পৃথিবীটা অনেক সুন্দর সুখ শান্তি কষ্ট রাগ অভিমান দুর্বিপাক ভুল ভ্রান্তি আছে বলেই জীবনটাও সুন্দর। নিজেকে এমন ভাবে গড়ে তুলো জীবন নামের এই যুদ্ধে তুমি নয় বরং যেন পৃথিবী তোমার অপেক্ষায় থাকে। কষ্ট মানুষের জীবন সঙ্গী।
লিখেছেন লিখেছেন আরোহি হাছান ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১১:০৯:১০ রাত
-মেয়েটি রাতের ৩টা বাজে যখন আমাকে বললো সে বিষ খেয়েছে তখন আমার ওহ জাতীয় আক্ষেপ করা ছাড়া কিছুই বলার ছিলোনা।
দু চোঁখের কোণে পানি জমাট বেধেছিলো।
বারবার নিজেকে প্রশ্ন করেছিলাম পৃথিবীটা কেন এমন?
-রাতের ৩টায় যখন সবাই ঘুমে বিভোর
তখন সে চিৎকার করতে করতে বলে আমি বাঁচতে চাই..
তখন তাকে বাঁচানোর কিছু টিপস দেয়া ছাড়া আমার আর কোনো সাধ্য ছিলোনা।
বাধাটা সেখানেই তার কাছ থেকে আমি শত মাইল দূরে।
কাছে থাকলেও বা কি করতে পারতাম?
মেয়েটি কেন খাওয়ার আগে বুঝেনি সে বাঁচতে চাইবে
হয়তো আবেগীয় কষ্ট থেকেই এমন নিকৃষ্ট উদ্যোগ নিতে বাধ্য।
-যে ছেলেটি মরতে গিয়ে রেললাইনের পাশে দাঁড়িয়ে ট্রেন আসা মাত্র ঝাপ দিবে।
সে ছেলেটিও ট্রেন আসার আগমুহূর্ত পর্যন্ত একটি বার পৃথিবীটাকে সুন্দর দৃষ্টিতে দেখতে চায়।
সেও ভাবে আমি মরবো কেন?
যার জন্য মরবো সে কি কখনো আমাকে দেখবে আসবে?
-যে ছেলেটি হাতের উপর ব্যালেট দিয়ে ইচ্ছে মত কুচিকুচি করে কেটে নিজেকে রক্তাক্ত করে দেয়।
ব্যথার যন্ত্রণায় সেও তখন নিজেকে বলে উঠে আমি কেন হাত কাটতেছি?
যার জন্য কাটছি সে কি আমার জন্য কাটছে?
-যখন মেয়েটি কষ্ট সহ্য না করতে পেড়ে ঘুমের ট্যাবলেট খেতে খেতে কিডনি শ্বাসনালীতে জঙ ধরিয়ে মাসের পর মাস হাসপাতালের বেডে শুয়ে থাকে।
সে মেয়েটিও ত্যক্ত হয়ে হঠাৎ একদিন বলে উঠে আমি আর কারাবন্দী থাকতে চাইনা।
আমি পৃথিবীটাকে দেখতে চাই, আমি বাঁচতে চাই।
-যখন মেয়েটি গাড়ির নিছে ঝাপ দেয়ার প্রস্তুতি নেয়
গাড়ি আসার আগমুহূর্তে একবার হলেও ভাবে
ঝাপ দেয়ার পর কি হবে।
হয়তো গাড়ি আমাকে চেপে চলে যাবে, আমার দেহ টুকরোটুকরো হয়ে পরে থাকবে রাস্তার ধারে„ কুকুর শিয়াল এসে আমাকে খাবে„ কেউ আমাকে চিনতে পারবেনা„ আমার মায়ের ১০মাস ১০দিনের কষ্টের কি হবে?
আমাকে এত বড় করে তুলা আমার মা বাবাদের কি হবে?
আমি মরবো কেন?
যার জন্য মরবো সে কি আমার রক্তাক্ত দেহ দেখতে আসবে?
-যে মেয়েটি বিষের বোতল হাতে নিয়ে আত্মহত্যা করার পরবর্তী মুহূর্ত গুলো ভেবে দেখে, তার মা'য়ের ১০মাস ১০দিনের কষ্ট কেমন ছিলো।
সে মেয়েটিও হঠাৎ বলে উঠে যার জন্য আত্মহত্যা করবো সে কি ব্যথা পাবে?
একটা অকৃতজ্ঞর জন্য আত্মহত্যা করবো কেন?
হয়তো মেয়েটি তখন বিষের বোতল অগ্রাহ্য করে ছুড়ে ফেলে দিবে।
প্রতিজ্ঞা করবে নিজেকে নতুন করে বাঁচতে আগ্রহী হয়ে উঠবে।
-যে ছেলেটির ঘরে বাহিরে যেদিকে যায় সেদিকে শুধু কষ্ট আর হেয় কটাক্ষ শুনতে শুনতে এমন একটা সময় নিজেকে আত্মহত্যার পথ বেঁচে নেয়।
পরিবার প্রিয়জনের মান সম্মানহারার ভয়ে নেশা করে নিজেকে তিলে তিলে শেষ করে দেয়।
সে ছেলেও বীভৎস জীবনের শেষ মুহূর্তে বাঁচতে আগ্রহী হয়ে থাকে।
-যে ছেলে পরিবার প্রিয়জনের সম্মানহারার ভয়ে নেশা করে সে ছেলেও নেশাগ্রস্ত অবস্থায় নিজেকে জিজ্ঞেস করে এগুলো কি আমি ঠিক করতেছি?
কার জন্য নেশা করতেছি? যার জন্য নেশা করবো সে কি আমার মা বাবার কষ্টের ভাগিদার হবে?
-উপরের সবাই একজীবনে বহুবার শুনেছে এই একটি কথা (আমাকে দিয়ে কিচ্ছু হবেনা)
-তারা সবাই বাঁচতে চায় জীবনটাকে সুন্দর করে সাজিয়ে তুলতে প্রচণ্ড আগ্রহী হয়ে থাকে।
এড়া স্বপ্নড়ব হয়ে নানান স্বপ্ন দেখে„ স্বপ্নের মাঝে পুকুরপাড়ে হাঁটতে হঠাৎ পা পিছলে পরে যায়।
সাঁতার কেটে পাড়ে উঠার জন্য চেষ্টা করতে থাকে কিন্তু পাকুরপাড়ে দাঁড়িয়ে থাকা অদ্ভুত কিছু জন্তু তাদের উঠতে দেয়না।
যতবারই উঠতে চেষ্টা করে ঠিক ততবারই তাকে লাত্থি মেরে ফেলে দেয়।
-ইভানের একটা কথাঃ কিছুকিছু ময়লা আছে এগুলোকে ডাস্টবিনে ফেললেও দুর্গন্ধ ছড়ায় কাজেই এগুলোকে পুড়িয়ে ফেলা তাহলে আর দুর্গন্ধ ছড়াবে না।
-পৃথিবীটা অনেক সুন্দর
সুখ শান্তি কষ্ট রাগ অভিমান দুর্বিপাক ভুল ভ্রান্তি আছে বলেই জীবনটাও সুন্দর।
নিজেকে এমন ভাবে গড়ে তুলো জীবন নামের এই যুদ্ধে
তুমি নয় বরং যেন পৃথিবী তোমার অপেক্ষায় থাকে।
কষ্ট মানুষের জীবন সঙ্গী।
যার জীবনে কষ্ট নেই তার জীবনতো মূল্যহীন।
ভালো থেকো তোমরা জীবন নামের এই যুদ্ধে এই কামনা করি সবসময়।-মেয়েটি রাতের ৩টা বাজে যখন আমাকে বললো সে বিষ খেয়েছে তখন আমার ওহ জাতীয় আক্ষেপ করা ছাড়া কিছুই বলার ছিলোনা।
দু চোঁখের কোণে পানি জমাট বেধেছিলো।
বারবার নিজেকে প্রশ্ন করেছিলাম পৃথিবীটা কেন এমন?
-রাতের ৩টায় যখন সবাই ঘুমে বিভোর
তখন সে চিৎকার করতে করতে বলে আমি বাঁচতে চাই..
তখন তাকে বাঁচানোর কিছু টিপস দেয়া ছাড়া আমার আর কোনো সাধ্য ছিলোনা।
বাধাটা সেখানেই তার কাছ থেকে আমি শত মাইল দূরে।
কাছে থাকলেও বা কি করতে পারতাম?
মেয়েটি কেন খাওয়ার আগে বুঝেনি সে বাঁচতে চাইবে
হয়তো আবেগীয় কষ্ট থেকেই এমন নিকৃষ্ট উদ্যোগ নিতে বাধ্য।
-যে ছেলেটি মরতে গিয়ে রেললাইনের পাশে দাঁড়িয়ে ট্রেন আসা মাত্র ঝাপ দিবে।
সে ছেলেটিও ট্রেন আসার আগমুহূর্ত পর্যন্ত একটি বার পৃথিবীটাকে সুন্দর দৃষ্টিতে দেখতে চায়।
সেও ভাবে আমি মরবো কেন?
যার জন্য মরবো সে কি কখনো আমাকে দেখবে আসবে?
-যে ছেলেটি হাতের উপর ব্যালেট দিয়ে ইচ্ছে মত কুচিকুচি করে কেটে নিজেকে রক্তাক্ত করে দেয়।
ব্যথার যন্ত্রণায় সেও তখন নিজেকে বলে উঠে আমি কেন হাত কাটতেছি?
যার জন্য কাটছি সে কি আমার জন্য কাটছে?
