সমকামিতার কুফল ও ইসলামে শাস্তি বিধান

লিখেছেন লিখেছেন জীবরাইলের ডানা ০৭ মার্চ, ২০১৬, ০২:৩০:২২ দুপুর



এক্ষেত্রে প্রথমে এইডস এর কথা বলতেই হয়। মানুষের মধ্যে প্রথম এইডস এর বিস্তার ঘটে পশুকামিদের দ্বারা। এই সব বিকৃতকামী মানুষগুলো মানব সভ্যতায় এক মরণ বীজ রোপন করে গেছে যার ফল মানব সমাজকে আরো কত শতাব্দী বয়ে বেড়াতে হবে জানিনা। পশুকামীদের দ্বারা সংক্রমিত এই রোগ প্রথম ধরা পড়ে সমকামিদের মধ্যে। সেজন্য অনেকেই সমকামিতাকে এইডস রোগের মূল হিসেবে চিহ্নিত করে। যদিও তার কোন বৈজ্ঞানিক ভিত্তি বা ব্যাখ্যা নাই।

সমকামিতার প্রায় ৯০% সম্পর্ক অ্যানাল সেক্সের সাথে সম্পর্কিত । মলাশয়কে যৌনসঙ্গমের জন্য ব্যাপার করা হলে বিভিন্ন ভাইরাসের জন্য তা পোয়াবারো, কেননা লিঙ্গ সহজেই মলাশয়গাত্র ( রেকটাল ওয়াল) ভেদ করে সেটিতে ক্ষত সৃষ্টি করে এবং সেই ক্ষত দিয়ে বীর্য সহজেই ব্লাডস্ট্রিমে ঢুকে পড়ে ।

সমকামিতার প্রকৃতিঃ-

শারীরিক ক্ষতিসাধনে সমকামী পুরুষদের যৌনসঙ্গমের প্রকৃতি চরমভাবে দায়ী । কেননা এই যৌনাচারণ শুধু সক্রিয়/পরোক্ষ নয়, পেনাইল –অ্যানাল, মাউথ-পেনাইল, হ্যান্ড –অ্যানাল এমনকি মাউথ-অ্যানাল সম্পর্ক খুবই স্বাভাবিক। মাউথ-অ্যানাল সম্পর্ক আন্ত্রিক জীবাণুর মাধ্যমে রোগ সৃষ্টি করতে খুবই সহায়ক । মলাশয়ে ক্ষত থেকে শরীরের ভেতরে জীবাণু প্রবেশ করে, এবং অ্যানো –জেনিটাল সিফিলিটিক আলসারের সৃষ্টি হয় । ব্রিটিশ গবেষক উইলকক্স বলেন –

Male homosexual behaviour is not simply either ‘active’ or ‘passive,’ since penile-anal, mouth-penile, and hand-anal sexual contact is usual for both partners, and mouth-anal contact is not infrequent. . . . Mouth-anal contact is the reason for the relatively high incidence of diseases caused by bowel pathogens in male homosexuals. Trauma may encourage the entry of micro-organisms and thus lead to primary syphilitic lesions occurring in the anogenital area. . . .In addition to sodomy, trauma may be caused by foreign bodies, including stimulators of various kinds, penile adornments, and prostheses.

ক্ষত যে শুধু লিঙ্গের প্রবেশের মাধ্যমেই হবে তা নয়, সেটি ডিলডো/পেনাইল এডোর্নমেন্ট/প্রোস্থেসেসের মাধ্যমে হতে পারে এবং বিষমকামী ব্যক্তিরা এসব ব্যবহার করলেও সমকামী ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে এসব ব্যবহারের পরিমাণ তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি ।

সমকামী ব্যক্তিরা যেসকল রুটের মাধ্যমে সমকামী যৌনসম্পর্কে লিপ্ত হয়, সেগুলোর মাধ্যমে কিভাবে শারীরিক ও মানসিক ক্ষতি হয় তা নিচে ব্যাখ্যা করা হলোঃ



অ্যানো-জেনিটাল সম্পর্কঃ-

সমকামী ব্যক্তিদের সমকামী সম্পর্কের প্রধান রুট অ্যানো-জেনিটাল রুট, একে বলা হয় sine qua non of sex for many gay men অর্থাৎ এটি সমকামী সম্পর্কে অপরিহার্য । হিউম্যান ফিজিওলজী থেকে এটি স্পষ্ট যে, মানবদেহ এই সম্পর্কের জন্য তৈরি বা পরিকল্পিত নয় । লিঙ্গের জন্যই যোনী, লিঙ্গের জন্য মলাশয় নয় । যোনী যৌনসঙ্গমের জন্য স্পেশালি তৈরি,যোনীর অভ্যন্তরে ন্যাচারাল লুব্রিকেন্ট ও তিন লেয়ার বিশিষ্ট পুরু এবং স্থিতিস্থাপক মাসল থাকার কারনে একটি লিঙ্গ ঘর্ষণ এড়িয়ে ও রক্তপাত না ঘটিয়ে সহজেই যোনীতে ঢুকে যেতে পারে। কিন্তু মলাশয় একটি অত্যন্ত নাজুক অঙ্গ, মলাশয়গাত্র একেবারেই পাতলা ও কমনীয় যেটির শুধুমাত্র “এক্সিট-অনলি” বৈশিষ্ট্য রয়েছে ,একটি লিঙ্গ মলাশয়ে সহজেই ঢুকে যেতে পারেনা,সরু ছিদ্রের কারণে তাকে প্রেশার দিয়ে ঢোকাতে হয় এবং মলাশয়গাত্রে মাত্র একস্তরবিশিষ্ট লেয়ার থাকার ফলে ঢোকাতে যেয়ে প্রায়শই রক্তপাত হয় যেখান থেকে বিভিন্ন রোগের জীবাণু সরাসরি রক্তপ্রবাহে চলে আসে । মলাশয়ে বারবার ঘর্ষণের ফলে সৃষ্ট ক্ষত ও লিঙ্গ প্রবেশের কারণে সৃষ্ট মলাশয়ছিদ্রের প্রসারণের কারণে স্ফিংকটার তার স্বাভাবিক টোন এবং টাইট সিল বৈশিষ্ট্যটি হারায় । উপরন্তু, অ্যানো-জেনিটাল যৌনসঙ্গমের কারণে ফিকাল ম্যাটেরিয়ালের নিঃসরণও ক্রমাগত বা ক্রনিক আকার ধারণ করে ।

অরডিনারী রিপ্রোডাক্টিভ ফিজিওলজি থেকে জানা যায়, সিমেন বা বীর্যরস ইমিউনোসাপ্রেসিভ বা দেহের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে নিরুদ্ধ বা নিগৃহীত করে, অ্যানাল রুট একেই অত্যন্ত নাজুক এবং জীবাণুর ডিপো, সেখানে ইমিউন সিস্টেম যোনীর সিস্টেমের তুলনায় এমনিতেই অনেক দুর্বল থাকে, সেই দুর্বল সিস্টেমে যদি বীর্যরসের মাধ্যমে তাকে আরো দুর্বল করে দেওয়া হয়, তাহলে জীবাণু বিনা প্রতিরোধে শরীরে প্রবেশ করে অতি সহজেই বিভিন্ন রোগ সৃষ্টি করবে ।

অ্যানাল সেক্সের কারণে নিম্নলিখিত রোগের প্রাদুর্ভাব সমকামীদের মধ্যে অত্যন্ত বেশি –

১) এইচআইভি এইডস ২) সিফিলিস ৩) গনোরিয়া ৪) হার্পিস সিমপ্লেক্স ৫) ভাইরাল হেপাটাইটিস টাইপ বি ও সি ৬) ক্ল্যামিডিয়া ইনফেকশন ৭) অ্যানাল ক্যান্সার ৮) ক্রিপ্টোস্পোরিডিওসিস ৯) আইসোস্পোরিয়াসিস ১০) মাইক্রোস্পোরিডিওসিস ১১) জিয়ার্ডিয়া ল্যাম্বলিয়া ডিজিজ ১২) স্কিন ও অ্যানো-জেনিটাল ওয়ার্ট ১৩) হেপাটাইটিস এ ১৪) এন্টামিবা হিস্টোলাইটিকাজাত এমিবিয়াসিস ১৫) শিগেলোসিস ১৬) সালমোনেলোসিস ১৭) পেডিকুলোসিস ১৮) স্ক্যাবিস ১৯) ইনফেকশাস মনোনিউক্লিওসিস ২০) ক্যাম্পাইলোব্যাক্টেরিওসিস ২১) মেনিনজাইটিস ও মেনিঞ্জোকক্কেমিয়া ২২) হুক ওর্ম ।

উল্লেখ্য, ৭-২২ নং রোগগুলি বিষমকামী ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে খুবই বিরল । ১-৬ নং রোগগুলো সমকামী ও বিষমকামী উভয় ব্যক্তিদের হলেও সমকামী ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে এই সকল রোগের হার অনেক বেশি । উদাহরণস্বরূপঃ

In 1999, King County, Washington (Seattle), reported that 85 percent of syphilis cases were among self-identified homosexual practitioners

আমেরিকার সিয়াটল প্রদেশের কিং কান্ট্রিতে ৮৫% সিফিলিস আক্রান্ত ব্যক্তি সমকামী যৌনসম্পর্কে লিপ্ত ।

Syphilis among homosexual men is now at epidemic levels in San Francisco

এছাড়া অন্যান্য রোগের মধ্যে রয়েছে –

ক) হেমোরয়েড (পাইলস) খ) অ্যানাল ফিশার গ) অ্যানোরেকটাল ট্রমা ঘ) রিটেইন্ড ফরেইন বডিজ ইত্যাদি যেগুলো অন্যতম রিস্ক ফ্যাক্টর অ্যানাল যৌনসংসর্গ।

ওরাল-অ্যানাল যৌনসম্পর্কঃ-

সমকামীদের এই ধরনের যৌনসম্পর্কের সাথে অজস্র প্যারাসাইটিক এবং আন্ত্রিক রোগ বিজড়িত। গে-বাওয়েল সিনড্রোম এমন একটি রোগ যা অবাধ অ্যানাল যৌনসংসর্গ/ এনিলিংগাস বা পায়ুপথ ও নিতম্ব চোষণ ও লেহন (রিমিং/রিম-জব) / ফেলাশিও বা লিঙ্গচোষণের (ব্লোজব) মাধ্যমে সংক্রমিত হয় এবং সমকামীদের মধ্যে এই সিনড্রোম অত্যাধিক বেশি বলেই এর নাম বিশেষভাবে গে-বাওয়েল সিনড্রোম রাখা হয়েছে ।

