এইকাল বানাম সেইকাল
লিখেছেন লিখেছেন বিবর্ন সন্ধা ২২ মার্চ, ২০১৬, ০৬:২৫:২১ সন্ধ্যা
আসসালাম আলাইকুম
অনেক দিন আগের কথা,
রুপা স্কুলের ছুটিতে
নানুর বাড়িতে গিয়ে দেখে
বদের হাড্ডি মামাতো ভাই মতিন,
কামরাঙ্গা গাছ থেকে পড়ে
হাত পা মচকে বিছানা বাসি…
কারন অন্বেষনে জানা গেলো, চাচাতো ভাই য়ের নতুন বৌকে দেখতে গিয়ে এহেন দুরবস্তা…
ঘটনা খুলে ই বলি,
মতিনের চাচারাখুবই রক্ষনশীল।
বাড়িরমেয়েরা সবাই আপদমস্তক নিজেকে ঢেকে রাখে।চাচাতো ভাই মনির বিয়ে করাছে৭ দিনের মত হয়েছে।কিন্তু তার বৌ কে এখনো দেখা হয়ে উঠেনি মতিনের।
বৌ যখন বাপের বাড়ি যায় ,
তখন রিক্সার চারদিকে কাপড় দিয়ে এমন ভাবে পেচানো হতো যে , ভিতরের মানুষের অবস্থান সম্পর্কে কোন ধারনাই নেয়া যেত না।
দুস্ট বুদ্ধির মুতিন চিন্তা করলে যে,
মনিরদের বাড়ির পাশে যে বড় কামরাঙ্গাগাছ টা আছে, তার সবচেয়ে উপরের ডালে উঠলে , মনিরদের ভিতর বাড়ির উঠানদেখা যায় । আর
নতুন বৌ কে উঠানে দেখাযেতে ই পারে।
যেই ভাবা সেই কাজ,
আর ফলাফল হাত - পা মচকে বিছানা বাসি।
ঘটনা শুনে সেদিন খুব হেসেছিল রুপা... )
কিন্তু রুপা আজ ও রাস্তায় মাঝে মাঝে হালকা পাতলা বৃষ্টির সময় পর্দাঘেরা রিক্সা দেখতে পায়।তবে সেই পর্দা এখন যুগের সাথে তাল মিলাতে একটু মোডিফাই হয়েছে। আগে
পর্দার আড়ালে থাকতো শুধুমেয়েরা, আর
এখন থাকে একজন ছেলে ও একজন মেয়ে. কাপড়ের বদলে এখন পলি কাগজ দিয়ে ঢাকা রিক্সা গুলোতে দেখা যায় শুধু নিচে দুই জোড়া উন্মুক্ত পা।আর এর অন্তরালে যে লীলা- খেলা চলে,তা শুধু রুপা কেন সবাই অনুধাবন করতে পারে খুব সহজে ই...
যাই হোক, স্বাধিন দেশের স্বাধিন নাগরিক ,কারো কোন অসুবিধা নাকরেযা খুশি তা করার অধিকার রাখে…
দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে রুপা…
সেদিন এক ভাই তার বোন এর জন্য help চেয়ে একটা status post করছিলো যে ,আমার কোন বড় মামা চাচা নাইকেউ যদি একটু help করেন তাহলে হয়তো আমার বোনের হোষ্টেলের ঝামেলাটা মিটে যায়..
ভাই টি লিখেছিলো,
তার পর্দাশীল বোনটি আজই প্রথম হোস্টেলে উঠেছে ,তারপর থেকে ই শুরু হয়েছে সিনিয়র আপুদের অশ্লিল অত্যাচার ,এক পর্যায়ে তারা বোন টি কে বলে যাও ,উপরে গিয়ে বড় ভাইদের কাছে ব্রেস্ট এর মাপ দিয়ে এসো ....
ভাইটি এর বেশি কিছু লিখতে পারছিলনা।
আপু গুলো নাকি যাবার সময় শাসিয়ে বলেছিল যে,
আজ শুধুমাংস কাটলাম, কাল এসে কষাবো…
আর এক দিন দেখলো এক মেয়ে লিখেছে ,
বোরখা পড়ে পরিক্ষা দিতে যাওয়ায়, ক্লাসের সবার সামনে তাকে বোরখা খুলে ফেলতে বাধ্য করে ছিল ডিউটিরতো মেডাম টি....
ঘটনা কতটুকু সত্য জানা নেই রুপার, কিন্তু এই রকম কত ঘটনা ই তো চোখে পরে আজকাল…
একটি স্বাধিন দেশে নিজেকেঢেকে রাখার অধিকার টুকু যেন তাদের কাছে সোনার হরিণের চাইতে অকল্পনীয় ...
সেদিন ডিগ্রী পরিক্ষার সময় রুপার বান্ধবিরা বলাবলি করছিলো, চেকিং এর ঝামেলা এড়াতে তারা বোরখার ভিতর অন্তর্বাস পড়াই বন্ধ করে দিয়েছে…
সেদিনের সেই মতিন ভাইয়েরা আজ কেউ, সুশিল সমাজের প্রতিনিধি আবার কেউবা রাস্টের বড় পদের অধিকারী, তারা তাদের মনোবাসনা পুরনের জন্য, আজ আর হাত পা মচকাতে রাজি নয়, তাই তারা নারীদের লেলিয়ে দিচ্ছে নগ্নতার দিকে, মুখে খই ফুটায় সম অধিকারের বুলি
এত সব ঘটনা দেখতে দেখতে রুপা যখন দেখে , মেয়েরা হিজাব পরার স্বাধিনতার জন্য রাস্তায় আন্দোলন করছে,তখন কেন যেন খুব একটা অবাক লাগে না…
শেষ বিকেলে ঝিড়ি ঝিড়ি শীতল হাওয়ায় , মাথায় হাজার টা প্রশ্ন নিয়ে , রুপা পা বাড়ায় গন্তব্যের দিকে…
পিছনে বাড়তে থাকে সন্ধার আগমনের
প্রস্ততি.
বিষয়: বিবিধ
১৫৯৪ বার পঠিত, ১৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
সামনে আদিম যুগ আসছে ..।
রিক্সার ভেতরে কথাটা বলাতে একটু মিলাইতে ইচ্ছে করল কিন্তু থাক, করমো না।
পরের বেডি দেখনের স্বাদই আলাদা। বজ্জাত মানুষে৩র বজ্জাত রুচি।
আমি আমার আপন ভাবিকে এখনও কেন দেখতে যাইনি, একটা ছবিও কেন দেখতে চাইনি, এই নিয়ে সবার মাতামাতির শেষ নেই। কিতা করতাম, কেমতে বুঝাইতাম, হরের বেডি দেওনের এত্তো শখ আঁর নাই।
চোখ বন্ধ করে লিখেন নাকি! বানান ঠিক করেন, নয়তো আমার যেটা অভ্যাস, সেটাই করমো। কেউ বাধা দিয়ে রাখতে পারবোনা
কমেন্টের ভুল ক্ষমারযোগ্য। দিলাম মাপ করে
আপনি পেয়ে গেলেন নাকি?? তাইলে এই বার মিস্টি খাবার পালা, কবে সবাইকে দাওয়াত করবেন বলেন
এই বয়সে ও কোন রিক্সা আপনার চোক্ষে পড়ে না??
ওহ, আপনিতো এখনো পুলাপাইন, এত্ত অল্প বয়সে চুক্ষে ছানি পড়লে হয়???
ভাবীকে দেখবেন কিভাবে?? আপনিতো পালাইন্না লোক
আমি, আমরা যদি ভুল না করি, তবে আপনার ভুল ধরার চাকরিটার কি হপে!!
আপনার চাকরী বাচাতে ই তো আমাদের এত্ত প্রয়াস,
ঢং, যার লাইজ্ঞা চুরি করি, হেয়ই কয় চোর
না মানি কোন এক সময় রিক্সায়.... আহ! কথা কিছু কিছু বুঝে নিতে হয়, মুখে বলা যায়না।
ভাবি নাকি দেবরের জন্য মৃত্যু সমতুল্য, তা ...
হেরে আজকাল ভালা কামের দাম নাই
একবার বলেন, দেবর ভাবী মৃত্যু
আরেক বার রিক্সায় মুঞ্চায়
মিয়া কোন পথে হাটবেন সেটা আগে ঠিক করেন, পরে অন্য কে অনেক কিছু খাওয়ানের কতা ভাইবেন
নয়তো দুই নৌকায় পা দিয়ে নিজেকে ই সামলাতে পারবেন না, আপনার আবার কেউ ধরার ও নাই
হুদাই বদনাম করবো কেন মশাই!!
বিয়ের আগে দোষ ত্রুটি জানিয়ে দেয়া সুন্নত
জানেন না বুঝি??!!
রিক্সার ধান্দা বাদ দিয়ে ভ্লা হয়ে যান
কেউ বিয়ে ভাঙ্গানি দিপে না
আপুরে একটু বেশি অসুস্থ, তাই জাবাব দিতে পারছি না। কিছুটা ভালো হয়ে নেই, পরে কথা হবে, ইন শাহ আল্লাহ
আমার মনে হয়, গন্ডারের চামড়া না বানিয়ে, চামড়া হীন কোন দেহ বানালে বোধহয় ভালো হবে,
গন্ডারের চামড়ার ও তো কয়েক দিন পর অনুভুতি হয়, কিন্তু চামড়া না থাকলে কোন অনুভুতি ই থাকবে না,
যেমন মাথা না থাকলে, মাথার কোন ব্যাথা ই হয় না
আমি নিজে ও বোরকা নিয়ে অনেক বিপদে পড়ি ,
HSC পরিক্ষার সময় বেশ বড় একটা হলরুমে, ডিউটিরত শিক্ষকদের মধ্যে ৪/৫ জন সব সময় শুধু আমাকে ই পাহারা দিচ্ছিলেন, মনে হচ্ছিল যেন নকল শুধু আমার বোরকার ভিতরে ই থাকে, আর বেপর্দা সব মেয়েগুলো বেহেস্তের বড়ইপাতা
কিন্তু মজার বিষয় হলো, সেইবার সব বিষয় মিলিয়ে ৩০৩৪ জন পরিক্ষা দিয়েছিলেন, গ্রামের কলেজ, সেখানে নাকি বই দেখে ই পোলাপাইন পরিক্ষা দিত, তাই শহড়ের অনেকে ই সেই কলেজের ছাত্র হয়ে পরিক্ষা দিত, তবে সেই বার প্রসাশানের নজরে পড়ে গেলো, পরিক্ষা হলো করাকড়ি,
আমার প্রেক্টিকেল পরিক্ষা ছিল আমার সন্তান জন্মের তিন দিন পর, অসুস্থাতার জন্য প্রিন্সিপাল কে বলে কয়ে, পরিক্ষায় অনুপস্থিত থেকে ও পাস নাম্বারটা নিয়ে রাখা হলো,
ফলাফলের দিন জানতে পারলাম, মাত্র ২৭/২৯ জন পাস করেছে
বাকি ৩০০০ জন ই গোল্লায়
মা আমাকে জিজ্ঞাস করলেন, ফলাফল আনার জন্য কাউকে পাঠাবেন নাকি??
আমি বেশ জোড় দিয়ে ই বলেছিলাম, ঐ হলরুমে যদি একজন ও পাস করে থাকে, তবে সেটা আমার মনে হয় আমি ই হব
হ্যা আমি পাস করেছিলাম, তবে সেটা ছিলো দ্বিতীয় বিভাগে
কিন্তু সব্বাই খুবই খুশি হয়েছিল, এমন কি আমার ডেপটি কমিশনার মামা ও রেজাল্টের সাত দিন পর বাসায় এসে বললেন,তুমি এত ভালো রেজাল্ট করেছ অথচ একটা ফোন দিয়ে জানালে না।
আমার কেন জানি তখন খুব লজ্জা লাগত
(আমার সেই মা এবং মামা কেউ আর এই পৃথিবীতে নাই, মহান আল্লাহ উনাদের সহ সকল কবর বাসিকে জান্নাত দান করুন, আমিন)
কি নিয়ে কথা শুরু করেছিলাম আর কোথায় চলে গেলাম, স্মৃতি খুবই খারাপ জিনিস
গত কাল, এক বৌ ভাতের অনুষ্ঠানের এক ফাকে বৌ এর বড় বোন বল্ল,চলেন পাশের ঘরে আমার স্বামী আছে, পরিচয় করিয়ে দেই, আমি হাসি মুখে ই বললাম, না, থাক, আমি পরপুরুষের সামনে কম যাওয়ার চেস্টা করি
বেচারি মুখে কিছু না বললে ও, চোখ দুটো যেন ছানাবড় হয়ে গিয়েছিল
তারপর আলাপ হচ্ছিল বিয়ের নিয়ম কানুন নিয়ে, আমি বললাম এগুলো তো সব অন্য ধর্মের বিষয়, বিয়ের রাতে দুই রাকাত নামাজ পরে, স্বামী যে বিবির মাথায় হাত দিয়ে কল্যাণের জন্য দোয়া চাইবে, তা কয়জনে পালন করে!!:
এইবার ওনি ক্ষেপে গিয়ে বললেন, না দুনিয়ার সব নামাজ শুধু আপনি ই পড়েন
চেতনার বিস্ফোরণ এর কত আগে ই তো সেঞ্চুরী পালিত হয়ে গেলো বিদ্যাপিঠ গুলোতে
হয়তো তখন সব কিছু স্বাভাবিক লাগবে
মহান আল্লাহ সবাইকে হেফাজত করুন
আমিন
মা বোনেদের বানাতে চাইছে খাসি
পর্দা নিয়ে তাদের ভীষণ ক্ষোভ
আমরা বুঝি কোথায় তাদের লোভ
হি হি হি
আপনার কবিতা বরাবর ই জম্পেস হয়,
আর হবে ই না বা কেন??
ভালো না হলে কি আর কেউ এত্ত দিন লটকে থাকে!!
তখন একটু অসুস্থ ছিলাম, তাই শুভেচ্ছা জানাতে পারি নি
জাঝাক আল্লাহ খাইরান
আমার বাড়িতে আপনার প্রথম আগমন, শুভেচ্ছা নিবেন
জাঝাক আল্লাহ খাইরান
বেশ উপভোগ করলাম লিখাটি। সামনে কঠিন সময় আসছে সবার জন্য!
শুকরিয়া বোন।
জী আপু, সামনের দিন গুলো কঠিন ই মনে হচ্ছে, তবে এখন ও সময়টা খুব একটা সহজ না।
সেদিন কোন এক কাজে এক মহিলা SP এর কাছে গিয়েছিলাম, ওনি আমার কথা ভালো মত না শুনে ই বিড়বিড় করে বলছিলান, " বোরকা পড়া মেয়ে গুলো ই যত ঝামেলা করে, "
এই ভেবে মনকে বুঝ দিলাম যে, যার কাছে আল্লাহর বিধান ই ভালো লাগে না, তার কাছে ন্যায় বিচার আর কি ই বা আশা করা যায়
মন্তব্য করতে লগইন করুন