স্রোতে গা ভাসিয়ে দিতে ই যেন আনন্দ…

লিখেছেন লিখেছেন বিবর্ন সন্ধা ১৫ জানুয়ারি, ২০১৬, ১২:২৩:০৬ রাত

আস্সালামুআলাইকুম...

রাত্রি দ্বিপ্রহর ,

গুম গুম শব্দে চোখের ঘোম হারাম হবার যোগার,

শুক্রবার আসলে ই বিয়ের ধুম পড়ে যায়,

আর এর অত্যাচার শুরু হয় বুধ- বৃহস্পতি বার এর

রাতে গায়ে হলুধ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে,

হলুধ তো নয় যেন ,

ছেলে মেয়েদের অবাধ মেলামেশা,

নাচ গানের জলসা ...

দেখে মনে হয় এ যেন শয়তানের বর্তি বসানো হয় .…

ইসলাম কি এই শিখিয়ে ছিলো বিয়ের জন্য???

এতে ই কি মঙ্গল / কল্যাণ নিহিত!!!!

খ্রিষ্টানরা ধরে রেখেছে তাদের বিয়ের সংস্কৃতি।

বিয়ে তারা চার্চেই করে।

বিয়ের জন্যে জামা কাপড় ও তাদের সংস্কৃতি মোতাবেক।

হিন্দুরাও ভুলে যায়নি তাদের বিয়ের সংস্কৃতি।

খুব কঠিন ভাবেই তাঁরাও পালন করে সব রীতি নীতি।

তারা কেওই নিজেদের রীতি নীতি ভুলে তো যায় নি পাশাপাশি বিয়ের ক্ষেত্রে ধার করা সংস্কৃতিও ব্যবহার করে না।

কারণ তারা জানে যে বিয়ে হলো ২টি জীবন

এক হয়ে নূতুন ভাবে শুরু করার মাধ্যম।

সারা জীবন একে অপরের পাশে থাকার ব্যাবস্থা।

খুব মহান একটা বেপার,

তাই নিজেদের স্বকীয়তা বজায় রাখা খুব ই জরুরী।

কিন্তু আফসোসের বিষয়,

আমরা মুসলিমরা এটা বুঝতে পারলাম না।

নিজেদের রীতি নীতি তো বাদ ই দিয়েছি,

ধার করা সংস্কৃতি গুলুকে আপন করে নিয়েছি।

আমরা জানি ই না যে মসজিদে বিয়ে হয়।

আর যারা জানি তারা ভাবি,

মসজিদে বিয়ে করলে মানুষ হাসবে।

অথচ এটা ভাবিনা যে আমরা যা করছি

তাতে আসমানবাসী হাসছে।

আমাদের মতো করে বিয়ে তো হয়ে যায়

কিন্তু সুখে থাকে কতো জন?

যেই সম্পর্কের শুরুতেই

মহান আল্লাহ তা'য়ালার লানত থাকে

সেই সম্পর্কে সুখ কিভাবে আসবে?

আর একটা কথা হল ....

মোহরানা বা দেন-মোহর বা কাবিনের টাকা।

"৫ লাখ টাকা কাবিন,

২ লাখ উসুলি ৩ লাখ টিকিয়ে রাখা"

৩ লাখ টিকিয়েরাখা কেন?

কারণ ভবিষ্যতে তালাক দিতে যাতে ভয় হয়,

বকেয়া পরিশোধ করলে তবেই তালাক হবে।

আরে ভাই যেই সম্পর্কের শুরুতেই নিয়ত থাকে তালাকের ...

সেখানে তালাক হওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু না।

ইসলাম কি বলে?

সম্পূর্ণ কাবিন পরিশোধ না করে

বাসর ঘরেই প্রবেশ করা যাবে না।

মোহরানার দায় মুক্ত না হয়ে স্ত্রীকে স্পর্শ করাও হারাম।

আর সেই হারাম অবস্থায় যে সন্তান জন্মায় তা হল অবৈধ।

অবৈধ সন্তান বড় হয়ে পিতা-মাতার

প্রতি সদয় না হওয়াটাই স্বাভাবিক।

তাই সম্পূর্ণ বিয়ের বাপারে সতর্ক থাকাটা জরুরী।

বিষয়: বিবিধ

১৩৬১ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

362963
২০ মার্চ ২০১৬ রাত ১২:৩৫
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : সন্ধা তোমার লেখাগুলো চেক করছি। ব্লগে নানা রকমের মানুষ। বেশি মানুষ হল রাজনৈতিক মতাদর্শের লোক এরা ফেসবুকে কিছু লিখতে ভয় পায় তাই ব্লগে এসে অপছন্দের দলকে গালাগালি করবে আর তারই মত সেম মেন্টালিটির কিছু লোক তাতে কমেন্ট করবে একসাথে সবাই মিলে হা হুতাশ করবে এদের কাছে ভাল কিছুই শিখতে পারবেনা। এদের ব্লগীয় স্টাইল ফলো করলে তোমার লেখার মানও নষ্ট হবে। মেয়ে দেখলেই কিছু ব্লগার হুমড়ি খেয়ে তেলমারা কমেন্ট করবে এরা যে আসলে কি চায়? এরা নিজেরাও জানেনা। একটা মেয়ের সাথে কথা বলছে এটাই এদের আনন্দ। এদের মন ভেঙ্গে দিতে হবে। এদের ম মন্তব্যে প্রতিমন্তব্য হবে অল্প কথায়। ভাইয়া ভাইয়া করে ডাকলে এসব ছেলেরা আপনাআপনি একটু ঢাক্কা খাবে। শিরোনামটা হতে হবে চমৎকার সাথে ভাবার্থ প্রকাশ করে এমন ছবি। সবাই দেখবে গতানুগতিক একই রকম লেখা লেখে। কোন ঘটনা ঘটলে সেটা নিয়ে সবাই মাতামাতি করে তাই আগে সবারটা পড়ে নিবা দেন ঘটনার শেকড় নিয়ে লিখবা। মনে রাখবা একজন মানুষ হিসেবে তোমার পরিচয় হয়ত মেয়ে তাই স্বাভাবিকভাবেই তোমার মাঝে কিছু মেয়েলী আবেগ কাজ করে কিন্তু ব্লগ লেখার সময় ভুলে যেতে হবে আমি মেয়ে। ভাবতে হবে আমি লেখক আর নারী পুরুষ সবাই আমার পাঠক তাই পাঠককে দাম দিতে হবে। এমন কোন আবেগের কথা বলা যাবেনা যার কারণে পুরুষ পাঠকের মনে হবে, ওহ মেয়ে মানুষতো তাই মেয়েদের দিক টানছে!! যৌক্তিক জিনিস বলতে হবে বাস্তবতার নিরিখে। আমি যখন পুরুষের সমালোচনা করব তখন নারীদের দোষগুলোও তুলে ধরব, নিজে নারী বলে গোপন করবনা। আর লোকমুখে শোনা, ফেসবুকে পাওয়া এসব কথা রেফারেন্স হিসেবে আনা যাবেনা বরং যা বলব সেই বিষয়ে আমার হাতেই তথ্য প্রমাণ থাকতে হবে। নাস্তিকরা নানা কৌশল খাটিয়ে তোমাকে রাগিয়ে দিবে এটাই ওদের সিস্টেম কারণ মাথা গরম হয়ে গেলে তুমি আর কোন যুক্তি দিতে পারবেনা ওদের গালাগাল দিয়ে বসবে। ওরা এই সুযোগটা নিয়েই তোমাকে প্যাচে ফেলবে। আর যাই লেখ সেই বিষয়ে স্পষ্ট নলেজ থাকতে হবে যেন তোমার কথা তুমি একাই সত্য প্রমাণ করতে পারো।
২০ মার্চ ২০১৬ দুপুর ১২:১৭
300897
বিবর্ন সন্ধা লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম

অনেক অনেক অনেক ভালো লাগলো। আমি সেদিন আমার ওনাকে বলছিলাম , ব্লগের মেয়েগুলো একটু অন্য রকম ভালো, ঠিক ফেইসবুকের মত নয়,
ফেইস বুকের প্রথম দিকে আমি চাইতাম, আমার লিস্টে মেয়েদের সংখ্যা বেশি হোক, কিন্তু কেনো যেন, কয়েক জন বাদে অন্য মেয়েরা এড়িয়ে চলত।
কি জানি আমি বিবাহিত বলে কিনা,
কিন্তু ছেলেদের সাথে কথা না বললে অইডি উড়িয়ে দিত
একসময় দেখা যেত, ছেলে সেজে থাকতাম Rolling on the Floor Rolling on the Floor
এখন অবশ্য অবস্থা বদলছে, কিছু কিছু বুঝি, যদি ও আমি বেশ বোকা, এখন বন্ধু অনেক কম কিন্তু তারা এত্ত আজাইরা না যে গোপনে কথা বলার সময় পায়, যাদের মনমানষিকতা ভালো মনে হয়, তারা ই লিস্টে থাকে, তাদের লিখায় জানা ও যায় এবং শিখা ও যায় অনেক কিছু।
জাঝাক আল্লাহ খাইরান Good Luck Love Struck
362966
২০ মার্চ ২০১৬ রাত ১২:৫২
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : হায় আল্লাহ!! আপনার একটা বাবাও আছে! আপু আপনি তো আমার বয়সে বড়! সরি আপু তুমি ডেকে ফেলেছি তাই আমাকে তুমিই ডাকবেন। হায় হায় কি পন্ডিতের মত উপদেশ দিলাম!!
২০ মার্চ ২০১৬ দুপুর ১২:৩৮
300901
বিবর্ন সন্ধা লিখেছেন : হি হি হি
আমার কোন আপন বোন নাই, আমি একা ই।
আমার নানুর বাড়ির কাজিন দের মধ্যে আমি সবার ছোট, আর দাদুর বাড়িতে আমি একাই মেয়ে।

আমার আপুরা আমার থেকে দুই তিন গুন বড়, কিন্তু সবাইকে তুমি করে ই বলি, এমন কি সব ভাবীদের কে ও।
ছোট বলে ই হয় তো, সবাই একটু বেশি ই ভালোবাসে Love Struck
কিন্তু এখন পরিবেশটা যেন কেমন হয়ে গেছে,
সারথের জন্য সবাই আর আগের মত নাই,
মা উপারে চলে গেলে কি, নানা বাড়ি ও শেষ হয়ে যায়??
তবে আমি তোমার থেকে বড় কিন্তু মেয়েদের মানে ছোট বড় সব আপুনিদের তুমি বলে ডাকতে ই আমার বেশি ভালো লাগে, অন্যদের কাছ থেকে ও তাই আশা করি।
হুম্ম
আমার বাবাটা খুব ই মিস্টি ( আমার কাছে মনে হয় আর কি Tongue)
সরি বলার মত কিছু ই হয় নি, আমরা আমরা ই তো।
মাঝে মাঝে মনে হয়, আমার একটা ছোট বোন থাকলে হয় তো ভালো ই হত Crying
যদিও আমার ভাই দুইটা অনেক অনেক ভালো।
আমাদের বাবা মা নাই তো, তাই আমরা সবাই সবার অনেক আপন।
আল্লাহ যেন এই ভাবে ই বাকি জইবনটা পার করে দেয়।
আমিন

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File