নিউইয়র্কে ১৯৯১ সালের হেপাটাইটিস এ প্রাদুর্ভাবের সময় সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশনের% জরীপে দেখা যায়, ৭৮% হেপাটাইটিস এ আক্রান্ত ব্যক্তি হয় সমকামী নয়তো উভকামী ।

সালমোনেলা মূলত যৌনবাহিত রোগ নয়, তবে যৌনসংশ্লিষ্ট সালমোনেলার প্রধান কারন ওরাল-অ্যানাল এবং ওরাল –জেনিটাল সমকামী যৌনসম্পর্ক । টাইফয়েড মূলত পানিবাহিত রোগ হলেও এর যৌনসংশ্লিষ্ট প্রকারটির অন্যতম মূল কারণ সমকামিতা ।

সমকামীদের যৌন স্বেচ্ছাচারিতাঃ-

এইডস এপিডেমিক আবিষ্কৃত হওয়ার পূর্বে ১৯৭৮ সালের এক স্টাডি থেকে জানা যায়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৭৫% শ্বেতাঙ্গ পুরুষের ১০০+ সমকামী সঙ্গী রয়েছে, ১৫% পুরুষের ১০০-২৪৯ জন, ১৭% পুরুষের ২৫০-৪৯৯ জন, ১৫% পুরুষের ৫০০-৯৯৯ জন এবং ২৮% পুরুষের ১০০০+ জন সমকামী সঙ্গী রয়েছে । এইডসের কারণ ও রিস্ক ফ্যাক্টরগুলো জানার পর থেকে এই যৌন স্বেচ্ছাচারিতার হার বেশ পরিমাণে হ্রাস পায় কিন্তু ইদানীং কিছু সাইকিয়াট্রিক ও সাইকোলজিক এ্যাসোসিয়েশনের ভুলপ্রচারের কারণে সেই সচেতনতা আবার হ্রাস পেতে শুরু করেছে । কেননা, এই এ্যাসোসিয়েশনগুলো একদিক থেকে সঠিক হলেও বৃহত্তর দিক থেকে ভুল, সমকামিতা মানসিক বিকৃতি বলে যেই ভুল ধারণাটি প্রচলিত রয়েছে সেটি ভেঙ্গে দেওয়ার জন্যই এই এ্যাসোসিয়েশনগুলো প্রচার করেছে যে সমকামিতা মানসিক বিকৃতি নয় তবে তারা সমকামিতার মেডিক্যাল ক্ষতির কারণগুলো সম্পর্কে কিছুই বলেনি, যেহেতু তারা মেডিসিন বা সেক্স স্পেশালিস্ট নয় । এই অসম্পূর্ণ প্রচারের কারণে মানুষের মধ্যে এমন ধারণা সৃষ্টি হয়েছে যে, যেহেতু এটি মানসিক বিকৃতি নয়, সেহেতু এটি করতে দোষের কি ? অর্থাৎ, মেডিক্যাল ক্ষতির কারণগুলো বিশ্লেষণ না করেই সমকামিতা কোন মানসিক বিকৃতি নয় – এমনটি প্রচার করার মাধ্যমে সমকামিতার মত ক্ষতিকর বিষয়কেই প্রশ্রয় দেওয়া হয়েছে এবং এর ফলে ব্যক্তিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় প্রভূত ক্ষতি সাধিত হচ্ছে । উল্লেখ্য যে, যে কোন ডিগ্রীর প্রমিস্কুইটি বা যৌন স্বেচ্ছাচারিতা সেক্সুয়ালি ট্রান্সমিটেড ডিজিজ বা যৌনরোগের প্রধান কারণ । সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশনের হিসেব অনুযায়ী, ৬৫ মিলিয়ন মার্কিনী জনগোষ্ঠী অনারোগ্য যৌনরোগে আক্রান্ত ।

সমকামিতা এবং কপ্রোফিলিয়া (মলমূত্র দেখে বা সংস্পর্শে যৌনতা)

কপ্রোফিলিয়া হলো এমন একটি অস্বাভাবিক যৌনাচারণ যেখানে ব্যক্তি মলমূত্র দেখে বা মলমূত্রের সংস্পর্শে এসে যৌনানন্দ লাভ করে। ফিনল্যান্ডের একটি সার্ভে থেকে জানা যায়, ১৮% বিষমকামী এবং ১৭% সমকামী এই অস্বাভাবিক যৌনাচারে লিপ্ত। যেহেতু জনসংখ্যার একটি ক্ষুদ্র অংশ সমকামী, সুতরাং আনুপাতিক বিচারে এই ১৭% অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এর মাধ্যমে অ্যানাল-ওরাল এবং অ্যানো-জেনিটাল সম্পর্কিত সকল প্রকার ঝুঁকির পরিমাণ অত্যন্ত বেশি থাকে ।

সমকামিতা এবং ফিস্টিং ( মলাশয়ে হস্ত প্রবেশণ )

ফিস্টিং বলতে বোঝানো হয় হাত বা কলাচী (ফোরআর্ম) মলাশয়ছিদ্র দিয়ে মলাশয়ের অভ্যন্তরে ঢুকিয়ে যৌনানুভূতি বা যৌনপুলকের উদ্রেক ঘটানো । এটি অ্যানাল ইন্টারকোর্স থেকেই অধিকতর ড্যামেজিং, এতে অ্যানাল টিয়ার বা মলাশয়ের মাসল ছিড়ে যেতে পারে এবং অ্যানাল স্ফিংকটার অকার্যকর হয়ে যেতে পারে। ফিস্টিং মলাশয়ে প্রদাহ, ব্যথা এবং ইনফেকশনের জন্য চরমভাবে দায়ী। একটি সার্ভেতে দেখা যায় ২২% সমকামী ফিস্টিংয়ে লিপ্ত ।

সূত্রঃ Jay and Young, pp. 554-555.

সমকামিতা এবং স্যাডিজম (ধর্ষকাম)

ধর্ষকাম একটি অস্বাভাবিক ও বর্জনীয় যৌনাচারণ যেটিতে ব্যক্তি তার যৌনসঙ্গীর সঙ্গে মারধোর করে, কষ্ট দিয়ে এবং নির্দয় আচরণ করে যৌনানন্দ বা যৌনপুলক লাভ করে । ৩৭% সমকামী এই অস্বাভাবিক যৌনাচারে অভ্যস্ত ।

সূত্রঃ Jay and Young, pp. 554-555.

অ্যানাল সেক্স এতই ঝুঁকিপূর্ণ যে আজকের দিনে সোর থ্রোট আর সাধারণ অসুখ নেই, হয়ে গেছে কমপ্লিকেটেড অসুখ। আগে এই অসুখের জন্য রোগীকে তেমন প্রশ্ন করতে হতো না, এখন রোগীকে জিজ্ঞাসা করতে হয়, সে সমকামী যৌনাচারে লিপ্ত কিনা, সে ওরাল সেক্স বা অ্যানাল সেক্সের সঙ্গে জড়িত কিনা । হেমোরয়েড বা পাইলস আর শুধুমাত্র সার্জিক্যাল সমস্যা নেই, এটি এখন জটিল রূপ ধারণ করেছে এবং রোগী সমকামী কিনা, তার অ্যানাল ক্যান্সার, রেক্টাল গনোরিয়া, রেক্টাল ক্ল্যামিডিয়া আছে কিনা বা ভেতরে সুপ্ত কিনা সেগুলো জানতে হয়। বিভিন্ন গবেষণা থেকে প্রাপ্ত উপাত্তের ভিত্তিতে জানা যায়, রেক্টাল ও থ্রোট গনোরিয়ার ৭৫% -ই কোন সিম্পটম ব্যতীত।

লেসবিয়ানিজম বা নারী সমকামঃ

নারী সমকামীদের ক্ষেত্রেও নারী বিষমকামীদের থেকে যৌনরোগসহ বিভিন্ন রোগের প্রকোপ বেশি । তবে লেসবিয়ানিজম নিয়ে তথ্য উপাত্ত প্রয়োজনের তুলনায় বেশ অপ্রতুল কেননা লেসবিয়ানদের সংখ্যা হোমোসেক্সুয়ালদের থেকে কম এবং নারীঘটিত বিষয় বলে এটি নিয়ে তেমন গবেষণা করা হয়নি। আরেকটি বিষয় হলো লেসবিয়ানদের বিশাল অংশ উভকামী, অস্ট্রেলিয়ায় এক রিসার্চে দেখা গেছে এটি ৯৩ %, তাই প্রকৃত লেসবিয়ান কারা এবং লেসবিয়ানিজমের কারণে যৌনরোগ বৃদ্ধি পেয়েছে কিনা সেটি নিরূপণ দুরূহ । শুধু তাই নয়, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই উভকামী লেসবিয়ান জনগোষ্ঠীর অনেক পুরুষ সঙ্গী রয়েছে বলে দেখা গেছে ।

রিসার্চে দেখা গেছে, হোমোসেক্সুয়াল/উভকামী/আইভি ড্রাগ অ্যাবিউজার পুরুষের সঙ্গে লেসবিয়ান নারীদের যৌনসংসর্গের হার বিষমকামী নারীদের যৌনসংসর্গের থেকে ৩-৪ গুণ বেশি। এছাড়াও দেখা গেছে সমকামী নারীদের মধ্যে এইডসের জন্য হাই রিস্ক ফ্যাক্টর কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার প্রবণতা বেশি, যেমনঃ ইন্ট্রাভেনাস ড্রাগ এবিউজ, পতিতাবৃত্তি, উভকামী সাধারণ ও ড্রাগ এবিউজার পুরুষদের সঙ্গে যৌনসংসর্গ ।

সমকামীদের দুর্বল মানসিক স্বাস্থ্যঃ-

সমকামীদের মধ্যে বিভিন্ন মানসিক রোগ – ডিপ্রেশন, ড্রাগ এবিউজ, আত্মহত্যার প্রবণতা অত্যন্ত বেশি । আমেরিকান মেডিক্যাল এসোসিয়েশনের জেনারেল সাইকিয়াট্রি আর্কাইভ ২০০০ ইস্যু থেকে জানা যায়, সমকামিতা এবং আত্মহত্যা ও অন্যান্য আবেগিক/মানসিক সমস্যাগুলোর মধ্যে নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে ।

ব্যাগলে ও ট্রেম্বলের রিসার্চ থেকে দেখা যায়, সমকামী ব্যক্তিদের মধ্যে আত্মহত্যার হার বিষমকামীদের থেকে নিম্নপক্ষে ২ গুণ এবং উচ্চপক্ষে ১৩.৯ গুণ বেশি । কানাডায় বছরে যে কটি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে তার মধ্যে ৩০% আত্মহত্যাকারী সমকামী ।

সমকামীদের অপরিণামদর্শী হঠকারী ও বেপরোয়া যৌনপ্রবৃত্তি ও যৌনাচারণ।

সমকামীদের মধ্যে অপরিণামদর্শী হঠকারী ও বেপরোয়া যৌনপ্রবৃত্তি ও যৌনাচারণের প্রবণতা অত্যন্ত বেশি। নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত ‘এইডস এট ২০” নামক ফিচারের রিপোর্ট থেকে জানা যায়, তারা সাধারণ বিষমকামী জনগোষ্ঠী থেকে অনেক বেশি যৌনতাড়িত এবং মাত্রাতিরিক্ত যৌনাবেগের বশবর্তী হয়ে তারা ভালমন্দ চিন্তা করেই কনডমবিহীন অবাধ যৌনাচারে লিপ্ত হন, লিপ্ত ব্যক্তিগণের মধ্যে একজন এইডস আক্রান্ত হলে অন্যজনে তা সংক্রমিত হয়। এমনকি সমকামী ব্যক্তিদের কেউ কেউ চরমভাবে ধ্বংসাত্মক চিন্তাধারাসম্পন্ন হয়ে থাকে। যেমন নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত রিপোর্টে দেখা যায়, এক এইডস আক্রান্ত সমকামী ব্যক্তির মধ্যে অন্যতে এইডস সংক্রমিত করার জন্য কোন খেদ বা অনুতাপ নেই ।

অন্যান্য রিপোর্টেও দেখা যায়, সমকামী ব্যক্তিদের মধ্যে উন্নাসিকতা অত্যন্ত বেশি, ব্যক্তিক সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় ক্ষতি নিয়ে তাদের বিন্দুমাত্র চিন্তা নেই । আমেরিকার সিয়াটলে করা ১৯৯৮ সালের একটি স্টাডিতে দেখা যায়, সমকামী ব্যক্তিদের এসব নিয়ে কোন মাথাব্যথা নেই এবং ১০ বছরের আগে পরে এই কনডমবিহীন অবাধ যৌনাচারের হার দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে । পাশ্চাত্যের গে সার্কিট পার্টি একটি কমন ব্যাপার, সেখানে অনুসন্ধান চালিয়ে দেখা গেছে, পার্টিতে উপস্থিত ব্যক্তিদের ১৭% এর আগে থেকেই এইডস ছিলো, ১০% ব্যক্তিরা এইডস আক্রান্ত হয়েছে, ২/৩ অংশ ওরাল বা অ্যানাল সেক্সে অংশগ্রহণ করেছে এবং ২৮% কনডম ব্যবহার করেনি, ৫৭% সাইকোএকটিভ ড্রাগ ব্যবহারের কথা স্বীকার করেছে এবং ৯৫% ব্যবহারকারী এর আগে বিভিন্ন গে-পার্টিতে ড্রাগ ব্যবহার করেছে বলে জানিয়েছে । গবেষকগণ ড্রাগ ব্যবহার এবং অ্যানাল সেক্সের মধ্যে একটি সরাসরি আন্তঃসম্পর্ক খুঁজে পেয়েছেন। তাছাড়া সমকামীদের মধ্যে ধূমপায়ী ও মদ্যপানকারীর হারও বিষমকামীদের অপেক্ষা যথাক্রমে ১.৩ – ৩ গুণ ও ১.৪ -৭ গুণ বেশি । আমেরিকার সাউদার্ন স্টেটগুলোর নারী সমকামীদের ৭৮% ধূমপায়ী। সমকামীদের মধ্যে ড্রাগ এবিউজের হার বিষমকামী হতে নিদেনপক্ষে ১.৬ গুণ থেকে ১৯ গুণ বেশি । সমকামীদের মধ্যে বিষণ্ণতার হার বিষমকামীদের থেকে কমপক্ষে ১.৮ থেকে ৩ গুণ বেশি ।

সমকামীদের স্বল্পায়ু জীবনঃ

শারীরিক ও মানসিক সমস্যা সমকামীদের মধ্যে প্রকট, তারই আরেক ফলাফল তাদের স্বল্পায়ু জীবন। কানাডার ভ্যাঙ্কুভারের একটি এপিডেমিওলজিকাল স্টাডি থেকে জানা যায়, ১৯৮৭-১৯৯২ পর্যন্ত এইডসজনিত মৃত্যুগুলোর মধ্যে সমকামী ও উভকামীরা সংখ্যায় অনেক বেশি এবং তাদের গড় আয়ু ২০ বছর হ্রাস পেয়েছে (প্রকৃতপক্ষে এর চেয়েও বেশি)। উল্লেখ্য, সিগারেটের কারণে এই গড় আয়ু ১৩.৫ বছর হ্রাস পায়, অর্থাৎ সমকামিতা ধূমপানের থেকেও অধিকতর জীবনঘাতী। স্টাডিতে বলা হয়, জনসংখ্যার ৩% সমকামী ও উভকামী হলে, ২০ বছর বয়সী সমকামী/উভকামী কিশোরের ৬৫ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকার সম্ভাব্যতা মাত্র ৩২%, যেখানে বিষমকামীদের ক্ষেত্রে সেটি ৭৮%। আয়ু কমে যাওয়ার এই বিষয়ে ১৫-২০% আনরিপোর্টেড এইচআইভি এইডস কেস সংযোজিত হলে সমকামী ও উভকামীদের গড় আয়ু হ্রাস ২০ বছরেরও বেশি দাঁড়ায়। তাছাড়া আত্মহত্যা এবং যৌনরোগজনিত মৃত্যুর বিষয় এতে অন্তর্ভুক্ত হলে এটাই প্রমাণিত হয় যে, সমকামীদের আয়ুস্কাল অত্যন্ত স্বল্প এবং এসকল কারণে রিপোর্টে উল্লেখিত গড় আয়ু হ্রাস প্রকৃতপক্ষে ২০ বছর নয়, বরং আরো অনেক বেশি।

সমকামীদের মধ্যে মাল্টিপল যৌনসঙ্গীর হার অনেক বেশি। সমকামীদের মধ্যে সেক্সুয়াল ফিডেলিটি বা যৌনবিশ্বস্ততার বোধই জন্ম নেয়না কেননা, তাদের মধ্যে যৌনউশৃঙ্খল গ্রুপ বা কমিউনিটি সেক্স প্রচলিত এবং বিবাহের কনসেপ্ট হালে মাত্র কয়েকবছর ধরে শুরু হয়েছে। আর সমকামী সম্পর্কে সন্তান উৎপাদনের বিষয়টি নেই বলে বিবাহ পুরোপুরি না হলেও অনেকটাই তাৎপর্যবিহীন। সেক্স ইন আমেরিকা শীর্ষক গবেষণায় দেখা যায়, ৯৪% বিবাহিত দম্পত্তি এবং ৭৫% সহবাসী দম্পত্তিদের মধ্যে যৌনবিশ্বস্ততা রয়েছে । সমকামীদের যৌনসেচ্ছাচারিতার প্রমাণ পাওয়া যায়।

বর্তমানে সমকামে যৌনবিশ্বস্ততাহীন মনোগ্যামির কথা বলা হলেও প্রকৃতপক্ষে অনেক সমকামীই মনোগ্যামিতে বিশ্বাসী নয়, তাদের প্রাইমারী পার্টনার সময়ে সময়ে পরিবর্তিত হয় এবং একটি স্টাডি রিপোর্টে দেখা গেছে, সার্কিট পার্টির ৪৬% সমকামীরা কাপল হিসেবে অংশগ্রহণ করে যার মধ্যে ২৭% কাপলদের কেউ না কেউ একাধিক ব্যক্তিদের সঙ্গে যৌনসম্পর্কিত অর্থাৎ তাদের মাল্টিপল সেক্স পার্টনার রয়েছে । আবার এই ৬৬% কাপল তাদের প্রাইমারী সঙ্গীর বাইরে অন্য ব্যক্তিদের সঙ্গেও যৌনাচারে লিপ্ত এবং পাঁচ বছর সম্পর্কটি স্থায়ী হলে (অনেক ক্ষেত্রেই হয়না) ৬৬% বেড়ে ৯০% এ যেয়ে দাঁড়ায়।

আরো দেখা গেছে – মাত্র ১৫% সমকামী পুরুষ কাপল এবং ১৭.৩ সমকামী নারী কাপলদের যৌনসম্পর্ক ৩ বছরের বেশি স্থায়ী হয়েছে । অর্থাৎ, সমকামী সম্পর্ক বলতে গেলে স্থায়ী হয়ই না, তাই অধিকাংশ সমকামীদের বিবাহও কাঁঠালের আমসত্ত্ব ছাড়া আর কিছুই নয়।

সমকামিতা এবং ক্যান্সারঃ-

সমকামীদের মধ্যে ধূমপান ও মদ্যপানের হার সাধারণ জনগোষ্ঠী থেকে অত্যন্ত বেশি বলে ফুসফুস এবং যকৃতের ক্যান্সার হওয়ার হারও বেশি। অ্যানাল সেক্সে মলাশয়গাত্রে অতি সহজেই ক্ষত সৃষ্টি হতে পারে এবং অ্যানাল রুট হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাসের জন্য একটি সহজপ্রবেশ্য রুট বলে অ্যানাল ক্যান্সারের হার সমকামীদের মধ্যে অত্যন্ত বেশি। নার্সিং ক্লিনিক অব নর্থ আমেরিকার জার্নালের জুন, ২০০৪ রিপোর্টে দেখা যায় – এইডস আক্রান্ত ৯০% সমকামী ব্যক্তিদের দেহে এবং এইডস ব্যতীত ৬৫% সমকামী ব্যক্তিদের দেহে হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস রয়েছে যার মধ্যে এইচপিভি টাইপ ১৬ ক্যান্সারের জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ প্রকরণ।

সমকামীদের মধ্যে হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাসজাত অ্যানাল ক্যান্সারের ঝুঁকি বিষমকামীদের তুলনায় ১০ গুণ বেশি। এইডস আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে অ্যানাল ক্যান্সার হওয়ার ক্ষেত্রে সমকামীদের মধ্যে এই ঝুঁকি বিষমকামীদের তুলনায় ২০ গুণ বেশি ।

এছাড়াও পায়ুপথ দিয়ে রিক্রিয়েশনাল ড্রাগ ব্যবহার, ক্রিস্টাল মেথ ব্যবহার বা ডিলডো কিংবা অন্যান্য সেক্সটয় ব্যবহার অ্যানাল ডিজপ্লাসিয়া, কন্ডাইলোমাটা এবং তা থেকে এনাল ক্যান্সার হওয়ার জন্য খুবই বড় প্রভাবক।

আবার রিসার্চে দেখা যায়, নারী সমকামীদের মধ্যে ব্রেস্ট ও সারভাইক্যাল ক্যান্সারের পরিমাণও বেশি ।

যদিও সমকামী নারীদের মধ্যে সমকামী পুরুষ অপেক্ষা যৌনস্বেচ্ছাচারিতা কম, তবুও এটি বিষমকামীদের যৌনস্বেচ্ছাচারিতা থেকে বেশি।

অস্ট্রেলিয়ান গবেষকগণ দেখেছেন – সমকামী নারীদের মধ্যে ৫০ এর অধিক পুরুষ সঙ্গী গ্রহণের হার বিষমকামী নারীদের চেয়ে ৪.৫ গুণ বেশি এবং ৯৩% সমকামী নারীরা নিজেদের সমকামী বলে পরিচয় দিলেও প্রকৃতপক্ষে তারা উভকামী অর্থাৎ, তাদের পুরুষ সঙ্গীও রয়েছে । অন্য একটি স্টাডিতে দেখা যায়, ৭৫-৯০% নারী উভকামী ।

বিভিন্ন স্টাডি থেকে দেখা যায় – সমকামীদের বিহ্যাভেরিয়াল থেরাপি প্রদানের মাধ্যমে ১/৩ অংশ সমকামিতা বর্জন করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে গেছে, ১/৩ অংশে মিশ্র ফলাফল এসেছে এবং ১/৩ অংশ সমকামিতা বর্জন করতে পারেনি। অর্থাৎ, সমকামীদের এই থেরাপি প্রদান করে বিষমকামী করে তোলার যে প্রচেষ্টা তা ব্যর্থ –এমনটি কখনোই বলা যাবেনা ।

ইসলাম ও সমকামিতাঃ

ইসলাম ও সমকামিতার মধ্যে গভীর সম্পর্ক রয়েছে, সেটি নিয়ে আলাদা একটি পোস্ট দেব ভবিষ্যতে। এখানে শুধু দুই তিনটি বিষয়ের কথা উল্লেখিত হলো –

কোরান থেকে হজরত লুতের সময়কার জনগোষ্ঠী ধবংসের আষাঢ়ে গল্পের সাথে সাথে অন্য একটি সুরা নিসার ১৬ নং আয়াতে পাওয়া যায় –

তোমাদের মধ্য থেকে যে দু’জন সেই কুকর্মে লিপ্ত হয়, তাদেরকে শাস্তি প্রদান কর । অতঃপর যদি উভয়ে তওবা করে এবং নিজেদের সংশোধন করে, তবে তাদের থেকে হাত গুটিয়ে নাও । নিশ্চয় আল্লাহ তওবা কবুলকারী, দয়ালু ।

অর্থাৎ, সমকামীদের প্রশ্নে কোরান দ্বিচারী কেননা একদিকে তাদের ধবংসের কথা দাবী করছে অর্থাৎ তাদের কঠিন শাস্তির কথা বলছে, অপরদিকে সুরা নিসাতে বলছে যদি তারা তওবা ও সংশোধন করে তবে তাদের থেকে হাত গুটিয়ে নিতে অর্থাৎ শাস্তি থেকে অব্যাহতি দিতে ।

ইসলামিক রাষ্ট্রগুলোতে সমকামীদের যেই নৃশংস মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় তা মানবতার প্রতি চরম অন্যায় এবং নির্মম নৃশংস ও বর্বরোচিত। চোরের হাত কেটে দিলে চোর পরিবারের ও সমাজের বোঝাস্বরূপ হয়ে যায়, ফলে পারিবারিক ও রাষ্ট্রীয় ক্ষতিসাধিত হয়,অথচ চোরের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করলে হয়তো সে চুরি করতো না,অধিকাংশ চোরই আর্থিক দুরবস্থার কারণে চোর হয় । তেমনি, সমকামীদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া একেবারেই মানবতাবিরোধী নৃশংস ও বর্বরোচিত কাজ । বরং চেষ্টা করতে হবে, তারা যাতে সমকাম থেকে বিষমকামী যৌনাচারণে উদ্বুদ্ধ ও অনুপ্রাণিত হয় । মৃত্যুদণ্ড কোন সমাধান নয় ।

তবে ইসলামিক দেশগুলোতে সমকাম প্রকাশ্যে না চললেও ভেতরে ভেতরে খুব চলে কেননা স্ত্রী ব্যতীত নারীসংসর্গ ইসলামিক দেশগুলোতে প্রকাশ্যে নিষিদ্ধ, অবদমিত যৌনাকাঙ্ক্ষা দমন করতে না পেরে ও নারীদের সঙ্গে মিলিত হতে না পেরে ইসলামিক দেশগুলোতে অনেকেই সমকামী যৌনসম্পর্কে প্রবৃত্ত হয় । সমকামের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড বলে ইসলামিক দেশগুলোর বিপুল সমকামী জনগোষ্ঠী নিজেদের সমকামী চরিত্রটি গোপণ করে রাখে । তবে এই ছবিগুলোতে দেখা যায়, পেডোফিলিয়া ও সমকাম ইসলামিক নেতাদের মধ্যে বেশ প্রচলিত। উল্লেখ্য, এরা সমকাম ও পেডোফিলিয়ায় রত হলেও এদের মৃত্যুদণ্ড হয়না, হয় সাধারণ সমকামী জনগোষ্ঠীর । কি নিদারুণ দ্বিচারিতা/হিপোক্রিসি এই মুসলিম বা ইসলামিক সমাজে, তাজ্জব হয়ে যেতে হয় ।

উপরে সমকামিতার অজস্র স্বাস্থ্যগত ক্ষতির বর্ণনা প্রদানের মাধ্যমে বোঝা যায়, মানবাধিকার সহ সকল দৃষ্টিকোণই সমকামের স্বাস্থ্যগত ক্ষতির সামনে জোরালো ইস্যু হিসেবে দাঁড়াতে একেবারেই ব্যর্থ এবং তাই অভিজিৎ রায়ের গ্রন্থটি যে একেবারেই ভুল তা সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত। তবে তার গ্রন্থের মধ্যে যে সকল স্পেসিফিক বা নির্দিষ্ট ভুল এবং অযৌক্তিক বক্তব্য রয়েছে, তার বিস্তারিত বিবরণ পাওয়া যাবে আমার পরবর্তী আর্টিকেলে, এই আর্টিকেলেরই সম্পূরক হিসেবে।

আসুন সমকামিতাকে না বলে বিষমকামী জীবনাচরণে অনুপ্রাণিত ও উদ্বুদ্ধ হই, তবে সমকামীদের প্রতি সহিংস আচরণ করা বন্ধ করারও শপথ সাথে সাথে নেই । সমকামীদের প্রতি সহানুভূতিশীল দৃষ্টিভঙ্গি থাকা উচিত, তাদের প্রতি সহমর্মী হওয়া উচিত, তাদের প্রতি আক্রমণ নয়, নির্যাতন নয়, বিদ্বেষ নয়, মৃত্যুদণ্ড নয় বরং বন্ধুর মত আচরণ করে এবং সঠিক বিহ্যাভেরিয়াল থেরাপির মাধ্যমে তাদেরকে বিষমকামী জীবনধারায় অনুপ্রাণিত এবং উৎসাহিত করাই আমাদের সকলের লক্ষ্য হওয়া উচিত।

হোমোসেক্সুয়ালিটি এবং হোমোফোবিয়া উভয়টিই বর্জনীয় তবে সমকাম কোন রোগ নয়, কিন্তু এই আচরণে অসংযত জীবনযাত্রা কমন, সেজন্যই তাদের কিছু মানসিক সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে, উপরন্তু রয়েছে হোমোফোবিয়া, যেটিকে সমকামীভীতি সমকামবিদ্বেষ বলা যেতে পারে এবং হোমোফোবিয়ার বশবর্তী হয়ে তাদের ওপর অত্যাচার নির্যাতন এবং রূঢ় ব্যবহার বন্ধ হওয়া উচিত । সমকামিতা সমাজ ও পরিপার্শ্ব থেকে আত্মলব্ধ বা অর্জিত একটি বৈশিষ্ট্য যেই বৈশিষ্ট্য বিহ্যাভেরিয়াল থেরাপী মাধ্যমে অনেকটাই দূর করা সম্ভব এবং অনারোগ্য কেসগুলোর ক্ষেত্রে প্রোপার কন্ট্রাসেপশনের মাধ্যমে স্বাস্থ্যগত সমস্যাগুলো অনেকটাই কমিয়ে অ্যানা সম্ভব, এরকমই হওয়া উচিত আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি ।

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ আমার লেখায় এখানে নিরপেক্ষভাবে যেই বিষয়গুলো সত্য, সেই বিষয়গুলোকে সত্য বলে প্রকাশ করা হয়েছে। আমি সমকামীদের ঘৃণা করিনা, আমি সমকামীদের মানসিক রোগীও বলিনি। আবার গে বাওয়েল ডিজিজ নামের ভুল ও প্রোপাগান্ডামূলক একটি অসুখের গল্প করে সমকামবিদ্বেষী গোড়া মুসলিম ও খ্রিস্টানেরা, আমি সেটার পক্ষেও লিখিনি। যা সত্য তাই বলা হয়ছে, কোন পক্ষে বিপক্ষে যাওয়া হয়নি । আস্তিক নাস্তিক উভয় দলেরই সমকাম নিয়ে অজস্র ভুল ধারণা রয়েছে । তাই এখানে পক্ষ বিপক্ষের খেলা খেলে লাভ নেই। পক্ষে বিপক্ষে না যেয়ে বা সমকামীদের প্রতি হেট স্পীচ না দিয়ে বিষয়বস্তু ও বক্তব্য যথার্থভাবে বুঝে পড়ার জন্য সকলকে অনুরোধ জানানো যাচ্ছে ।

(সংগৃহীত তথ্যটি)

আমার মন্তব্য উপরের আলোচনায় প্রতিয়মান সমকামিতার সুফল সমাজের কোন জায়গায় নাই।তবে এটাও ঠিক যারা এখানে পা রেখেছে তারা একদিনে এখান থেকে বের হতে পারবেনা।একমাত্র নিজের ইচ্ছা শক্তি এবং ধর্মীয় চেতনা পারবে সুন্দর জীবনে ফিরিয়ে নিতে।

আমি আমার খুদ্র গ্যান থেকে এতটুকু বলতে পারছি আর কোন কিছু এ্যাড করতে চাইলে কমেন্টস করুন এবং কোন ভুল হলে খমা করবেন। লেখার সমালোচনা করুন সমালোচনা গ্যানকে প্রস্ফুটিত করে।আমার শিরোনামের প্রত্যেকটি প্রশ্নের জবাব পেতে নজর রাখুন এবং সঙ্গে থাকুনঃ

এসো সুন্দর জীবন গড়ি সমকামি বন্ধুকে আপন করে------------------

বিষয়: বিবিধ

৩৬৬৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File