-যখন মেয়েটি কষ্ট সহ্য না করতে পেড়ে ঘুমের ট্যাবলেট খেতে খেতে কিডনি শ্বাসনালীতে জঙ ধরিয়ে মাসের পর মাস হাসপাতালের বেডে শুয়ে থাকে।
সে মেয়েটিও ত্যক্ত হয়ে হঠাৎ একদিন বলে উঠে আমি আর কারাবন্দী থাকতে চাইনা।
আমি পৃথিবীটাকে দেখতে চাই, আমি বাঁচতে চাই।
-যখন মেয়েটি গাড়ির নিছে ঝাপ দেয়ার প্রস্তুতি নেয়
গাড়ি আসার আগমুহূর্তে একবার হলেও ভাবে
ঝাপ দেয়ার পর কি হবে।
হয়তো গাড়ি আমাকে চেপে চলে যাবে, আমার দেহ টুকরোটুকরো হয়ে পরে থাকবে রাস্তার ধারে„ কুকুর শিয়াল এসে আমাকে খাবে„ কেউ আমাকে চিনতে পারবেনা„ আমার মায়ের ১০মাস ১০দিনের কষ্টের কি হবে?
আমাকে এত বড় করে তুলা আমার মা বাবাদের কি হবে?
আমি মরবো কেন?
যার জন্য মরবো সে কি আমার রক্তাক্ত দেহ দেখতে আসবে?
-যে মেয়েটি বিষের বোতল হাতে নিয়ে আত্মহত্যা করার পরবর্তী মুহূর্ত গুলো ভেবে দেখে, তার মা'য়ের ১০মাস ১০দিনের কষ্ট কেমন ছিলো।
সে মেয়েটিও হঠাৎ বলে উঠে যার জন্য আত্মহত্যা করবো সে কি ব্যথা পাবে?
একটা অকৃতজ্ঞর জন্য আত্মহত্যা করবো কেন?
হয়তো মেয়েটি তখন বিষের বোতল অগ্রাহ্য করে ছুড়ে ফেলে দিবে।
প্রতিজ্ঞা করবে নিজেকে নতুন করে বাঁচতে আগ্রহী হয়ে উঠবে।
-যে ছেলেটির ঘরে বাহিরে যেদিকে যায় সেদিকে শুধু কষ্ট আর হেয় কটাক্ষ শুনতে শুনতে এমন একটা সময় নিজেকে আত্মহত্যার পথ বেঁচে নেয়।
পরিবার প্রিয়জনের মান সম্মানহারার ভয়ে নেশা করে নিজেকে তিলে তিলে শেষ করে দেয়।
সে ছেলেও বীভৎস জীবনের শেষ মুহূর্তে বাঁচতে আগ্রহী হয়ে থাকে।
-যে ছেলে পরিবার প্রিয়জনের সম্মানহারার ভয়ে নেশা করে সে ছেলেও নেশাগ্রস্ত অবস্থায় নিজেকে জিজ্ঞেস করে এগুলো কি আমি ঠিক করতেছি?
কার জন্য নেশা করতেছি? যার জন্য নেশা করবো সে কি আমার মা বাবার কষ্টের ভাগিদার হবে?
-উপরের সবাই একজীবনে বহুবার শুনেছে এই একটি কথা (আমাকে দিয়ে কিচ্ছু হবেনা)
-তারা সবাই বাঁচতে চায় জীবনটাকে সুন্দর করে সাজিয়ে তুলতে প্রচণ্ড আগ্রহী হয়ে থাকে।
এড়া স্বপ্নড়ব হয়ে নানান স্বপ্ন দেখে„ স্বপ্নের মাঝে পুকুরপাড়ে হাঁটতে হঠাৎ পা পিছলে পরে যায়।
সাঁতার কেটে পাড়ে উঠার জন্য চেষ্টা করতে থাকে কিন্তু পাকুরপাড়ে দাঁড়িয়ে থাকা অদ্ভুত কিছু জন্তু তাদের উঠতে দেয়না।
যতবারই উঠতে চেষ্টা করে ঠিক ততবারই তাকে লাত্থি মেরে ফেলে দেয়।
-ইভানের একটা কথাঃ কিছুকিছু ময়লা আছে এগুলোকে ডাস্টবিনে ফেললেও দুর্গন্ধ ছড়ায় কাজেই এগুলোকে পুড়িয়ে ফেলা তাহলে আর দুর্গন্ধ ছড়াবে না।
-পৃথিবীটা অনেক সুন্দর
সুখ শান্তি কষ্ট রাগ অভিমান দুর্বিপাক ভুল ভ্রান্তি আছে বলেই জীবনটাও সুন্দর।
নিজেকে এমন ভাবে গড়ে তুলো জীবন নামের এই যুদ্ধে
তুমি নয় বরং যেন পৃথিবী তোমার অপেক্ষায় থাকে।
কষ্ট মানুষের জীবন সঙ্গী।
যার জীবনে কষ্ট নেই তার জীবনতো মূল্যহীন।
ভালো থেকো তোমরা জীবন নামের এই যুদ্ধে এই কামনা করি সবসময়।
-Aarohi Hasan......আরোহী হাসান
বিষয়: সাহিত্য
২৬১৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন