বাংলাদেশের হলুদ মিডিয়া সৌদির নেতৃত্বাধীন "ইসলামিক সামরিক জোট" লিখতে ভয় পাচ্ছে কেন?

লিখেছেন লিখেছেন জীবরাইলের ডানা ০৯ মার্চ, ২০১৬, ০৩:৩৮:২৩ রাত

বাংলাদেশের মিডিয়া সৌদির নেতৃত্বাধীন "ইসলামিক সামরিক জোট" লিখতে ভয় পাচ্ছে

তারা সব পত্রিকায় সন্ত্রাসবিরোধী জোট উল্লেখ করেছে। এই জোটতো কোন ব্যাক্তি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই করছেনা। এই জোট লড়া্য়ে নামছে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে। তারা ইতিমধ্যে সিরিয়া- লেবাননে আবস্থিত বড় বড় রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসীদের পিছু হটিয়ে দিয়েছে।এমনকি বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসীদের নাম তাদের তালিখায় থাকলে আবাক হওয়ার কিছুই থাকবেনা...

নিচের অংশ দৈনিক ইনকিলাবের নিউজ..

---------------------------------------

কয়েক ঘন্টার সংক্ষিপ্ত সফরে দিল্লী থেকে ঢাকা আসা সউদী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল বিন আহমদ আল জুবেইর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে তাদের মধ্যে আলোচনা হয়। গতকাল (মঙ্গলবার) সন্ধ্যায় গণভবনে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের জানান, প্রধানমন্ত্রী সউদী পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেছেন, সন্ত্রাস নির্মূলে রিয়াদ যে উদ্যোগ নিয়েছে তাতে ঢাকা সহযোগিতা করবে। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে তার বাংলাদেশ ‘জিরো টলারেন্স নীতিতে’ আছে বলেও জানান শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা বলেন, ধর্মের নামে কিছু লোক ইসলামের বদনাম করছে, সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করছে যেটা মুসলিম উম্মাহর ক্ষতি করছে। অথচ ইসলাম শান্তির ধর্ম। এ সময় প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে সউদী বিনিয়োগ আরও বাড়ানোর প্রত্যাশা করেন। দু’দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধির আশা প্রকাশ করেন তিনি। এসময় মাদরাসা শিক্ষাকে আধুনিকায়ণ করার কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী। সাক্ষাতে সউদী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল জুবেইর বলেন, ইসলাম ভালোবাসা, শান্তি ও ক্ষমার শিক্ষা দেয়। অথচ সন্ত্রাসীরা ইসলামের মূল্যবোধকে অবজ্ঞা করছে। সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে, চরমপন্থার বিরুদ্ধে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের পাশাপাশি মিডিয়ার অংশগ্রহণ জরুরি বলেও জানান। এ সময় আদেল বিন আহমদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতিরও প্রশংসা করেন। এর আগে বিমানবন্দরে নেমে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে সউদী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল বিন আহমদ আল জুবেইর বলেন, বাংলাদেশের মতো একটি ভ্রাতৃপ্রতীম মুসলিম দেশে আসতে পেরে আমি সম্মানিত বোধ করছি। অনেক বছর পর সউদী কোনো পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশে এসেছে। তবে আমি প্রতিশ্রুতি দিতে পারি পরবর্তী সফর খুব বেশি দেরি হবে না। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সাথে ফলপ্রসূ একটি আলোচনার প্রত্যাশা করছি। দুই দেশের ঐতিহাসিক বন্ধন আরো সুদৃঢ় করার উপায় নিয়ে তার সাথে কথা হবে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে এ বছর রিয়াদ ও জাকার্তায় দুইবার বৈঠক হয়েছে। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে তার দেশের বর্তমান বন্ধুত্ব ও সহযোগিতামূলক সম্পর্ক ঐতিহাসিক। এই সম্পর্ক কীভাবে আরও শক্তিশালী করা যায় সে নিয়ে কাজ করতে হবে। ভারতে এক দিনের সফর শেষে ঢাকায় কয়েক ঘণ্টার যাত্রাবিরতিতে। সউদী সরকারের একটি বিশেষ জেট বিমানে গতকাল সন্ধ্যা ৫টা ৫৫ মিনিটে শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণ করেন তিনি। এসময় তাকে স্বাগত জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ও ঢাকাস্থ সউদী আরবের রাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ এইচ এম আল-মুতাইরিসহ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও সউদী দূতাবাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। বিমানবন্দরে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সউদী পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে দুই দেশের উদ্বেগের বিষয়ে আলোচনা হবে। বিশেষত সম্প্রতি গঠিত সন্ত্রাসবিরোধী জোটসহ দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে কথা হবে এ সফরে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আদেল আল-জুবেইর বিমানবন্দর থেকে সরাসরি গণভবনে যান। সেখানে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এরপর তিনি রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় তাঁর সম্মানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলীর দেয়া নৈশভোজ সভায় যোগ দেন। জাকার্তায় অনুষ্ঠিত ৫ম এক্সট্রা-অর্ডিনারি ওআইসি সম্মেলন শেষে দেশে ফেরার পথে ঢাকায় এ যাত্রাবিরতি করলেন সউদী পররাষ্ট্রমন্ত্রী। গত রোববার (৬ মার্চ) জাকার্তায় অনুষ্ঠিত ওআইসির ওই বিশেষ সম্মেলনের ফাঁকে সউদী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী। গত জানুয়ারি মাসেও রিয়াদে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন তারা। সে সময়ই তিনি সউদী পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ঢাকা সফরের আমন্ত্রণ জানান। উল্লেখ্য, ১৯৮৩ সালের পর এই প্রথম কোন সউদী পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ এলেন। তার ঢাকায় যাত্রাবিরতির সূচি থাকায় গত সোমবার রাতেই জরুরি ভিত্তিতে জাকার্তা থেকে ঢাকা ফেরেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী। মার্চ থেকে মে’র মধ্যে সুবিধাজনক সময়ে দ্বিপক্ষীয় সফরে সউদী আরব যাবার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। প্রসঙ্গত, সউদী আরবের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি বাংলাদেশ অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে থাকে। দেশটিতে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক (৪০ লাখের বেশি) প্রবাসী বাংলাদেশীবাস করেন। গত ডিসেম্বরের মাঝামাঝি ৩৪টি দেশের সমন্বয়ে সউদী নেতৃত্বাধীন সন্ত্রাসবিরোধী জোটে বাংলাদেশের যোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। যা সউদী-বাংলাদেশ সম্পর্কে নতুন মাত্রা যোগ করে। ১০ মার্চ ওই জোটের প্রথম বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে সদস্য দেশগুলোর রাষ্ট্র বা সরকারপ্রধানরাও যোগ দিতে পারেন। আসন্ন ওই বৈঠকে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলের যোগ দেয়ার বিষয়ে আলোচনা হতে পারে আল জুবেইরের এ সফরে।

বিষয়: বিবিধ

১২৪১ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

361900
০৯ মার্চ ২০১৬ রাত ০৩:৪৪
নাবীল লিখেছেন : বাংলাদেশের চ্যানেল এবং পত্রিকাগুলি ইহুদী নাস্তিকদের দালাল।
মুসলমানদের পক্ষে বলার পত্রিকা নেই বললে ছলে।
যেই গুলি আছে তাও আবার কোনঠাসা।
কোন সময় শকুনের চোখ পড়ে।
361902
০৯ মার্চ ২০১৬ রাত ০৪:২১
শেখের পোলা লিখেছেন : রাষ্ট্র সন্ত্রা্স বলে ভিক্ষার চাল হারাতে রাজি নয়৷ওটায় স্বয়ং প্রধান মন্ত্রীর জন্যও হুমকী থাকতেে পারে৷ আর সন্ত্রাস বিরোধী বললে আদর যত্ন সব মিলে৷
361908
০৯ মার্চ ২০১৬ সকাল ০৫:৫৩
জীবরাইলের ডানা লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ
361914
০৯ মার্চ ২০১৬ সকাল ০৮:৩১
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : "ইসলামিক সামরিক জোট" নয় , এটা সৌদি রাজতন্ত্র রক্ষা করার জোট ।

সৌদি আরব নিজেই সন্ত্রাসী দেশ । সৌদি আরব সারা বিশ্বের জঙ্গীদের প্রশয় ও মদদদাতা ।
সৌদি আরব মিশর ও ইয়েমেনে আগ্রাসনকারী দেশ ।

আর কিছু কি বলবো ? !!!!

১৯৩২ সালে সৌদি আরব নামক ওহাবী দেশ প্রতিষ্ঠিত হয় । এতো বছর পর "ইসলামিক সামরিক জোট" !!!!! হাউ ফানি !!!




361922
০৯ মার্চ ২০১৬ সকাল ০৯:৩০
হতভাগা লিখেছেন : সৌদিরা এই জোট কি আদৈ মুসলমানদের ভালোর জন্য করেছে ? এরা কি পারবে ইসরায়লীদের উৎখাত করে ফিলিস্তিনিদের তাদের জন্মভূমি ফিরিয়ে দিতে ?

আমি মনে করি সৌদি নেতৃত্বাধীন এই জোটের প্রথম কাজই হওয়া উচিত এটা । তাহলেই কেবল তাদের সমর্থন দেওয়া যেতে পারে ।

এটা আমেরিকার চাল বৈ অন্য কিছু নয় । মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ লাগিয়ে এখন আমেরিকা ও তার সঙ্গীরা আছে মহাফাঁপড়ে । এসব অহেতুক ও অমিমাংসিত যুদ্ধে দেশ দখল রাখতেই তাদের জিলিয়ন জিলিয়ন ডলার ব্যয় হয়ে গেছে এবং যাচ্ছে । অর্থনীতিও তলিয়ে যাচ্ছে । তাদের দেশের মানুষ এসব ফালতু যুদ্ধে অংশগ্রহন ও তাদের সন্তানদের আর পাঠাতে চায় না ।

কিন্তু তেলের বিশাল ভান্ডার মধ্যপ্রাচ্যকে তো আর হাতছাড়া করা যায় না ।

সবকিছু মিলিয়ে বিশ্বস্ত একজনকে তারা চাচ্ছে যারা ওখানেরই লোক এবং তাদের স্বার্থরক্ষার কাজে সদা নিয়োজিত । ভাইয়ে ভাইয়ে যুদ্ধ বাঁধিয়ে তারা তাদের কাজ উসুল করে যাবে ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File