সৌদি আরবের নেতৃত্বে গঠিত সামরিক জোটের আসল উদ্দেশ্য কি?
লিখেছেন লিখেছেন জীবরাইলের ডানা ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১১:৪৭:১১ সকাল
ডিসেম্বরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনের গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ হচ্ছে, সৌদি আরবের নেতৃত্বে নতুন সামরিক জোট গঠন। ৩৪টি মুসলিম দেশকে যুক্ত করে জোট গঠনের ঘোষণা দেয় সৌদি সরকার। জোটে আদর্শ উদ্দেশ্য কিংবা এর পরিধি সম্পর্কে কিছুই উল্লেখ করা হয়নি। কোথায় এবং কাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ পরিচালিত হবে তারও কোনো দিক নির্দেশনা নেই। বিশ্বের ৬০টি মুসলিম দেশের মধ্যে মাত্র ৩৪টি দেশকে জোটে অর্ন্তভূক্ত করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। শুরুতেই জোটের একমাত্র পারমানবিক শক্তিধর দেশ পাকিস্তান প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে যে, তাদের মতামত না নিয়ে সামরিক জোটে অর্ন্তভূক্ত করা হয়েছে। এর পরদিনই গোপন আশ্বাসের প্রেক্ষিতে পাকিস্তান সরকার তাদের বক্তব্য প্রত্যাহার করে।
অপরদিকে প্রভাবশালী মুসলিম দেশ ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও নাইজেরিয়া সরকার কোনো অনুমতি ছাড়াই তাদেরকে সামরিক জোটে অন্তর্ভূক্ত করার ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। মধ্যপ্রাচ্যের সৌদি মিত্র ওমান ও জর্ডানকে জোটের সদস্যপদে রাখা হয়নি। ইরাক, আফগানিস্তান, ইরান, সিরিয়া ও ইয়েমেনের মত গুরুত্বপূর্ণ দেশগুলোও জোটের বাইরে রাখা হয়। ফলে সামরিক জোট গঠনকে কেন্দ্র করে শুরুতেই সমালোচনার সূত্রপাত ঘটে। অর্থাৎ সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট গঠন প্রক্রিয়ায় পছন্দ অপছন্দের বিষয়টি বিদ্যমান থাকায় এর ভবিষ্যত নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক ও সামরিক বিশেষজ্ঞরা।
সামরিক জোট গঠনের উদ্দেশ্য কী? হঠাৎ করে সামরিক জোট গঠনের জন্য সৌদিদের তাড়াহুড়ো কেন? এর মধ্যে কোনো রহস্য নিহিত আছে কিনা? সৌদি আরবের নেতৃত্বে গঠিত একটি সামরিক জোট গত সাত মাস ধরে ইয়েমেনে আগ্রাসন চালাচ্ছে। কিন্তু পূণরায় আরেকটি সামরিক জোট গঠনের কারণ কী? এসব বিষয়ে আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা ভিন্ন মতামত ব্যক্ত করেন। আইএসআইএল ও আল নুসরা গঠনে সৌদি আরব, কাতার ও তুরস্কের সক্রিয় ভূমিকা প্রমাণিত হয়েছে। সিরিয়া গৃহযুদ্ধে রাশিয়ার অভিযানের পর বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে গেছে। ইরাক ও সিরিয়া থেকে লুণ্ঠিত বিপুল তেলসম্পদ কোন কোন দেশে পাচার হচ্ছে এবং কারা জঙ্গিদের আর্থিক ও সামরিক সহযোগিতা দিচ্ছে তা উপগ্রহ থেকে ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজ ও আটককৃতের বক্তব্যে প্রকাশ হয়ে গেছে। অপরদিকে ইয়েমেনে একতরফা যুদ্ধে সৌদি জোটে মিশর, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সুদান ও ইসরাইল অংশগ্রহণ করছে। দীর্ঘ সাত মাসের যুদ্ধে এখন সৌদি জোটের অবস্থা নাকাল। এছাড়া ইসরাইলের সাথে সৌদিদের মধুচন্দ্রিমার বিষয়টিও মুসলিম বিশ্বের অজানা নয়। ফলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিজেদের ভাবমূর্তি পুণরুদ্বারে সৌদি সরকার তড়িঘড়ি করে কয়েকটি মুসলিম দেশের সমন্বয়ে সামরিক জোট গঠনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ইমেজ রক্ষায় উঠেপড়ে লেগেছে।
৬০টি মুসলিম দেশের স্থলে ৩৪ দেশ কেন?
ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া গণতান্ত্রিক দেশ। শিল্প, শিক্ষা, চিকিৎসা, জ্ঞান বিজ্ঞানে দেশ দু’টি উপসাগরীয় দেশগুলোর চাইতে অগ্রগামী। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশ দু’টি প্রভাব রাখে। কোনো মুসলিম দেশে আগ্রাসন কিংবা দুর্যোগের কবলে পড়লে ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া সরকার সংহতি প্রকাশ করে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। তেমনিভাবে এ দু’টি দেশের জনগণ রাজতন্ত্রবিরোধী এবং পশ্চিমাদের সাথে অতিরিক্ত মাখামাখিও এরা পছন্দ করে না। এটা সৌদি আরব ভালো করে জানে। এছাড়া সৌদিদের অতীত রেকর্ডও তেমন ভালো নয়। তাই সামরিক জোট নিয়ে অনীহা প্রকাশ করেছে ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া। ওমান ও জর্ডান সৌদিদের বিশ্বস্ত নয়। তাই খাতায় তাদের নাম ওঠেনি।
নাইজেরিয়াকে জোটে অন্তর্ভূক্ত করায় খোদ দেশটির প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। আফগানিস্তান, ইরাক, ইরান, ইয়েমেন, সিরিয়া, লিবিয়া এবং রাশিয়া ও চীনা বলয়ের অনেক মুসলিম দেশকে সামরিক জোটে রাখা হয়নি। সৌদি আরব অতি বিশ্বস্ত দেশগুলো নিয়ে সামরিক জোট গঠন করেছে বলে প্রতীয়মান হয়। ফলে মুসলিম দেশগুলোর সমন্বয়ে সামরিক জোট গঠন নিয়ে সূচনা পর্বে বিতর্ক দেখা দেয়।
সামরিক জোট কাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে?
সৌদি আরবের তরফ থেকে বলা হয়েছে, ইরাক ও সিরিয়ায় সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে লড়বে সামরিক জোট। কোন ধরনের সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে লড়বে সেটা অবশ্য উল্লেখ করেনি। উল্লেখ্য, আইএসআইএল ও আল নুসরাকে সর্বক্ষেত্রে সহযোগিতা করছে সৌদি আরব ও কাতার। সংযুক্ত আরব আমিরাত ও কুয়েত অর্থকড়ি সরবরাহ করছে। প্রশিক্ষণ ও অস্ত্রশস্ত্র সরবরাহ করছে আমেরিকা। তুরস্ক সরকার সে দেশে ঘাঁটি স্থাপনের অনুমতি দিয়েছে। বর্তমানে ইরাক, সিরিয়া ও লিবিয়ায় আইএসআইএল তৎপর রয়েছে। গত এক বছর যাবত আমেরিকার নেতৃত্বে পশ্চিমারা আইএসআইএল ও আল নুসরা দমনে কয়েক হাজার দফা বিমান হামলা চালিয়ে কিছুই করতে পারেনি বরং বিমান হামলার নামে সন্ত্রাসীদের অস্ত্রশস্ত্র প্রদানের অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। অপরদিকে রাশিয়া মাত্র এক মাস বিমান হামলা চালিয়ে সিরিয়ার আইএসআইএল ও আল নুসরার ৮০% শতাংশ শক্তি ধ্বংস করে দিয়েছে। ফলে সৌদি-আমেরিকা জোট কখনো চাইবে না আইএসআইএল ও আল নুসরা ধ্বংস হোক। পরিকল্পনা অনুযায়ী ইরাক-সিরিয়ার পর ইয়েমেন, আফগানিস্তান ও ইরান সরকারকে উৎখাত করতে পারলে উপসাগরীয় সামরিক জোট, ন্যাটো জোট এবং ইসরাইলের জন্য ভবিষ্যতে আর কোন ঝুঁকি থাকবে না। সুতরাং সৌদি নেতৃত্বাধীন নব গঠিত সামরিক জোট কাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে-সে বিষয়ে যথেষ্ট মতবিরোধ রয়েছে।
উপসাগরীয় দেশগুলোর ভয়ের কারণ?
নাইন ইলেভেনের পর আফগানিস্তান, ইরাক, লিবিয়া, সিরিয়া, ইয়েমেনকে নিরাপদ মনে করেনি সৌদি-মার্কিন মিত্র জোট। তাই এসব দেশে সামরিক আগ্রাসনের মাধ্যমে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। আরব দেশগুলোতে যুগ যুগ ধরে চলে আসছে একনায়কতন্ত্র। জনগনের মৌলিক অধিকার বলতে কিছু নেই। বিরুদ্ধবাদীদের ওপর চলছে দমন, নিপীড়ন, জেল জুলুম। রাষ্ট্রের আয়-ব্যয় কিংবা গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে জনগণকে বরাবরই অন্ধকারে রাখা হচ্ছে। ফলে উপসাগরীয় বিশাল জনগোষ্ঠী রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে। এরা যে কোন সময় ফুলে ফুঁসে উঠতে পারে। বিষয়টি মাথায় রেখে তিউনেশিয়ার ‘অরেঞ্জ বিপ্লব’ এর আশংকায় রাজা বাদশারা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। কেননা, অরেঞ্জ বিপ্লবের অর্থ হচ্ছে, স্বৈরশাসকদের বিতাড়িত করা। তিউনেশিয়া ও মিশরের জনতা স্বৈরশাসকদের হটিয়েছে। সেই অরেঞ্জ বিপ্লবের ঢেউ যদি একবার উপসাগরীয় দেশগুলোতে এসে পড়ে-তা হলে রাজতন্ত্রের চিব অবসান ঘটবে। অপরদিকে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম পরাশক্তি ইরানকে নিয়ে
রাজা বাদশাহদের দুশ্চিন্তা বৃদ্ধি পেয়েছে। আফগানিস্তান, ইরাক, লিবিয়া, সিরিয়া ও ইয়েমেনের সাথে রয়েছে ইরানের সুসম্পর্ক। ভবিষ্যতে এরা একজোট হলে রাজা বাদশাহরা ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না। এটাই একমাত্র ভয়।
সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট টিকবে কি?
সৌদি আরবের নেতৃত্বে গঠিত সামরিক জোট গঠনের উদ্দেশ্য এখনো অন্ধকারে রয়েছে। শুরুতেই আলোচনা সমালোচনা বিষয়টিকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলেছে। জোট গঠনের উদ্দেশ্য মহৎ থাকলে ৬০টি মুসলিম দেশকে এতে সম্পৃক্ত করা উচিত ছিল। কিন্তু অপছন্দনীয় দেশকে জোটের বাইরে রাখায় গোড়ায় গলদ দেখা যাচ্ছে। মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও নাইজেরিয়া জোটের সাথে না থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলে বর্তমানে জোটের সদস্য সংখ্যা হচ্ছে ৩০টি দেশ। জানা গেছে, আরো কয়েকটি দেশ সামরিক জোটে থাকতে চাইছে না। তা হলে ফলাফল দাঁড়ায় যে, অধিকাংশ মুসলিম দেশ সামরিক জোটে থাকছেনা। দ্বিতীয়ত: যাদের বিরুদ্ধে সামরিক জোট গঠন করা হয়েছে-সে সব দেশের সাথে জোটভুক্ত দেশগুলোর সুসম্পর্ক রয়েছে। উদাহরলস্বরূপঃ সামরিক জোটকে যদি বলা হয়, ইরানে হামলা করার জন্য। তা হলে জোট সদস্যরা কি ইরানে সত্যিই হামলা চালাবে? কখনোই না। কারণজোটের অধিকাংশ দেশের সাথে ইরানের হাজার হাজার কোটি ডলারের ব্যবসা-বাণিজ্য রয়েছে। এছাড়া ইরান বেশ কয়েকটি দেশে তেল গ্যাস সরবরাহ করে থাকে। যদি বলা হয় ইরাক কিংবা সিরিয়ায় হামলা চালাতে? সেটাও সম্ভব হবে না। কারণ রাশিয়ার সাথে জোটভূক্ত অনেক দেশের সুসম্পর্ক রয়েছে।
তাহলে সৌদি আরব সামরিক জোট গঠনে উঠেপড়ে লেগেছে কেন? আমার মনে হয় সামরিক জোট গঠনের জন্য একাধিক কারণ নিহিত রয়েছে।
প্রথমত: আইএসআইএল ও আল নুসরা মধ্যপ্রাচ্যের সীমানা পেরিয়ে এখন ইউরোপের জন্য মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করছে। এ দু’টি সশস্ত্র সংগঠনকে কারা অর্থ, অস্ত্রশস্ত্র ও প্রশিক্ষণ দিচ্ছে সেটা বিশ্বাসী জেনে গেছে। এছাড়া আইএসআইএল ও আল নুসরার কর্মকাণ্ডে অধিকাংশ মুসলিম দেশ ক্ষুব্ধ। তাই মদদদাতার দুর্নাম ঘোচাতে সৌদি আরব সামরিক জোট গঠনে তড়িঘড়ি শুরু করে।
দ্বিতীয়ত : রাজা-বাদশাহরা সর্বদা আতঙ্কিত যে, ইরান তাদের জন্য মহা হুমকিস্বরূপ। ইরানের সামরিক ও অর্থনৈতিক অগ্রগতি চোখে পড়ার মতো। পশ্চিমা মদদপুষ্ট ইসরাইলকে পাল্টা হুমকি প্রদান এমনকি পারমানবিক ইস্যুতে ৬টি বৃহৎ শক্তিবর্গের সাথে শেষতক পারমানবিক চুক্তি সম্পাদনের মধ্য দিয়ে ইরান বিশ্ব দরবারে নতুনভাবে আবির্ভূত হওয়ায় উৎকণ্ঠা আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। ইরানের সাথে চীন-রাশিয়ার গভীর সম্পর্ক বিদ্যমান। ছাড়া ইরাক, লিবিয়া, উত্তর কোরিয়া, ইয়েমেনও ইরানের সমর্থক। আবার ওমান ও জর্ডানের সাথেও ইরানের সম্পর্ক রয়েছে। তাই ইরান কর্তৃক রাজা-বাদশাহর মসনদে আঘাত হানার ভয়ে মূলতঃ ইরানকে ঠেকানোর জন্য সামরিক জোট গঠিত হতে পারে।
তৃতীয়ত : সামরিক জোট গঠনের নেপথ্যে পশ্চিমা ষড়যন্ত্র থাকতে পারে। উল্লেখ্য, পশ্চিমারা মধ্যপ্রাচ্যের ৪টি বিষয়কে সর্বদা গুরুত্ব দিয়ে থাকে। (ক) উপসাগরীয় অঞ্চলসহ গোটা মধ্যপ্রাচ্যে নিজেদের একক আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করা। (খ) মধ্যপ্রাচ্যের তেল-গ্যাস কব্জা করা। (গ) মধ্যপ্রাচ্যের বিশাল অস্ত্রের বাজারে অন্য কাউকে প্রবেশ করতে না দেয়া। (ঘ) ইসরাইলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
পরিশেষে, বহুল আলোচিত সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটের আদর্শ উদ্দেশ্য সম্পর্কে আগামী দুই মাসের মধ্যে একটা ধারণা পাওয়া যাবে। জোট গঠনের উদ্দেশ্য মহৎ থাকলে- সকল মুসলিম দেশকে এতে অন্তর্ভূক্ত করা উচিত ছিল। এটা না করে সৌদিরা একপেশে ও সন্দেহের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে। যার সুবাদে সর্বত্র বিতর্ক চলছে। জোট সদস্যভূক্ত মুসলিম দেশগুলোও এ বিষয়টি নিয়ে চুলচেরা বিচার বিশ্লেষণ শুরু করেছে। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে বিভিন্ন দেশের পার্লামেন্টে আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়েছে।
[লেখাটি ইতিমধ্যে রেডিও তেহরান-এর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত]।
বিষয়: আন্তর্জাতিক
১৯২০ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ওহ! এখন নিজেদের উপর কুর্দী বোমা পড়ছে তাই এত মাথাব্যাথা?
ঘুম তাহলে ভেঙ্গেছে?
কিন্তু এই ঘুম ভাঙ্গানী কার জন্য?
অসহায় সিরিয়ান মুসলিমদের জন্য? নাকি নিজেদের স্বার্থ রক্ষা?
-লেখাটি কি আপনার লিখা জনাব?
মন্তব্য করতে লগইন করুন