লিডার মাস্ট বি সিন অ্যান্ড হার্ড শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান
লিখেছেন লিখেছেন জীবরাইলের ডানা ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ০৬:১১:১৩ সকাল
জিয়াউর রহমান সেনানায়ক থেকে রাষ্ট্রনায়ক হয়েছিলেন। বিএনপি নামের একটি রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তিনি, যা টিকে আছে আজও। তার নেতৃত্বের স্ফুরণ ঘটেছিল ১৯৭১ সালেই, মুক্তিযুদ্ধের প্রথম প্রহরে। তার উত্থান ছিল নাটকীয়তায় ভরা।
লেখক ও গবেষক মহিউদ্দিন আহমদ তার ‘বিএনপি: সময়-অসময়’ শীর্ষক বইয়ে এসব কথা লিখেছেন। তিনি আরও লিখেছেন, অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের উপ-অধিনায়ক মেজর জিয়াউর রহমান
২৫শে মার্চ রাতে পাদপ্রদীপের আলোয় চলে আসেন। চট্টগ্রাম বন্দরে ‘সোয়াত’ জাহাজ থেকে গোলাবারুদ খালাস করার জন্য রেজিমেন্টের অধিনায়ক লে. কর্নেল আবদুর রশিদ জানজুয়া ক্যাপ্টেন চৌধুরী খালেকুজ্জামানকে আদেশ দেন। পরে মত বদলে জিয়াকে বন্দরে যেতে বলেন। খালেকুজ্জামানের বর্ণনা মতে:
জানজুয়া বলেন, ‘জিয়া ইউ গো ফার্স্ট। খালিক উইল পলো ইউ।’ আমাকে অনেকে প্রশ্ন করেছে, হোয়াই ডিড হি এগ্রি টু গো? হাসির খবর এটা। আর্মিতে ট্রুপস হ্যাভ টু ওভে, ইউ ক্যান্ট রিফিউজ। জিয়া গাড়িতে উঠলেন। সঙ্গে দুজন অফিসার, সে. লে. হুমায়ুন এবং সে. লে. আজম। আমি ওপাশে গেলাম। জিয়া বললেন, খালেকুজ্জামান, কিছু শুনলে জানিও। দ্যাট ওয়াজ অ্যা মেসেজ ফ্রম আল্লাহ থ্রু হিম। গাড়ি চলে গেল। জানজুয়া বাসায় চলে গেলেন, আলহামরা বিল্ডিংয়ে। শওকত চলে গেলেন। অলি চলে গেল ওপরে। আমি এখন চিন্তায় পড়ে গেলাম। তখন অলি ওপর থেকে বলল, স্যার, আপনার একটা ফোন আসছে। আমি গেলাম। বাই দ্যাট টাইম অলি হ্যাজ টক্ড। ফোনে ছিলেন সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট অব স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক আবদুল কাদের। খুব স্নেহ করতেন আমাকে, চাচার মতো। বললেন, ‘ঢাকায় তো ইপিআরের ওখানে ফায়ারিং শুরু হয়ে গেছে। আর্মি হ্যাজ রেইডেড দ্য ক্যাম্পস। তোমরা কী করছ।’ আরও কিছু বললেন, আমাকে এক্সাইটেড করলেন। আমি অলিকে বললাম, আই অ্যাম গোয়িং টু গেট ব্যাক আওয়ার বস জিয়া। দিস ইজ, আল্লাহ হ্যাজ ইনফিউজড সামথিং ইন মি।
পিকআপ আসলো। রাস্তায় ব্যারিকেড। দেওয়ানহাট ওভারব্রিজের সামনে, ওখানে আল্লাহর রহমতে ওইটা (ব্যারিকেড) ছিল। জিয়া, লাইক এ ড্যান্ডি ম্যান, স্মার্ট, হাতে ফিল্টার উইলস, দ্যাট ফেমাস উইলস। সিগারেট খাচ্ছে। বললেন, ‘ইয়েস খালিক, হোয়াট হ্যাপেন্ড?’ আই সেইড, ফায়ারিং হ্যাজ স্টার্টেড। ইপিআর ক্যাম্প হ্যাজ বিন অ্যাটাকড, ব্লা ব্লা ব্লা। উনি তখন চিন্তা করলেন। ‘খালিকুজ্জামান, খালিকুজ্জামান’। উনি শাউট করলে আমি আস্তে কথা বলি। সেম টোনে বলি না। বললাম, স্যার স্যার।
জিয়া: হোয়াট শ্যাল উই ডু?
আমি: ইউ নো বেটার।
জিয়া: ইন দ্যাট কেইস উই রিভোল্ট অ্যান্ড শো আওয়ার এলিজিয়েন্স টু দ্য গভর্নমেন্ট অব বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের তখন কোনো খবর নাই। লিডার হ্যাজ টু টেক লিডারশিপ। ফিরে এসে...হুমায়ুন আর আজম গাড়িতে বসা ছিল। তাদের কোয়াটার গার্ডে নেয়া হলো। দে অয়্যার স্টান্ট। জিয়া বললেন, ‘খালিক লেট মি গো অ্যান্ড গেট দিজ বাস্টার্ড (জানজুয়া)।
২৫শে মার্চের মধ্যরাতে জিয়ার নেতৃত্বে অষ্টম বেঙ্গলের বাঙ্গালি সদস্যরা বিদ্রোহ করলেন। এর আগে জিয়া সবার কাছে আনুগত্য চেয়েছিলেন। মেজর শওকতকে জিয়া ঘুম থেকে ডেকে তুলেছিলেন। ইউনিট লাইনে তিনি শওকতকে সরাসরি জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘আই হোপ, ইউ আর উইথ আস?....ইট ইজ বেটার টু সেটল দ্য ডিল বিফোর উই আর ইন অ্যা সিরিয়াস গেম।
ওখানে কনফিউশন, কেউ কিছু বলে না।
খালেকুজ্জামান শওকতকে বলেছিলেন, ‘স্যার বলেন না মেজর জিয়া টু আই সি উইল টেক ওভার লিডারশিপ?’
শওকত বললেন, ‘ভাইসব, আপনারা শোনেন, এখন টু আইসি সাহেব কিছু বলবেন।’
খালেকুজ্জামানের বর্ণনা অনুযায়ী: ‘এ লিডার মাস্ট বি সিন অ্যান্ড হার্ড। খালি পর্দার পেছন থেকে লিডার যদি বলে, ইনফেক্ট ইজ নট দ্য সেম। ড্রামটা ফেলে দিলাম। জিয়া তো মানুষ ছোটখাটো। ওনাকে কেউ ধরে টরে ওপরে দাঁড় করিয়ে দিল। দেন হি কুড স্ট্যান্ড। ইট ইজ অ্যা ফ্যাক্ট দ্যাট হি ডেলিভার্ড। ইউ আর বিইং লেড। ওয়ান হু ইজ বিইং লেড, তার অত চিন্তা আসে না। লিডার টেকস দ্য রেসপনসিবিলিটি। লিডারের চিন্তা বেশি। সো হি ওয়াজ অ্যাংগশাস।
একটা চরম মুহূর্তে জিয়াউর রহমান সিদ্ধান্তটি নিতে পেরেছিলেন। তার সঙ্গে সঙ্গে মেজর মীর শওকত আলী, ক্যাপ্টেন খালেকুজ্জামান, ক্যাপ্টেন অলি আহমেদ, ক্যাপ্টেন সাদেক হোসেন, লে. শমসের মবিন চৌধুরী, লে. মাহফুজুর রহমান এবং অষ্টম বেঙ্গলের অন্যান্য বাঙ্গালি সদস্যরা ইতিহাসের অংশ হয়ে গেলেন।
জিয়াউর রহমানকে নানা ভাবে ছোট করার চেষ্টা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডারদের স্মৃতিকথা নিয়ে লেখা একটি বইয়ের ভূমিকায় বইয়ের সম্পাদক শাহরিয়ার কবির উল্লেখ করেছেন, মেজর রফিকুল ইসলামের বিশাল গ্রন্থের কোথাও জিয়াউর রহমান নামে একজন সেক্টর কমান্ডার যে মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন তার কোনো বিবরণ পাওয়া যায় না, যদিও জিয়ার রণকুশলতা সম্পর্কে ভারতের ইস্টার্ন কমান্ডের অধিনায়ক জেনারেল অরোরো যথেষ্ট প্রশংসা করেছেন। রফিকুল ইসলামের বইটি ছাপা হয়েছে জিয়ার মৃত্যুর পর। শাহরিয়ার কবিরের মন্তব্য হলো, মেজর রফিকুল ইসলাম তার স্মৃতিকথায় অন্য সব প্রসঙ্গ উত্থাপনের ক্ষেত্রে বিশ্বস্ততার পরিচয় দিলেও জিয়াউর রহমানের ক্ষেত্রে যে তিনি কাল ও প্রেক্ষিতের সুযোগ গ্রহণ করেছেন- একথা অনিচ্ছা সত্ত্বেও বলতে হচ্ছে।
বাংলাদেশ বিভাজনের রাজনীতির বিয়োগান্ত শিকার হয়েছেন যে কয়েকজন, জিয়াউর রহমান তাদের একজন। জিয়া শেখ মুজিবকে নেতা মানতেন এবং সব সময় তার সম্পর্কে ইতিবাচক কথা বলতেন। কিন্তু রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ তাকে যথেষ্ট সম্মান দেয়নি ‘আমরা বীরের সম্মান দিতে জানি না। কলকাতা ফোর্ট উইলিয়ামে বাংলাদেশের একজন মাত্র মুক্তিয
19 minutes ago · Sent from Messenger
Md Harun Ur Rashid
মেনু প্রচ্ছদ অনলাইন প্রথম পাতা শেষের পাতা অর্থবাণিজ্য বিশ্বজমিন বিনোদন খেলা এক্সক্লুসিভ দেশ বিদেশের খবর বাংলারজমিন সাক্ষাৎকার শিক্ষাঙ্গন রকমারি প্রবাসীদের কথা যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা
ঢাকা, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, বৃহস্পতিবার
শেষের পাতা
লিডার মাস্ট বি সিন অ্যান্ড হার্ড
স্টাফ রিপোর্টার | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, বৃহস্পতিবার, ১০:৩৫
জিয়াউর রহমান সেনানায়ক থেকে রাষ্ট্রনায়ক হয়েছিলেন। বিএনপি নামের একটি রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তিনি, যা টিকে আছে আজও। তার নেতৃত্বের স্ফুরণ ঘটেছিল ১৯৭১ সালেই, মুক্তিযুদ্ধের প্রথম প্রহরে। তার উত্থান ছিল নাটকীয়তায় ভরা।
লেখক ও গবেষক মহিউদ্দিন আহমদ তার ‘বিএনপি: সময়-অসময়’ শীর্ষক বইয়ে এসব কথা লিখেছেন। তিনি আরও লিখেছেন, অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের উপ-অধিনায়ক মেজর জিয়াউর রহমান
২৫শে মার্চ রাতে পাদপ্রদীপের আলোয় চলে আসেন। চট্টগ্রাম বন্দরে ‘সোয়াত’ জাহাজ থেকে গোলাবারুদ খালাস করার জন্য রেজিমেন্টের অধিনায়ক লে. কর্নেল আবদুর রশিদ জানজুয়া ক্যাপ্টেন চৌধুরী খালেকুজ্জামানকে আদেশ দেন। পরে মত বদলে জিয়াকে বন্দরে যেতে বলেন। খালেকুজ্জামানের বর্ণনা মতে:
জানজুয়া বলেন, ‘জিয়া ইউ গো ফার্স্ট। খালিক উইল পলো ইউ।’ আমাকে অনেকে প্রশ্ন করেছে, হোয়াই ডিড হি এগ্রি টু গো? হাসির খবর এটা। আর্মিতে ট্রুপস হ্যাভ টু ওভে, ইউ ক্যান্ট রিফিউজ। জিয়া গাড়িতে উঠলেন। সঙ্গে দুজন অফিসার, সে. লে. হুমায়ুন এবং সে. লে. আজম। আমি ওপাশে গেলাম। জিয়া বললেন, খালেকুজ্জামান, কিছু শুনলে জানিও। দ্যাট ওয়াজ অ্যা মেসেজ ফ্রম আল্লাহ থ্রু হিম। গাড়ি চলে গেল। জানজুয়া বাসায় চলে গেলেন, আলহামরা বিল্ডিংয়ে। শওকত চলে গেলেন। অলি চলে গেল ওপরে। আমি এখন চিন্তায় পড়ে গেলাম। তখন অলি ওপর থেকে বলল, স্যার, আপনার একটা ফোন আসছে। আমি গেলাম। বাই দ্যাট টাইম অলি হ্যাজ টক্ড। ফোনে ছিলেন সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট অব স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক আবদুল কাদের। খুব স্নেহ করতেন আমাকে, চাচার মতো। বললেন, ‘ঢাকায় তো ইপিআরের ওখানে ফায়ারিং শুরু হয়ে গেছে। আর্মি হ্যাজ রেইডেড দ্য ক্যাম্পস। তোমরা কী করছ।’ আরও কিছু বললেন, আমাকে এক্সাইটেড করলেন। আমি অলিকে বললাম, আই অ্যাম গোয়িং টু গেট ব্যাক আওয়ার বস জিয়া। দিস ইজ, আল্লাহ হ্যাজ ইনফিউজড সামথিং ইন মি।
পিকআপ আসলো। রাস্তায় ব্যারিকেড। দেওয়ানহাট ওভারব্রিজের সামনে, ওখানে আল্লাহর রহমতে ওইটা (ব্যারিকেড) ছিল। জিয়া, লাইক এ ড্যান্ডি ম্যান, স্মার্ট, হাতে ফিল্টার উইলস, দ্যাট ফেমাস উইলস। সিগারেট খাচ্ছে। বললেন, ‘ইয়েস খালিক, হোয়াট হ্যাপেন্ড?’ আই সেইড, ফায়ারিং হ্যাজ স্টার্টেড। ইপিআর ক্যাম্প হ্যাজ বিন অ্যাটাকড, ব্লা ব্লা ব্লা। উনি তখন চিন্তা করলেন। ‘খালিকুজ্জামান, খালিকুজ্জামান’। উনি শাউট করলে আমি আস্তে কথা বলি। সেম টোনে বলি না। বললাম, স্যার স্যার।
জিয়া: হোয়াট শ্যাল উই ডু?
আমি: ইউ নো বেটার।
জিয়া: ইন দ্যাট কেইস উই রিভোল্ট অ্যান্ড শো আওয়ার এলিজিয়েন্স টু দ্য গভর্নমেন্ট অব বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের তখন কোনো খবর নাই। লিডার হ্যাজ টু টেক লিডারশিপ। ফিরে এসে...হুমায়ুন আর আজম গাড়িতে বসা ছিল। তাদের কোয়াটার গার্ডে নেয়া হলো। দে অয়্যার স্টান্ট। জিয়া বললেন, ‘খালিক লেট মি গো অ্যান্ড গেট দিজ বাস্টার্ড (জানজুয়া)।
২৫শে মার্চের মধ্যরাতে জিয়ার নেতৃত্বে অষ্টম বেঙ্গলের বাঙ্গালি সদস্যরা বিদ্রোহ করলেন। এর আগে জিয়া সবার কাছে আনুগত্য চেয়েছিলেন। মেজর শওকতকে জিয়া ঘুম থেকে ডেকে তুলেছিলেন। ইউনিট লাইনে তিনি শওকতকে সরাসরি জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘আই হোপ, ইউ আর উইথ আস?....ইট ইজ বেটার টু সেটল দ্য ডিল বিফোর উই আর ইন অ্যা সিরিয়াস গেম।
ওখানে কনফিউশন, কেউ কিছু বলে না।
খালেকুজ্জামান শওকতকে বলেছিলেন, ‘স্যার বলেন না মেজর জিয়া টু আই সি উইল টেক ওভার লিডারশিপ?’
শওকত বললেন, ‘ভাইসব, আপনারা শোনেন, এখন টু আইসি সাহেব কিছু বলবেন।’
খালেকুজ্জামানের বর্ণনা অনুযায়ী: ‘এ লিডার মাস্ট বি সিন অ্যান্ড হার্ড। খালি পর্দার পেছন থেকে লিডার যদি বলে, ইনফেক্ট ইজ নট দ্য সেম। ড্রামটা ফেলে দিলাম। জিয়া তো মানুষ ছোটখাটো। ওনাকে কেউ ধরে টরে ওপরে দাঁড় করিয়ে দিল। দেন হি কুড স্ট্যান্ড। ইট ইজ অ্যা ফ্যাক্ট দ্যাট হি ডেলিভার্ড। ইউ আর বিইং লেড। ওয়ান হু ইজ বিইং লেড, তার অত চিন্তা আসে না। লিডার টেকস দ্য রেসপনসিবিলিটি। লিডারের চিন্তা বেশি। সো হি ওয়াজ অ্যাংগশাস।
একটা চরম মুহূর্তে জিয়াউর রহমান সিদ্ধান্তটি নিতে পেরেছিলেন। তার সঙ্গে সঙ্গে মেজর মীর শওকত আলী, ক্যাপ্টেন খালেকুজ্জামান, ক্যাপ্টেন অলি আহমেদ, ক্যাপ্টেন সাদেক হোসেন, লে. শমসের মবিন চৌধুরী, লে. মাহফুজুর রহমান এবং অষ্টম বেঙ্গলের অন্যান্য বাঙ্গালি সদস্যরা ইতিহাসের অংশ হয়ে গেলেন।
জিয়াউর রহমানকে নানা ভাবে ছোট করার চেষ্টা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডারদের স্মৃতিকথা নিয়ে লেখা একটি বইয়ের ভূমিকায় বইয়ের সম্পাদক শাহরিয়ার কবির উল্লেখ করেছেন, মেজর রফিকুল ইসলামের বিশাল গ্রন্থের কোথাও জিয়াউর রহমান নামে একজন সেক্টর কমান্ডার যে মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন তার কোনো বিবরণ পাওয়া যায় না, যদিও জিয়ার রণকুশলতা সম্পর্কে ভারতের ইস্টার্ন কমান্ডের অধিনায়ক জেনারেল অরোরো যথেষ্ট প্রশংসা করেছেন। রফিকুল ইসলামের বইটি ছাপা হয়েছে জিয়ার মৃত্যুর পর। শাহরিয়ার কবিরের মন্তব্য হলো, মেজর রফিকুল ইসলাম তার স্মৃতিকথায় অন্য সব প্রসঙ্গ উত্থাপনের ক্ষেত্রে বিশ্বস্ততার পরিচয় দিলেও জিয়াউর রহমানের ক্ষেত্রে যে তিনি কাল ও প্রেক্ষিতের সুযোগ গ্রহণ করেছেন- একথা অনিচ্ছা সত্ত্বেও বলতে হচ্ছে।
বাংলাদেশ বিভাজনের রাজনীতির বিয়োগান্ত শিকার হয়েছেন যে কয়েকজন, জিয়াউর রহমান তাদের একজন। জিয়া শেখ মুজিবকে নেতা মানতেন এবং সব সময় তার সম্পর্কে ইতিবাচক কথা বলতেন। কিন্তু রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ তাকে যথেষ্ট সম্মান দেয়নি ‘আমরা বীরের সম্মান দিতে জানি না। কলকাতা ফোর্ট উইলিয়ামে বাংলাদেশের একজন মাত্র মুক্তিযোদ্ধার ছবি আছে, বুকের ওপর দু-হাত আড়াআড়ি করে দাঁড়ানো। তিনি জিয়াউর রহমান।
বিষয়: রাজনীতি
১২৩৬ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন