কাকের মেধা মানুষের মতো!

লিখেছেন লিখেছেন আহমাদুল্লাহ আল আহনাফ ০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ০৩:২৯:৪১ দুপুর

বিষয়টি সত্যিই চমকে যাওয়ার মতো। সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে নিউ ক্যালিডোনিয়ার কাকের মেধা মানুষের কাছাকাছি। অস্ত্র এবং অন্যান্য উপকরণ ব্যবহারে তারা এতটাই দক্ষ যা খুব কম প্রজাতির প্রাণীরই আছে।

অস্ট্রেলিয়া থেকে সাড়ে সাত শ’ মাইল পূর্বে দক্ষিণ-পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় নিউ ক্যালিডোনিয়ার আর্কিপিলাগোয় এদের আবাসস্থল।

নিউজিল্যান্ডের গবেষক সারা জেলবার্ট এবং তার সহকর্মীরা এ বিষয় নিয়ে গবেষণা করছেন।

তাদের গবেষণাপত্রে বলা হয় ‘তৃষ্ণার্ত কাকের সামনে একটি বোতলে কিছুটা পানি দেওয়া হলো। কাকটি যখন পানি পর্যন্ত পৌঁছুতে পারছিলো না তখন সে মুখে করে বোতলে গোলাকৃতি পাথর নিক্ষেপ শুরু করে এবং পানি বোতলের উপরের দিকে উঠে আসলে পান করে’ এই গল্পের মতোই একটি পরীক্ষা চালানো হলে কাকগুলো সে পরীক্ষায় সফল হয়।

এছাড়াও তাদের এমন কিছু সৃষ্টি রয়েছে যা মানুষকে অবাক করে দেয়। পেনডানাস পাতা দিয়েও এরা চার থেকে ছয় ইঞ্চি লম্বা এক ধরনের অস্ত্র তৈরি করে। পেনডানাস পাতার প্রান্ত করাতাকৃতি হওয়ায় পোকা-মাকড় টেনে বের করতে তারা এই অস্ত্র ব্যবহার করে। কেবল খাবার আহরণেই তারা অস্ত্র এবং উপকরণ ব্যবহার করে না, কোনো কিছু সন্দেহ হলে তা খতিয়ে দেখেতেও এই কাকেরা অস্ত্র ব্যবহারে পটু।

গবেষকেরা জানান, পরীক্ষা নেওয়ার সময় তাদের সামনে যখন একটি বাক্সে প্লাস্টিকের সাপ দেওয়া হলো তখন প্রথমে তারা একটি কাঠির খোঁচা দিয়ে দেখেছিল এটা আসলেই বিপদজনক কিনা!

অন্য দুই গবেষক ক্রিস্টোফার বার্ড এবং ন্যাথান এমেরি দেখিয়েছেন সেই পাথর ফেলে পানি পান করা‍র বিষয়টি। খুব কম প্রাণীই উপকরণ ব্যবহারে এমন দক্ষ হয়। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো প্রকৃতিক‍ভাবেই কাকগুলো এমন।

সারা জেলবার্ট ও তার সহকর্মীরা ছয়টি কাককে বোতলে পাথর নিক্ষেপের প্রশিক্ষণ দেন এবং ভিন্ন ভিন্ন পদ্ধতিতে পরীক্ষার নেন এটা দেখার জন্য, তারা কতটুকু বুঝতে পারলো। ছয়টি পরীক্ষার মধ্যে চারটিতেই কাকগুলো খুব ভালো করে; কেননা প্রাকৃতিকভাবেই ‍তারা খুবই মেধাবী।

বিষয়: বিবিধ

১০৯০ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

358367
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ দুপুর ০৩:৪৮
বিবর্ন সন্ধা লিখেছেন : ভাই ,মনে আছে সেই ,
হাবিল কাবিলের ঘটনা??

কুরবানী নিয়ে কথা কাটা কাটি করে যখন
একজন খুন হয়ে গেল , তখন এই লাশ
কি করবে অন্য জন ভেবে পাচছিল না ,কারন এর আগে দুনিয়াতে কেউ মারা যায় নি । তখন দেখা গেল একটি কাক , মুখে করে কিছু একটা এনে মাটির নিচে চাপা দিয়ে রাখল ,তা দেখে ই কবর দিবার ভাবনা মাথায় আসে , কাক কে এখানে মানুষের টিচার হিসেবে দেখানো হয়েছিল .
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ দুপুর ০২:০৯
297606
আহমাদুল্লাহ আল আহনাফ লিখেছেন : জি ভাই মহান আল্লাহ বলেছেন “আমি কোন সৃষ্টিই অযথা করি নি।” সৃষ্টি নিয়ে চিন্তা করতে গেলে আমি শুধু অবাক হই। সুবহানাল্লাহ। আল্লাহ কত মহান। মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
358375
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ বিকাল ০৫:৪৭
হতভাগা লিখেছেন : কাক অন্যতম প্রাকৃতিক ধাঙ্গড়ও
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ দুপুর ০২:০৯
297607
আহমাদুল্লাহ আল আহনাফ লিখেছেন : জি ভাই তাই। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
358382
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ রাত ০৮:১১
শেখের পোলা লিখেছেন : প্রত্যেক প্রাণীকেই আল্লাহ বিশেষ কিছু জ্ঞান দিয়েই সৃষ্টি করেছেন৷ ডিম ফুটে কাছিমের বাচ্চা বেরিয়েই পানির দিকেই যায়৷কবুতর এক সময় চিঠি বহণ করত৷
আল্লাহ বলেছেন,উটকে নিরীক্ষন করো৷ তাকেও বিশেষ কতকগুলি বৈশিষ্ট দিয়েছেন৷ আপনাকে ধন্যবাদ৷
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ দুপুর ০২:১২
297608
আহমাদুল্লাহ আল আহনাফ লিখেছেন : আমার মনে হয় শুধুমাত্র মানুষই কান্না আর হাসি ছাড়া আর কোন কিছু শেখানো ব্যতিত অর্জন করতে পারে না। তা ছাড়া অন্য সৃষ্টির দিকে তাকালেই বোঝা যায় প্রভু কত মহান। প্রত্যেক প্রাণীকেই আল্লাহ বিশেষ কিছু জ্ঞান দিয়েই সৃষ্টি করেছেন৷
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ রাত ০৮:১৭
297633
শেখের পোলা লিখেছেন : অন্যান্ন প্রাণীর চাইতে মানুষকেই বেশী জ্ঞান দিয়েছেন৷ যা দিনে দিনে বিকশিত হয় ও হচ্ছে৷ সমাপ্তি হবে দজ্জালে গিয়ে৷

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File