অক্টোপাসময় রাহু
লিখেছেন লিখেছেন বিবর্ন সন্ধা ০৯ এপ্রিল, ২০১৬, ০১:১৯:৩৯ রাত
আসসালামু আলাইকুম
ঘুরাফেরা অবিরত
হাসি-খুশি যথাযথ। ;
এরই মাঝে দুষ্টু রাহু
চেপে ধরল দুইটা বাহু।
ভর করেছে মাথার পরে
ধীরে ধীরে নামল ঘাড়ে।
ইথার থেকে ভেসে এসে
নাক ডুবিয়ে পড়ল বসে।
বলল আমায় জায়গা দিবি
কষ্টে আছি আমি খুবি ।
জায়গা পেয়ে মজা করে
হালুম হুলুম খাচ্ছে ধীরে।
রাহুর খানা বড্ড বেশি
সে যেন এক পেটুক শশী।
টের পেয়ে তাই রাহুর দশা
আস্তে আস্তে মন যে কষা।
রাহুও বোঝে, তার যে খেলা
বুঝতে পেরে করছে হেলা।
চতুর রাহু বলল হেসে
আসছি আমি ভালবেসে।
হাসির ছলে অভিনয়ে
রাহুকে তাই নেয় জড়িয়ে।
রাহু কহে , ওহে বোকা
বুঝে গেছিস আমার ধোঁকা।
হাড্ডি মাংস সবই খাব
নিঃস্ব করে তবে যাব।
অভিনয়ে সুযোগ বুঝে
তাড়ানোর তাই সুযোগ খোঁজে।
যেই না রাহু হাত ছাড়িল
হঠাৎ মোক্ষম সুযোগ এল।
ঝাঁটা দিয়ে মারলে তাড়া
রাহু পালায়, হয়ে দিশেহারা।
হি হি হি
কি ভাবছেন, আমি লিখেছি???
টাইপ যখন আমি করেছি
তখন তো আমার ই লিখা নাকি
আসলে লিখাটা যার তার নামটা দিতে পারছি না,
কারন একদিন তিনি একটি বিরাট মিথ্যা বলে,
আমার কাছে ধরা খেয়েছেন,
এরপর থেকে উনার
সব লিখা ই আমার সন্দেহের তালিকায় থাকে,
মিথ্যার একটা " মোজেজা " আছে না
বিষয়: বিবিধ
১৩৭২ বার পঠিত, ২৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আপনি আপনি করলে
কেমন যেন পর পর লাগেরে
আপুনি
আমি যখন ছোট
তখন স্কুলে অন্যরা
প্রতিদিন নানা ঘটনা বলত
আর আমি ভাবতাম,
আমার জিবনে বলার মত কোন ঘটনা নাই
প্রতিটা দিন ই এক ই ধাচের, কোন নতুনত্ব নাই
কিন্তু ১০ বছর বয়সে, বাবার চলে যাবার মধ্য দিয়ে সেই যে ঘটনা জন্ম হলো, আজো প্রায় প্রতিদিন ই
বিভিন্ন ঘটনা ঘটে ই চলছে, এ যেন হাসরের মাঠের আগে শেষ হরার কোন লক্ষন নাই
আমাদের দেশে কবে সেই ছেলে হবে
কথায় না বড় হয়ে, কাজে বড় হবে
যুদ্ধের ময়দানে বক বক না করে,
যুদ্ধে জিতে গাজী হপে
'মলিন হাইনজালা ওয়াক্ত' যে লেখাটি লিখেনাই সে আমি বুঝতে পারছি.
লুকোচুরি বাদ দিয়ে নামটা বলে ফেলুন, দুইটারেই এক লগে পিডায়াম.
বুঝতে হপে কেন,
যে কবিতাটা আমার নয়! ":
আমি নিজেই যেখানে কারন বর্ণনা করে দিলামদিলাম
আসলে ই ছড়াটা দারুন
একদম সময় উপযোগী।
ছড়াটা কিন্তু আমি লিখি নাই,
তাতে কি, শেয়ার তো আমি ই করেছি
ধন্যবাদ বিবর্ন সন্ধা ভাপু ।
রহম করো
আপুনি, তুমি ছড়াটা চিনে ফেলেছো !!
তুমি না সেদিন বল্লা, তুমি উজবুক ইউজ করো না,
তাইলে উজবুকের ৩ দিন আগের লিখা তোমার নজরে এলো কিভাবে!!
তার মানে মিথ্যা কেউ একা বলে না, অন্যরা ও বলে
যাই হোক, চিনা চিনা যখন লাগছে, তখন একটা গান হয়ে যাক,
চিনা চিনা লাগে, তবু অচেনা,,,,
পরের লাইন্টা মনে পড়ছে না,
( কথাটা কি মিথ্যা হয়ে গেলো??
ছড়াটা চেনা চেনা লাগছে মানে ছড়ার ছন্দের ষ্টাইল অন্য এক ব্লগারের ছড়ার সাথে আমার মিল লাগছে সেটা বুঝিয়েছি ।
তবে আমি ফেসবুক ম্যাসেনজার ইউজ করি ।
মিথ্যা বলি না তানা তবে যখন-তখন বলিনা পাজি ভাইয়া ।
হেরে আপুনিটা
মিথ্যা আমরা কম বেশি
সবাই কিছু না কিছু বলি,
তবে মিথ্যা থেকে বেচে থাকার চেস্টা করাটা ই আসল
নয়তো আবার মোজেজায় ধরে ফেলতে পারে
কবিতার প্রশংসা দেখে ভালো লাগলো
কিন্তু চোরের আত্নীয় কিভাবে হলাম?:
কথায় বলে, চোরে চোরে মাসতুত ভাই,
মাসতুত বোন কি বলা হয়েছে??
ফলাফল : চোরের আত্নীয় অপবাদ টা টিকলো না
কবিতার প্রশংসা দেখে ভালো লাগলো
কিন্তু চোরের আত্নীয় কিভাবে হলাম?:
কথায় বলে, চোরে চোরে মাসতুত ভাই,
মাসতুত বোন কি বলা হয়েছে??
ফলাফল : চোরের আত্নীয় অপবাদ টা টিকলো না
ঐ যে বললেন "কথায় আছেঃ" কথায় কিন্তু একথাও আছেঃ চোরের মায়ের বড় গলা।
আমাদের এলাকায় কিন্তু "চোরে চোরে খালাতো বোন" প্রবাদটিও আছে।
এক দিকে না টিকলে আরেক দিকে টিকাইয়া দেওয়া হবে।
এত করে বললাম, এটা আমার লিখা না,
তারপর ও বলে চোর
নাহ, আপনারা দেখি, বাংলাদেশের পুলিশের চেয়ে ও খারাপ
সুন্দর ম্যাসেজ! এবং সময়োপযোগী।
শেয়ার করার জন্য ও লেখকের জন্য জাজাকাল্লাহু খাইর।
কবিতায় তো, ঝাটার তাড়া খেয়ে, রাহু
দিশেহারা হলো
কিন্তু বাস্তবের রাহুর বাহু থেকে তো বাচার কোন
পথ খুজে পাওয়া যাচ্ছে না
মন্তব্য করতে লগইন করুন