বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন কি আসলেই নিরাপদ না,আপনিও হতে পারেন এর শিকারি।
লিখেছেন লিখেছেন জীবরাইলের ডানা ০৩ মার্চ, ২০১৬, ০২:৪৩:৩৩ রাত
বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধনের এই আত্নঘাতি সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানাই
না আমি এই দাবি জানাচ্ছি না এই নিউজ সোসাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলতে দেখতে দেখতে বিরক্ত হয়ে পোস্লিটটা লিখছি। আমাদের আসলে সময়ের অভাব নেই তাই যেমন আমার সময়ের কোন অভাব নেই আমিও লিখছি, তাদেরও সময়ের অভাব নেই তারাও লিখছে কিন্তু সমস্যা হচ্ছে তাদের কথাগুলো মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। আমাদের একটা বড় সমস্যা হলো আমারা ইন্টারনেটে কোন কিছু পরলে খুব সহজেই সেটা বিশ্বাস করে ফেলি। আমরা কোন কিছুর গভীরে যাওয়ার চেষ্টা করিনা। মনে হয় আমার বা ঐসকল টিউনের লেখকের মত সময় সবার নেই। থাকলে হয়ত তারাও গভিরে যেত অথবা নিজেরায় ভন্ডামি শুরু করত। তো তাদের একটা টিউন আমি সরাসরি তুলে দিলাম:
"হাজার কোটি টাকা ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে যারা ব্যবসা করে যায় তাদের কাছে আপামর জনসাধারনের ফিঙ্গারপ্রিন্ট তুলে দেওয়ার যৌক্তিকতা নিয়ে ভাবলাম। বিশ্বাসের জায়গাতে জুয়া চলবেনা। এয়ারটেলের ডাটাবেস হইতে সব আঙ্গুলের ছাপ ভারতীয় ইন্টেলিজেন্সের কাছে যাবেনা তার গ্যারান্টি কি? কিংবা জিপির হাত ধরে ইউরোপ, আমেরিকা? ভাবুন, প্যারিস হামলার পর অবিস্ফোরিত বোমায় কোন বাঙ্গালীর ফিঙ্গারপ্রিন্ট পাওয়া গেল।
ভাবুন, ফিঙ্গারপ্রিন্ট এর বদৌলতে কোন আন্তর্জাতিক জংগী সংগঠনের সাথে বাংলাদেশের একটা মেলবন্ধন কোন বিদেশী পত্রিকার হেডলাইন হল…
ফ্যান্টাসি মনে হচ্ছে? বাদ দেন। খালি ভাবুন, মিথ্যা আসামীকে বাঁচানোর জন্য সত্য প্রমাণ খুঁজতে গিয়ে উকিলগণের চুল ছিঁড়ার মুহূর্তে বাদী পক্ষের উকিল একটা ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিয়ে আসলেন (ক্রয় মারফত); ভাবুন, যে তল্লাটে মিথ্যা মামলা দায়ের করে হোক অথবা সত্য মামলাতেই হোক যেখানে মিথ্যা আসামী ধরে জেলে ভরার একটা তুমুল কম্পিটিশন সেখানে কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আঙ্গুলের ছাপের ডাটাবেস নিয়ে বসে আছে… ভাবতে বিরক্ত লাগছে?-বাদ দেন।
চলুন ফ্যাক্ট দেখি কয়েকটা… মিডিয়া মারফত আমরা ইতিমধ্যেই জানি বায়োমেট্রিক সিম নিবন্ধনের ইতিহাসে বাংলাদেশ পৃথিবীতে দ্বিতীয় দেশ হিসাবে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে যাচ্ছে! রাষ্ট্রীয়ভাবে এধরনের একটা ভুল সিদ্ধান্ত কোন দেশ প্রথম নিয়েছিল তা জানতে ইচ্ছা হয়? আমারও ইচ্ছা হল, ঘেঁটে চমকপ্রদ তথ্য পেলাম। এই দুর্ঘটনা প্রথম ঘটায় কোন দেশ- অনুমান করেন তো দেখি কোন মাথামোটারা এই কার্য সাধন করেছিল? সমঝদার মানুষের জন্য ইঙ্গিতই যথেষ্ঠ, তবুও বললাম, ২০১৩ তে পাকিস্তান এই ঘটনা ঘটিয়ে বিশ্বের ইতিহাসে প্রথম ডিজিটাল বোকা হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে। বোঝার ব্যাপার একটাই, ব্যক্তি হিসাবে না ভেবে রাষ্ট্রীয়ভাবে ভাবার চেষ্টা করুন। সরকারি ডাটাবেসের জন্য ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেওয়া আর কোন বেনিয়া মাল্টিন্যাশনাল কর্পোরেটের কাছে ফিঙ্গারপ্রিন্ট জমা দেওয়ার মধ্যে ফারাকটুকু বুঝতে পারলেই খেল খতম। সরকারের কাছে একটাই আরজি, অপরাধ দমনে ফিঙ্গারপ্রিন্ট অবশ্যই জরুরী বিষয়।
প্রয়োজনে ন্যাশনাল আইডি রিনিউইয়াল হিসাবে সরকারি উদ্যোগে ফিঙ্গারপ্রিন্ট জমা নেওয়া হোক। অপরাধ নিধন চাইলে অপরাধীর ভেরিফিকেশনের দায়িত্বটা রাষ্ট্রের হাতেই বর্তাক। ন্যাশনাল আইডি দিয়ে সিম রেজিস্ট্রেশন হলে তো প্রাথমিক শনাক্তকরণ হয়েই যায়। মোবাইল মাধ্যমে কোন ক্রাইম হলে তার সাথে ফিঙ্গারপ্রিন্টের কি সম্পর্ক? ভয়েস কলে কি অপরাধী ফিঙ্গারপ্রিন্ট রাইখা আসবে?
কথা সহজ, কোটি টাকা ট্যাক্স ফাঁকি দিয়া চলতে থাকা কিছু বেনিয়া মাল্টিন্যাশনাল ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানকে এই ভয়ানক ডাটাবেস করতে দিয়ে রাষ্ট্রের এবং তার নাগরিকদের মাথার উপর ছড়ি ঘুরাতে দেওয়া যাবেনা। ফিঙ্গারপ্রিন্ট একজন মানুষের চূড়ান্ত লেভেলের প্রাইভেট, এ জিনিস লিফলেট বানাইয়া বেচার জন্য কারো হাতে তুলে দিতে আমরা রাজি না। সমেস্যা নাই, সোজা আঙ্গুলে ঘি না উঠলে বাঙ্গালী চিরকালই আঙ্গুল বাঁকাইয়া অভ্যস্ত।
বিঃদ্রঃ এই কথাগুলো সবাইকে জানান, আর বলুন যাতে কেউ এই বায়োমেট্রিক নিবন্ধন না করে। ব্যবসায়ি বলে কথা, দিনশেষে একটা ভারী সংখ্যক মানুষ রেজিস্ট্রেশন না করলে এতগুলা সিম বন্ধ করে দেওয়া এত সহজ হবেনা।
দেশের স্বার্থে সবাই নিজ দায়িত্বে ফ্রেন্ডলিস্টের সবাইকে ইনভাইট করুন।
"
হা টিউনটা হয়ত আগেও পরেছেন কেও বা অন্যের সাথে ভাগ করেছেন। টিউনটা প্রথম পরছিলাম কিছু অনলাইন নিউজ পোর্টালে। আর এদেশের অনলাইন নিউজ পোর্টাল গুলা সম্পর্কে ব্যাখ্যা দেওয়ার প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না। তারপর দেখলাম কিছু অমক রেডিও ডট কম তমক রেডিও ডট নেটের মত পেজে।তারপর এর সাথে সম্পর্ক রাখে না এমন টিউন গুলার টিউমেন্টে তারপর আ কি বলব যেদিকে দুচোখ যায় সেদিকেই আজ আবার দেখলাম ফেসবুক ইভেন্টও খুলে ফেলেছে তারা সেখানে তাদের সমর্থকেরও অভাব নেই।
তো তাদের কিছু কথার উত্তর দিতে চাই তাদের মতে ট্যাক্স ফাকি দেওয়া প্রতিষ্ঠানে আঙুলের ছাপ দেওয়া নিরাপদ না। তাহলে আপনারা ঐ ট্যাক্স ফাকি দেওয়া কোম্পানিগুলার সিম ব্যবহার কেন করেন ? তারা চাইলেই আপনার ব্যক্তিগত তথ্য চুরু করতে পারে আঙুলের ছাপতো মামুলি ব্যাপার। আর এয়ারটেল এর ডাটাবেজ থেকে ভারতীয় ইন্টেলিজেন্সের কাছে আপনার আঙুলের ছাপ চলে গেলেও তাদের লাভটা কি হবে ? হয়ত এটা বড় ধরনের বিপদ হতে পারে। আর এর হাত থেকে বাঁচাতেও যে এই পদ্ধতি সহায়তা প্রদান করবে সেটাকি জানেন ? কিভাবে! তাহলে একটু পুরাতন কথা ভেবে দেখুন আপনি আগে যখন সিম কিনতে যেতেন তখনকি আপনার আঙুলের ছাপ কাগজে নেওয়া হতো না ? উত্তরটা অনেকেই জানেনা কারন আমাদের দেশে অধিকাংশ সিমই অবৈধ। তবে আপনি বৈধ উপায়ে সিম কিনে থাকলে অতীতেও আপনি আঙুলের ছাপ দিয়েছেন কাগজে সেটা অবস্য আপনার ভোটার আইডি কার্ডের সাথে মিলিয়ে দেখা হয়নি এখন সেটা হবে আর আগে আঙ্গুলের ছাপ মোবাইল কোম্পানির কাছে থাকতো এখন আর সেটার প্রয়োজন হবে না। আবার উনারা বলছেন জিপির হাত ধরে ইউরোপ, আমেরিকা এই তথ্য চলে যাবে। আবার ভাবতে বলছে, প্যারিস হামলার পর অবিস্ফোরিত বোমায় কোন বাঙ্গালীর ফিঙ্গারপ্রিন্ট পাওয়া গেলে কি হবে। তো আমি ভবে চিনতে বললাম কি আর হবে তার বিচার করতে হবে কোন নিরীহ মানুষের জীবন নিলে শুধুমাত্র বাঙ্গালী হওয়ার সুবাদে তাকে ছেড়ে তো আর দেওয়া যাবে না।
আবার ভাবতে বলেছেন ফিঙ্গারপ্রিন্ট এর বদৌলতে কোন আন্তর্জাতিক জংগী সংগঠনের সাথে বাংলাদেশের একটা মেলবন্ধন কোন বিদেশী পত্রিকার হেডলাইন হলে কেমন হবে। সত্যি বলতে খারাপ হবে এজন্য এই ধরনের নিরাপত্তা জরুরী যাতে জঙ্গি সংগঠনগুলাকে আটকানো যায়। আর তারপরও হয়ে গেলে আর কি করার সত্য নাহয় সবায় জানবে বিদেশী পত্রকার সাহায্যে তখন আমাদের আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলো তারাতারি পদক্ষেপ নিবে। কিন্তু ফিঙ্গারপ্রিন্টের অভাবে এই খবর না জানতে পারলে পরিণতি হবে ভয়াবহ। আর বলছেন ফিঙগারপ্রিন্ট দিয়ে মিথ্যামামলায় জয় পাওয়া যাবে মিথ্যার জয় হবে ইত্যাদি তবে আমারতো মনে হয় সত্যের জয়ের জন্য, সঠিক বিচারের জন্যই ফিঙ্গারপ্রিন্ট দরকার। আর হা এরকম ভালো কাজে আমরাই দ্বিতীয় আর এটাও সত্য যে পাকিস্তানে আগে এটা প্রথমবার হয়েছে কিন্তু তারা ব্যার্থ ছিল আমরা ইন-শা-আল্লাহ সফল হবো। আবার বলছেন সরকারের কাছে একটাই আরজি, অপরাধ দমনে ফিঙ্গারপ্রিন্ট অবশ্যই জরুরী বিষয়। আরে মিয়া সেজন্য জাতীয় পরিচয় পত্রেই আঙ্গুলের ছাপ নেওয়া হয়েছে। ন্যাশনাল আইডি দিয়ে সিম রেজিস্ট্রেশন হলে তো প্রাথমিক শনাক্তকরণ হয়েই যায় এরকমই একটা উক্তি করছেন আপনারা কিন্তু পরিচয়পত্র তো আপনার নাও হতে পারে ভূয়াও হতে পারে তখন কিভাবে পরিচয় যাচায় করবেন। আর মোবাইলে ভয়েস কলে ফিঙ্গার প্রিন্ট না থাকলেও তখন নিশ্চিত হওয়া যাবে যে কলটা কে করেছে বা কার নম্বর থেকে এসেছে এভাবি অপরাধী ধরা সহজ হবে। আর বললেনফিঙ্গারপ্রিন্ট একজন মানুষের চূড়ান্ত লেভেলের প্রাইভেট কিন্তু কিভাবে ? দিনে কত যাগায় হাত রাখন কত যাগায় ফিঙ্গারপ্রিন্ট দেন সে হিসাব রাখেন ? এ জিনিস লিফলেট বানাইয়া বেচার জন্য কারো হাতে তুলে দিতে আমরা রাজি না এই কথাও আপনার বলা কিন্তু কে আপনার ফিঙ্গারপ্রিন্টের লিফলেট বানায় বচবে সেটা বুঝলাম না তাছাড়াও লিলেট বিনামূল্যে বিরন করার জিনিস বিক্রির না। আর হা এটা সত্য কথা যে সোজা আঙ্গুলে ঘি না উঠলে বাঙ্গালী চিরকালই আঙ্গুল বাঁকাইয়া অভ্যস্ত। যদিও আমি চা চামচ ব্যবহার করি। আর বিগতে দিনে বংলাদেশ সরকার সহজে জাতীয় পরিচয় পত্র দ্বারা নিবন্ধনের ব্যবস্থা করছিল আমনারা ২নম্বরি করছেন তাই একটু ব্যাকা পথে যেতেই হয়েছে।
আর যারা ইভেনটগুলাতে টিউন করেছে তাদেরও কিছু উত্তর দিতে ইচ্ছা করছে
বিষয়: বিবিধ
১১০১ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন