর্থমন্ত্রীকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক দায় চাপিয়েছে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওপর। যে কারণে অর্থমন্ত্রী বলেন, মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিরুদ্ধে মামলা করব। মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংককে বাংলাদেশ ব্যাংক দায়ী করলেও সেখানে কোনো পরিদর্শক দল পাঠানো হয়নি। পাঠানো হয় ফিলিপাইনে। ঘটনার এক মাস পর গতকাল কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ফরেক্স রিজার্ভের কর্মকর্তা আশিকুর রহমানকে বদলি করা হয় বাংলাদেশ ব্যাংক ট্রেনিং একাডেমিতে আর ট্রেনিং একাডেমি থেকে মফিজুর রহমান খানকে বদলি করে ফরেক্স রিজার্ভ বিভাগে আনা হয়।
সুইফট অধিক নিরাপদ :
ব্যাংকাররা জানান, আন্তর্জাতিক লেনদেনের জন্য ব্যবহৃত সুইফট অধিক নিরাপদ। এখন পর্যন্ত এটি কোথাও হ্যাক হয়নি। এমনকি কোনো ধরনের জালিয়াতিও হয়নি। এ পদ্ধতি নানা ধাপে নিরাপত্তার জালে আবদ্ধ। সুইফটে যে বার্তা যায়, এটিও অনেক নিরাপদ। বার্তাটি যায় গার্বেজ আকারে। এটি যেখান থেকে পাঠানো হচ্ছে এবং যেখানে যাচ্ছে- দুই স্থানেই একই সফটঅয়্যার থাকতে হবে। তা না হলে বার্তাটির ভাষা উদ্ধার করা যাবে না। ফলে ডলার চুরির নেপথ্যে ওই দুই স্থানের যে কোনো এক স্থানের পদ্ধতি সম্পর্কে হ্যাকারকে জানতে হবে, যা হ্যাক করে জানা সম্ভব নয়। এছাড়া সব কম্পিউটার থেকে সুইফট বার্তা পাঠানোও সম্ভব নয়। একমাত্র ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোই সুইফটের সদস্য। এ কারণে অনেকে মনে করছেন, বড় ধরনের তদন্ত করে এ ঘটনার নেপথ্য ব্যক্তিদের খুঁজে বের করা উচিত।
........................
বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থ লুট হওয়ার ১ মাস পরেও কনসার্ন অর্থ মন্ত্রীকে জানানো হয়নি। তিনি জেনেছেন পত্রিকা পড়ে! এ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবু হেনা মো. রাজি হাসান বলেন, রিজার্ভ হ্যাকড হওয়ার বিষয়টি তদন্তের স্বার্থেই অর্থমন্ত্রীকে জানানো হয় নি। সরকারের যে-যে জায়গায় জানানো দরকার, সেটা জানানো হয়েছিল। যখন একটি নির্দিষ্ট পর্যায়ে এল, তখন অর্থমন্ত্রীকেও জানানো হয়েছে। তার মানে, অর্থমন্ত্রী কি অপরাধী নাকি, যে তদন্তের স্বার্থে তাকে জানতে দেয়া হয়নি?
.............এই “যে-যে জায়গায় জানানো দরকার”- এরা কারা? তার মানে অর্থমন্ত্রী উপরেও কেউ আছে? সেটা হাসিনা ও তার পুত্র জয় ছাড়া আর কেউ নয়, তা পরিস্কার। বর্তমান অবৈধ সরকার থাকতে এত বড় রিজার্ভ লুটের কোনো সুষ্ঠু তদন্ত হবে না, এমনকি জানাও যাবে না আসলে কত টাকা লোপাট হয়েছে। সরকার পরিবর্তন হলেই কেবল সঠিক তদন্ত ও দোষীদের শাস্তি হতে পারে
বিষয়: রাজনীতি
১৪৮৩ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন