হরমোন পুরুষের জননতন্ত্রের গঠন এবং পুরুষ যৌন হরমোন নিয়ে কিছু কথা।

লিখেছেন লিখেছেন জীবরাইলের ডানা ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ০৫:২২:১৫ বিকাল

-

Reference from:- Dr Domingoঃ- University Hospitals Bristol NHS Trust / University of Manchester / Uni Rochester sex & Education – Alternatives to Human Growth Hormone HGH & sex hormone -Human Sexuality-Sexual Attitude Restructuring & Sexual Pleasure Education Research ( Uni of BIU ) And few of article from WHO & Bangladeshi Medical proffesors ( Created Dr.Helal Kamaly )

( বিঃদ্রঃ হরমোন সমূহ নিয়ে বুজতে হলে মেডিক্যাল সাইন্সের এনাটমি এবং ফিজিওলজির সামান্য কিছু ধারনার দরকার তাই খুভি সামান্য ধারনা দেওয়ার চেস্টা করলাম বা শিক্ষণীয় অধ্যায়ের লেভেল ও এবং এ তে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ । ছেলেদের বেলায় ১৪ এবং মেয়েদের বেলায় ১২ বছরের নিছে যাহারা – তাদের জন্য এই পর্ব সমূহ উপযোক্ত নয় – Category X1 Approved WHO & DW Border এবং সামাজিক- ধর্মীয় রীতিনীতির প্রতি স্রধা ও মূল্যবোধ রেখেই প্রকাশিত – ডেইলি মেডিক্যাল সাইন্স ও মেন্স হেলথে ও প্রকাশিত হল )

( যৌন হরমোনের পুরুষদের বাকি অংশ )

পুরুষের আর ও কয়েক টি অঙ্গ আছে যা প্রজননতন্ত্র বা যৌন ক্রিড়াকলাপের সাথে জড়িত সে জন্য কিছুটা জেনে রাখলে ব্যাক্তি জিবনে অনেক সহায়তা হতে পারে ( ভিডিও লাইভ চিত্র দেখার জন্য, লাইভ ভিডিও সমূহ ভিডিও প্রোগ্রামে দেখতে পারেন ) ঃ-

বীর্য নালী (ejaculatory ducts)ঃ–

পুরুষের দুটি বীর্যস্খলন নালী থাকে যা প্রোস্টেট গ্রন্থির মধ্যে দিয়ে অতিক্রান্ত হয়ে শেষ পর্যন্ত মূত্রনালীর সাথে যুক্ত হয়। বীর্যস্খলনের সময় বীর্য এই নালীর মাধ্যমেই মূত্রনালীতে এসে পৌছায়। কূপার্সের গ্রন্থি (Cowper’s gland) নামের বিশেষ একটি গ্রন্থি আছে যা প্রোস্টেট গ্রন্থির ঠিক নিচে অবস্থিত দুটি ছোট্ট বহিঃক্ষরা গ্রন্থিই হল কূপার্সের গ্রন্থি। যৌন উত্তেজনার সময় এই গ্রন্থি থেকে এক ধরনের স্বচ্ছ, নোনতা ও আঠালো তরল নির্গত হয় যা মূত্রনালীর মাধ্যমে বাইরে বেরিয়ে আসে। এই রস মূত্রনালীকে পরিষ্কার (অবশিষ্ট মূত্র ইত্যাদি থেকে) করে বীর্য নির্গমনের জন্য তৈরি করে। এছাড়াও এই রস মূত্রনালীর মধ্যে দিয়ে যাওয়ার ফলে মূত্রনালী মসৃণ হয়ে যায় যা বীর্যকে বাইরে বের হতে সহায়তা করে। বলাই বাহুল্য যে যৌন উত্তেজনার সময় পুরুষের লিঙ্গের মাধ্যমে যে পিচ্ছিল রস বের হয় তা প্রকৃতপক্ষে এই গ্রন্থির ক্ষরিত রস। এই রস যৌন মিলন বা হস্তমৈথুনের সময় লুব্রিকেশনের কাজও করে। এই রসে সাধারণত শুক্রাণু থাকেনা, কিন্তু অনেক সময় লিঙ্গের তলদেশে অবস্থিত মূত্রনালীর স্ফীত অংশে (eurethral bulb) আটকে থাকা পূর্ববর্তী বীর্যস্খলনের কিছু শুক্রাণু এই রসের সাথে বাইরে আসতে পারে।

এপিডিডাইমিস (Epididymis )–

যা শুক্রাশয়ের সেমিনিফেরাস নালীকাগুলি পরষ্পরের সাথে যুক্ত হয়ে এপিডিডাইমিস নামক আরেকটি নালীকা গঠন করে, ইহা শুক্রাশয়ের পৃষ্ঠদেশে, পেছনের দিকে কুন্ডলী পাকিয়ে অবস্থান করে। এর মধ্যেই শুক্রাণু সম্পূর্ণরূপে পরিণত হয়। অতঃপর, এখানেই বীর্যস্খলনের পূর্ব পর্যন্ত শুক্রাণু জমে থাকে ও প্রয়োজনীয় পুষ্টি লাভ করে। ভ্যাস ডিফারেন্স (Vax difference) – নামে আরেকটি নালী আছে যা এপিডিডাইমিসের শেষ প্রান্ত থেকে শুরু করে তলপেটের গহ্বরে অবস্থিত বীর্যস্খলন নালী (ejaculatory duct) পর্যন্ত বিস্তৃত শুক্রাণু বহনকারী নালীই হল ভ্যাস ডিফারেন্স। অরগ্যাসম বা যৌন আনন্দের চরম মুহূর্তে বীর্যস্খলনের সময় এই নালীদুটির গাত্রের মসৃণ পেশীর পর্যায়ক্রমিক সংকোচন ও শিথিলীভবনের ফলেই বীর্য নিঃসরণের সময় যৌনতা অনুবভ করে । এর দৈর্ঘ্য প্রায় ৩০ সে.মি. এবং ব্যাস প্রায় ৩ থেকে ৫ মি.মি. পর্যন্ত । সেখানে সেমিনাল ভেসিকল (Seminal Vesicles) নামের আরেকটি নালী আছে যা তলপেটের গহ্বরে মূত্রথলীর পেছনে দুপাশে অবস্থিত দুটি থলির মত গ্রন্থি । বীর্যের প্রায় ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ তরল এই গ্রন্থি থেকেই ক্ষরিত হয়। এই গ্রন্থির ক্ষরিত রস সাধারণত ক্ষারধর্মী হওয়ায় তা শুক্রাণুকে যোনির মধ্যস্থ আম্লিক পরিবেষে বেঁচে থাকতে সাহায্য করে। এছাড়াও এই গ্রন্থির ক্ষরিত রসে প্রোটিন, ফ্রুকটোজ, ভিটামিন C, এনজাইম, মিউকাস, হরমোন ইত্যাদি থাকে। ফ্রুকটোজ শুক্রাণুর শক্তির উৎসরূপে কাজ করে।

লিঙ্গ বা শিশ্ন বা Penis –

এটি হল পুরুষের বাহ্যিক যৌনাঙ্গ যা যৌনসঙ্গমে অংশ নেয়। এছাড়া লিঙ্গ মূত্র ত্যাগের জন্যেও ব্যবহৃত হয়। একে তিনটি অংশে বিভক্ত করা যায় – মূলদেশ, লিঙ্গের দেহ এবং আবরক ত্বক। মূলদেশ লিঙ্গকে শরীরের সাথে জুড়ে রাখে। মানুষের লিঙ্গ প্রধানত তিনটি স্পঞ্জি টিস্যুর সমন্বয়ে গঠিত। এর মধ্যে দুটি লম্বাটে টিস্যু লিঙ্গের পৃষ্ঠদেশে পরষ্পরের সমান্তরালে অবস্থান করে (কর্পাস ক্যাভার্নোসাম)। অপরটি লিঙ্গের নিম্নদেশে ওই দুটি টিস্যুর মাঝবরাবর থাকে (যার নাম কর্পাস স্পঞ্জিয়াম)। এই শেষোক্ত টিস্যুটির অগ্রভাগ স্ফীত হয়ে অনেকটা বাল্বের আকার ধারণ করে। একে বলা হয় লিঙ্গের গ্ল্যান্স। স্নায়ুকোষের আধিক্যের ফলে যৌন মিলন বা হস্তমৈথুনের সময় লিঙ্গের গ্ল্যান্স যৌন আনন্দ প্রদান এবং অর্গ্যাসমে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা নেয়। গ্ল্যান্স সাধারণত একটি ঢিলেঢালা ত্বকের মাধ্যমে ঢাকা থাকে। এই ত্বককে বলা হয় foreskin বা প্রিপিউস (prepuce)। এই ত্বক পিছিয়ে গিয়ে খুব সহজেই গ্ল্যান্স বাইরে বেরিয়ে আসতে পারে। লিঙ্গের নিচের দিকে যেখানে এই ত্বক লিঙ্গের সাথে আটকে থাকে তাকে বলা হয় ফ্রেনুলাম। অনেকের ক্ষেত্রেই প্রিপিউস কেটে বাদ দেওয়া হয়। এই ঘটনাকে বলা হয় খতনা বা circumcision। লিঙ্গের তলদেশে অবস্থিত কর্পাস স্পঞ্জিয়াম টিস্যুর মধ্যে দিয়ে মূত্রনালী লিঙ্গের গোড়া থেকে অগ্রভাগ পর্যন্ত প্রসারীত হয়ে গ্ল্যান্সে অবস্থিত একটি ছিদ্রের মাধ্যমে বাইরে উন্মুক্ত হয়। এই ছিদ্রের মাধ্যমেই মূত্র ও বীর্য বাইরে বের হতে পারে।

খতনা বা মুসলমানি করানো কেন ভাল ? ঃ-



লিঙ্গের যে বাড়তি চামড়া ইংরেজীতে এই ত্বককে বলে ফোর স্কিন । যা লিঙ্গের সামনে একটি আবরণ ত্বক থাকে এবং ইহা কেটে ফেলাকেই খতনা বলে । খতনা করালে ক্ষতির চাইতে লাভ ই বেশি হয় বা যৌন ইনফেকশন জাতীয় অনেক অসুখ থেকে অনেক টা মুক্ত থাকা যায় । ( যদি ও কেউ কেউ তা অস্বীকার করেন তবে নিরেপেক্ষ দৃষ্টিতে এর উপকার ই বেশি – খতনা মুলত প্রথম যোগ থেকেই ইব্রাহীম থেকে শুরু করে এই পর্যন্ত পুরুষ মুসলিম এবং ইহুদী ধর্ম অবলম্বনে করা বাধ্যতা মূলক । সদ্য প্রমাণিত বাচ্চাদের কিডনি অসুখ বা . ফিমোসিস সহ (পরিণত বয়সে অগ্রভাগের চামড়া স্বাভাবিকভাবে না গুটানো বা শিশ্নের সাথে আটকে থাকা বা গুটিয়ে গেলেও ঠিকভাবে আগের অবস্থায় ফিরে না যাওয়া।) যারা প্রিফিউসের অতিরিক্ত স্পর্শকাতরতায় ( লিঙ্গের মুন্ডের উক্তেজনা যাদের বেশি ) বীর্যপাত খুভ তাড়া তাড়ি হয়ে যায় তাদের জন্য খতনা করানো খুভি ভাল বলে প্রমাণিত । ( হিস্ট্রি অব মেডি সাইন্স )

তবে কোন কোন দেশে মহিলাদের ও খতনা করা হয় ( মহিলাদের ভগাঙ্কুরের অংশ কেটে ফেলা ) যা কোন ধর্মীয় ভাবে বলা হয়নাই বা চিকিৎসা বিজ্ঞানে ইহা ক্ষতিকারক হিসাবে প্রমাণিত । প্রমান তথ্য ভিত্তিক হিসাবে দেখা যায় মহিলাদের স্নায়ুবিক যৌন উক্তেজনার বাহ্যিক স্পর্শকাতর অঞ্চলের মধ্যে ভগাঙ্কুর অন্যতম এবং যদি কোন কারণে মহিলাদের উক্তেজনা কমাতে হয় তা হলে ভনাঙ্কুরের সম্মুখ ভাগ কেটে ফেললে অনেক টা স্পর্শকাতর জাতীয় উক্তেজনা কম থাকে যা স্বাভাবিক মহিলাদের চাইতে ৩০% কম অথবা যে সকল মহিলা সমকামী নেশায় আসক্ত তাদের সে অভ্যাস দূর করার জন্য কিছুটা ফলদায়ক । হয়তো সেই সুবাদে তখনকার পুরুষরা তাই করে, শেষমেশ রেওয়াজে পরিণত করেন । তবে ইহা অমানবিক ও সবাস্থের জন্য ক্ষতিকর হওয়ায় আন্তর্জাতিক আইনে ২০১২ সালে নিষেধ করে আইন ও পাস করা হয়েছে । ( বিস্থারিত যৌন রোগ অধ্যায়ে জানতে পারবেন )

যৌন উত্তেজনার সময় সাধারণত লিঙ্গের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ দুইই বেড়ে যায় কেন ? ঃ–

ওই সময় লিঙ্গে রক্ত সরবরাহকারী ধমনীসমূহ প্রসারিত হয়ে স্পঞ্জি টিস্যুগুলিতে অতিরিক্ত রক্ত সরবরাহ করে। এর ফলে ওই টিস্যুগুলো প্রসারিত হওয়ায় লিঙ্গ দৈর্ঘ্যে ও প্রস্থে বাড়তে থাকে। উপরন্তু স্পঞ্জি টিস্যুসমূহ প্রসারিত হয়ে লিঙ্গের শীরাগুলিকে চেপে দেয় যাতে ওই টিস্যুগুলি থেকে শীরার মাধ্যেম রক্ত কম পরিমানে অপসারিত হয়। ফলস্বরূপ বেশি পরিমানে রক্ত লিঙ্গে প্রবেশ করে কিন্তু অল্প অপসারিত হয়। এটা চলতে থাকে যতক্ষন না একটি সাম্যাবস্থা সৃষ্টি হচ্ছে, যাতে করে উত্তেজিত লিঙ্গের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ একটি নির্দিষ্ট মানে বজায় থাকতে পারে। এই ঘটনাকেই বলা হয় ইরেকশন (erection) যা যৌনমিলনের জন্য প্রয়োজনীয়। উত্তেজিত অবস্থায় লিঙ্গের দৈর্ঘ্য গড়ে প্রায় ৫ থেকে ৬ ইঞ্চি পরিমান হয়। তবে ব্যাক্তিবিশেষের উপর নির্ভর করে এই মান ৪ ইঞ্চি থেকে ৭.৫ ইঞ্চি পর্যন্ত হতে পারে। সব থেকে দীর্ঘতম লিঙ্গের দৈর্ঘ্য ছিল প্রায় ১৩.৫ ইঞ্চি। তবে এখানে উল্লেখ্য যে অনুত্তেজিত অবস্থায় লিঙ্গের দৈর্ঘ্যের উপর উত্তেজিত দৈর্ঘ্য কখওনোই নির্ভর করেনা। আরও একটি কথা বলা প্রয়োজন যে, ব্যাক্তির শরীরের বা অঙ্গ প্রত্যঙ্গের দৈর্ঘ্যের উপরেও উত্তেজিত লিঙ্গের দৈর্ঘ্য নির্ভর করেনা। লিঙ্গের গড় পরিধি প্রায় ৪.৮ ইঞ্চি মত। উত্তেজিত অবস্থায় লিঙ্গের কোন একদিকে বেঁকে যাওয়াটা একটি স্বাভাবিক ব্যাপার। এছাড়াও দেখা যায় যে অনেকের ক্ষেত্রে উত্তেজিত লিঙ্গ উপরের দিকে, অনেকের নিচের দিকে কিংবা অনেকের আবার ভূমির সমান্তরালে মুখ করেও অবস্থান করে ইহা স্বাভাবিক বিষয় বা এর জন্য মন খারাপ বা ভয়ের কিছু নাই । ( আর ও বিস্তারিত জানতে যৌন রোগে অধ্যায়ে দেখুন )

পুরুষদের সেক্স সম্পর্কে কিছু ভ্রান্ত ধারণা ( ডকুমেন্টরি )

অনলাইনের বিভিন্ন উক্তেজনাকর অসামাজিক উক্তেজিত ভিডিও, ছবি,পোস্টার ও লিফলেট চোখে পড়ে তার মধ্যে সেক্স সমস্যা নিয়ে লিখা দেখে উঠতি বয়সের ছেলে-মেয়ের মধ্যে প্রবল উত্তেজনা তৈরি হতে পারে , ফলে অনেকে নিজের যৌন অভিজ্ঞতা ঠিক আছে কিনা, যাচাই করতে প্রবল আগ্রহের সাথে বিভিন্ন হোটেলে, বান্ধবী বা প্রেমিকার সঙ্গে হোটেলে বা অন্য এলাকায় গিয়ে নিজের যৌনক্ষমতা পরীক্ষা করে। আর তখনই বিপত্তি শুরু হয় বা সদ্য তরুণরা অনেকে সময় বিপাকে পরে চরিত্র হরনের মত কাজ করে , যা কখন ও একজন বিবেক বান প্রাণী হিসাবে করা উচিৎ নয় বা সামাজিক ধর্মীয় ভাবে অত্ত্যান্ত ঘৃণিত কাজ । মেডিক্যাল সাইন্সে ও প্রমান সহকারে ইহা অত্ত্যান্ত খারাপ বলে বিবেচিত । যেমন যারা প্রথম অবস্থায় এ সব করে তাদের স্বভাবতই নিম্নের বিষয় সমূহ থাকবেই – এর শুরুতে নানা ধরনের টেনশন, বিভিন্ন ধরনের নেগেটিভ চিন্তা লিঙ্গের সাইজ নিয়ে, ক্ষমতা নিয়ে, শক্তি নিয়ে, বিয়ে নিয়ে, সন্তান হওয়া নিয়ে, স্ত্রী থাকবে কিনা, স্ত্রীর সামনে লজ্জা পেতে হবে কিনা? সোজা কথায়, একজন সু পুরুষ বা সু রমণী হিসাবে যা থাকার কথা টেস্টারন ও লিঙ্গের যএ থএ উত্থানের ফলে অনেকের প্রাকৃতিক পর্যায়ের সুখ শান্তি ব্যাহত হয়ে থাকে ৩০% মত বা শেষ মেষ পারিবারিক ভাবে বেশ বেগ পেতে হয় বা দাম্পত্য জীবন তৈরি করার পর যৌন মিলনে অশান্তি পেয়ে থাকেন ৯% মত, অন্য এক রিসার্চে দেখা যায় যারা এ ধরণের অপবাধ মূলক করমকান্ড যেমন, রাস্থা ঘাটে, অনলাইনে, স্কুল কলেজ ইত্যাদি জায়গায় উত্তাক্ত করার মত কাজে যারা সব সময় যোক্ত থাকে তাদের বেলায় নিজের দাম্পত্য জীবনে স্বামী থাকলে শ্রীর প্রতি এবং শ্রী থাকলে স্বামীর প্রতি অবিশ্বাসের প্রবনতা ৪৩% বেশি থাকে ( রিসার্চ, হ্যাপি লাইফ ) । যদি ও ইহা মানসিক দুর্বলতা এবং পুরুষ ব্যাক্তিত্তের অপবাদ ! একটু বেশি । তাই এ সব কাজ থেকে দূরে থাকলে ১০০% নিশ্চয়তা দিয়ে বলা সম্বভ বিবাহের পরে একজন তরুন, তরুণীর কাছে হিরো হিসাবে থাকবেই সারা জীবন ভর । প্লাস পয়েন্ট হিসাবে সামাজিক ,ধর্মীয় ও আইনের নিতিবোধের প্রতি সম্মানিত থাকলেন সব সময় ।

চিকিৎসা বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে ঃ–

এই সব বিষয়ে যারা জড়িত ৭৫% সম্বাভনা আছেই নিম্ন লিখিত অসুখ বিসুখে আক্রান্ত হওয়ার বা অনেকে মনে করেন বয়সে একেবারে কম তাই সেক্সুয়েল ট্রান্সমিশন জাতীয় অসুখ থাকবেনা ! সেই ধারনা ও ভুল, ঃ বি ভাইরাস ( কার শরীরে আছে বলা মুস্কিল বা ের লক্ষ্মণ অনেক বছর পর ও ধরা পড়ে বিধায় ), সিফিলিস, এইডস ভাইরাস, গনরিয়া সহ মারাত্মক অন্যান্য যৌন রোগের সংস্পর্শের ভিতরে চলে আসতে সময় লাগেনা , যদি ও প্রথম অবস্থায় তা বুজা যায়না কিন্তু কয়েক বছর পর এমনিতেই তা ধরা পরে । এ ছাড়া যদি ভাগ্যগুনে এ সব অসুখ না থাকে, তারপর ও অন্যান্য ব্যাক্টোরিয়া জাতীয় জিবানু সংক্রামণ অসুখ থাকবেই । বিশেষ করে বয়স্কদের বেলায় ৩২% বেশি থাকে ( ট্রান্সমিশন ইনফ টেক )

সেই সাথে অনোরুধ থাকবে নিম্নের বিষয় সমূহ এড়িয়ে চলা ঃ- ৭০% তরুন্দের বেলায় বয়োসন্ধিকালে হস্তমৈথুনের কারণে শরীর থেকে সমস্ত স্নায়ুবিক উক্তেজনা থমকে দাঁড়ায় বা অনেকের অঙ্গের ঠিক মত বৃদ্ধি ব্যাহত হয়ে ( এর বিশেষ কিছু নিয়ম জানা নেই বলেই তরুণদের মধ্য বয়সে এসে বা বিবাহ করার সময়ে খুভ গুরুত্বর সমস্যার বা অসুখের সম্মুখিন হতে হয় ) হরমোনের কর্মক্ষমতা কমে যায় বা অনেকের শরীর ভেঙ্গে যায় । সে জন্য তা অভ্যাসে পরিনিনত না করা ভাল ।-

পর্নোগ্রাফি বা এডাল্ট উক্তেজক বিষয় সমূহ ঃ

সদ্য প্রাপ্ত তথ্য থেকে বলা হয়েছে যারা বিভিন্ন ধরনের পর্নোগ্রাফি, অনলাইন এডাল্ট চাট বা ঐ জাতীয় কিছু করেন তাদের যৌন অনুভুতি ৪০% কমে যায় বা জীনগত পরীক্ষায় প্রমাণিত উক্ত পুরুষের আচরণ তার সন্তানের উপর প্রভাব বিস্থার করে । তাই এসব না দেখা ভাল, কারন এডাল্ট ছবি সমূহ আর বাস্থব জীবন চিত্র সম্পুন ভিন্ন , অন্য দিকে মেডিক্যাল সাইন্স অনুসারে এই জাতীয় অভ্যাসী তরুণদের গ্রন্থির ক্ষরিত রসের সাথে অথিরিক্ত ফ্রুকটোজ বাহির হয়ে যায়, যার ফলে উক্ত তরুণদের পরবর্তী পর্যায়ে শুক্রাণু দুর্বল হয়ে পড়ে সে জন্য তার দেওয়া শুক্রাণু থেকে জন্ম নেওয়া শিশু অনেক ধরণের মানসিক ভারসাম্যতা, ও মেমোরি শক্তি কম হওয়ার সম্বাভনা ৪০% বেশি থাকে । ( আমরা যে কোন শিশুর পুস্টি হিনতার জন্য সব সময় শুধু মহিলাদের কে দোষারোপ করে থাকি । আসলে জিনেটিক সাইন্স অনুসারে ইহা ও সম্পূর্ণ সঠিক নয় এবং এর মধ্যে পুরুষরা ও ২১% দায়ি যার মধ্যে শুক্রাণুর দুর্বলতা ও একটি প্রধান বিষয় ) । এ ধরনের অভ্যাসি তরুণদের দেখতে চুক্ষু কোটার গহ্বর সব সময় নিচের দিকে দাবিত থাকে এবং শরীরের যোগল মাংসপেশি সময়ের আগেই শুকিয়ে যায় । অন্য এক রিসার্চে দেখানো হয়েছে, যারা প্রায় সময় এসব দেখে অভ্যস্ত তাদের যৌন উদ্দীপনা ৩০% কমে যায় স্বাভাবিক নিয়মের চাইতে বা ৫৫% বেলায় খুভ দ্রুত বীর্যপাত পাতের মত ঘটনা ঘটে । কারন মস্থিস্কের হাইপোথ্যালামাস সঠিক ভাবে সঠিক সময়ে অণ্ডকোষের কাছে সঙ্কেত পাঠাতে পারেনা বিধায় অনেক ধরণের অসুবিধা দেখা দেয় । যারা অর্ধ বয়স্ক তাদের জন্য দুঃসংবাদ হল, তিনিদের ৩০% বেলায় পরবর্তীতে যৌন আগ্রহ হ্রাস পায় বলে প্রমাণিত । সুতারাং ইহা সাময়িক উক্তেজনা বৃদ্ধির উৎপাদক ছাড়া বাদ বাকি সব দিক দিয়ে অত্তান্ত খারাপ বলে প্রমাণিত ( ডেইলি মেডিক্যাল সাইন টেক ইনফ )

যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট বা নেশা জাতীয় দ্রব্য না খাওয়া ( সিগারেট বা তামাক ও এর আওতায় পরে ) ঃ–

অনেকেই স্বাভাবিক যৌন কর্মের সক্ষমতা থাকা সত্তেও ভিন্ন উক্তেজক ঔষধ খেয়ে থাকেন বিনা কারণে , তাও মারাত্মক ভুল বলে প্রমাণিত বরং এ ধরণের অভ্যস্ততায় মধ্য বয়সে যৌনতার ভাটা পরে ৬০% বেলায় ( প্রমাণিত ) । এ ছাড়া অন্যান্য নেশা দ্রব্য গ্রহন কারীরা ( যেমন ফেনসিডিল, ইয়াবা, গাঁজা, হেরোইন, মদ ইত্যাদি ) যৌন শক্তি লোপ সহ শরীরের ইমিউনিটি সহ স্নায়ু কোষ সমূহ ধংশ হয়ে যায় খুভ তাড়া তাড়ি ( ড্রাগস রিয়েকশন অধ্যায়ে বিস্থারিত )

সামাজিক প্রথা শিক্ষা জাতীয় ঃ

কেউ কেউ বন্ধু-বান্ধবীর কাছ থেকে সেক্স সংক্রান্ত ভুল তথ্য শিক্ষা লাভ করেন বা যারা শিখান তারা খুভ মজা করেন , অথচ আপনার এই মজা করার কারণে একটা বন্ধুর জীবনের সুখ নস্ট করে দিবেন তা মনে রাখা উচিৎ তাই শিক্ষণীয় বিষয়ে ফান না করা ভাল । এ ছাড়া অনেক তরুন তরুনি পরিবেষ ও কুলিন্নতার কারণে অনেক সময় ভাল কিছু শিখতে বা চাইলে ও সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত থাকে , তাই তাদের জন্য স্রদ্ধার সহিত অনুরোধ থাকবে বাজারের উক্তেজিত যৌন বিষয়ে লিখা সমূহ অনুসরণ না করে বিজ্ঞান ভিত্তিক লিখা সমূহ অনুসরণ করার জন্য । সেই সাথে – কিছু অবসেস্ট বা লোভি ধরনের ছেলে-মেয়ে বা বন্ধুদের কাছ থেকে ( একেবারে মূর্খ আবার বয়সে এডাল্ট ) দূরে থাকার চেস্টা করবেন , ইত্যাদি ।

প্রথম অবস্থায় যাহারা এই সব বিষয় মাথায় আনেন তাদের সচারচর যে সব অসুখের লক্ষ্মণ দেখা দিতে পারে ঃ–

রোগীদের অভিযোগ থাকে প্রস্রাব দিয়ে ক্যালসিয়াম যায়, ধাতু যায়, শরীর ক্ষয় হয়ে যায়।

কেউ কেউ হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে যায়, ফিট হয়ে যায়, বার বার মূর্ছা যায় বা অতিরিক্ত আবেগের ফলে সেক্সের সমস্যার কারণে অনেকে অবসেশনের মতো হয়ে যাওয়া ।

আবার কারও মধ্যে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা, পেট ব্যথা, মাথাব্যথা, তলপেটে ব্যথা, প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া, কিটকিট করে কামড়ানো ইত্যাদি থাকে।

লিঙ্গ ছোট-বড়, সম্মুখভাগ চিকন নিম্নভাগ মোটা, এই রকম হাজারো উদ্ভট চিন্তা মাথায় আসতে থাকা বা তার মাথায় সব সময় লিঙ্গ নিয়ে বিভ্রান্তিমূলক চিন্তা কাজ করছে ইত্যাদি

অনেকে চুপচাপ থাকে, কোন কথা বলে না, কাজ করে না, ঘুম হয় না। সব কিছুতেই নেগেটিভ চিন্তা জীবন নিয়ে, ভবিষৎ নিয়ে, সংসার নিয়ে। ধীরে ধীরে বিষন্নতার দিকে ধাবিত হয় এবং আত্মহত্যার প্রবণতা নিয়ে আসে।

অভিবাভকরা যা করেন ঃ (অভিবাবকরা বিরত থাকবেন এই সব চিন্তা থেকে )

বীর্য যাতে নষ্ট না হয় এই ভয়ে অনেক বাবা-মা ছেলেকে বিয়ে করিয়ে দেন বা মনে করেন ছেলে বা মেয়ে মানসিক ভাবে অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যেতে পারে ইত্যাদি যা সম্পূর্ণ ভুল ধারনা । ( যদি সে উপযোক্ত বয়স এবং সামাজিক ও সংসার সম্বন্ধে বুজার পূর্ণ ক্ষমতা রাখে তা হলে বিয়ে করানোই ভাল , তারপর ও আর্থিক সচ্ছলতার উপর নির্ভর করে সব কিছু । ) কেউ কেউ এই সব সমস্যা নিয়ে ফকির-কবিরাজ, বিভিন্ন ডাক্তার দেখিয়ে ঘুরে বেড়িয়ে সর্বস্বান্ত হয়ে যান , যা মোটেই করা উচিৎ নয় । তারপর ও যদি বুজতে হয় তা হলে ভাল মানসিক ও যৌন রোগ বিশেষজ্ঞ কে দেখালে তিনি সঠিক পরামর্ষ বা সমাধার পথ বের করে দিবেন ।

অভিবাবক কে তার সন্তানের জন্য যা করা উচিৎ এই সময় ঃ-

সেই ছেলে বা মেয়ে কে নিজ ধর্মীয় উপদেশ সমূহ মেনে চলার জন্য চাপ প্রয়োগ করা – সামাজিক দায়িত্ব বা সাংসারিক কিছু কাজ কর্মের চাপ বাড়িয়ে দেওয়া । লেখা পড়া করতে থাকলে সে দিকে ভাল কিছু করার জন্য উৎসাহ জোগিয়ে, সে দিকে দাবিত করা । কিছু ঝাঁজালো বন্ধু বান্ধব থাকলে তাদের সং ত্যাগ করার চেস্টা করা এবং ভাল বন্ধুদের সাথে চলতে দেওয়া । খেলা ধুলা বা ভিন্ন সামাজিক সহযোগিতামূলক কাজে সাহায্য করার জন্য উৎসাহ দেওয়া ইত্যাদি । যাহাতে সে নিজে নিজেই মানসিক অবস্থার পরিবর্তন করতে পারে । ৯৯% ভাবে বলা যায় ে ধরণের ভোক্ত ভোগিরা যে কোন ভাবে মানসিক অবস্থার পরিবর্তন ও বদ অভ্যাস পরিবর্তন করলে তা সেরে যাবে যা চিকিৎসা বিজ্ঞানে এই সব বিষয় কে অসুখ বলা হয়না বরং বদ অভ্যাসী ছেলে বা মেয়ে বলা হয় ।

টেস্টারন ( ডাঃ হেলাল কামালি )

টেস্টারন কি ঃ ( brand name for testosterone formulations); 4-androsten-17β-ol-3-one. )

ইহা একটি যৌন হরমোন যা পুরুষের বেলায় টেস্টিস বা অণ্ডকোষ এবং নারীদের বেলায় ডিম্বাশয় থেকে উৎপন্ন হয় ( কিছু কিছু টেস্টারন এড্রিনাল গ্লেন্ড থেকে আসতে দেখা যায়, যা মহিলাদের বেলায় হয়ে থাকে , যেহেতু তাদের অণ্ডকোষ নাই ) । পুরুষের ক্ষেত্রে এই হরমোন তার যৌবন সূচনার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পুরুষত্ব কে সঠিক জায়গা মত ধরে রাখতে অত্তান্ত গুরুত্ব পূর্ণ ভুমিকা পালন করে । টেস্টোরন হরমোন, পুরুষ হরমোন হলেও নারী-পুরুষ উভয়ের দেহে টেস্টোসটেরন উৎপাদিত হয়। পুরুষদের দেহে পুরুষালি লক্ষণ যেমন কণ্ঠস্বর ভরাট, দাড়ি-গোঁফ গজানো এবং মাংসপেশির প্রশস্ততা,মহিলাদের শুক্রাণু ও ডিম্বাণুর শক্তির উর্বরতা ইত্যাদি এই হরমোনের কারণে দেখা দেয়। টেস্টোসটেরন হরমোন পুরুষদের যৌন অনুভূতি, চেতনা ও পুরুষাঙ্গের উত্থান ক্ষমতা বা পুরুষের সেক্সুয়েল উগ্রতা, বিশেষ কার্যকর ভূমিকা পালন করে। ( অবশ্য সেই সাথে dihydrotestosterone হরমোন ও প্রয়োজন ) ।

মহিলাদের বেলায় ওভারিতে মহিলা সেক্স হরমোন ইস্ট্রোডেল কে সুন্দর ভাবে রুপান্তর করতে বিশেষ গুরুত্ব পূর্ণ তবে মহিলাদের বেলায় এর পরিমাণ ও খুভি কম থাকে এবং সামঞ্জস্য বিধানের জন্য মহিলা সেক্স হরমোন ( বিশেষ করে প্রোজেস্টারন কে ) নিয়ন্ত্রণ করে ।

কিভাবে টেস্টারন কাজ করে ?

টেস্টারন খুভি সুক্ষ ভাবে শরীরের রক্তের মান নিয়ন্ত্রণ কে রক্ষা করে বিধায় সকালের রক্ত পরীক্ষায় এর সর্ব উচ্চ ফলাফল আসা করা যায় । সাধারণত হাইপোথ্যালামাস এবং পিটুইটারি অণ্ডকোষের উৎপাদিত মোট টেস্টারন কি পরিমাণ বাড়াবে কমাবে তা নিয়ন্ত্রণ করে । যখন অণ্ডকোষে টেস্টারনের ঘাটতি মনে করে ঠিক তখনি গোনাডট্রপিক হরমোন luteinising উৎপাদন করে রক্তে পাটিয়ে দেয় এবং সেখান থেকে টেস্টিস সেই রেস্পন্সে সারা দিয়েই টেস্টারন উৎপাদন করে । যদি কোন কারণে অণ্ডকোষে তা রেসপন্স করতে ব্যাথ হয় তা হলে পুরুষ বা মহিলাদের , কিশোর বয়সে যৌন অঙ্গের ভিন্ন ত্রুটি সহ বন্ধ্যত্ব এবং পূর্ণ বয়স্কের বেলায় খুভ তাড়া তাড়ি বার্ধক্য দেখা দিতে পারে বলে মনে করা হয় ।

টেস্টারন কম হলে কি কি সমস্যা দেখা দিতে পারে ?

এই হরমোনের অভাবে পুরুষদের মাংসপেশি ও হাড় দিন দিন দুর্বল হয়ে যেতে পারে। সেই সাথে এর অভাবে ও স্বল্পতায় যৌন উদ্দীপনা ও আগ্রহ এবং ক্ষমতা এবং বিশেষ করে পুরুষাঙ্গের উত্থান ক্ষমতা কমে যেতে পারে। বাইরে থেকে প্রয়োগকৃত হরমোন ব্যবহারে এই সমস্যাগুলো কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। কারণ এর ফলে হরমোনের স্বাভাবিক মাত্রা বজায় রাখা যায় কিন্তু তা ক্ষণস্থায়ী বিধায় চেস্টা করবেন ন্যাচারেল ভাবে শরীরে টেস্টারন যে ভাবে উৎপন্ন হয় সেই ব্যাবস্থা করার ।

টেস্টারনের অধিক মাত্রায় কি দেখা দিতে পারে ? ঃ-

যদি বয়স প্রবৃদ্ধির আগে ছেলে বা মেয়েদের বেলায় টেস্টারন একটু বেশি দেখা যায় তা হলে খুভি তাড়া তাড়ি তার যৌন অনুভূতির অঙ্গ সমূহ বৃদ্ধি পেতে পারে বা তার আচার আচরণ স্বাভাবিকের চেয়ে একটু ভিন্ন রকম দেখতে মনে হবে ( false growth spurt ) এবং মহিলাদের টেস্টারনের মাত্রা বেশি হলে মুখে দাঁড়ি , কণ্ঠস্বর পুরুষের মত , খুভ বেশি মুখে ব্রুন হওয়া, মাথার সম্মুখভাগের চুলের গোড়া থেকে রক্ত ঝরা সহ পুরুষের মত অন্যান্য আচার আচরণ দেখা দিয়ে থাকে । কোন কোন ক্ষেত্রে ওভারিয়ান ক্যান্সার হতে ও দেখা যায় ( যদি হঠাত করে দেখা দেয় ) ওপর দিকে পুরুষ দের বেলায় অতিরিক্ত টেস্টারনের মাত্রা দেখা দিলে , পুরুষ বন্ধ্যাত্ত , যৌন শক্তি হ্রাস , পুরুষ স্তনে মেদ বহুল বৃদ্ধি , স্বভাবের পরিবর্তন ( কটোর উগ্র মিজাজি ) প্রস্টেট গ্রন্থি বড় হওয়া , দেহের চর্বি কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাওয়া সহ হৃদরোগের মত অন্যান্য মারাত্মক অসুখ দেখা দিতে পারে ।

টেস্টারনের স্বাভাবিক মাত্রা ঃ– পুরুষের 300 -1,000 ng/dL এবং মহিলার 15 – 70 ng/dL (ng/dL = nanograms per deciliter )

চিকিৎসা বিজ্ঞান অনুসারে- চিকিৎসকরা টেস্টারন ঔষধ হিসাবে যে যে কাজে ব্যাবহার করে থাকেন ঃ–

পুরুষ ঃ ( বালকদের বেলায়) এর বৃদ্ধি তে খুভ ছোট বয়সে পুরুষত্বের সকল লক্ষ্মণ দেখা দেওয়া অথবা এর কমতিতে খুব দেরিতে পুরুষত্ব দেখা না দেওয়া । বিশেষ করে তখন তার বাহু এবং পায়ের মাংস পেশী সমূহ বেশ বড় দেখাবে শরীরের অন্যান্য অংশের চাইতে । (পুরুষ দের বেলায় গড়ে বয়স ১২ নিছে ছোট এবং ১৬ উপরে বড় ধরা হয় )

তরুন ও মধ্য বয়সী পুরুষদের বেলায় ঃ– মাতার টাক বেশি হওয়া বা চুল একেবারে ঝরে পড়া, পরুষের পুরুষত্বহীনতা , যৌন উক্তেজনা হারিয়ে ফেলা বা একেবারে কমে যাওয়া , পুরুষের হাড় একেবারে পাতলা হয়ে যাওয়া বা মাংসপেশি সমূহের খিল ধরা বা এর শক্তি কমে যাওয়া , অথবা বন্ধ্যাত্ত ইত্যাদি দেখা দিলে চিকিৎসকরা টেস্টারন ব্যাবহার করে থাকেন তবে অবশ্যই টেস্টারনের ভলিউম পরিক্ষা করে –

পূর্ণ বয়স্কদের বেলায় এর অভাবে ঃ- পুরুষত্বহীনতা , যৌন উক্তেজনা হারিয়ে ফেলা বা একেবারে কমে যাওয়া বা হঠাত করে যৌন শক্তির আগ্রহ একেবারে হ্রাস পাওয়া, শারীরিক ক্ষমতা হ্রাস, (decreased sex drive), শরীর দুর্বল হয়ে পড়া এবং পেশীর গঠন শিথিল হয়ে যাওয়া সহ মেমরি ক্ষতি এবং ঘুম সমস্যা দেখা দিতে পারে ।

মহিলাদের বেলায় টেস্টারন বেশি বৃদ্ধি পেলে ঃ– স্থনের আকার একেবারে ছোট হওয়া , অতিরিক্ত চুল বৃদ্ধি ( মুখ বা বুকে ) , ভগাঙ্কুরের (clitoris ) আকার অতিরিক্ত বেড়ে গেলে , অনিয়মিত মাসিক- বিশেষ করে মাসিকের উপস্থিতি একেবারে কমে গেলে ,পুরুষ প্যাটার্ন টাক বা চুল পাতলা হয়ে যাওয়া ইত্যাদি

সর্বশেষ তথ্য ঃ-

যদি ও পৃথিবীর সর্বত্র বার্ধক্যজনিত অসুখের কাছা কাছি প্রায় পুরুষরা শারীরিক ক্ষমতা হ্রাস, (decreased sex drive), শরীর দুর্বল হয়ে পড়া এবং পেশীর গঠন শিথিল হওয়ার মত অবস্থা দেখা দিলে বা শরীর ধরে রাখার জন্য, টেস্টারন হরমোন জাতীয় ইঞ্জেকশন দেওয়ার জন্য খুভ বেশি ব্যাস্থ হয়ে পড়েন বা ৭০% বেলায় বার্ধক্য জনিত অসুখের প্রথম স্থরে ভাল কাজ করে একমত বলা গেলেও এর অপরিকল্পিত ব্যাবহারে প্রস্টেট ক্যানসার হওয়ার ঝুকি ও বেশি সেই কথাটি ভুলবেন না বা এই সব ড্রাগসের ব্যাবহার অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্ষ ছাড়া ব্যাবহার করবেন না ।

টেস্টারন বৃদ্ধি করতে পারে এমন সব কিছু প্রমাণিত ভেষজ ঃ

( হরমোন কে ডায়রেক্ট কোন ভেষজ বা ঔষধ উৎপাদন করতে পারেনা, সে জন্য ২৯- ৩৯ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় । আমার ক্ষুদ্র অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি যে কোন পুস্টিকর খাবার বিশেষ করে প্রোটিন ও ভিটামিন জাতীয় খাবার ঠিক মত গ্রহন করলে প্রাকৃতিক উপায়ে এমিনিতেই শরীরের হরমোন পুরন করবেই । তবে আর ও ভাল হয় সেই সাথে যদি নিত্ত দৈহিক কাজ করেন যা ( পেশি শক্তির কাজ ), তা হলে মেটাবলিক প্রক্রিয়া বৃদ্ধি পেয়ে আর ও ভাল হবে । তারপর ও পৃথিবীর সেরা কিছু কিছু ভেষজ ও সাপ্লিমেন্ট জাতীয় ঔষধি নিছে তুলে ধরলাম ) ঃ-

যদি একান্ত ভাবেই আপনার হরমোনের প্রয়োজন হয় তাহলে, এসব ঔষধি গ্রহন করার সাথে সাথে আপনার উচিৎ মাংসপেশির ব্যায়াম করা ( বা যে রকম কাজ করলে আপনার শরীরের মাংস পেশী সমূহ শক্ত ও মজবুত থাকে তাই করা উচিৎ এবং দেখবেন কয়েক সপ্তাহের ভিতর আপনার শরীরের হরমোন এমনিতেই বৃদ্ধি পাবে -নিচের ঔষধি বর্তমানে পৃথিবীর সেরা স্পটস সেন্টারে খুভ বেশি সমাধ্রিত বা স্পটস মেডিসিনের আওতাভোক্ত — বা এই সব ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া খুভি কম )

D-Apartic Acid ঃ- যদি প্রতিদিন সকালে দৈনিক ৩ গ্রাম করে একটানা ৩ সপ্তাহ খেতে পারেন ( যা বাজারে বা স্পোর্টস সেন্টারে D-Apartic Acid ট্যাবলেট হিসাবে পাওয়া যায় – বা প্রয়োজনে একজন পুস্টি বিশেষজ্ঞের পরামর্ষ নিতে পারেন ) ইহা খুভি তাড়া তাড়ি অন্যান্য হরমোনের সাথে মিশে গিয়ে টেস্টারন হরমোন কে বৃদ্ধি করে- ৭১% কার্যকর একটি সাপ্লিমেন্টারী ঔষধ ( প্রমাণিত – মেডি ল্যাব )

Tribulus Terestris নামে একটি ভেষজ ঔষধ ( বাজারে ট্যাবলেট আকারে পাওয়া যায়। যদিও বর্তমানে বাজারে ের অনেক নকল ঔষধ বাহির হয়েছে, সে জন্য আসল ব্যান্ড দেখে কিনবেন ) দৈনিক 300-600mg কয়েক সপ্তাহ খেয়ে দেখতে পারেন ( ইহা পিটুইটারি গ্লেন্ড কে স্টিমোলেট করে টেস্টারন হরমোন বৃদ্ধিতে বেশ ভাল কার্যকর প্রমাণিত – মেডি ল্যাব )

ZMA ট্যাবলেট ( এক ধরণের জিঙ্ক ) ঃ- ঘুমানোর ৩০ মিনিট আগে প্রতিদিন একটি করে খেলে ভাল উপকার পাওয়ার কথা ( ZMA is a testosterone boosting products consisting of three different ingredients. ZMA stands for: Zinc (as l-monmethionine and aspartate), Magnesium (as aspartate), and Vitamin B6 (as pyridoxine HCL )

Longjack ট্যাবলেট ( বাজারে কিনতে পাওয়া যায়, যদি ও খুভ দামি তারপর এখন পৃথিবীর সর্বত্র বেশ সমাধ্রিত একটি ভেশজ ঔষধ ) প্রতিদিন 200-600mg বা ১ টা করে দুইবার খেতে পারেন – ( ক্যানাডিয়ান কোম্পনির ঔষধ সমূহ বেশ উন্নত )

বাংলাদেশ বা সাউথ এশিয়ান অঞ্চলের উদ্ভিদ Fenugreek বা মেথি বীজ বেশ কার্যকর বলে দাবী করা হয়েছে ( ইন্ডিয়ান রিসার্চ ল্যাব ) কেন না মেথি বীজে থেকে নিষ্কাশিত হয় অ্যামিনো অ্যাসিড, ( 4 hydroxyisoleucine ) , OH-LLE অ্যামিনো, ট্রিপটোফেন, choline, নিয়াসিন, পটাসিয়াম, এবং অ্যাসকরবিক অ্যাসিড সমূহ সে জন্য হরমোন উতপাদনের বেশ গুরুত্বপূর্ণ উপাদান । অন্যদিকে ইহা পটাসিয়াম এবং নিয়াসিন ইমিউন সিস্টেম এর ক্রিয়ার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিধায় মহিলাদের দুধ বৃদ্ধিতে ও সহায়ক । প্রতিদিন মেথি বীজের ট্যাবলেট ৫০০ মিঃগ্রাঃ করে ২৮ দিন খেয়ে যেতে পারেন ( The herb Fenugreek is native to southern Europe and western Asia, and it is a herb similar to Tribulus Terrestris. One study on 30 young males indicated that 500 mg of Fenugreek increased total and free testosterone by 7% and 12%, respectively. This isn’t a big increase, but it also seems that Fenugreek inhibits the conversion of testosterone to DHT and estrogen. )

এবারে জেনে নিন কি ধরণের খাবারে সবচেয়ে বেশি টেস্টারন হরমোন শরীরে পরোক্ষ ভাবে উৎপাদনে সহায়তা করে ঃ–

ভিটামিন সি জাতীয় খাবার ( কারন ভিটামিন সি একটি এন্টিটক্সাইড বিধায় শরীরের ইমিউনিটি সিস্টেম কে বাড়াতে সাহায্য করে , সেই হিসাবে করটিসল কে কমিয়ে বেসিক হরমোন বাড়িয়ে থাকে- অন্য দিকে আরেক গবেষণায় দেখা যায় ভিটামিন সি কিছু এনজাইম বৃদ্ধি করে আবার সেই এনজাইম টেস্টারন ও ইস্ট্রোন হরমোন সমূহ কে বাড়িয়ে দেয় )

ভিটামিন এ জাতীয় খাবার ঃ- ( কারন ভিটামিন এ Sertoli কোষ কে বাড়িয়ে প্রচুর প্রোটিন -৪, (which transports IGF), androgen-binding protein (which transports androgens), সমূহ কে বাড়িয়ে দেয় – তখন এই হরমোন সমূহ টেস্টারন হরমোন সরাসরি অণ্ডকোষ থেকে উৎপাদন করতে সহায়তা করে তবে ভিটামিন এ ইস্ট্রোন হরমোন কে কমিয়ে দেয় )

ভিটামিন বি জাতীয় খাবার ঃ০ ভিটামিন সমুহের মধ্যে টেস্টারন হরমোন কে সবচেয়ে বেশি বাড়িয়ে দিতে সাহায্য করে বি৬ এবং বি১২ সে জন্য শিম সবুজ শাঁক সবজি, ডিম, ও ডায়েরী প্রোডক্ট জাতীয় খাবার খুভ বেশি খাওয়া ভাল ।

জিঙ্ক সমৃদ্ধ খাবার ঃ- এ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ভাল টেস্টারন হরমোন কে বাড়ানোর জন্য জিঙ্ক জাতীয় খাবারের কথাই বলা হয় ( গবেষণা থেকে প্রতীয়মান হয় যে ৯০% পুরুষের বেলায় যারা উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন জিঙ্ক খাবার গ্রহন করেন তাদের বেলায় টেস্টারন হরমোনের ঘাতটি খুভ কম । কেন না জিঙ্ক জাতীয় খাবার টেস্টিকুলার কোষ সমূহের শক্তি কমিয়ে লিপিডসে রুপান্তরিত করে এবং প্রচুর লিপিডস উৎপাদন করে পর্যায়ক্রমে টেস্টারন বাড়িয়ে দেয় – জিঙ্ক খাবার ঃ- লাল মাংস , কচি মুরগের বাচ্চা , বাদাম, বাদামি চাল, দুধ ইত্যাদি –

সবাধানতা ঃ– যদি রক্তে হাই কোলেস্টারল, উচ্চ রক্ত চাপ বা হার্টের মাংসপেশির কোন অসুখ থাকে তা হলে এ ধরণের খাবার অবশ্যই এড়িয়ে চলতে হবে ( পুরুষের যৌন রোগ অধ্যায়ে অন্যান্য বিষয় জানতে পারবেন ) — ধন্যবাদ

বিষয়: বিবিধ

৯৪৪৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File