ইফতার মাহফিল বন্ধ করে দিয়ে আবারও নিজেকে ধর্মব্যবসায়ী হিসেবে প্রমান করল হাসিনা
লিখেছেন লিখেছেন ইরফান ভাই ০৯ জুন, ২০১৬, ১১:৩২:০৩ রাত
প্রত্যেক বছরের ন্যায় এবারও কূটনৈতিকদের সম্মানে ইফতার পার্টির আয়োজন করে জামায়ত ইসলামি।তবে এবারের আয়োজন অন্যান্যবারের মত নয়।কেননা,ক্ষমতায় আসার পর সরকার বিতর্কিত কিছু ইস্যু দিয়ে তাদের দলের প্রায় সব নেতাকেই ফাসিঁ /কারাদণ্ড,জেলে ডুকিয়ে রেখেছে।দেশে কিছু হলেই সরকার জামায়তের নাম দিয়ে দেওয়া এবং সেটি হলুদ/পা ছাটা মিডিয়া ডালাওভাবে প্রচার করা তাদের নিয়মিত কাজ হয়ে গিয়েছে।এর ফলে বিগত কয়েকবছর যাবত জামায়ত ইসলামীর কোন অনুষ্টান প্রায় হয় না বললেই চলে।তবুও সরকার ও তার দালালদের মনে জামায়ত ভীতি কমছে না।বিগত সময়ের ব্যাপক ভোট ডাকাতির মধ্যেও জামায়ত ইসলামী ভাল ফলাফল করা,হলুদ/দালাল মিডিয়ার এত মিথ্যাচার করার পরও দলটির প্রতি জনসমর্থন দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ার কারনেই অথবা ভবিষ্যৎ প্রতিপক্ষ মনে করেই সরকারের ভিতর এত জামায়ত ভীতি কাজ করে।বিএনপি-জামায়ত এর প্রোগ্রামে সরকারের নগ্ন হস্তক্ষেপ নতুন কিছু নয়।ক্ষমতায় আসার পর থেকেই তারা এসব করতেছেন।তবুও এবারের প্রেক্ষাপট ভিন্ন।সরকার অবৈধ তাই এসব ভয় পাচ্ছে এই কথা বলে আর সময় নষ্ট করতে চাই না।জাস্ট তিনটা কথা বলে লেখা শেষ করে দিচ্ছি।(১)বাজেটে মন্দিরের জন্য ২০০ কোটি টাকা বাজেট বরাদ্দ,(২)পাট্যপুস্তক থেকে ইসলামী বিদ্বেষ ছড়িয়ে ব্যাপক হারে হিন্দুত্ববাদ ও নাস্তিকতা ছড়িয়ে দেওয়ার পয়তারা।(৩)বাংলার সাধারন মুসলমানদের জঙ্গী বলে প্রচার করা।
উপরের তিন ইস্যুতে দেশের ভিতর যখন সরকারের প্রতি ঘৃণা ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে ঠিক তখনই শুধুমাত্র নিজের নির্লজ্জ স্বার্থের জন্যই যে তারা ইফতার মাহফিল বন্ধ করেছে সেটা বোঝবার বাকি থাকে না।"হজ্ব করে এসেই ইফতার মাহফিল বন্ধ করলেন তিনি" এই কথাটি না বললেই নয়।এসব নাটক দেখে জনগনের মনে প্রশ্ন এসেছে,"কথিত ধর্মব্যবসা কে করেন???"
বিষয়: রাজনীতি
৮৩৬০ বার পঠিত, ৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ধন্যবাদ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন