আমরা কি আসলেই নিরাপত্তাহীন? ঝিনাইদাহ শিবির সভাপতিকে হাফেজ মোঃ জসিম উদ্দিনকে হত্যা কি প্রমান করে।
লিখেছেন লিখেছেন জীবরাইলের ডানা ০৪ মার্চ, ২০১৬, ০৭:৫৪:২১ সন্ধ্যা
বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ডের মাধ্যমে নরঘাতকের ভূমিকায় অবতির্ণ হয়েছে পুলিশ-ছাত্রশিবির
.
ঝিনাইদহে গ্রেপ্তারের পর ২১ দিন গুম রেখে শিবির নেতা হাফেজ মো. জসিম উদ্দিনকে গভীর রাতে গুলি চালিয়ে হত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।
.
এক যৌথ প্রতিবাদ বার্তায় ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি আতিকুর রহমান ও সেক্রেটারী জেনারেল ইয়াছিন আরাফাত বলেন, গতকাল এক বিবৃতির মাধ্যমে শিবির নেতা হাফেজ জসিম উদ্দিনকে নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। আজ আমাদের আশঙ্কাই সত্য হলো। গত ১২/০২/১৬ তারিখ রাজবাড়ির গোয়ালন্দতে বাস থেকে নামিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। কিন্তু অভিভাবকরা তার অবস্থান জানতে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তার সাথে দেখা করলে তারা তার গ্রেপ্তারের কথা অস্বীকার করে। গ্রেপ্তারের পর বহু দিন অতিবাহিত হলেও সম্পূর্ণ বেআইনি ভাবে তাকে আদালতে হাজির করা হয়নি। প্রকাশ্যে দিবালোকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশের সরাসরি অস্বীকার ও আদালতে হাজির না করা নিয়ে নানা আশঙ্কার জন্ম দেয়। সংগঠন ও পরিবারের পক্ষ থেকে উদ্ধেগ এবং তার সন্ধানের দাবী জানিয়ে বিবৃতি প্রদান করা হয়। যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু পুলিশ পরিকল্পিত ভাবে গভীর রাতে গুলি চালিয়ে তাকে হত্যা করে। কোন কারণ ছাড়াই একজন কুরআনে হাফেজকে গ্রেপ্তারের পর গোপন রেখে ২১ দিন পর গুলি করে হত্যা করা কোন দায়িত্বশীল পুলিশের কাজ হতে পারেনা। এটা পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। এই হত্যাকান্ড কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয় বরং অবৈধ সরকারের মেধাবী ছাত্রদের হত্যা মিশনেরই অংশ। পুলিশ অবৈধ সরকারের বেআইনি নির্দেশ পালন করতে একের পর এক নৃশংসতার নিকৃষ্ট নজির স্থাপন করে চলেছে।
.
নেতৃবৃন্দ বলেন, একই ভাবে গত ২৯ ফেব্রুয়ারী ঝিনাইদাহ কুঠিদুর্গাপুর দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক আবু হুরায়রাকে হত্যা করা হয়। সরকারের নির্দেশে একের পর এক হত্যাকান্ড চালাচ্ছে পুলিশ। দায়িত্ব পালনের বদলে তারা এখন রাজনৈতিক হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে। হত্যা নির্যাতন ছাড়াও ছাত্রশিবির নিয়ে ঘৃণ্য তৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে পুলিশ। দেশে কোন একটি ঘটনা ঘটলেই শিবিরকে জড়িয়ে হয়রানি করা পুলিশের যেন অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। ইতিপুর্বে চট্টগ্রামে কথিত কুরআন ছেড়ার ঘটনা, ঢাকার গাবতলীতে পুলিশের এএসআই ইব্রাহীম মোল্লা হত্যার ঘটনা, পাবনায় ফাদর লুক সরকারের হত্যা চেষ্টার ঘটনা ও পঞ্চগড়ে পুরোহিত হত্যার ঘটনার সাথে পরিকল্পিত ভাবে শিবিরকে জড়ানোর চেষ্টা করা হয়। কিন্তু পরবর্তিতে সকল অভিযোগই মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয়। অবিলম্বে এই বর্বর হত্যাযজ্ঞ ও হয়রানী বন্ধ করতে হবে। সেই সাথে, সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে শিবির নেতা হত্যাকারী পুলিশ সদস্যদের গ্রেফতার ও বিচারের আওতায় আনতে হবে। আমরা দৃঢভাবে বলতে চাই, ক্ষমতার চাদরে খুনিরা বেশি দিন নিজেদের আড়াল করতে পারবে না। সময়ের ব্যবধানে অবশ্যই তাদেরকে বিচারের কাঁঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।
.
নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে শিবির নেতা হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার এবং অগণতান্ত্রিক ও বেআইনি সকল আচরণ পরিহার করতে সরকার ও পুলিশ প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান।
বিষয়: রাজনীতি
১৩৬৬ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
প্রশাসনের এই কুত্তাগুলোকি দায়িত্ব পালনের কথা বলে কাল কেয়ামতেকি রেহাই পাবে বলে মনে করে? এদের মাঝে সামান্য মনুষত্ববোধও কি নেই৷ আল্লাহ তুমি এদের থেকে মানুষকে মুক্তি দাও৷
وَلاَ تَقُولُواْ لِمَنْ يُقْتَلُ فِي سَبيلِ اللّهِ أَمْوَاتٌ بَلْ أَحْيَاء وَلَكِن لاَّ تَشْعُرُونَ ্154
আর যারা আল্লাহর রাস্তায় নিহত হয়, তাদের মৃত বলো না। বরং তারা জীবিত, কিন্তু তোমরা তা বুঝ না।
And say not of those who are slain in the way of Allah. "They are dead." Nay, they are living, though ye perceive (it) not
মন্তব্য করতে লগইন করুন