বাবুল আক্তারের স্ত্রী হত্যাকারী জঙ্গি নাকি যাদেরকে যায়গা দখল,কেন্দ্র দখল করতে দেয়নি তারা
লিখেছেন লিখেছেন ইরফান ভাই ০৬ জুন, ২০১৬, ১২:৫৬:১৯ রাত
বিডিটুডে পরিবারের পক্ষ থেকে এই হত্যাকান্ডের তীব্র নিন্দা ও দায়ীদের গ্রেপতারের দাবি জানিয়ে লেখা শুরু করছি।চট্রগ্রামে পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম হত্যাকান্ড বর্তমান চট্রগ্রাম বা সারা দেশের টক অপ দ্যা ডে।যারা জনগনের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য নিয়োজিত আজকে তার নিজেরাই নিরাপত্তাহীনতায় বুগছে।সকালে যখন এমন নির্মম হত্যাকান্ডের কথা online news এ জানলাম তখন থেকেই একটি জিনিস লক্ষ করলাম।বাংলাদেশের অনলাইন মিডিয়া,টিভি চ্যানেলসহ বর্তমান প্রায় সব মাধ্যমমেই হত্যাকান্ডটিকে "জঙ্গি" হামলা বলে প্রচার করছে।অথচ পুলিশ বা অন্য কোন গোয়েন্দা সংস্থা এখনো পর্যন্ত কোন তথ্যই দেয় নি।দেশের কোথাও কোন স্পর্শকাতর হত্যা হলে সরকার ও বামপন্থি মিডিয়া সেটাকে জঙ্গি হামলা বলে প্রচার করার কৌশলটা অনেক পুরাতন।তবে গত কয়েকবছর যাবত সেটা মাত্রা অতিরিক্ত ছড়িয়েছে।কোন কারন ছাড়া,কোন প্রমান ছাড়া,তারা জঙ্গি হামলা বলে প্রচার করছে।এর মাধ্যমে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের শান্তিপ্রিয় সাধারান মুসলমানদের প্রতি খারাপ মনোভাব সৃষ্টি হচ্ছে।মিডিয়াগুলো যাইচ্ছে তা প্রচার করছে।যার ফলে প্রকৃদ অপরাধীরা আড়াল হয়ে যাচ্ছে এবং পুলিশ ও গোয়েন্দাদের কাজ বাধাঁগ্রস্থ হচ্ছে।মজার ব্যাপর হল এসব নিউজগুলো প্রায় সব একই রকম।অর্থাৎ "ইসলাম"-কেই তাদের অপপ্রচারের প্রধান টার্গেট হিসেবে নিয়েছে!অনলাইন নিউজ bdnews24 এর প্রতিবেদনের চম্বুক অংশ হল," তার স্ত্রী খুন হওয়ার পর সন্দেহের তীর জঙ্গি সংগঠনগুলোর দিকে থাকলেও সব ধরনের সম্ভাবনা মাথায় রেখেই পুলিশ এ ঘটনার তদন্ত করছে বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দা পুলিশের উপ কমিশনার মোক্তার আহমেদ" এবং প্রথম আলোর অংশ "প্রাথমিকভাবে পুলিশ এই ঘটনার জন্য জঙ্গিদের সন্দেহ করছে।" (দুইটিই সরকার ও বামপন্থি নিউজ)।উল্লেখ্য এর আগে ঢাকায় একটি পুলিশের অফিসার (স্ত্রী-পুলিশ) হত্যাকান্ডেও এইসব মিডিয়া জঙ্গী বলে প্রচার করছিল যদিও পরবর্তীতে প্রমান হয়েছিল যে,তাদের উচ্ছিঙ্কল,নেশাগ্রস্ত মেয়ে(ঐশী),তার বয়ফ্রন্ড নামক প্রাণীরাই তাদের হত্যাকরেছিল।
==>এবার আমার মন্তব্য:- চট্রগ্রামের জিইসি মোড় হল আওয়ামি সমর্থকদের এলাকা।নগর আওয়ামি লীগের এক অংশের উচ্চ পর্যায়ের নেতারা এই এলাকাতেই থাকেন।বিগত বছরগুলোতে বিএনপি-জামায়ত এমনকি হেফাজত ইসলাম পর্যন্ত এই এলাকাতে কোন মিছিল-মিটিং-আন্দোলন করতে পারেনি।বিভিন্ন পত্রপত্রিকার মাধ্যমে জানা যায়,ক্ষমতায় আসার পর থেকে এই এলাকেতে যতগুলো সংঘাত,মারামারি,দখল,খুন,হত্যা ইত্যাদি হয়েছে তার মধ্যে প্রায় সবগুলোই ক্ষমতাসীনদের নিজেদের মধ্যেই হয়েছে।গত কিছুদিন আগে নগর ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক গ্রেপতার,প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র খুন,চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ,স্থানীয় নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার,চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় দখল,ইত্যাদি বিভিন্ন কারনে স্থানীয় বিভিন্ন গ্রুপকে খুশি করতে পারতেছিল না পুলিশ।যার ফলে পুলিশ -ক্ষমতাসীন সংগঠন বিভিন্ন সমময় মুখমুখি হয়ে গিয়েছিল।
==>>আমরা এই হত্যাকান্ডের বিচার চাই।যেই দোষী হোক না কেন তার ফাঁসি চাই।আশা করিরি পুলিশ-গোয়ান্দারা তাদের সহকর্মী ভাইয়ের জন্য সর্বোচ্চটা দিবে।দল-মতের উর্ধ্বে থেকে তারা সুষ্ট বিচার করবে।এবং মিডিয়াকে অনুরোধ করব,দয়া করে তদন্তের আগে আপনারা মিথ্যা নিউজ চাপাবেন না।প্রয়োজনে তাদের সাহায্য করুন।মিথ্যা নিউজ দিলে প্রকৃত অপরাধীরা স্বাধীনই থেকে যাবে!
বিষয়: বিবিধ
১৯৯২ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এরা সমাজে অহেতুক বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করে।
http://epaper.prothom-alo.com/view/dhaka/2016-06-06/1
কোন মুসলমান খুন হলে সেটাকে বলে না যে একজন মুসলমান খুন হয়েছে ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন