ইসরায়েল ইমাম মাহুদীকে খুজছে !! শুধু ফিলিস্তিন দখল করায় কী ইসরায়েল ও তার সহযোগীদের উদ্দেশ্য ?
লিখেছেন লিখেছেন জীবরাইলের ডানা ০৭ মার্চ, ২০১৬, ০৫:৩৬:২৬ সকাল
Iron Dome System এর জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামার ২২৫ মিলিয়ন ডলার অর্থ সহায়তা—সুত্র: THE TIMES OF ISRAELফিলিস্তিন তথা গাজায় আক্রমন চালানোর জন্য আমেরিকার অস্ত্র ভান্ডার খুলে দেওয়া হযেছে। সুত্র- আলজাজিরা
Iron dome System
আয়রন ডোম সিস্টেম
আয়রন ডোম সিস্টেম হল খেপনাস্ত্র বিধ্বংসী একটি ব্যবস্থা যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে আকাশেই শত্রুর ছোড়া ক্ষেপনাস্ত্র ধ্বংস করে দিতে সক্ষম। আমার প্রশ্ন হল এটি কী শুধুই ফিলিস্তিনের নিরস্ত্র মানুষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য, না কি এর পেছনে আরও অনেক পরিকল্পনা আছে আগ্রাসী শক্তি ও আজকের বিশ্ব মোড়ল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের।
বিশ্ব বিখ্যাত ব্রিটিশ সাংবাদিক রবার্ট ফ্লিকস এর নিবন্ধ ‘Abu Ghraib torture trail leads to Israel’ দিয়েই শুরু করি, বিশ্ব মিডিয়ার কল্যানে আমরা সকলে এ মানবতাবাদি লেখক ও সাংবাদিক কে কম-বেশি চিনি। তিনি লিখেছেন-”ইরাক দখলদারীত্বের সময় বিভিন্ন কারাগারে বিশেষ করে আবু গারিব কারাগারে ইরাকী বন্দীদের নির্যাতন ও জিজ্ঞাসাবাদ ছিল মার্কিন সৈন্যদের রুটিন কাজ, একাজ চলাকালীন ইসরায়েলী ক্যাম্পে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মার্কিন সৈন্যরা একটা বিরক্তিকর প্রশ্ন বন্দীদের বারবার জিজ্ঞাসাবাদ করত-“Where is the man called Imam Mahdi where is he hiding?” অর্থাৎ কোথায় ইমাম মেহেদী নামের সেই ব্যক্তি, কোথায় সে লুকিয়ে আছে?
স্বেচ্ছা আত্নগোপনে থাকা কথিত ইমাম মাহুদীর ভয় তাদের এতটাই পেয়ে বসেছে যে, ইসরায়েল ও ইরানীয়ান ক্রিস্চিয়ান নিউজ এজেন্সি Mohabat News খবর প্রকাশ করেছে কীভাবে CIA এবং M16 বিগত ২০ বছর যাবত ইরাকে ইমাম মাহুদী সম্পর্কে তথ্য পাওয়ার জন্য চষে বেড়াচ্ছে। কীভাবে তারা ধর্মীয় আলেম ও নিস্পাপ গ্রাম বাসীদেরর ধরে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন ও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। এসব বন্দীদের নিকট প্রশ্ন গুলোর ধরন ছিল এমন--
১. ইমাম মাহুদী কোথায়?
২. সর্বশেষ তাকে কোথায় দেখা গেছে?
৩. কোন শহরে তাকে দেখা গেছে?
৪. কখন, কোন বছরে তিনি আবার আসছেন? ইত্যাদি।
আমেরিকান বানিজ্যিক মিডিয়া যার প্রায় ৯৬% ইহুদীদের দখলে সেগুলোতে ইতোমধ্যে দুরভিসন্ধিমুলক প্রতিবেদন প্রকাশ করে লিখছে, স্বেচ্ছা অন্তর্ধ্যানে থাকা ইমাম মাহুদী কীভাবে ইরানীয়ান রাজনীতিবিদদের কোন এক গোপন স্থান থেকে নির্দেশনা দিচ্ছে এবং তাওরাতে বর্ণিত Armageddon তথা ধর্মযুদ্ধের দিকে নিয়ে যাচ্ছে !! সারা পৃথিবীব্যাপি ধর্মনিরোপেক্ষতার কথা প্রচারকারী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র , সহযোগী ধর্মান্ধ ইসরায়েল ও তার মিত্ররা কতবার মুসলমানদের উপর এভাবে ক্রসেড চাপিয়ে দিয়েছে কত মুসলমানের রক্ত পান করেছে, ইতিহাস তার সাক্ষ্য বহন করে। তাই ’কে এই ইমাম মাহুদী?’ ইহুদী দ্বারা নিয়ন্ত্রিত আমেরিকান কংগ্রেস ও আন্তজার্তিক অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলো সবাই একযোগে কেনই বা তাঁকে খুঁজছে তাকে স্পটেই গুলি করে তাকে হত্যা করার জন্য।
কে্ এই ইমাম মাহুদী?
Image Imam Mahudi
ইসলাম ধর্মের অনুসারীদের মতে হাদীস অনুযায়ী ইমাম মাহুদী হলেন ইসলামের ১২ তম ইমাম যিনি সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছায় আত্মগোপনে আছেন, তিনি শেষ যামানায় পৃথিবীতে শান্তি ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য আবির্ভুত হবেন। বর্নিত আছে যে তিঁনি ৮৬৯ খ্রিস্টাব্দে ২৯ জুলাই ইরাকের সামারা নগরীতে জন্ম গ্রহন করেন। তার মাতা নার্গিস ছিলেন রোমান বংশদ্ভুত। জন্ম থেকেই আত্মগোপনে যাওয়ার পুর্ব পর্যন্ত তাকে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল । কারন আব্বসীয় শাসকগন ইমাম মাহুদী সম্পর্কে এই ভবিষ্যতবানী জানত যে, তিনিই সকল অত্যাচার ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে দ্রোহ হিসাবে পৃথিবীতে আবিভূত হবেন। আব্বসীয় শাসকগন এও জানতে পেরেছিলেন যে, প্রতিশ্রুত ইমাম মাহুদী হবেন ইসলামের ১১ তম ইমাম হযরত আলী আসকারীর সন্তান। শিশুটি জন্মের সময়ই হত্যা করার জন্য তারা তার বাড়ীর চারপাশে প্রহরা দিয়েছিল। এমনকি এই সন্তানের পরিচর্যায় কোন কোন মহিলা আছেন তাও তারা গোপনে খোঁজ নিতেন। বর্ণনা অনুযায়ী জন্মের সময় হতে পরবর্তী প্রথম চার বছর তাকে কঠোর গোপনীয়তার মধ্যে রাখা হয়েছিল। ইমাম আলী আসকারীর হত্যার সময় ইমাম মাহুদীর বয়স চার বছর তখনই তিনি সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছায় আত্মগোপনে চলে যান। কথিত আছে যে, তিনি এর কয়েক বছর পর আবার আবিভূত হন। তাকে ধরার জন্য তোড়জোড় শুর হলে তিনি পুনরায় আত্মগোপনে চলেযান। সেই থেকেই তিনি আপেক্ষমান সেই প্রতিশ্রুত সময়ের জন্য যখন তিনি পৃথিবীতে আবির্ভুত হবেন দুষ্টের দমন ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য।
এই কাহিনী সত্য না কাল্পনিক তা কালের শিকেয় তোলা রইল, সময় একদিন তার মুল্যায়ন করবে, কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হল এগল্পের ধারা আজও অব্যহত, অত্যাচারী শাসকগন যেমন তাকে হাজার বছর পুর্বে হত্যার চেষ্টায় লিপ্ত ছিল, তেমনি বর্তমান কালে এসেও সেই তাকেই (Anti-Crist) অত্যাচারি ,আগ্রাসী শাসকরা খুজছে হত্যা করার জন্য।
কোথায় তিনি আত্ম গোপনে আছেন?
Melanie Phillips জায়নিস্ট তথা ইহুদীদের এই মখপাত্র সম্প্রতি BBC Question time এ এই বলে আলোচনার অবতারনা ঘটান যে, শিয়া ইমাম মাহুদী ইরানে লুকিয়ে আছেন, এবং Armageddon বা ধর্মযুদ্ধ সংঘটন করতে আসছেন। সাংবাদিক Matt Carr-র অপপ্রচারমুলক Machine blog –এ তিনি আরও উপহাস করে লিখেছেন ” অন্যভাবে বললে ইরানী নেতৃত্ব পারমানবিক অস্ত্র খুজছেন, যাতে তারা ধ্বংস হতে পারে এবং ইরানী জনগন একত্রে স্বর্গে যেতে পারে।” এটা কোন আশ্চর্যে বিষয় নয় এমন কথা তিন এর আগেও বিভিন্ন সময় বিভিন্ন উপলক্ষে বলেছেন। তিনি আরও লিখেছেন, “যেহেতু আমি বারবার লিখেছি যে, ইরানের সবোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনী থেকে শুরু করে নিচু পর্যায় পর্যন্ত সকল নেতা সেই সকল জনগন দ্বারা প্রভাবতি যারা বিশ্বাস করেন যে, তাদের ত্র্রানকর্তা শিয়া ইমাম মাহুদী পৃথিবীতে আগমন করবেন এবং রহস্য উদ্ঘাটন পুর্বক পৃথিবীর ইতি টানবেন” এটা নিশ্চিত যে, জায়নিস্টরা ইরানের সাথে যু্দ্ধ চায়, যে জিনিস টা আমার মাথায় আসেনা তাহল এক হাজার বছর আগে নিরদ্দেশ হয়ে যাওয়া একজন মানুষকে কেন তারা খুজছেন?
ইমাম মাহুদী সম্পর্কে শিয়া ও সুন্নী মুসলমানদের ধারনা
ইমাম মাহুদী সম্পর্কে শিয়া এবং সূন্নী মুসলমানদের মাঝে ধারনা প্রায় একই রকমের বা কাছাকাছি। এবং পৃথিবীর প্রায় সকল ধর্মের মধ্যে বিশ্বাসের এই রুপটি প্রায় একই রকমের যে, পৃথিবীর অন্তিম লগ্নে কেউ একজন তাদের ত্রান কর্তা হয়ে পৃথিবীতে আবির্ভূত হবেন। খ্রিস্টান ধমাবলম্বীগন মনে করেন যে, তাদের যীশু পৃথিবীতে পুনরাগমন করবেন এবং খ্রিস্ট বিরোধীদের সাথে লড়ায়ে অবতীর্ন হবেন। যেখানে ইহুদীরা মুসলমানদের তৃতীয় পবিত্র স্থান মসজিদ-উল-আকসা ভেঙ্গে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের ঝুকি নিয়ে পৃথিবীকে হুমকীর মুকে ঠেলে দিচ্ছে। তারা সেখানে সোলাইমানী (হযরত সোলাইমান আ.) মন্দির নির্মান করবেন এই বিশ্বাসের বশবর্তী হয়ে যে, তাদের প্রতিশ্রত মসীহ্(কানা দাজ্জ্বাল) পুনরাগমন করবেন এবং সমস্ত পৃথিবীর শাসনভার তাদের(ইহুদীদের) হাতে তুলে দেবেন।
ইসরায়েল কেনই বা ইমাম মাহুদীকে খুঁজছে এতে আমেরিকা কেন তাকে সাহা্য্য করছে?
আমেরিকা তথা সংশয়বাদী ও ধর্মনিরপেক্ষতাবাদী পশ্চিমারা বিশ্বাস করেন যে, এগুলো শুধু্ই বাইবেলীয় গাল-গল্প, যাইহোক যদি গাল-গল্পের উপর ভিত্তির করে সব গড়ে ওঠে তাহলে একটা জিনিস বিরক্তি কর লাগে এই ভেবে যে, ইসরায়েল কেন ইমাম মাহুদীকে খুজছে? কেনই বা আপনাদের রাষ্ট্র নামক যন্ত্রটি গাধার মত বাহন হয়ে ইসরায়েল(কানা দাজ্জাল) নামের এই আগ্রাসী শক্তিটিকে পিঠে তুলে নাচছে? সারা বিশ্ব জানে গণতন্ত্রের ধ্বজাধারী মার্কিন সরকার ও রাষ্ট্রটি তার সমস্ত জনগনের একটি বিশেষ লবি অংশের প্রতিনিধিত্ব করে মা্ত্র। তাই সমস্ত মার্কিন জনগণের এতে কোন হাত নেই।তারা ও আমাদের মত ফিলিস্তিনি জনগনের উপর হত্যাযজ্ঞ দেখে চোখের জল ফেলেন। যাই হোক ইমাম মাহুদী প্রসঙ্গে ফিরে আসি, আজকে আমার লেখাটি যেহেতু ইমাম মাহুদীকে খোঁজ করা নিয়ে।তাই তাকে খোঁজ করা নিয়ে আর কি কি ইসরায়েল ও মার্কিন সরকার করেছে তা বিবেচনায় আসতেই পারে। আবার ও ফিরে যাই ইরাকে, ২০০৬ সালের ঘটনা ইরাকের সামারা নগরী যেখান ইমাম মাহুদীর বাবা ইমাম আলী আসকারীর কবর অবস্থিত, জায়গাটি ইমাম মাহুদীর জন্ম ও অন্তর্ধ্যানের রহস্যে আবর্তিত। সামারা নগরীর সেই পবিত্র কবরস্থানে সাধারন মানুষের বেশে মার্কিন নিরাপত্তা বাহিনীর কয়েক কর্ম কর্তা ও সৈন্য প্রবেশ করে। সেখানে বোমার বিস্ফোরন ঘটানো হয়। চারপাশে ঘন কালো ধোয়ায় ছেয়ে যায়। লোকগুলো মাজারের খাদেমকে বেধে ইমাম আলী আসকারীর মাজারে প্রবেশ করে এবং তার মাজারের উপরের অংশ খুলে ফেলে। মাজারের খাদেম পরে জানান ঐ লোক গুলো ইমামের কবর থেকে বেশ কিছু জিনিস নিয়ে যায়। অনেকের মতে ঐ লোকগুলো সম্ভবত: ইমাম আলী আসকারীর পোশাকের টকুরো অংশ নিয়ে থাকতে পারে যাতে করে তারা (ইসরায়েল ও আমেরিকা) ইমাম মাহুদীর DNA নমুনা পেতে পারে। এই ঘটনায় বিশ্ময়ের কিছুই নেই, কারন একথা সকলেরই জানা যে, পৃথিবীর সকল দেশের রাষ্ট্র প্রধান তথা বিখ্যাত ব্যক্তিদের DNA নমুনা CIA (মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা) ও M16 (ইসরায়েলী গুপ্তচর সংস্থা) এর হাতে সংরক্ষিত আছে বলে মনে করা হয়।
এবার আসুন Melanie Phillips এর সাথে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দেই। Melanie Phillips এবং তার সহযোগী আমেরিকান জায়নিস্টরা বার বার এই বলে ধুয়া তুলে বেড়াচ্ছেন যে, এটাই ইমাম মাহুদী আসার মোক্ষম সময়। এটা কি শুধু কাকতালীয় না এর পেছনে অন্য কিছু? Melanie Phillips হল সেই নেটওয়ার্কে র অংশ যারা সারা বিশ্বে ইসলামের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত। এদের কারনেই ইসরায়েল আরব বিশ্বে রক্তের হোলি খেললে মার্কি ন সরকার নিশ্চুপ থাকে, আর হামাস নিজেদের মুক্তির জন্য একটি রকেট ছুঁড়লে হামাস সন্ত্রাসী সংগঠন হয়ে যায়। দিতে হয় একটি রকেটের জন্য হাজার খানেক ফিলিস্তিনির প্রান। এদের জন্যই জাতিসংঘের আশ্রয় শিবিরে বোমা মেরে অসহায় শিশু ও নারী হত্যা করলে সেই বোমা ও অস্ত্র সরঞ্জামাদী মার্কিন অস্ত্রাগার হতে সরবরাহ করা হয়। এদের লবির কারনেই Iron Dome System এর জন্য মার্কি ন সরকার ২২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিল পাস করে। প্রকৃত পক্ষে এদের লবি গ্রুপ টা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এতটাই শক্তি শালী যে, কোন কোন সময় নিজেদের এজন্ডা বাস্তবায়ন করার জন্য সারা বিশ্বের মতামতকে ও তারা বৃদ্ধাঙ্গুলী প্রদর্শন করে। এরা ইসরায়েল তথা মার্কিন যু্ক্তরাষ্ট্রে প্রথম শ্রেনীর নাগরিকের সমস্ত সুয়োগ সুবিধা ভোগ করে। David Ben Gurion তাই এদের দরভিসন্ধিকে এভাবে তুলে ধরেছেন এভাবে, যখন ইসরায়েলী প্রধান মন্ত্রী বলেন, “যখন একজন ইহুদী অন্যান্য ইহুদীদের সঙ্গে কথা প্র্সঙ্গে ’আমাদের সরকার’ কথাটি বলে, হোক সে আমেরিকান অথবা আফ্রিকান ’আমাদের সরকার’ বলতে সে ইসরায়েল সরকার সম্পর্কেই বলে।” আসলে এরা একই নেটওয়ার্কে র অংশ যাদের দ্বার প্ররোরচিত হয়েই Anders Brevik নামের একজন নরওয়ের খুনী ৭৭ জন নিষ্পাপ ফিলিস্তিন সমর্থ ককে হত্যা করেছিল যারা শুধু ইসরায়েলকে বয়কটের কথা বলেছিল। এই সকল প্রথম শ্রেনীর ব্যাক্তি বর্গ ও এই দলের সদস্য যাদের সম্পর্কে হ্যাকারস সংগঠন একটি তথ্য প্রকাশ করে যেটিতে তারা বলে ইসরায়েলে ৩০০০০ গোপন কর্মী রয়েছে যারা কিছু অংশ জনসম্মুখে “hitman”নামে পরিচিত। Veterans Today পত্রিকার সিনিয়র Editor এবং মার্কি ন রাজনৈতিক বিশ্লেষক Gordon Duff তার লেখনীতে লিখছেন, “Horror in Israel: ‘30,000 Mossad Spies Exposed” শিরোনামে, যেখানে তিনি বলছেন এভাবে -- “প্রতিদিন আমরা খবরে দেখি পাকিস্তানে ডজন খানেক লোক নিহত, ডজনাধিক লোক নিহত ইরানে, কেনিয়ায়, নাইজেরিয়ায়। এসকল কাজের অধিকাংশই একান্ত অনুগত ঐসকল ৩০০০০ কমীর কাজ। তাদের কাজ হল সন্ত্রাসী পরিকল্পনা করা, ডজন ডজন গাড়ি বোমা বানানো এবং তা বাস্তবায়ন করা। কারো বিরুদ্ধে শুধু মিথ্যা দোষারোপ করা নয়, অনেক ক্ষেত্রে সরাসরি সরকারী কর্মকর্তাদের ব্ল্যাক মেইল করা, হুমকি ও ঘুষের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রন করা ইত্যাদি সব কাজ যা এদের নির্দেশ দেওয়া হয় এরা তাই করে।
এক হাজার বছর পুর্বে অন্তধ্যানে চলে যাওয়া একজন মানুষের তথাকথিত র্ধম ও ন্যায়ের যুদ্ধ সম্পর্কে উদ্বিগ্ন না হয়ে Phillips এবং পুরো বিশ্বের বর্ং ইসরায়েলের সৈন্য Historian Martin van Creveld এর একথাটি কে আমলে নেওয়া উচিৎ যখন তিনি বলেন, “ আমরা শত শত পারমানবিক ওয়্যারহেড ও রকেটের অধিকারী, আমরা সকল দিক থেকে সেগুলোকে নির্দি,ষ্ট লক্ষে ছুঁড়তে পারি, সমস্ত পৃথিবীকে পদানত করার সক্ষমতা আমাদের রয়েছে। এবং আমি আপনাদের এই নিশ্চয়তা দিতে পারি ইসরায়েল ধ্বংসের পুর্ব মহুর্তে তা করে দেখাবে।” এত বড় ঔদ্ধত্যপুর্ন্ উক্তি পৃথিবীর ইতিহাসে ক্যু-খ্যাত ও ঘৃনিত এডলফ হিটলার ও বলেননি। দুর্ভাগ্যের বিষয় হল ‘ইতিহাসের চরম শিক্ষা হল ইতিহাস থেকে কেউ শিক্ষা গ্রহন করে না।’ পৃথিবীর বেশির ভাগ ইহুদী নিধনের দায়ে যে হিটলার আজ বিশ্ব জুড়ে ধিকৃত, সেই ইহুদীরাই আজ মুসলিম নিধনে মত্ত। এখন মনে হয় হয়তবা হিটলার ই ঠিক ছিল যখন তিনি বলেছিলেন, ’আমি ইচ্ছে করলে পৃথিবী থেকে সমস্ত ইহুদী শেষ করে দিতে পারতাম, কিন্ত তা করলাম না কিছু সংখ্যক ইহুদী রেখে গেলাম যাতে আগামী বিশ্ব তা মর্মে’ মর্মে উপলব্ধি করতে পারে।’ সত্যি আজ বিশ্ব বুঝতে পারছে যে, তারা কী!!! কিন্তু আমরা তো আর হিটলার নই। বিজ্ঞানী আইন-ইস্টাইন থেকে শুরু নিউটন প্রমুখ বিজ্ঞানী যাদের দুনিয়াতে আগমন না ঘটলে আজ জ্ঞান-বিজ্ঞানের এত উৎকর্ষ সাধিত হত না, সমস্ত পৃথিবী অন্ধকার প্রস্তর যুগেই থেকে যত, তাঁরা সবাই তো জাতিতে ইহুদী ছিল। জ্ঞান-বিজ্ঞানে উন্নত এজাতি আজ এ কি ভয়ানক খেলায় মেতে উঠেছে। এ যেন প্রদ্বীপের তলায় অন্ধকার।
সারা পৃথিবী জুড়ে কেন চলছে এত মাত্রায় মুসলমান নিধন?
যাইহোক শত শত বছর ধরে ইমাম মাহুদীকে খোজার নামে ও ছলনা করে জায়নিস্টরা খ্রিস্টানদের এটা বোঝাতে সক্ষম হয়েছে যে, ইসলাম হল সেই খ্রিস্ট বিরোধী অপশক্তি যাার কথা পবিত্র বাইবেলে ও তাওরাতে বলা আছে। তাই এদের বিরুদ্ধে ইহুদী ও খ্রিস্টান যৌথভাবে লড়তে হবে। তাইতে আজ নিরীহ নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের হত্যার জন্য মার্কি ন অস্ত্র ভান্ডার খুলে দেওয়া হয়। ধর্ম নিরপেক্ষতার আড়ালে এ কোন ধর্মান্ধতা?
অধিকাংশ খ্রিস্টান চার্চ ধর্ম প্রচারকদের ইহুদীদের সাথে একটি শক্তিশালী গোপন সম্পর্ক রয়েছে। তাই এটা ঐসব চার্চ বা পার্দ্রি র নিকট একটা মস্ত বড় আঘাত যখন ক্যাথলিক ক্রিশ্চিয়ান Hugo Chavez তৎকালীন ইরানী প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমেদিনিজাদ এর সাথে স্মরনীয় সাক্ষাতের সময় একথা বলেন, “আমাদের প্রকৃত খিস্টানদের নিকট জেরুজালেম একটি পবিত্র স্থান, প্রিয় নবী যীশু আসবেন হযরত ইমাম মাহুদীর সাথে হাতে হাত মিলিয়ে আর তথন সমস্ত পৃথিবী ব্যাপি শান্তি বিরাজ করবে।”
আসলে অবিসংবাদিত নেতা হগো শ্যাভেজ এই ইংগিত দিয়েছিলেন যে, মুসলমান ও খ্রিস্টান এক হয়ে সমস্ত দুষ্ট শক্তির বিরুদ্ধে লড়বেন। সেখানেই ইহুদীবাদীদের মাথা, তাই তারা ইসলামের অপপ্রচার কারীদের পেছনে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ব্যয় করে, মুসলমানদের খাট করার জন্য তাদের মদদপুষ্ট মিডিয়াগুলোকে ব্যবহার করে। NBC নিউজের পক্ষ থেকেAnn Curry-র নেওয়া ইরানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আহমেদিনিজাদ এর সাক্ষাতকারটি ২০০৯ সালে আর প্রচার করা হয়নি কারন আত্মগোপন কারী ইমাম মাহুদী সম্পর্কে তিনি যে প্রশ্ন করেছিলেন, তা ছিল উদ্দেশ্য প্রনোদিত আর প্রেসিডেন্ট আহমেদিনিজাদ তার সেই প্রশ্নের উত্তর কিছুটা কৌশলে সাথে দিয়েছিলেন যা তাদের উদ্দেশ্যকে ব্যহত করে। আসলে Ann Curry তার সাক্ষাতকারে এবিষয়টি অবতারনা করেন যে, ইমাম মাহুদী কখন এসে ধ্বংস যজ্ঞ সংঘটন করাবেন ? তার আলোচনা সুত্র ধরে বিচক্ষন এই নেতা তার কথা সংশোধন করে বলেন, ”আসলে যে ধ্বংস যজ্ঞ বা যু্দ্ধের কথা বলা হচ্ছে তা যায়ন বাদী তথা ইহুদীবাদীদের দাবী। ইমাম মাহুদী আসবেন ন্যায়, সংস্কৃতি ও বিজ্ঞান নিয়ে। আর তিনি আসবেন যাতে করে আর পৃথিবীতে যুদ্ধ বলে কোন শব্দ থাকে। কোন শত্রুতা, ঘৃনা, কোন সংঘাত নয়.........তিনি আসবেন যীশু-খ্রীস্টের সাথী হয়ে। তারা একত্রে আসবেন এক হযে কাজ করবেন এবং পৃথিবীকে ভালবাসায় ভরিয়ে দেবেন।’
সম্প্রতি IAEA প্রকাশ করেছে যে, ইরান পারমানবিক বোমা বানাচ্ছে না তথাপি ইসরায়েল ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধের হুমকি দিয়েই চলেছে। এর কারন সম্ভবত: ইসলামের ১২তম ইমাম ইমাম মাহুদী র বেশিরভাগ সমর্থক ইরানে আছে। কারন খোরাসান যেখান হতে তার আবির্ভাব হবে বলে সবাই বিশ্বাস করে, সেই খোরাশান হলো ইরানের উত্তর পুর্বাঞ্চলের একটি প্রদেশ। অবশ্য এর কিছু অংশ সেন্ট্রাল এশিয়ার ও আফগানিস্তান এর মাঝে পড়েছে।
যখনই মার্কি ন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল কোন যু্দ্ধে জড়িয়েছে তখন এমুসলমান জাতির উপর হোয়াইট ফসফরাস বোমা ব্যবহার করেছে যা থেকে এটাই প্রমানিত হয় যে, শুধু মাত্র গনতন্ত্র রপ্তানী করতে তারা এখানে আসেনি। বরং তারা এটা নিশ্চিত করতে এসেছে যাতে ভবিষ্যত মুসলমান প্রজন্ম পঙ্গু ও রুগ্ন হয়ে বেড়ে ওঠে, মাথা তুলে দাড়াবার সাহস না করে। মার্কিন যু্ক্তরাষ্টের ইরাক আগাসন দেখতে দেখতে অনেক দিন হয়ে গেল, এখনও সেই আগ্রাসন চলছেই, এখানকার ডাক্তারগন অধিকহারে এখন ক্যান্সার ও পঙ্গু শিশুর জন্ম প্রত্যক্ষ করছেন যা মার্কিন সেনা বাহিনীর প্রচুর পরিমানে depleted uranium এবং white phosphorus বোমা বর্ষনের ফল। ফাল্লুজা নগরীতে রুগ্ন ও পঙ্গু শিশুর জন্ম হার এত বেশি যে তা হিরোশিমা নাগাসাকি শহরকে ও হার মানিয়েছ। The Danish Daily কতৃক ফাঁস হওয়া আফগান সেনাবাহিনীর গোপন প্রতিবেদনে দেখা যায় সেখানে কিভাবে জনবসতি পুর্ন এলাকায় মার্কিন সেনারা white phosphorus বোমা, রকেট,ক্লাস্টার বোমা বর্ষন করেছে।
মুসলমানদের হাদীসে আছে আসন্ন ইমাম মাহুদী নেতৃত্বাধীন সেনারা কাল পতাকা বহন করবেন এবং আরব বিশ্বের খুব কম দেশই তাদের সমর্থন করবে বরং তারা অত্যাচারীদের সাথে সামিল হবে। এই কাল পতাকা বাহী সেনা কারা তা একটু আন্দাজ করলেই বোঝা যায়। যাদের আছে অমিত ঈমানী শক্তি, সেই হিজবুল্লা যোদ্ধারা যারা স্বল্প অস্ত্র-সস্ত্র নিয়েও মাঝে ইসরায়েলের মত আধুনিক অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত একটি অপশক্তির ভিত নাড়িয়ে দেয়। এদের আধুনিক অস্ত্র না থাকতে পারে কিন্তু এদের মাঝে আছে ইমাম আলী ইবনে আবু তালিবের অমিয় তেজ আর ঈমানী শক্তি যিনি তৎকালনি সময়ে ইহুদীদের দুর্ভেদ্য খাইবার দুর্গের ফটক ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়েছিলেন, এদের মাঝে আছে তারই পুত্র ইমাম হোসেন এর ঈমানী শক্তি যিনি মাত্র ৭২ জন সৈন্য নিয়ে অত্যাচারী ইয়াজিদের ১০০০০ সৈন্যর বিরুদ্ধে লড়েছিলেন।
এটা ভাবতে কিছুটা অবাক লাগে যে, হাজার বছরের পুরোনো হাদীস আজকের বাস্তবতাকে ব্যাখ্যা করছে! যাতে উল্লেখ আছে, আরব বিশ্ব আসন্ন ইমামের বিরুদ্ধে অত্যাচারীদের পক্ষ হয়ে লড়বেন। কিন্তু কারা এই আরব? আমরা ইতোমধ্যে দেখেছি যে, ইসলামের প্রানকেন্দ্র সৌদি-আরব, উপসাগরীয় শাসক বর্গ কিভাবে জোট বেধেছে ইসরায়েল ও আমেরিকার সাথে। সিরিয়া ও ইসরায়েল যুধ্দের মধ্য দিয়ে বর্তমানে তা আরও সুস্পষ্ট হয়ে উঠেছে। ফিলিস্তিনে যখন হত্যাযজ্ঞ চলছে, তখন সৌদি আরব সহ মিত্র দেশগুলো মুখে কুলুপ এঁটে বসে আছে। একটি মৌখিক প্রতিবাদ ও করেনি।
যাই হোক নতুন মেরুকরণের বিশ্ব আজ ইসরায়েল বান্ধব, এবং ইসলামকে পাশবিক শক্তি হিসেবে চিত্রিত করতে সক্ষম হয়েছে, যে শক্তি মহিলাদের ধর্ষন, মানুষ হ্ত্যা, আর সেই বিকৃত দেহ ইউটিউবে ট্রফি হিসাবে প্রদর্শন করাটাকে জায়েজ বলে মনে করে। কিন্ত আমরা কখনো কি ভেবে দেখেছি, এগুলো করে আমরা কার অনুকুলে কাজ করছি? বৃটিশ এজেন্ট আব্দল ওয়াহাব এর প্রস্তুতকৃত ইসলামের এ বিকৃত ও অসহনীয় রুপ আজ সৌদিদের ঘাড়ে ভর করেছে যারা ইহুদীদের বন্ধু ও শিয়া মুসলিমদের শত্রু বলে মনে করে। আব্দুল্লাহ তামিমি তেমনি একজন নেতা, যিনি Free Syrian Army-র একজন অ্ন্যতম নেতা যিনি সুন্নি শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য ইসরায়েলের সাহায্য চেয়েছিলেন শিয়া, ক্রিশ্চিয়ান ও দ্রুজদের উপর অত্যাচার চালানোর জন্য। তাইতো তিনি জোর দিয়ে বলেন, “ ইসরায়েল আমাদের শত্রু নয়, আমরা চাই ইসরায়েল আমাদের সাহায্য করুক”
সৌদি আরব ও ইসরায়েল যৌথভাবে পাকিস্তান, আফগানিস্তান ,ইরাক ও সিরিয়ার মত দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গাকে উস্কে দিচ্ছে যেখানে আসংকাজনক হারে শিয়া মুসলিম নিধন হচ্ছে। এক মুসলমান আর এক মুসলমানের রক্ত নিয়ে হোলি খেলছে। আর ইসরায়েল মাঝখান থেকে ফায়দা লুটছে। Wikileaks US Lahore cables তুলে ধরেছে কিভাবে সৌদি সরকার এসব দেশে লক্ষ লক্ষ ডলার খরচ করছে সুন্নী ইসলাম প্রচারের নামে। যেখানে আরও দেখা যায়- সৌদি সরকার ইরানকে আক্রমন করার জন্য মার্কিন ও ইসরায়েল সরকারকে আহবান জানাচ্ছে। পাকিস্তান যেখানে শিয়া -সুন্নি এক্য পরিষদ গঠন করেও শিয়া নিধন ঠেকানো যাচ্ছে সেখানে সৌদি মদদ পুষ্ট পাকিস্তান সরকার সৌদি মদদে হাজার হাজার মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠাকরছে। এখান থেকে কর্মি রপ্তানী করা হচ্ছে সিরিয়া ও ইরাকেরমত দেশে শিয়া নিধনের জন্য। বেড়েই চলেছে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা।
শেষের কথা
প্রকৃত সত্য হল এসকল কৌশল বাস্তবায়ন হচ্ছে আমেরিকার সহায়তায় ইসরায়েলের দ্বারা। কারন সবাই মিলে ইমাম মাহুদীর অনুসন্ধান করা। তারা মনে করেন বাইবেলের কথা সত্যি হলেও হতে পারে যেখানে আমরা মুসলমানরা কঠোরভাবে মানি ও বিশ্বাস করি এই সুপার হিরোকে। এটা ভাবা হয়তো অযৌক্তিক হবেনা, হঠাৎ করে কোন এক সময় দেখব খোরাসান হতে আবির্ভূত কাল পতাকা ধারী এক সেনাবাহিনীকে যার নেতৃত্বে থাকবেন সেই প্রতিশ্রত ইমাম, যুদ্ধ করবেন অন্যায়, অত্যাচার আার শোষণের বিরুদ্ধে। আমাদের মুসলমান তথা সারা পৃথিবীর মানুষ কে নিয়ে ইহুদী ও তার দোসর দের একটি মাস্টার প্ল্যান আছে। কিন্ত তাকে রোখার জন্য আমাদের কি কোন পরিকল্পনা আছে? আমাদের দেশে রাষ্ট্র প্রধানদের আছে কি? তারা তো তোষন নীতি নিয়ে ব্যস্ত। তাই আমরা পৃথিবীর সাধারন জনতা তাই তাকিয়ে রইলাম সেই সুপার হিরোর দিকে। অনাচার মুক্ত হোক এপৃথিবী, ধুয়ে-মুছে সব সাফ হয়ে যাক, সুচি-শুভ্র সাদা মখমলের মত। চেয়ে রইলাম সেই অনাগত ভবিষ্যতের পানে। বিবেকের দায় থেকে আমার লেখাটি আপনাদের সামান্যতম আলোড়িত করলেই আমার স্বার্থ কতা। টেলিভিশনে যতবার ছোট মাসুম শিশুর আর্ত চিৎকার আর আহাজারী শুনেছি ততবার কেদেছি আর ভেবেছি ফিলিস্তিনের ঐ মাসুম বাচ্চা শিশুদের মধ্যে তো আমার শিশুটি ও থাকতে পারত। ভাবলাাম লক্ষ বাংলাভাষীর মিলন মেলা ইনফোটেক লাইফ.কম এ আমার দু:খ ও বেদনা অনুভুতিটুক শেয়ার করি। ভাল লাগলে টিউমেন্টস্ করবেন। আপনাদের ভাল-লাগলে আবার লিখব। ভাল থাকবেন সবাই।
বিষয়: আন্তর্জাতিক
১৮৩১ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আমরা এক আল্লাহে বিশ্বাসী মুসলিম। সকল নবীদের সমান ভাবে মানি। তাঁদের মাঝে কোনো পার্থক্য করি না। নবীদের নিচে আমরা অনুসরণ করি না। আমাদের ঈমান, “তওহীদের উর্ধ্বে কোনো ঈমান নেই” “রিসালাতের নীচে কোনো দ্বীন ও শরীয়া নেই।
হযরত ইব্রাহীম আঃ যেরূপ ইয়াহুদী ছিলেন না, শেষ নবী মুহাম্মাদ সঃ সেরূপ সুন্নী বা শিয়া ছিলেন না।
আমরা হযরত নূহ, ইব্রাহীম, মূসা ও মুহাম্মাদ সঃদের মতো শুধু মুসলিম। আমরা যেরূপ ইয়াহুদী বা খৃষ্টান নই, সেরূপ আমরা সুন্নী বা শিয়া নই।
বিশ্বের সকল মানুষকে আমরা নবীদের অনুসরনে মুসলিম হওয়ার ডাক দিচ্ছি। এ আহবানই হলো এক বিশ্ব, এক মানব জাতি ও এক বিশ্ব মানব পরিবার গড়ার, যাতে ভূমন্ডল হবে আদম সন্তানদের এক গুচ্ছ-পল্লী।
এ বিশ্ব ঐক্যের চূড়ান্ত নেতৃত্ব যে ইমাম দিবেন, তিনি আদম সন্তান ও নবীদের অনুসারী হবেন। বর্ণ ও গোত্রবাদহীন তাক্বওয়া তার বৈশিষ্ট হবে। আরব অনারব সকল সংকীর্ণতার উর্ধ্বে তাঁর অবস্থান হবে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন