আল্লাহ্র নৈকট্য লাভের একমাএ উপায়ঃ তওবাহ
লিখেছেন লিখেছেন জীবরাইলের ডানা ২১ জানুয়ারি, ২০১৬, ১১:০৩:৫০ রাত
إِنَّ الْحَمْدُ للهِ ، نَحْمَدُهُ وَنَسْتَعِيْنُهُ وَنَسْتَغْفِرُهُ ، وَنَعُـوْذُ بِاللهِ مِنْ شُرُوْرِ أَنْفُسِنَا ، وَمِنْ سَيِّئَاتِ أَعْمَالِنَا ، مَنْ يَّهْدِهِ اللهُ فَلاَ مُضِلَّ لَهُ ، وَمَنْ يُّضْلِلِ اللهُ فَلاَ هَادِيَ لَهُ ، وَأَشْهَدُ أَنْ لاَّ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيْكَ لَهُ ، وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُوْلُهُ নিশ্চয়ই যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহ তা‘আলার জন্য। আমরা তারই প্রশংসা করি, তার কাছে সাহায্য চাই, তার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করি। আল্লাহর নিকট আমরা আমাদের প্রবৃত্তির অনিষ্ট ও আমাদের কর্মসমূহের খারাবী থেকে আশ্রয় কামনা করি। আল্লাহ যাকে হেদায়েত দেন, তাকে গোমরাহ করার কেউ নাই। আর যাকে গোমরাহ করেন তাকে হেদায়েত দেয়ার কেউ নাই। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, আল্লাহ ছাড়া কোন সত্যিকার ইলাহ নেই, তিনি একক, তার কোন শরিক নাই। আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর বান্দা ও রাসূল। সালাত ও সালাম নাযিল হোক তার উপর, তার পরিবার-পরিজন ও তার সাহাবীদের উপর এবং যারা কিয়ামত পর্যন্ত ইহসানের সাথে তাদের অনুসরণ করেন তাদের উপর। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন স্বীয় বান্দাদের প্রতি অধিক দয়ালু ও ক্ষমাশীল। তিনি তার বান্দাদের যে কোন উপায়ে ক্ষমা করতে ও তাদের প্রতি সহানুভূতি প্রদর্শন করতে পছন্দ করেন। আল্লাহ তা’আলা মানুষের ছোট গুনাহ কেবল নেক আমল করা দ্বারাই ক্ষমা করে দেন। কিন্তু কবীরা গুনাহ তাওবা ছাড়া ক্ষমা করা হয় না। তাই কবীরা গুনাহ হতে ক্ষমা পাওয়ার জন্য তাওবা করা জরুরি। আমরা মনে করি মুখে শুধু ‘আসতাগফিরুল্লাহ’ বলার নামই তাওবা। বাস্তবে তা কিন্তু তাওবা নয়। বাস্তবে তাওবা কাকে বলে, তাওবা কবুল হওয়ার শর্ত, তাওবার প্রতিবন্ধকতা, তাওবা করার প্রদ্ধতি, তাওবা কবুল হওয়ার আলামত ইত্যাদি বিষয়গুলো এ বইটিতে আলোচনা করা হয়েছে। আল্লাহর নিকট কামনা তিনি যেন আমাদের আমলকে কবুল করেন এবং আল্লাহর নিকট খালেস তাওবা করার তাওফীক দেন। আমীন।
বিষয়: বিবিধ
১২৮৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন